মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
ক্যাম্পাস সংবাদিকরা ক্যাম্পাসের দর্পণ। যাদের হাত ধরেই সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে ক্যাম্পাসের হালচাল। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ইতিহাস পুরোনো। একজন শিক্ষার্থী তার ভালোবাসা থেকেই ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়ে থাকেন।
ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় যেমনি আনন্দ আছে, ঠিক তেমনি আছে কষ্ট, হতাশা আর শঙ্কা। নানা অসংগতি তুলে ধরে যেমন ক্যাম্পাসের নানা সংকট সমাধানে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেন, তেমনি ইতিবাচকভাবেও প্রতিষ্ঠানকে উপস্থাপন করেন দেশ ও জাতির দরবারে। এসব সাংবাদিকরা যেমন ক্যাম্পাসের উন্নতি-অগ্রগতি তুলে ধরেন, ঠিক তেমনি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিকেও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। এতেই আপত্তি-বিপত্তি বাধে প্রশাসনের। আবার সংবাদ প্রকাশের জেরে তারা ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন অনেক সাংবাদিক। শুধু তাই নয়, পড়তে হয় প্রতিষ্ঠান প্রশাসনের রোষানলে।
করোনাকালে এবং এর আগে-পরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সরকারি কর্মকর্তা, ক্ষমতাসীন দল ও বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের রোষানলে পড়ে হামলা, মামলাসহ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২১০ জন সাংবাদিক। আসকের পরিসংখ্যান বলছে- ২০১৭ সালে ১ জন, ২০১৮ সালে ২ জন, ২০১৯ সালে ১ জন, ২০২০ সালে ১ জন, ২০২১ সালে ১ জন, ২০২২ সালে ১ জন নিহত হন।
সংকুচিত গণতন্ত্র আর প্রশ্নবিদ্ধ জনপ্রতিনিধিত্বের কারণে রাজনীতিতে এখন দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে। আর তাদের নেতিবাচক এই দিকটির প্রতিবেদন প্রকাশ করলেই সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা ঘটছে। এসব হত্যা ও নির্যাতনের বিচারও মেলে না। দেশে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি ও বিচারহীনতার রাজনীতির চর্চা হওয়ায় ক্যাম্পাস ও মাঠের সাংবাদিক কেউই নিরাপদ নয়।
আব্দুল হাকিম
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
ক্যাম্পাস সংবাদিকরা ক্যাম্পাসের দর্পণ। যাদের হাত ধরেই সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে ক্যাম্পাসের হালচাল। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ইতিহাস পুরোনো। একজন শিক্ষার্থী তার ভালোবাসা থেকেই ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়ে থাকেন।
ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় যেমনি আনন্দ আছে, ঠিক তেমনি আছে কষ্ট, হতাশা আর শঙ্কা। নানা অসংগতি তুলে ধরে যেমন ক্যাম্পাসের নানা সংকট সমাধানে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেন, তেমনি ইতিবাচকভাবেও প্রতিষ্ঠানকে উপস্থাপন করেন দেশ ও জাতির দরবারে। এসব সাংবাদিকরা যেমন ক্যাম্পাসের উন্নতি-অগ্রগতি তুলে ধরেন, ঠিক তেমনি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিকেও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। এতেই আপত্তি-বিপত্তি বাধে প্রশাসনের। আবার সংবাদ প্রকাশের জেরে তারা ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন অনেক সাংবাদিক। শুধু তাই নয়, পড়তে হয় প্রতিষ্ঠান প্রশাসনের রোষানলে।
করোনাকালে এবং এর আগে-পরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সরকারি কর্মকর্তা, ক্ষমতাসীন দল ও বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের রোষানলে পড়ে হামলা, মামলাসহ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২১০ জন সাংবাদিক। আসকের পরিসংখ্যান বলছে- ২০১৭ সালে ১ জন, ২০১৮ সালে ২ জন, ২০১৯ সালে ১ জন, ২০২০ সালে ১ জন, ২০২১ সালে ১ জন, ২০২২ সালে ১ জন নিহত হন।
সংকুচিত গণতন্ত্র আর প্রশ্নবিদ্ধ জনপ্রতিনিধিত্বের কারণে রাজনীতিতে এখন দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে। আর তাদের নেতিবাচক এই দিকটির প্রতিবেদন প্রকাশ করলেই সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা ঘটছে। এসব হত্যা ও নির্যাতনের বিচারও মেলে না। দেশে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি ও বিচারহীনতার রাজনীতির চর্চা হওয়ায় ক্যাম্পাস ও মাঠের সাংবাদিক কেউই নিরাপদ নয়।
আব্দুল হাকিম