alt

চিঠিপত্র

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

: শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

দেশে মাদকসেবীর সংখ্যা বাড়ছে। শুধু তরুণ-যুবকরাই নয়, সব বয়সের মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে মাদক। অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরীরাও মাদকের দিকে ঝুঁকছে।

রাজধানীতে অনেক পথশিশুর ‘ড্যান্ডি’ নামক নেশার উপাদানের প্রতি দিন দিন আসক্তি বাড়ছে। জুতা বা ফোমে ব্যবহৃত সলিউশন বা আঠা ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ, সংক্ষেপে ‘ড্যান্ডি’ নামে পরিচিত। এই নেশায় আসক্ত কিছু পথশিশু মনে করে, ড্যান্ডি সেবনে দুঃখকষ্ট ভুলে থাকা যায়। এর প্রভাবে ক্ষুধাও কম লাগে বলে মনে করে তারা।

মাদকের ভয়াবহ থাবা ছড়িয়ে পড়েছে দেশের প্রতিটি প্রান্তে। এখন মাদক এতাই সহজলভ্য যে শুধু শহর নয়, প্রত্যন্ত গ্রামেও হাত বাড়ালে মাদক পাওয়া যায়। টার্গেট করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। মাদকের নেশায় আসক্ত হচ্ছে তারা। দেশে সংঘটিত বেশির ভাগ অপরাধের পেছনে রয়েছে মাদক। পারিবারিক নৃশংসতা, ধর্ষণের মতো ঘটনার পেছনেও রয়েছে মাদক।

মাদকাসক্তরা নিজেদের ধ্বংস করছে, পরিবারকেও ঠেলে দিচ্ছে ধ্বংসের পথে। নানা রকম অপরাধকর্মে জড়িয়ে পড়ার ফলে সামাজিক স্থিতি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা থেকে ঘুরে না দাঁড়ালে সামনের দিনের ভয়ংকর পরিণতি রোধ করা যাবে না। একটি চিহ্নিত সিন্ডিকেট এই সর্বনাশা মাদক বিক্রি করছে। এই সিন্ডিকেটকে রুখতে হবে। মাদক উৎপাদন, বিক্রয় ও সরবরাহকারী এই জায়গাগুলো বন্ধ করা না গেলে মাদকের বিস্তার কমানো যাবে না।

ভয়ংকর মাদক ইয়াবা এখন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। এর নেশা যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে যায় তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই। এ ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে সন্তানকে রক্ষার জন্য অভিভাবকদের সঙ্গে পুরো জাতি আজ শঙ্কিত। নানা কৌশলে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রচুর মাদক ঢুকছে। দেশের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিদিন হেরোইন, আফিম, প্যাথেডিন, ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইয়াবা হেরোইনের চেয়েও ক্ষতিকর। এটা এক ধরনের মনোউত্তেজক মাদক। ইয়াবা সেবনের ফলে সাময়িক শারীরিক উদ্দীপনা বাড়লেও কমতে থাকে জীবনীশক্তি। কিন্তু সমাজ, দেশ ও জাতিকে সুস্থ রাখতে হলে সর্বনাশা এ কারবার জরুরিভিত্তিতে বন্ধ করা প্রয়োজন।

মাদক তথা মাদকাসক্তি প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে মাদকদ্রব্য ও মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত মাদকদ্রব্যের অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ করা, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। এছাড়া বেকারদের কর্মসংস্থান ও স্কুল-কলেজে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদকাসক্তির কুফল সম্পর্কে শিক্ষা দান এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। তাই দেশের স্বার্থে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষায় অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে আমাদের।

দয়াল কুমার বড়ুয়া

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩

দেশে মাদকসেবীর সংখ্যা বাড়ছে। শুধু তরুণ-যুবকরাই নয়, সব বয়সের মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে মাদক। অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরীরাও মাদকের দিকে ঝুঁকছে।

রাজধানীতে অনেক পথশিশুর ‘ড্যান্ডি’ নামক নেশার উপাদানের প্রতি দিন দিন আসক্তি বাড়ছে। জুতা বা ফোমে ব্যবহৃত সলিউশন বা আঠা ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ, সংক্ষেপে ‘ড্যান্ডি’ নামে পরিচিত। এই নেশায় আসক্ত কিছু পথশিশু মনে করে, ড্যান্ডি সেবনে দুঃখকষ্ট ভুলে থাকা যায়। এর প্রভাবে ক্ষুধাও কম লাগে বলে মনে করে তারা।

মাদকের ভয়াবহ থাবা ছড়িয়ে পড়েছে দেশের প্রতিটি প্রান্তে। এখন মাদক এতাই সহজলভ্য যে শুধু শহর নয়, প্রত্যন্ত গ্রামেও হাত বাড়ালে মাদক পাওয়া যায়। টার্গেট করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। মাদকের নেশায় আসক্ত হচ্ছে তারা। দেশে সংঘটিত বেশির ভাগ অপরাধের পেছনে রয়েছে মাদক। পারিবারিক নৃশংসতা, ধর্ষণের মতো ঘটনার পেছনেও রয়েছে মাদক।

মাদকাসক্তরা নিজেদের ধ্বংস করছে, পরিবারকেও ঠেলে দিচ্ছে ধ্বংসের পথে। নানা রকম অপরাধকর্মে জড়িয়ে পড়ার ফলে সামাজিক স্থিতি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা থেকে ঘুরে না দাঁড়ালে সামনের দিনের ভয়ংকর পরিণতি রোধ করা যাবে না। একটি চিহ্নিত সিন্ডিকেট এই সর্বনাশা মাদক বিক্রি করছে। এই সিন্ডিকেটকে রুখতে হবে। মাদক উৎপাদন, বিক্রয় ও সরবরাহকারী এই জায়গাগুলো বন্ধ করা না গেলে মাদকের বিস্তার কমানো যাবে না।

ভয়ংকর মাদক ইয়াবা এখন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। এর নেশা যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে যায় তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই। এ ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে সন্তানকে রক্ষার জন্য অভিভাবকদের সঙ্গে পুরো জাতি আজ শঙ্কিত। নানা কৌশলে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রচুর মাদক ঢুকছে। দেশের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিদিন হেরোইন, আফিম, প্যাথেডিন, ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইয়াবা হেরোইনের চেয়েও ক্ষতিকর। এটা এক ধরনের মনোউত্তেজক মাদক। ইয়াবা সেবনের ফলে সাময়িক শারীরিক উদ্দীপনা বাড়লেও কমতে থাকে জীবনীশক্তি। কিন্তু সমাজ, দেশ ও জাতিকে সুস্থ রাখতে হলে সর্বনাশা এ কারবার জরুরিভিত্তিতে বন্ধ করা প্রয়োজন।

মাদক তথা মাদকাসক্তি প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে মাদকদ্রব্য ও মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত মাদকদ্রব্যের অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ করা, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। এছাড়া বেকারদের কর্মসংস্থান ও স্কুল-কলেজে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদকাসক্তির কুফল সম্পর্কে শিক্ষা দান এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। তাই দেশের স্বার্থে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষায় অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে আমাদের।

দয়াল কুমার বড়ুয়া

back to top