মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রতিবেদন জানাচ্ছে, দেশের মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগই তরুণ। যাদের বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছর। দেশে তরুণ জনগোষ্ঠী ৪ কোটি ৫৯ লাখ। যা মোট জনসংখ্যার ২৭.৯৬ শতাংশ। দেশে কর্মক্ষম মানুষ ৬২ শতাংশ। যাদের বয়স ১৫ থেকে ৫৯ বছর। সংখ্যায় ১০ কোটি ৫০ লাখ।
তরুণ প্রজন্মই জাতির প্রাণশক্তি। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড, যা দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যার অর্থাৎ ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী জনসংখ্যার আধিক্যকে বোঝায়। আর এ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড (তারুণ্যের লভ্যাংশ) একটি দেশে থাকে ১০ বছর।
কিন্তু আমাদের দেশে এ বৃহত্তর তরুণ সমাজের একটা বিরাট অংশ কোনো প্রকার উৎপাদনমুখী কাজে জড়িত নেই। দেশীয় আর্থসামাজিক দুরাবস্থায়, শিক্ষিত যুবকদের অধিকাংশই অলসভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালিয়ে সময় পার করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণদের অবস্থা আরো ভয়াবহ। কর্মময় জীবনের সোনালি সময়গুলো শুয়ে-বসে কাটছে।
তরুণদের উৎপাদনমুখী কাজে লাগানোর সুযোগ করে দিতে হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তরুণরা যাতে কিছু কাজ করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রযুক্তিগত ও কারিগরি দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তারা যাতে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হতে পারে, সেজন্য অধিকতর পরিকল্পনা করতে হবে। তবেই এ জনশক্তি পরিণত হবে জনসম্পদে। আর দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে।
শামসের তাবরিজ চৌধুরী
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রতিবেদন জানাচ্ছে, দেশের মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগই তরুণ। যাদের বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছর। দেশে তরুণ জনগোষ্ঠী ৪ কোটি ৫৯ লাখ। যা মোট জনসংখ্যার ২৭.৯৬ শতাংশ। দেশে কর্মক্ষম মানুষ ৬২ শতাংশ। যাদের বয়স ১৫ থেকে ৫৯ বছর। সংখ্যায় ১০ কোটি ৫০ লাখ।
তরুণ প্রজন্মই জাতির প্রাণশক্তি। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড, যা দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যার অর্থাৎ ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী জনসংখ্যার আধিক্যকে বোঝায়। আর এ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড (তারুণ্যের লভ্যাংশ) একটি দেশে থাকে ১০ বছর।
কিন্তু আমাদের দেশে এ বৃহত্তর তরুণ সমাজের একটা বিরাট অংশ কোনো প্রকার উৎপাদনমুখী কাজে জড়িত নেই। দেশীয় আর্থসামাজিক দুরাবস্থায়, শিক্ষিত যুবকদের অধিকাংশই অলসভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালিয়ে সময় পার করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণদের অবস্থা আরো ভয়াবহ। কর্মময় জীবনের সোনালি সময়গুলো শুয়ে-বসে কাটছে।
তরুণদের উৎপাদনমুখী কাজে লাগানোর সুযোগ করে দিতে হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তরুণরা যাতে কিছু কাজ করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রযুক্তিগত ও কারিগরি দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তারা যাতে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হতে পারে, সেজন্য অধিকতর পরিকল্পনা করতে হবে। তবেই এ জনশক্তি পরিণত হবে জনসম্পদে। আর দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে।
শামসের তাবরিজ চৌধুরী