alt

মতামত » সম্পাদকীয়

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

: সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

রংপুর সিটি করপোরেশনে নিষিদ্ধ ৩৭টি অটোরিকশাকে অবৈধভাবে লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। লাইসেন্সের ফি হিসেবে প্রায় ২০ লাখ টাকারও বেশি অর্থ আদায় করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৬ লাখ টাকা করপোরেশনের তহবিলে জমা পড়েনি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রংপুরে অটোরিকশার লাইসেন্স দেওয়া ৮ বছর আগে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যানজট নিয়ন্ত্রণে মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন এবং সিটি করপোরেশনের যৌথ সিদ্ধান্তে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তখন থেকে ৫ হাজার ৩১১টি অটোরিকশার জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল, আর কোনো নতুন প্লেট সরবরাহ করা হয়নি। কিন্তু নির্বাচিত কমিটি বাতিলের পর নতুন প্রশাসকের অধীনে গোপনে আবেদন গ্রহণ ও লাইসেন্স প্রদান শুরু হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বরের একটি জরুরি সভায় ৫০০টি লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার মধ্যে ৩৭টি লাইসেন্স ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ সংশ্লিষ্টরা এই আবেদনের বিষয়ে কিছুই জানতেন না।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নতুন লাইসেন্স কেন দেওয়া হল সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই। যদি কোনো সভা ছাড়াই একজন কর্মকর্তা লাইসেন্স দিতে পারেন, তবে এর দায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠন এড়াতে পারে না। সিটি করপোরেশনের রাজস্ব তহবিলে টাকা জমা না হওয়া মানে সরকারি অর্থ আত্মসাত। এটি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর তদন্তের বিষয়।

একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফাইল, সীল, ও লাইসেন্স নম্বর কীভাবে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহৃত হলো সেটা খুঁজে দেখা জরুরি। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

রংপুর সিটি করপোরেশনে এর আগে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য। প্রশ্ন হচ্ছে, এতে কি অনিয়ম-দুর্নীতির অবসান হয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে কেবল নেতৃত্ব পরিবর্তনই যথেষ্ট নয়, পুরো প্রশাসনিক ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন।

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

রংপুর সিটি করপোরেশনে নিষিদ্ধ ৩৭টি অটোরিকশাকে অবৈধভাবে লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। লাইসেন্সের ফি হিসেবে প্রায় ২০ লাখ টাকারও বেশি অর্থ আদায় করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৬ লাখ টাকা করপোরেশনের তহবিলে জমা পড়েনি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রংপুরে অটোরিকশার লাইসেন্স দেওয়া ৮ বছর আগে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যানজট নিয়ন্ত্রণে মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন এবং সিটি করপোরেশনের যৌথ সিদ্ধান্তে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তখন থেকে ৫ হাজার ৩১১টি অটোরিকশার জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল, আর কোনো নতুন প্লেট সরবরাহ করা হয়নি। কিন্তু নির্বাচিত কমিটি বাতিলের পর নতুন প্রশাসকের অধীনে গোপনে আবেদন গ্রহণ ও লাইসেন্স প্রদান শুরু হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বরের একটি জরুরি সভায় ৫০০টি লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার মধ্যে ৩৭টি লাইসেন্স ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ সংশ্লিষ্টরা এই আবেদনের বিষয়ে কিছুই জানতেন না।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নতুন লাইসেন্স কেন দেওয়া হল সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই। যদি কোনো সভা ছাড়াই একজন কর্মকর্তা লাইসেন্স দিতে পারেন, তবে এর দায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠন এড়াতে পারে না। সিটি করপোরেশনের রাজস্ব তহবিলে টাকা জমা না হওয়া মানে সরকারি অর্থ আত্মসাত। এটি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর তদন্তের বিষয়।

একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফাইল, সীল, ও লাইসেন্স নম্বর কীভাবে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহৃত হলো সেটা খুঁজে দেখা জরুরি। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

রংপুর সিটি করপোরেশনে এর আগে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য। প্রশ্ন হচ্ছে, এতে কি অনিয়ম-দুর্নীতির অবসান হয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে কেবল নেতৃত্ব পরিবর্তনই যথেষ্ট নয়, পুরো প্রশাসনিক ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন।

back to top