রংপুর সিটি করপোরেশনে নিষিদ্ধ ৩৭টি অটোরিকশাকে অবৈধভাবে লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। লাইসেন্সের ফি হিসেবে প্রায় ২০ লাখ টাকারও বেশি অর্থ আদায় করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৬ লাখ টাকা করপোরেশনের তহবিলে জমা পড়েনি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
রংপুরে অটোরিকশার লাইসেন্স দেওয়া ৮ বছর আগে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যানজট নিয়ন্ত্রণে মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন এবং সিটি করপোরেশনের যৌথ সিদ্ধান্তে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তখন থেকে ৫ হাজার ৩১১টি অটোরিকশার জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল, আর কোনো নতুন প্লেট সরবরাহ করা হয়নি। কিন্তু নির্বাচিত কমিটি বাতিলের পর নতুন প্রশাসকের অধীনে গোপনে আবেদন গ্রহণ ও লাইসেন্স প্রদান শুরু হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বরের একটি জরুরি সভায় ৫০০টি লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার মধ্যে ৩৭টি লাইসেন্স ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ সংশ্লিষ্টরা এই আবেদনের বিষয়ে কিছুই জানতেন না।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নতুন লাইসেন্স কেন দেওয়া হল সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই। যদি কোনো সভা ছাড়াই একজন কর্মকর্তা লাইসেন্স দিতে পারেন, তবে এর দায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠন এড়াতে পারে না। সিটি করপোরেশনের রাজস্ব তহবিলে টাকা জমা না হওয়া মানে সরকারি অর্থ আত্মসাত। এটি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর তদন্তের বিষয়।
একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফাইল, সীল, ও লাইসেন্স নম্বর কীভাবে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহৃত হলো সেটা খুঁজে দেখা জরুরি। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।
রংপুর সিটি করপোরেশনে এর আগে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য। প্রশ্ন হচ্ছে, এতে কি অনিয়ম-দুর্নীতির অবসান হয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে কেবল নেতৃত্ব পরিবর্তনই যথেষ্ট নয়, পুরো প্রশাসনিক ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন।
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
রংপুর সিটি করপোরেশনে নিষিদ্ধ ৩৭টি অটোরিকশাকে অবৈধভাবে লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। লাইসেন্সের ফি হিসেবে প্রায় ২০ লাখ টাকারও বেশি অর্থ আদায় করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৬ লাখ টাকা করপোরেশনের তহবিলে জমা পড়েনি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
রংপুরে অটোরিকশার লাইসেন্স দেওয়া ৮ বছর আগে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যানজট নিয়ন্ত্রণে মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন এবং সিটি করপোরেশনের যৌথ সিদ্ধান্তে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তখন থেকে ৫ হাজার ৩১১টি অটোরিকশার জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল, আর কোনো নতুন প্লেট সরবরাহ করা হয়নি। কিন্তু নির্বাচিত কমিটি বাতিলের পর নতুন প্রশাসকের অধীনে গোপনে আবেদন গ্রহণ ও লাইসেন্স প্রদান শুরু হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বরের একটি জরুরি সভায় ৫০০টি লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার মধ্যে ৩৭টি লাইসেন্স ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ সংশ্লিষ্টরা এই আবেদনের বিষয়ে কিছুই জানতেন না।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নতুন লাইসেন্স কেন দেওয়া হল সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই। যদি কোনো সভা ছাড়াই একজন কর্মকর্তা লাইসেন্স দিতে পারেন, তবে এর দায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠন এড়াতে পারে না। সিটি করপোরেশনের রাজস্ব তহবিলে টাকা জমা না হওয়া মানে সরকারি অর্থ আত্মসাত। এটি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর তদন্তের বিষয়।
একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফাইল, সীল, ও লাইসেন্স নম্বর কীভাবে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহৃত হলো সেটা খুঁজে দেখা জরুরি। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।
রংপুর সিটি করপোরেশনে এর আগে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য। প্রশ্ন হচ্ছে, এতে কি অনিয়ম-দুর্নীতির অবসান হয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে কেবল নেতৃত্ব পরিবর্তনই যথেষ্ট নয়, পুরো প্রশাসনিক ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন।