alt

opinion » editorial

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

: রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদের একটি বড় অংশের হদিস এখনো মেলেনি। পুলিশের তথ্যা অনুযায়ী, মোট লুট হওয়া ৫ হাজার ৭৬৩টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ১ হাজার ৩৫০টির এখনও কোনো খোঁজ নেই। একইভাবে ৬ লাখ ৫২ হাজারের বেশি গোলাবারুদের মধ্যে উদ্ধার হয়েছে মাত্র প্রায় ৩ লাখ ৯৪ হাজার। বাকি আড়াই লাখেরও বেশি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এই পরিসংখ্যান শুধু উদ্বেগজনক নয়, এটি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য এক গভীর হুমকির ইঙ্গিত।

পুলিশের তথ্য থেকেই জানা গেছে, লুট হওয়া অস্ত্রগুলো বিভিন্ন সময় অপরাধমূলক কর্মকা-ে ব্যবহৃত হচ্ছে। পুলিশের অনুসন্ধানেই জানা গেছে যে, চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া পিস্তল, রাইফেল, এসএমজি ও এলএমজির মতো অস্ত্র যদি অপরাধীদের হাতে থাকে তাহলে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।

অস্ত্র উদ্ধারে এর আগে অভিযান চালানো হয়েছে, তথ্য দিলে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা তৎপরতা সত্ত্বেও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ার কারণ কী। অভিযানের কার্যকারিতা কতটুকু? আরও উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজেই স্বীকার করেছেন যে, সব অস্ত্র উদ্ধার সম্ভব নয়। তার এই বক্তব্য কতটা দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক সেটা একটা প্রশ্ন।

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা না গেলে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। লুট হওয়া অস্ত্রগুলো যদি রাজনৈতিক সহিংসতা বা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে ব্যবহৃত হয়, তবে সেটি গণতন্ত্রের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বক্তব্যেই বোঝা যাচ্ছে, এই অস্ত্রগুলো এখন অপরাধী চক্রের হাতিয়ার হয়ে উঠছে। তাই শুধু উদ্ধার অভিযান চালানো যথেষ্ট নয়। গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে হবে। সীমান্তে নজরদারি চালাতে হবে।

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার না হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ধারণাটিই প্রশ্নবিদ্ধ হবে। জনগণের মধ্যে আস্থাহীনতা বাড়বে, অপরাধীরা পাবে উৎসাহ। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই এ বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

tab

opinion » editorial

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদের একটি বড় অংশের হদিস এখনো মেলেনি। পুলিশের তথ্যা অনুযায়ী, মোট লুট হওয়া ৫ হাজার ৭৬৩টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ১ হাজার ৩৫০টির এখনও কোনো খোঁজ নেই। একইভাবে ৬ লাখ ৫২ হাজারের বেশি গোলাবারুদের মধ্যে উদ্ধার হয়েছে মাত্র প্রায় ৩ লাখ ৯৪ হাজার। বাকি আড়াই লাখেরও বেশি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এই পরিসংখ্যান শুধু উদ্বেগজনক নয়, এটি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য এক গভীর হুমকির ইঙ্গিত।

পুলিশের তথ্য থেকেই জানা গেছে, লুট হওয়া অস্ত্রগুলো বিভিন্ন সময় অপরাধমূলক কর্মকা-ে ব্যবহৃত হচ্ছে। পুলিশের অনুসন্ধানেই জানা গেছে যে, চট্টগ্রামে লুট হওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া পিস্তল, রাইফেল, এসএমজি ও এলএমজির মতো অস্ত্র যদি অপরাধীদের হাতে থাকে তাহলে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।

অস্ত্র উদ্ধারে এর আগে অভিযান চালানো হয়েছে, তথ্য দিলে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা তৎপরতা সত্ত্বেও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ার কারণ কী। অভিযানের কার্যকারিতা কতটুকু? আরও উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজেই স্বীকার করেছেন যে, সব অস্ত্র উদ্ধার সম্ভব নয়। তার এই বক্তব্য কতটা দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক সেটা একটা প্রশ্ন।

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা না গেলে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। লুট হওয়া অস্ত্রগুলো যদি রাজনৈতিক সহিংসতা বা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে ব্যবহৃত হয়, তবে সেটি গণতন্ত্রের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বক্তব্যেই বোঝা যাচ্ছে, এই অস্ত্রগুলো এখন অপরাধী চক্রের হাতিয়ার হয়ে উঠছে। তাই শুধু উদ্ধার অভিযান চালানো যথেষ্ট নয়। গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে হবে। সীমান্তে নজরদারি চালাতে হবে।

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার না হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ধারণাটিই প্রশ্নবিদ্ধ হবে। জনগণের মধ্যে আস্থাহীনতা বাড়বে, অপরাধীরা পাবে উৎসাহ। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই এ বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।

back to top