alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

: বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। প্রতি মাসে তারা এমন বিল পাচ্ছেন যা দেখে অনেকেই হতবাক। কোনো এক মাসে যেখানে চার-পাঁচ শ’ টাকার বিল এসেছে, পরের মাসেই তা বেড়ে হয়েছে ১৫ শ’ থেকে তিন হাজার টাকা! এমনকি যাদের মিটার বন্ধ, তারাও প্রতি মাসে শত শত টাকার বিল পাচ্ছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস গ্রাহকের মিটার রিডিংয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য দিয়ে বিল তৈরি করছে। এর ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহার না করলেও বিল বাড়ছে দুই-তিন গুণ। কারণ, বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ যত বেশি দেখানো যায়, ইউনিটপ্রতি চার্জও তত বেশি হয়।

পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা বলছেন, “গরমের কারণে বিদ্যুৎ ব্যবহার বেড়েছে।” ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, লোডশেডিং থাকলেও বিল বাড়ছে। অনেক গ্রাহক যাদের মিটার ঠিকমতো কাজই করছে না, তারাও প্রতি মাসে বিল দিচ্ছেন। কেউ অফিসে অভিযোগ করতে গেলে কর্মকর্তারা দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, মিটার রিডিং নিতে বিলম্ব হয় বলে অনেক সময় বিল বেশি আসে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ভুলের দায় নেবে কে। গ্রামের সাধারণ মানুষ মাসে মাসে যে টাকাগুলো হারাচ্ছেন, তার ক্ষতিপূরণ কীভাবে মিলবে?

বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অতীতেও দেশের অনেক স্থানে নানান অভিযোগ পাওয়া গেছে। মানুষ ন্যায্য মূল্যে বিদ্যুৎ চায়। এখানে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়। কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অনিয়মের যেসব অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। প্রতি মাসে তারা এমন বিল পাচ্ছেন যা দেখে অনেকেই হতবাক। কোনো এক মাসে যেখানে চার-পাঁচ শ’ টাকার বিল এসেছে, পরের মাসেই তা বেড়ে হয়েছে ১৫ শ’ থেকে তিন হাজার টাকা! এমনকি যাদের মিটার বন্ধ, তারাও প্রতি মাসে শত শত টাকার বিল পাচ্ছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস গ্রাহকের মিটার রিডিংয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য দিয়ে বিল তৈরি করছে। এর ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহার না করলেও বিল বাড়ছে দুই-তিন গুণ। কারণ, বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ যত বেশি দেখানো যায়, ইউনিটপ্রতি চার্জও তত বেশি হয়।

পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা বলছেন, “গরমের কারণে বিদ্যুৎ ব্যবহার বেড়েছে।” ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, লোডশেডিং থাকলেও বিল বাড়ছে। অনেক গ্রাহক যাদের মিটার ঠিকমতো কাজই করছে না, তারাও প্রতি মাসে বিল দিচ্ছেন। কেউ অফিসে অভিযোগ করতে গেলে কর্মকর্তারা দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, মিটার রিডিং নিতে বিলম্ব হয় বলে অনেক সময় বিল বেশি আসে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ভুলের দায় নেবে কে। গ্রামের সাধারণ মানুষ মাসে মাসে যে টাকাগুলো হারাচ্ছেন, তার ক্ষতিপূরণ কীভাবে মিলবে?

বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অতীতেও দেশের অনেক স্থানে নানান অভিযোগ পাওয়া গেছে। মানুষ ন্যায্য মূল্যে বিদ্যুৎ চায়। এখানে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়। কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অনিয়মের যেসব অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top