ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে গত শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকা- ঘটেছে। ১৩টি ফায়ার স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের প্রায় ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় দেশের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দরের অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এই দুর্ঘটনার ফলে বিমানবন্দরে কয়েক ঘণ্টা ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকে। অনেক ফ্লাইট বিকল্প বিমানবন্দরে নামানো হয়, কিছু ফ্লাইট বাতিলও হয়। এতে শত শত যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। আমদানি ও রপ্তানি পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বিশেষ করে পোশাক খাতের আমদানিকারকরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কার্গো ভিলেজে বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ ছিল। বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য আমদানি করা কাপড় ও কাঁচামাল ছিল। এসব পণ্য কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়, সেখানে ফায়ার অ্যালার্ম, স্প্রিংকলার সিস্টেম, ধোঁয়া শনাক্তকরণ যন্ত্রসহ অগ্নি-নিরাপত্তা সরঞ্জাম কার্যকর ছিল কি না- এমন প্রশ্ন উঠেছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা তদারকি কীভাবে হয়। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় কতটা ছিল? আগুন লাগার পর তাৎক্ষণিকভাবে কোন প্রটোকল অনুসরণ করা হয়েছে? জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মীরা প্রশিক্ষিত ছিলেন কি নাÑএসব প্রশ্নের জবাবও খুঁজে বের করা জরুরি।
গত এক সপ্তাহে ঢাকায়, চট্টগ্রামে ও রাজধানীর মিরপুরে তিনটি বড় অগ্নিকা- ঘটেছে। ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটায় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। এ ঘটনার পর অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, প্রতিটি অগ্নিকা- গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। কোনো নাশকতার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, অনেক সময় তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ হয় না, বা হলেও তা বাস্তবায়ন হয় না। আমরা আশা করব, তদন্ত সুষ্ঠুভাবে যথাসময়ে সম্পন্ন হবে, সেটা প্রকাশিত হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুষ্ঠু তদন্ত শুধু দুর্ঘটনার দায় নির্ধারণের জন্য জরুরি নয়, ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্যও এটা জরুরি।
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে গত শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকা- ঘটেছে। ১৩টি ফায়ার স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের প্রায় ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় দেশের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দরের অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এই দুর্ঘটনার ফলে বিমানবন্দরে কয়েক ঘণ্টা ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকে। অনেক ফ্লাইট বিকল্প বিমানবন্দরে নামানো হয়, কিছু ফ্লাইট বাতিলও হয়। এতে শত শত যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। আমদানি ও রপ্তানি পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বিশেষ করে পোশাক খাতের আমদানিকারকরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কার্গো ভিলেজে বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ ছিল। বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য আমদানি করা কাপড় ও কাঁচামাল ছিল। এসব পণ্য কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়, সেখানে ফায়ার অ্যালার্ম, স্প্রিংকলার সিস্টেম, ধোঁয়া শনাক্তকরণ যন্ত্রসহ অগ্নি-নিরাপত্তা সরঞ্জাম কার্যকর ছিল কি না- এমন প্রশ্ন উঠেছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা তদারকি কীভাবে হয়। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় কতটা ছিল? আগুন লাগার পর তাৎক্ষণিকভাবে কোন প্রটোকল অনুসরণ করা হয়েছে? জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মীরা প্রশিক্ষিত ছিলেন কি নাÑএসব প্রশ্নের জবাবও খুঁজে বের করা জরুরি।
গত এক সপ্তাহে ঢাকায়, চট্টগ্রামে ও রাজধানীর মিরপুরে তিনটি বড় অগ্নিকা- ঘটেছে। ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটায় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। এ ঘটনার পর অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, প্রতিটি অগ্নিকা- গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। কোনো নাশকতার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, অনেক সময় তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ হয় না, বা হলেও তা বাস্তবায়ন হয় না। আমরা আশা করব, তদন্ত সুষ্ঠুভাবে যথাসময়ে সম্পন্ন হবে, সেটা প্রকাশিত হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুষ্ঠু তদন্ত শুধু দুর্ঘটনার দায় নির্ধারণের জন্য জরুরি নয়, ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্যও এটা জরুরি।