মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় দেশে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন; কিন্তু সড়কে শৃঙ্খলা ফেরেনি। নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যায়নি।
সড়ক নিরাপদ করতে আইন আছে কিন্তু বিধিমালা নেই। সুপারিশ বা সিদ্ধান্ত মাঠে বাস্তবায়ন করা হয় না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা বা আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষিত রয়ে যায়। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে মানুষের ক্ষোভ চরমে ঊঠলে পুরানো নির্দেশনা নতুনরূপে হাজির হয়। বাস্তবায়নের অভাবে সড়কের বিশৃঙ্খলা দূর করা সম্ভব হয় না। পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা কোন আদেশ-নির্দেশনারই তোয়াক্কা করে না। তারা অন্যায় সুবিধা আদায়ের জন্য ইচ্ছেমতো ধর্মঘট ডেকে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে।
আমাদের প্রত্যাশা হলো সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক। সড়ক দুর্ঘটনা পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। তবে মৃত্যু হ্রাস করা সম্ভব। এজন্য পুরো পরিবহণ সেক্টরকে শৃঙ্খলার মধ্য নিয়ে আসতে হবে। সড়ক আইন বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বিধিমালা-দ্রুত প্রণয়ন ও বাস্তয়বায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন চক্রের কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না। গণ পরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা যেন সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা রাখা অপরিহার্য। তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত কর্তা ব্যক্তিরা গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দায়িত্বে অবহেলা করতে না পারেন সেজন্য সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে জবাবদিহির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় দেশে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন; কিন্তু সড়কে শৃঙ্খলা ফেরেনি। নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যায়নি।
সড়ক নিরাপদ করতে আইন আছে কিন্তু বিধিমালা নেই। সুপারিশ বা সিদ্ধান্ত মাঠে বাস্তবায়ন করা হয় না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা বা আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষিত রয়ে যায়। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে মানুষের ক্ষোভ চরমে ঊঠলে পুরানো নির্দেশনা নতুনরূপে হাজির হয়। বাস্তবায়নের অভাবে সড়কের বিশৃঙ্খলা দূর করা সম্ভব হয় না। পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা কোন আদেশ-নির্দেশনারই তোয়াক্কা করে না। তারা অন্যায় সুবিধা আদায়ের জন্য ইচ্ছেমতো ধর্মঘট ডেকে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে।
আমাদের প্রত্যাশা হলো সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক। সড়ক দুর্ঘটনা পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। তবে মৃত্যু হ্রাস করা সম্ভব। এজন্য পুরো পরিবহণ সেক্টরকে শৃঙ্খলার মধ্য নিয়ে আসতে হবে। সড়ক আইন বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বিধিমালা-দ্রুত প্রণয়ন ও বাস্তয়বায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন চক্রের কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না। গণ পরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা যেন সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা রাখা অপরিহার্য। তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত কর্তা ব্যক্তিরা গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দায়িত্বে অবহেলা করতে না পারেন সেজন্য সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে জবাবদিহির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ