রোববার থেকে প্রথমবারের মতো জাতীয় পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে বিনা মূল্যে টিকা দেওয়া হবে।
দেশে টাইফয়েড জ্বর বহুদিনের এক নীরব কিন্তু ভয়াবহ সমস্যা। দূষিত পানি, অপরিষ্কার খাবার ও নোংরা পরিবেশে এই রোগ দ্রুত ছড়ায়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েছিল, মারা যায় আট হাজার, এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই ছিল শিশু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত এই টিকা ইতোমধ্যেই নেপাল, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশে সফলভাবে দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই টিকা নিরাপদ ও কার্যকর। এতে প্রোটিন ও শর্করা দু’ধরনের উপাদান থাকায় শরীরে শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা ভবিষ্যতের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়।
তারা বলছেন, এই টিকা ওষুধ-প্রতিরোধী টাইফয়েডের বাড়তি ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হবে। বর্তমানে অ্যান্টিবায়োটিকের অতিব্যবহারে টাইফয়েডের অনেক জীবাণু ওষুধে সাড়া দিচ্ছে না। টিকাদান বাড়লে এই নির্ভরতা কমবে, ফলে ওষুধ প্রতিরোধী রোগের আশঙ্কাও কমবে।
টিকা কার্যক্রম সফল করতে শুধু প্রশাসনিক প্রস্তুতি যথেষ্ট নয়। জনগণের আস্থা ও সহযোগিতাও দরকার। অতীতে বিভিন্ন টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। তাই গণমাধ্যম, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একসাথে কাজ করতে হবে যাতে কেউ ভুল তথ্য দিয়ে ভয় বা সন্দেহ ছড়াতে না পারে।
দেশের টিকাদান কর্মসূচি অতীতে বারবার প্রমাণ করেছে যে, সঠিক পরিকল্পনা ও আন্তরিকতা থাকলে বিশাল জনগোষ্ঠীকেও নিরাপদ রাখা সম্ভব।
শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
রোববার থেকে প্রথমবারের মতো জাতীয় পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে বিনা মূল্যে টিকা দেওয়া হবে।
দেশে টাইফয়েড জ্বর বহুদিনের এক নীরব কিন্তু ভয়াবহ সমস্যা। দূষিত পানি, অপরিষ্কার খাবার ও নোংরা পরিবেশে এই রোগ দ্রুত ছড়ায়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েছিল, মারা যায় আট হাজার, এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই ছিল শিশু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত এই টিকা ইতোমধ্যেই নেপাল, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশে সফলভাবে দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই টিকা নিরাপদ ও কার্যকর। এতে প্রোটিন ও শর্করা দু’ধরনের উপাদান থাকায় শরীরে শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা ভবিষ্যতের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়।
তারা বলছেন, এই টিকা ওষুধ-প্রতিরোধী টাইফয়েডের বাড়তি ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হবে। বর্তমানে অ্যান্টিবায়োটিকের অতিব্যবহারে টাইফয়েডের অনেক জীবাণু ওষুধে সাড়া দিচ্ছে না। টিকাদান বাড়লে এই নির্ভরতা কমবে, ফলে ওষুধ প্রতিরোধী রোগের আশঙ্কাও কমবে।
টিকা কার্যক্রম সফল করতে শুধু প্রশাসনিক প্রস্তুতি যথেষ্ট নয়। জনগণের আস্থা ও সহযোগিতাও দরকার। অতীতে বিভিন্ন টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। তাই গণমাধ্যম, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একসাথে কাজ করতে হবে যাতে কেউ ভুল তথ্য দিয়ে ভয় বা সন্দেহ ছড়াতে না পারে।
দেশের টিকাদান কর্মসূচি অতীতে বারবার প্রমাণ করেছে যে, সঠিক পরিকল্পনা ও আন্তরিকতা থাকলে বিশাল জনগোষ্ঠীকেও নিরাপদ রাখা সম্ভব।