alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

: সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে গত শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকা- ঘটেছে। ১৩টি ফায়ার স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের প্রায় ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় দেশের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দরের অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এই দুর্ঘটনার ফলে বিমানবন্দরে কয়েক ঘণ্টা ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকে। অনেক ফ্লাইট বিকল্প বিমানবন্দরে নামানো হয়, কিছু ফ্লাইট বাতিলও হয়। এতে শত শত যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। আমদানি ও রপ্তানি পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বিশেষ করে পোশাক খাতের আমদানিকারকরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কার্গো ভিলেজে বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ ছিল। বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য আমদানি করা কাপড় ও কাঁচামাল ছিল। এসব পণ্য কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়, সেখানে ফায়ার অ্যালার্ম, স্প্রিংকলার সিস্টেম, ধোঁয়া শনাক্তকরণ যন্ত্রসহ অগ্নি-নিরাপত্তা সরঞ্জাম কার্যকর ছিল কি না- এমন প্রশ্ন উঠেছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা তদারকি কীভাবে হয়। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় কতটা ছিল? আগুন লাগার পর তাৎক্ষণিকভাবে কোন প্রটোকল অনুসরণ করা হয়েছে? জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মীরা প্রশিক্ষিত ছিলেন কি নাÑএসব প্রশ্নের জবাবও খুঁজে বের করা জরুরি।

গত এক সপ্তাহে ঢাকায়, চট্টগ্রামে ও রাজধানীর মিরপুরে তিনটি বড় অগ্নিকা- ঘটেছে। ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটায় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। এ ঘটনার পর অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, প্রতিটি অগ্নিকা- গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। কোনো নাশকতার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, অনেক সময় তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ হয় না, বা হলেও তা বাস্তবায়ন হয় না। আমরা আশা করব, তদন্ত সুষ্ঠুভাবে যথাসময়ে সম্পন্ন হবে, সেটা প্রকাশিত হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুষ্ঠু তদন্ত শুধু দুর্ঘটনার দায় নির্ধারণের জন্য জরুরি নয়, ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্যও এটা জরুরি।

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে গত শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকা- ঘটেছে। ১৩টি ফায়ার স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের প্রায় ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় দেশের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দরের অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এই দুর্ঘটনার ফলে বিমানবন্দরে কয়েক ঘণ্টা ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকে। অনেক ফ্লাইট বিকল্প বিমানবন্দরে নামানো হয়, কিছু ফ্লাইট বাতিলও হয়। এতে শত শত যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। আমদানি ও রপ্তানি পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বিশেষ করে পোশাক খাতের আমদানিকারকরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কার্গো ভিলেজে বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ ছিল। বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য আমদানি করা কাপড় ও কাঁচামাল ছিল। এসব পণ্য কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়, সেখানে ফায়ার অ্যালার্ম, স্প্রিংকলার সিস্টেম, ধোঁয়া শনাক্তকরণ যন্ত্রসহ অগ্নি-নিরাপত্তা সরঞ্জাম কার্যকর ছিল কি না- এমন প্রশ্ন উঠেছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা তদারকি কীভাবে হয়। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় কতটা ছিল? আগুন লাগার পর তাৎক্ষণিকভাবে কোন প্রটোকল অনুসরণ করা হয়েছে? জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মীরা প্রশিক্ষিত ছিলেন কি নাÑএসব প্রশ্নের জবাবও খুঁজে বের করা জরুরি।

গত এক সপ্তাহে ঢাকায়, চট্টগ্রামে ও রাজধানীর মিরপুরে তিনটি বড় অগ্নিকা- ঘটেছে। ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটায় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। এ ঘটনার পর অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, প্রতিটি অগ্নিকা- গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। কোনো নাশকতার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, অনেক সময় তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ হয় না, বা হলেও তা বাস্তবায়ন হয় না। আমরা আশা করব, তদন্ত সুষ্ঠুভাবে যথাসময়ে সম্পন্ন হবে, সেটা প্রকাশিত হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুষ্ঠু তদন্ত শুধু দুর্ঘটনার দায় নির্ধারণের জন্য জরুরি নয়, ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্যও এটা জরুরি।

back to top