ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মাঠে এখন কৃষকদের মুখে একটাই কথাÑ“ধান বাঁচাই কেমনে!” মাঠে মাঠে ছড়িয়ে পড়েছে কারেন্ট পোকা বা সবুজ গাছ ফড়িং, সঙ্গে যোগ হয়েছে ‘পঁচা রোগ’। এতে ধানগাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, অনেক খেতে ইতিমধ্যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কালীগঞ্জের কৃষকরা ব্যস্ত ধান রক্ষার লড়াইয়ে। তবে বারবার কীটনাশক ছিটিয়েওও পোকা দমন করা সম্ভব হচ্ছে না। কেউ কেউ বলছেন, বিকেলে ভালো খেত দেখে বাড়ি ফিরি, পরদিন সকালে গেলে দেখা যায় গাছগুলো মরে গেছে।
এমন অবস্থায় কৃষকরা হতাশ। অনেকের অভিযোগ, কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীদেরকে প্রত্যাশমতো দেখা মিলছে না। অবশ্য কীটনাশক কোম্পানিগুলো মাইকে ঘোষণা দিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে। তবে সেটা কতটা নিজেদের আর কতটা কৃষকের স্বার্থে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের বিপদ আছে। এতে মাটির ক্ষতি হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য ও পরিবেশও পড়ছে ঝুঁকিতে। কীটনাশকের ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষকও।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে বাস্তব চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। প্রায় সব গ্রামেই একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কৃষকদের দাবি, সপ্তাহে একবার নয়, এখন তিনবার স্প্রে করেও ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
আমরা বলতে চাই, কালীগঞ্জে ফসল রক্ষায় দ্রুত সঠিক দিকনির্দেশনা ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটা করা না হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কীটনাশকেও পোকা দমন না হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে কৃষি বিভাগকে মাঠে নামতে হবে। কৃষককে দিতে হবে টেকসই সমাধান। পোকা দমনে কৃষকদের নিরাপদ বিকল্প ব্যবস্থা সম্পর্কে উৎসাহিত করতে হবে।
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মাঠে এখন কৃষকদের মুখে একটাই কথাÑ“ধান বাঁচাই কেমনে!” মাঠে মাঠে ছড়িয়ে পড়েছে কারেন্ট পোকা বা সবুজ গাছ ফড়িং, সঙ্গে যোগ হয়েছে ‘পঁচা রোগ’। এতে ধানগাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, অনেক খেতে ইতিমধ্যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কালীগঞ্জের কৃষকরা ব্যস্ত ধান রক্ষার লড়াইয়ে। তবে বারবার কীটনাশক ছিটিয়েওও পোকা দমন করা সম্ভব হচ্ছে না। কেউ কেউ বলছেন, বিকেলে ভালো খেত দেখে বাড়ি ফিরি, পরদিন সকালে গেলে দেখা যায় গাছগুলো মরে গেছে।
এমন অবস্থায় কৃষকরা হতাশ। অনেকের অভিযোগ, কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীদেরকে প্রত্যাশমতো দেখা মিলছে না। অবশ্য কীটনাশক কোম্পানিগুলো মাইকে ঘোষণা দিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে। তবে সেটা কতটা নিজেদের আর কতটা কৃষকের স্বার্থে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের বিপদ আছে। এতে মাটির ক্ষতি হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য ও পরিবেশও পড়ছে ঝুঁকিতে। কীটনাশকের ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষকও।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে বাস্তব চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। প্রায় সব গ্রামেই একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কৃষকদের দাবি, সপ্তাহে একবার নয়, এখন তিনবার স্প্রে করেও ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
আমরা বলতে চাই, কালীগঞ্জে ফসল রক্ষায় দ্রুত সঠিক দিকনির্দেশনা ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটা করা না হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কীটনাশকেও পোকা দমন না হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে কৃষি বিভাগকে মাঠে নামতে হবে। কৃষককে দিতে হবে টেকসই সমাধান। পোকা দমনে কৃষকদের নিরাপদ বিকল্প ব্যবস্থা সম্পর্কে উৎসাহিত করতে হবে।