alt

opinion » editorial

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

: শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

রোববার থেকে প্রথমবারের মতো জাতীয় পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে বিনা মূল্যে টিকা দেওয়া হবে।

দেশে টাইফয়েড জ্বর বহুদিনের এক নীরব কিন্তু ভয়াবহ সমস্যা। দূষিত পানি, অপরিষ্কার খাবার ও নোংরা পরিবেশে এই রোগ দ্রুত ছড়ায়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েছিল, মারা যায় আট হাজার, এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই ছিল শিশু।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত এই টিকা ইতোমধ্যেই নেপাল, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশে সফলভাবে দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই টিকা নিরাপদ ও কার্যকর। এতে প্রোটিন ও শর্করা দু’ধরনের উপাদান থাকায় শরীরে শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা ভবিষ্যতের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়।

তারা বলছেন, এই টিকা ওষুধ-প্রতিরোধী টাইফয়েডের বাড়তি ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হবে। বর্তমানে অ্যান্টিবায়োটিকের অতিব্যবহারে টাইফয়েডের অনেক জীবাণু ওষুধে সাড়া দিচ্ছে না। টিকাদান বাড়লে এই নির্ভরতা কমবে, ফলে ওষুধ প্রতিরোধী রোগের আশঙ্কাও কমবে।

টিকা কার্যক্রম সফল করতে শুধু প্রশাসনিক প্রস্তুতি যথেষ্ট নয়। জনগণের আস্থা ও সহযোগিতাও দরকার। অতীতে বিভিন্ন টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। তাই গণমাধ্যম, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একসাথে কাজ করতে হবে যাতে কেউ ভুল তথ্য দিয়ে ভয় বা সন্দেহ ছড়াতে না পারে।

দেশের টিকাদান কর্মসূচি অতীতে বারবার প্রমাণ করেছে যে, সঠিক পরিকল্পনা ও আন্তরিকতা থাকলে বিশাল জনগোষ্ঠীকেও নিরাপদ রাখা সম্ভব।

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

tab

opinion » editorial

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

রোববার থেকে প্রথমবারের মতো জাতীয় পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে বিনা মূল্যে টিকা দেওয়া হবে।

দেশে টাইফয়েড জ্বর বহুদিনের এক নীরব কিন্তু ভয়াবহ সমস্যা। দূষিত পানি, অপরিষ্কার খাবার ও নোংরা পরিবেশে এই রোগ দ্রুত ছড়ায়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েছিল, মারা যায় আট হাজার, এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই ছিল শিশু।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত এই টিকা ইতোমধ্যেই নেপাল, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশে সফলভাবে দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই টিকা নিরাপদ ও কার্যকর। এতে প্রোটিন ও শর্করা দু’ধরনের উপাদান থাকায় শরীরে শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা ভবিষ্যতের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়।

তারা বলছেন, এই টিকা ওষুধ-প্রতিরোধী টাইফয়েডের বাড়তি ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হবে। বর্তমানে অ্যান্টিবায়োটিকের অতিব্যবহারে টাইফয়েডের অনেক জীবাণু ওষুধে সাড়া দিচ্ছে না। টিকাদান বাড়লে এই নির্ভরতা কমবে, ফলে ওষুধ প্রতিরোধী রোগের আশঙ্কাও কমবে।

টিকা কার্যক্রম সফল করতে শুধু প্রশাসনিক প্রস্তুতি যথেষ্ট নয়। জনগণের আস্থা ও সহযোগিতাও দরকার। অতীতে বিভিন্ন টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। তাই গণমাধ্যম, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একসাথে কাজ করতে হবে যাতে কেউ ভুল তথ্য দিয়ে ভয় বা সন্দেহ ছড়াতে না পারে।

দেশের টিকাদান কর্মসূচি অতীতে বারবার প্রমাণ করেছে যে, সঠিক পরিকল্পনা ও আন্তরিকতা থাকলে বিশাল জনগোষ্ঠীকেও নিরাপদ রাখা সম্ভব।

back to top