alt

সম্পাদকীয়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি বন্ধে বাধা কোথায়

: শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। তারা বলছে, অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও গণমাধ্যমকেও রুখে দাঁড়াতে হবে। পাশাপাশি হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নে আইন মন্ত্রণালয়কে আরও তৎপর হতে হবে।

গত বুধবার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানিমূলক ঘটনা বন্ধের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে এসব দাবির কথা তুলে ধরেন সংগঠনটির নেতারা।

দেশের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একশ্রেণীর শিক্ষক কর্তৃক নারী শিক্ষক বা শিক্ষার্র্থীদের যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসন এসব ঘটনা চেপে যায়। দোষীদের শাস্তি দেয়ার পরিবর্তে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হয়ে থাকে। তদন্ত কমিটি যে সুপারিশ পেশ করে, তাতেও অভিযুক্ত ব্যক্তির পার পেয়ে যাওয়ার মতো ব্যবস্থা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। কয়েক মাস অবসরে দিয়ে আবার কর্মস্থলে ফিরে আসার সুযোগ তৈরি করে দেয়া হয়। যদি অভিযুক্তকে চাকরিচ্যুত করা হতো, তাহলে এসব ঘটনা কমে যেত অনেকাংশে। যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ততমূলক শাস্তি কেন প্রশাসন দেয় না- সে প্রশ্ন এসে যায়।

শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নয়, কর্মক্ষেত্রেও নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সমাজে বা যে কোনো প্রতিষ্ঠানে একজন নারী যৌন হয়রানির শিকার হলে তিনি অস্বিত্ব সংকটে ভোগেন। হয়রানির প্রতিকার না পেলে তার ভেতর হীনম্মন্যতাবোধ সৃষ্টি হয়। বাধাপ্রাপ্ত হয়ে পড়ে তার স্বাভাবিক বিকাশ।

২০০৯ সালে হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ নামে কমিটি গঠনের কথা বলে। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করা হয়নি। আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কেন এত কালক্ষেপণ, কেনইবা এত দ্বিধাগ্রস্ত সংশ্লিষ্টরা- এই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

আমরা বলতে চাই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনা প্রতিরোধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মধ্যে থাকা ব্যবধানকে দূর করে যৌন হয়রানির ঘটনায় চিহ্নিত অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই। আইনের আওতায় এনে অভিযুক্তদের যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা যায় তাহলে যৌন হয়রানির ঘটনা কমবে।

কর্ণফুলী নদীর সাম্পান মাঝিদের অভিযোগ আমলে নিন

অপরিকল্পিত উন্নয়নে বন-জলাশয়ের বিপর্যয়

নওগাঁয় আমন ধানে পচন, কৃষকদের পাশে দাঁড়ান

কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন : নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি

সংরক্ষিত বনভূমিতে অবৈধ বালু উত্তোলন

মতপ্রকাশের কারণে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি!

আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির প্রকল্প : একটি ভালো উদ্যোগ

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : জেলেদের খাদ্য সহায়তার ঘাটতি ও সমাধানের পথ

দারিদ্র্যের উদ্বেগজনক চিত্র

চড়া বাজারের চাপে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন জনবল সংকট দূর করুন

উন্নয়ন করতে হবে পরিবেশ রক্ষা করে

নদীর পাড় দখল : পরিবেশ এবং সমাজের জন্য এক মারাত্মক হুমকি

বিচার বিভাগের ওপর চাপ প্রয়োগ করা কাম্য নয়

অবৈধ ইটভাটা : আইনের অমান্যতা ও প্রশাসনের নীরবতা

ভবদহের জলাবদ্ধতা ও আত্মঘাতী প্রকল্পের বিপর্যয়

চায়না দুয়ারী জাল : জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি

চাল সংরক্ষণের সাইলো : অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের জলাবদ্ধতা : কৃষকদের দুর্দশার শেষ কোথায়?

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : টেকসই মৎস্যসম্পদ রক্ষার চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা

জলাবদ্ধতার প্রভাব ও শিক্ষার ধারাবাহিকতা রক্ষা : জরুরি সমাধান প্রয়োজন

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ও প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

tab

সম্পাদকীয়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি বন্ধে বাধা কোথায়

শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। তারা বলছে, অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও গণমাধ্যমকেও রুখে দাঁড়াতে হবে। পাশাপাশি হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নে আইন মন্ত্রণালয়কে আরও তৎপর হতে হবে।

গত বুধবার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানিমূলক ঘটনা বন্ধের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে এসব দাবির কথা তুলে ধরেন সংগঠনটির নেতারা।

দেশের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একশ্রেণীর শিক্ষক কর্তৃক নারী শিক্ষক বা শিক্ষার্র্থীদের যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসন এসব ঘটনা চেপে যায়। দোষীদের শাস্তি দেয়ার পরিবর্তে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হয়ে থাকে। তদন্ত কমিটি যে সুপারিশ পেশ করে, তাতেও অভিযুক্ত ব্যক্তির পার পেয়ে যাওয়ার মতো ব্যবস্থা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। কয়েক মাস অবসরে দিয়ে আবার কর্মস্থলে ফিরে আসার সুযোগ তৈরি করে দেয়া হয়। যদি অভিযুক্তকে চাকরিচ্যুত করা হতো, তাহলে এসব ঘটনা কমে যেত অনেকাংশে। যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ততমূলক শাস্তি কেন প্রশাসন দেয় না- সে প্রশ্ন এসে যায়।

শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নয়, কর্মক্ষেত্রেও নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সমাজে বা যে কোনো প্রতিষ্ঠানে একজন নারী যৌন হয়রানির শিকার হলে তিনি অস্বিত্ব সংকটে ভোগেন। হয়রানির প্রতিকার না পেলে তার ভেতর হীনম্মন্যতাবোধ সৃষ্টি হয়। বাধাপ্রাপ্ত হয়ে পড়ে তার স্বাভাবিক বিকাশ।

২০০৯ সালে হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ নামে কমিটি গঠনের কথা বলে। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করা হয়নি। আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কেন এত কালক্ষেপণ, কেনইবা এত দ্বিধাগ্রস্ত সংশ্লিষ্টরা- এই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

আমরা বলতে চাই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনা প্রতিরোধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মধ্যে থাকা ব্যবধানকে দূর করে যৌন হয়রানির ঘটনায় চিহ্নিত অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই। আইনের আওতায় এনে অভিযুক্তদের যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা যায় তাহলে যৌন হয়রানির ঘটনা কমবে।

back to top