alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

: বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মাঠে এখন কৃষকদের মুখে একটাই কথাÑ“ধান বাঁচাই কেমনে!” মাঠে মাঠে ছড়িয়ে পড়েছে কারেন্ট পোকা বা সবুজ গাছ ফড়িং, সঙ্গে যোগ হয়েছে ‘পঁচা রোগ’। এতে ধানগাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, অনেক খেতে ইতিমধ্যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কালীগঞ্জের কৃষকরা ব্যস্ত ধান রক্ষার লড়াইয়ে। তবে বারবার কীটনাশক ছিটিয়েওও পোকা দমন করা সম্ভব হচ্ছে না। কেউ কেউ বলছেন, বিকেলে ভালো খেত দেখে বাড়ি ফিরি, পরদিন সকালে গেলে দেখা যায় গাছগুলো মরে গেছে।

এমন অবস্থায় কৃষকরা হতাশ। অনেকের অভিযোগ, কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীদেরকে প্রত্যাশমতো দেখা মিলছে না। অবশ্য কীটনাশক কোম্পানিগুলো মাইকে ঘোষণা দিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে। তবে সেটা কতটা নিজেদের আর কতটা কৃষকের স্বার্থে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের বিপদ আছে। এতে মাটির ক্ষতি হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য ও পরিবেশও পড়ছে ঝুঁকিতে। কীটনাশকের ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষকও।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে বাস্তব চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। প্রায় সব গ্রামেই একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কৃষকদের দাবি, সপ্তাহে একবার নয়, এখন তিনবার স্প্রে করেও ফল পাওয়া যাচ্ছে না।

আমরা বলতে চাই, কালীগঞ্জে ফসল রক্ষায় দ্রুত সঠিক দিকনির্দেশনা ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটা করা না হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কীটনাশকেও পোকা দমন না হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে কৃষি বিভাগকে মাঠে নামতে হবে। কৃষককে দিতে হবে টেকসই সমাধান। পোকা দমনে কৃষকদের নিরাপদ বিকল্প ব্যবস্থা সম্পর্কে উৎসাহিত করতে হবে।

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মাঠে এখন কৃষকদের মুখে একটাই কথাÑ“ধান বাঁচাই কেমনে!” মাঠে মাঠে ছড়িয়ে পড়েছে কারেন্ট পোকা বা সবুজ গাছ ফড়িং, সঙ্গে যোগ হয়েছে ‘পঁচা রোগ’। এতে ধানগাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, অনেক খেতে ইতিমধ্যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কালীগঞ্জের কৃষকরা ব্যস্ত ধান রক্ষার লড়াইয়ে। তবে বারবার কীটনাশক ছিটিয়েওও পোকা দমন করা সম্ভব হচ্ছে না। কেউ কেউ বলছেন, বিকেলে ভালো খেত দেখে বাড়ি ফিরি, পরদিন সকালে গেলে দেখা যায় গাছগুলো মরে গেছে।

এমন অবস্থায় কৃষকরা হতাশ। অনেকের অভিযোগ, কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীদেরকে প্রত্যাশমতো দেখা মিলছে না। অবশ্য কীটনাশক কোম্পানিগুলো মাইকে ঘোষণা দিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে। তবে সেটা কতটা নিজেদের আর কতটা কৃষকের স্বার্থে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের বিপদ আছে। এতে মাটির ক্ষতি হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য ও পরিবেশও পড়ছে ঝুঁকিতে। কীটনাশকের ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষকও।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে বাস্তব চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। প্রায় সব গ্রামেই একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কৃষকদের দাবি, সপ্তাহে একবার নয়, এখন তিনবার স্প্রে করেও ফল পাওয়া যাচ্ছে না।

আমরা বলতে চাই, কালীগঞ্জে ফসল রক্ষায় দ্রুত সঠিক দিকনির্দেশনা ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটা করা না হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কীটনাশকেও পোকা দমন না হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে কৃষি বিভাগকে মাঠে নামতে হবে। কৃষককে দিতে হবে টেকসই সমাধান। পোকা দমনে কৃষকদের নিরাপদ বিকল্প ব্যবস্থা সম্পর্কে উৎসাহিত করতে হবে।

back to top