alt

opinion » editorial

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

মুক্ত সংস্কৃতির পরিবেশ আর কোথায়?

: শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় এবারের ‘শরৎ উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়নি। সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী প্রায় দুই দশক ধরে এই উৎসব আয়োজন করে আসছে। কিন্তু এবারের উৎসবের দিন সকালে জানা গেল, অনুমতি স্থগিত করা হয়েছে। কারণ ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’দের উপস্থিতি নাকি ‘গ-গোল’ সৃষ্টি করতে পারে। পরের দিন গেন্ডারিয়ায় সেই অনুষ্ঠান করতে গিয়েও পারেননি আয়োজকরা। পুলিশ তাদের জানায়, ‘অনুমতি নেই, অভিযোগ আছে’। শেষ পর্যন্ত শিল্পীরা জাতীয় সংগীত গেয়ে, নীরবতা পালন করে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন।

ঘটনাটি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে উদ্বেগ তৈরি করেছে। সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর মতো পুরোনো ও স্বীকৃত সংগঠন, যারা বছর বছর চারুকলার বকুলতলায় মৌসুমি উৎসব আয়োজন করে, তাদের অনুষ্ঠান ঘিরে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ বিতর্ক কেন উঠল সেটা একটা প্রশ্ন। চারুকলা কর্তৃপক্ষ বলেছে, অনেকে ফোনে আপত্তি জানিয়েছে। ‘ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত’ কেউ এই আয়োজনের সঙ্গে আছেন, এ কারণে গ-গোলের আশঙ্কায় অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। আমরা জানতে চাইব, এই যুক্তি কি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? আপত্তি উঠলেই কি কোনো সাংস্কৃতিক আয়োজন থেমে যাবে?

কবিতা, গান, নাটক বা উৎসবের মাধ্যমে প্রকৃতি ও জীবনের সৌন্দর্য উদযাপন করে মানুষ। এমন আয়োজনে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে বাধা দেওয়া মানে সাংস্কৃতিক পরিসরকে সংকুচিত করা। কোনো সংগঠন যদি কারও অভিযোগের প্রেক্ষিতে বা কোনো আশঙ্কায় উৎসব করতে না পারে, তখন প্রশ্ন ওঠে যে, দেশে মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার পরিবেশ কি নেই। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকলে সেই শঙ্কা দূর করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। অনুষ্ঠান বন্ধ করা কোনো সমাধান হতে পারে না।

সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা গণতন্ত্রেরই একটি রূপ। নানা মতের সহাবস্থানই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি। আমরা আশা করব, শরৎ উৎসব আয়োজনের পথে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে। প্রতিবারের মতো এবারও এই উৎসব আয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

tab

opinion » editorial

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

মুক্ত সংস্কৃতির পরিবেশ আর কোথায়?

শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় এবারের ‘শরৎ উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়নি। সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী প্রায় দুই দশক ধরে এই উৎসব আয়োজন করে আসছে। কিন্তু এবারের উৎসবের দিন সকালে জানা গেল, অনুমতি স্থগিত করা হয়েছে। কারণ ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’দের উপস্থিতি নাকি ‘গ-গোল’ সৃষ্টি করতে পারে। পরের দিন গেন্ডারিয়ায় সেই অনুষ্ঠান করতে গিয়েও পারেননি আয়োজকরা। পুলিশ তাদের জানায়, ‘অনুমতি নেই, অভিযোগ আছে’। শেষ পর্যন্ত শিল্পীরা জাতীয় সংগীত গেয়ে, নীরবতা পালন করে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন।

ঘটনাটি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে উদ্বেগ তৈরি করেছে। সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর মতো পুরোনো ও স্বীকৃত সংগঠন, যারা বছর বছর চারুকলার বকুলতলায় মৌসুমি উৎসব আয়োজন করে, তাদের অনুষ্ঠান ঘিরে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ বিতর্ক কেন উঠল সেটা একটা প্রশ্ন। চারুকলা কর্তৃপক্ষ বলেছে, অনেকে ফোনে আপত্তি জানিয়েছে। ‘ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত’ কেউ এই আয়োজনের সঙ্গে আছেন, এ কারণে গ-গোলের আশঙ্কায় অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। আমরা জানতে চাইব, এই যুক্তি কি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? আপত্তি উঠলেই কি কোনো সাংস্কৃতিক আয়োজন থেমে যাবে?

কবিতা, গান, নাটক বা উৎসবের মাধ্যমে প্রকৃতি ও জীবনের সৌন্দর্য উদযাপন করে মানুষ। এমন আয়োজনে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে বাধা দেওয়া মানে সাংস্কৃতিক পরিসরকে সংকুচিত করা। কোনো সংগঠন যদি কারও অভিযোগের প্রেক্ষিতে বা কোনো আশঙ্কায় উৎসব করতে না পারে, তখন প্রশ্ন ওঠে যে, দেশে মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার পরিবেশ কি নেই। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকলে সেই শঙ্কা দূর করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। অনুষ্ঠান বন্ধ করা কোনো সমাধান হতে পারে না।

সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা গণতন্ত্রেরই একটি রূপ। নানা মতের সহাবস্থানই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি। আমরা আশা করব, শরৎ উৎসব আয়োজনের পথে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে। প্রতিবারের মতো এবারও এই উৎসব আয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।

back to top