কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। প্রতি মাসে তারা এমন বিল পাচ্ছেন যা দেখে অনেকেই হতবাক। কোনো এক মাসে যেখানে চার-পাঁচ শ’ টাকার বিল এসেছে, পরের মাসেই তা বেড়ে হয়েছে ১৫ শ’ থেকে তিন হাজার টাকা! এমনকি যাদের মিটার বন্ধ, তারাও প্রতি মাসে শত শত টাকার বিল পাচ্ছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস গ্রাহকের মিটার রিডিংয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য দিয়ে বিল তৈরি করছে। এর ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহার না করলেও বিল বাড়ছে দুই-তিন গুণ। কারণ, বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ যত বেশি দেখানো যায়, ইউনিটপ্রতি চার্জও তত বেশি হয়।
পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা বলছেন, “গরমের কারণে বিদ্যুৎ ব্যবহার বেড়েছে।” ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, লোডশেডিং থাকলেও বিল বাড়ছে। অনেক গ্রাহক যাদের মিটার ঠিকমতো কাজই করছে না, তারাও প্রতি মাসে বিল দিচ্ছেন। কেউ অফিসে অভিযোগ করতে গেলে কর্মকর্তারা দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, মিটার রিডিং নিতে বিলম্ব হয় বলে অনেক সময় বিল বেশি আসে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ভুলের দায় নেবে কে। গ্রামের সাধারণ মানুষ মাসে মাসে যে টাকাগুলো হারাচ্ছেন, তার ক্ষতিপূরণ কীভাবে মিলবে?
বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অতীতেও দেশের অনেক স্থানে নানান অভিযোগ পাওয়া গেছে। মানুষ ন্যায্য মূল্যে বিদ্যুৎ চায়। এখানে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়। কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অনিয়মের যেসব অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। প্রতি মাসে তারা এমন বিল পাচ্ছেন যা দেখে অনেকেই হতবাক। কোনো এক মাসে যেখানে চার-পাঁচ শ’ টাকার বিল এসেছে, পরের মাসেই তা বেড়ে হয়েছে ১৫ শ’ থেকে তিন হাজার টাকা! এমনকি যাদের মিটার বন্ধ, তারাও প্রতি মাসে শত শত টাকার বিল পাচ্ছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস গ্রাহকের মিটার রিডিংয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য দিয়ে বিল তৈরি করছে। এর ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহার না করলেও বিল বাড়ছে দুই-তিন গুণ। কারণ, বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ যত বেশি দেখানো যায়, ইউনিটপ্রতি চার্জও তত বেশি হয়।
পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা বলছেন, “গরমের কারণে বিদ্যুৎ ব্যবহার বেড়েছে।” ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, লোডশেডিং থাকলেও বিল বাড়ছে। অনেক গ্রাহক যাদের মিটার ঠিকমতো কাজই করছে না, তারাও প্রতি মাসে বিল দিচ্ছেন। কেউ অফিসে অভিযোগ করতে গেলে কর্মকর্তারা দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, মিটার রিডিং নিতে বিলম্ব হয় বলে অনেক সময় বিল বেশি আসে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ভুলের দায় নেবে কে। গ্রামের সাধারণ মানুষ মাসে মাসে যে টাকাগুলো হারাচ্ছেন, তার ক্ষতিপূরণ কীভাবে মিলবে?
বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অতীতেও দেশের অনেক স্থানে নানান অভিযোগ পাওয়া গেছে। মানুষ ন্যায্য মূল্যে বিদ্যুৎ চায়। এখানে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়। কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অনিয়মের যেসব অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।