নীলফামারীর ডিমলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ের জায়গা দখল করে পাকা ও কাঁচা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, এই দখলদারি চলেছে বহুদিন ধরে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা এটা দেখেও কার্যকর ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সরকারি জমি দখল মানে জনগণের সম্পদ দখল। ভূমি অফিসের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানের জায়গা যদি দালালচক্র দখল করে বাজার বসায় কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। ভূমি অফিসে আসা সাধারণ মানুষদের সেবা দেওয়ার জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়েছে, যানবাহন রাখার স্থান নেই, চলাচলের রাস্তা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে-এটা শুধু অব্যবস্থাপনা নয়, সেবার প্রতি চরম অবহেলা।
স্থানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী, এই দখলদারি সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের যোগসাজশ ও উদাসীনতার কারণে সম্ভব হয়েছে। অফিসের সামনেই কাঁচা বাজার গড়ে ওঠা, দোকানঘর নির্মাণ, এমনকি দালালদের অনলাইনে খাজনা রশিদ তৈরি করার মতো কাজ চলছে।
আশার কথা, ডিমলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উভয়েই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে দ্রুত জায়গা উদ্ধার করা হবে। এটি ইতিবাচক উদ্যোগ। তবে ঘোষণার চেয়ে কার্যকর পদক্ষেপই আসল বিষয়।
এই ঘটনাটি শুধুমাত্র ডিমলার নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সরকারি জমি দখলের সমস্যার প্রতিচ্ছবি। ভূমি অফিস, বিদ্যালয় মাঠ, সড়ক কিংবা নদী-সব জায়গাতেই একই চিত্র দেখা যায়। একদল প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারি সম্পত্তি দখল করে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করে, আর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অনেক সময় নীরব দর্শক হয়ে থাকেন।
দখলের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। জনগণের টাকায় পরিচালিত সরকারি অফিস যদি দখলদারদের কবলে যায়, তাহলে প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয়। এই আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে দ্রুততম সময়ে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ের জায়গা দখল করে পাকা ও কাঁচা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, এই দখলদারি চলেছে বহুদিন ধরে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা এটা দেখেও কার্যকর ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সরকারি জমি দখল মানে জনগণের সম্পদ দখল। ভূমি অফিসের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানের জায়গা যদি দালালচক্র দখল করে বাজার বসায় কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। ভূমি অফিসে আসা সাধারণ মানুষদের সেবা দেওয়ার জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়েছে, যানবাহন রাখার স্থান নেই, চলাচলের রাস্তা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে-এটা শুধু অব্যবস্থাপনা নয়, সেবার প্রতি চরম অবহেলা।
স্থানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী, এই দখলদারি সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের যোগসাজশ ও উদাসীনতার কারণে সম্ভব হয়েছে। অফিসের সামনেই কাঁচা বাজার গড়ে ওঠা, দোকানঘর নির্মাণ, এমনকি দালালদের অনলাইনে খাজনা রশিদ তৈরি করার মতো কাজ চলছে।
আশার কথা, ডিমলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উভয়েই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে দ্রুত জায়গা উদ্ধার করা হবে। এটি ইতিবাচক উদ্যোগ। তবে ঘোষণার চেয়ে কার্যকর পদক্ষেপই আসল বিষয়।
এই ঘটনাটি শুধুমাত্র ডিমলার নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সরকারি জমি দখলের সমস্যার প্রতিচ্ছবি। ভূমি অফিস, বিদ্যালয় মাঠ, সড়ক কিংবা নদী-সব জায়গাতেই একই চিত্র দেখা যায়। একদল প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারি সম্পত্তি দখল করে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করে, আর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অনেক সময় নীরব দর্শক হয়ে থাকেন।
দখলের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। জনগণের টাকায় পরিচালিত সরকারি অফিস যদি দখলদারদের কবলে যায়, তাহলে প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয়। এই আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে দ্রুততম সময়ে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।