alt

opinion » editorial

বিল ভরাট বন্ধ করুন

: শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

মাটি ফেলে গারোইল ও দেয়াইল্যা বিল ভরাট করছে স্থানীয় প্রভাবশালী। বিল ভরাট করা যে বেআইনি সেটা কানেই তুলছেন না তারা। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়নের গোয়ারী গ্রামের বিল দুটি ভরাট হয়ে গেলে এলাকার বোরো ও অন্যান্য ফসলের সেচ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটবে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিল দুটির ওপর সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকা অনেকাংশে নির্ভরশীল। বিল ভরাট হলে কৃষকের চাষাবাদ হবে বিঘ্নিত। মাছের উৎপাদনও কমবে। ভরাট বিল দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন বন্ধ হলে জনবসতিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।

ভালুকায় ফসলি জমির মাটি কেটে বিলে ফেলে ভরাটের কাজ চলছে ১৫-২০ দিন ধরে। ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন, বিল দুটি ভরাটে সরকারি অনুমতি নেয়ারও প্রয়োজন মনে করেননি সংশ্লিষ্টরা। আইন অমান্য করে সরকারি বিল ভরাটের কাজ চলছে- এক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা কী সে প্রশ্নও এসে যায়।

সাধারণত স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা খাল-বিল দখল বা ভরাট করে। অভিযোগ রয়েছে যে, প্রশাসনের একশ্রেণীর অসাধু কর্তাব্যক্তির সঙ্গে তাদের যোগসাজশ রয়েছে। যে কারণে তারা দিনদুপুরেই দখল বা ভরাটের মতো অপকর্ম করার দুঃসাহস দেখায় এবং অপরাধ করেও তারা পার পেয়ে যায়।

প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী কোনো পুকুর, জলাশয়, নদী, খাল ভরাট করা বেআইনি। এই বিধান লঙ্ঘন করলে আইনের ৮ ও ১২ ধারা অনুযায়ী ৫ বছরের কারাদ- বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে। কিন্তু আইন না মেনেই দেশের অনেক স্থানেই খাল-বিল ভরাট করা হচ্ছে।

পরিবেশবাদীরা বলছেন, যে কোনো এলাকার জলাশয় ও পুকুরগুলো ভরাট হয়ে গেলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ বিপন্ন হয়। ভূউপরিস্থ পানির স্বল্পতা দেখা দেবে। এ কারণে যেকোনো মূল্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে খাল-বিল ভরাট বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা আইন অমান্য করে খাল-বিল ভরাট করছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

বিল ভরাট বন্ধ করুন

শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

মাটি ফেলে গারোইল ও দেয়াইল্যা বিল ভরাট করছে স্থানীয় প্রভাবশালী। বিল ভরাট করা যে বেআইনি সেটা কানেই তুলছেন না তারা। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়নের গোয়ারী গ্রামের বিল দুটি ভরাট হয়ে গেলে এলাকার বোরো ও অন্যান্য ফসলের সেচ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটবে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিল দুটির ওপর সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকা অনেকাংশে নির্ভরশীল। বিল ভরাট হলে কৃষকের চাষাবাদ হবে বিঘ্নিত। মাছের উৎপাদনও কমবে। ভরাট বিল দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন বন্ধ হলে জনবসতিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।

ভালুকায় ফসলি জমির মাটি কেটে বিলে ফেলে ভরাটের কাজ চলছে ১৫-২০ দিন ধরে। ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন, বিল দুটি ভরাটে সরকারি অনুমতি নেয়ারও প্রয়োজন মনে করেননি সংশ্লিষ্টরা। আইন অমান্য করে সরকারি বিল ভরাটের কাজ চলছে- এক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা কী সে প্রশ্নও এসে যায়।

সাধারণত স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা খাল-বিল দখল বা ভরাট করে। অভিযোগ রয়েছে যে, প্রশাসনের একশ্রেণীর অসাধু কর্তাব্যক্তির সঙ্গে তাদের যোগসাজশ রয়েছে। যে কারণে তারা দিনদুপুরেই দখল বা ভরাটের মতো অপকর্ম করার দুঃসাহস দেখায় এবং অপরাধ করেও তারা পার পেয়ে যায়।

প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী কোনো পুকুর, জলাশয়, নদী, খাল ভরাট করা বেআইনি। এই বিধান লঙ্ঘন করলে আইনের ৮ ও ১২ ধারা অনুযায়ী ৫ বছরের কারাদ- বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে। কিন্তু আইন না মেনেই দেশের অনেক স্থানেই খাল-বিল ভরাট করা হচ্ছে।

পরিবেশবাদীরা বলছেন, যে কোনো এলাকার জলাশয় ও পুকুরগুলো ভরাট হয়ে গেলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ বিপন্ন হয়। ভূউপরিস্থ পানির স্বল্পতা দেখা দেবে। এ কারণে যেকোনো মূল্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে খাল-বিল ভরাট বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা আইন অমান্য করে খাল-বিল ভরাট করছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

back to top