alt

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

: বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

ক্যাম্পাস সংবাদিকরা ক্যাম্পাসের দর্পণ। যাদের হাত ধরেই সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে ক্যাম্পাসের হালচাল। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ইতিহাস পুরোনো। একজন শিক্ষার্থী তার ভালোবাসা থেকেই ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়ে থাকেন।

ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় যেমনি আনন্দ আছে, ঠিক তেমনি আছে কষ্ট, হতাশা আর শঙ্কা। নানা অসংগতি তুলে ধরে যেমন ক্যাম্পাসের নানা সংকট সমাধানে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেন, তেমনি ইতিবাচকভাবেও প্রতিষ্ঠানকে উপস্থাপন করেন দেশ ও জাতির দরবারে। এসব সাংবাদিকরা যেমন ক্যাম্পাসের উন্নতি-অগ্রগতি তুলে ধরেন, ঠিক তেমনি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিকেও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। এতেই আপত্তি-বিপত্তি বাধে প্রশাসনের। আবার সংবাদ প্রকাশের জেরে তারা ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন অনেক সাংবাদিক। শুধু তাই নয়, পড়তে হয় প্রতিষ্ঠান প্রশাসনের রোষানলে।

করোনাকালে এবং এর আগে-পরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সরকারি কর্মকর্তা, ক্ষমতাসীন দল ও বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের রোষানলে পড়ে হামলা, মামলাসহ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২১০ জন সাংবাদিক। আসকের পরিসংখ্যান বলছে- ২০১৭ সালে ১ জন, ২০১৮ সালে ২ জন, ২০১৯ সালে ১ জন, ২০২০ সালে ১ জন, ২০২১ সালে ১ জন, ২০২২ সালে ১ জন নিহত হন।

সংকুচিত গণতন্ত্র আর প্রশ্নবিদ্ধ জনপ্রতিনিধিত্বের কারণে রাজনীতিতে এখন দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে। আর তাদের নেতিবাচক এই দিকটির প্রতিবেদন প্রকাশ করলেই সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা ঘটছে। এসব হত্যা ও নির্যাতনের বিচারও মেলে না। দেশে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি ও বিচারহীনতার রাজনীতির চর্চা হওয়ায় ক্যাম্পাস ও মাঠের সাংবাদিক কেউই নিরাপদ নয়।

আব্দুল হাকিম

নীরবতা নয়, বলতে শেখ

সুন্দরবনে টেকসই পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ও করণীয়

প্রথার নামে প্রথাগত শোষণ: উচ্চ কাবিনের ফাঁদ

শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা

মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক জায়ান্টদের মাস্টার প্ল্যান

গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু কেন কেবলই সংখ্যা?

বাল্যবিয়ে: সমাজের এক নীরব অভিশাপ

মনোস্বাস্থ্যের সংকটে তরুণরা: নীরবতার আড়ালে এক ভয়াবহ বাস্তবতা

ধূমপানের প্রভাব

ইসলামী ব্যাংকগুলোতে সার্ভিস রুল অনুযায়ী নিয়োগ

শিশুর হাতে মোবাইল নয়, চাই জীবনের মাঠে ফেরার ডাক

মতিঝিল-গুলিস্তান রুটে চক্রাকার বাস সার্ভিস : শৃঙ্খল ও স্বস্তির সম্ভাবনা

ভাঙ্গা-খুলনা সড়ক দ্রুত চার লেনে উন্নীত করুন

ডিজিটাল উপনিবেশ : অদৃশ্য শৃঙ্খলের শাসন

বাউফল থেকে লোহালিয়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা

পরিবেশ বিপর্যয়ের অজানা মুখ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

tab

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

ক্যাম্পাস সংবাদিকরা ক্যাম্পাসের দর্পণ। যাদের হাত ধরেই সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে ক্যাম্পাসের হালচাল। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ইতিহাস পুরোনো। একজন শিক্ষার্থী তার ভালোবাসা থেকেই ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়ে থাকেন।

ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় যেমনি আনন্দ আছে, ঠিক তেমনি আছে কষ্ট, হতাশা আর শঙ্কা। নানা অসংগতি তুলে ধরে যেমন ক্যাম্পাসের নানা সংকট সমাধানে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেন, তেমনি ইতিবাচকভাবেও প্রতিষ্ঠানকে উপস্থাপন করেন দেশ ও জাতির দরবারে। এসব সাংবাদিকরা যেমন ক্যাম্পাসের উন্নতি-অগ্রগতি তুলে ধরেন, ঠিক তেমনি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিকেও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। এতেই আপত্তি-বিপত্তি বাধে প্রশাসনের। আবার সংবাদ প্রকাশের জেরে তারা ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন অনেক সাংবাদিক। শুধু তাই নয়, পড়তে হয় প্রতিষ্ঠান প্রশাসনের রোষানলে।

করোনাকালে এবং এর আগে-পরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সরকারি কর্মকর্তা, ক্ষমতাসীন দল ও বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের রোষানলে পড়ে হামলা, মামলাসহ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২১০ জন সাংবাদিক। আসকের পরিসংখ্যান বলছে- ২০১৭ সালে ১ জন, ২০১৮ সালে ২ জন, ২০১৯ সালে ১ জন, ২০২০ সালে ১ জন, ২০২১ সালে ১ জন, ২০২২ সালে ১ জন নিহত হন।

সংকুচিত গণতন্ত্র আর প্রশ্নবিদ্ধ জনপ্রতিনিধিত্বের কারণে রাজনীতিতে এখন দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে। আর তাদের নেতিবাচক এই দিকটির প্রতিবেদন প্রকাশ করলেই সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা ঘটছে। এসব হত্যা ও নির্যাতনের বিচারও মেলে না। দেশে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি ও বিচারহীনতার রাজনীতির চর্চা হওয়ায় ক্যাম্পাস ও মাঠের সাংবাদিক কেউই নিরাপদ নয়।

আব্দুল হাকিম

back to top