alt

চিঠিপত্র

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

: শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে চিকিৎসা সংক্রান্ত চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ফার্মেসি, মেডিকেল টেকনোলজি, মেডিকেল ফ্যাকাল্টি কোর্সগুলো নিয়োগ, গ্রেড, উচ্চশিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ডিপ্লোমা কোর্সের সাথে ব্যাপক বৈষম্যের শিকার।

অথচ স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ডাক্তার-নার্সদের পাশাপাশি ফার্মাসিস্ট, মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ চিকিৎসকরা রোগ নির্ণয় করার জন্য মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে নির্দেশ করবে। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করে তা চিকিৎসককে পাঠায় এবং এটি অনুযায়ী তিনি ওষুধ লিখেন। এই ওষুধ সঠিকভাবে বণ্টন, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টান্স, ওষুধের অপব্যবহার ঠেকানোর কাজটি করেন ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টরা।

দেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মাঝে সঠিক চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন ডিএমএফ ডাক্তাররা; কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য এই জনগুরুত্বপূর্ণ ৩টি পেশার নিয়োগ নিয়মিত দেয়া হয় না, বিধায় সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজারো মানুষ। আবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সম ডিপ্লোমা করে উপসহকারী প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, নার্স ইত্যাদি পেশাজীবীরা চাকরি জীবনের শুরুতে ১০ম গ্রেডে প্রবেশ করলেও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ডিপ্লোমাধারীরা ১১তম গ্রেডে প্রবেশ করে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও আমরা অনেকটাই পিছিয়ে আছি। কার্যত মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা নামমাত্র উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলেও ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট, ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সরাসরি বঞ্চিত।

অপরদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডিপ্লোমাধারীদের জন্য স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

এ বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে স্বাস্থ্যসেবামূলক এসব ডিপ্লোমা কোর্স থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং সরকারি বিভিন্ন আইএইচটি, ম্যাটসে প্রতি বছর উল্লেখজনক আসন ফাঁকা থাকছে যা দেশের স্বাস্থ্য শিক্ষার উপর একটি অশনিসংকেত। সুতরাং এ অবস্থা থেকে উত্তোলনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট, ডিএমএফ নিয়োগ দেয়া। পাশাপাশি ১০ম গ্রেড উচ্চশিক্ষার পথ খুলে দিয়ে একটি স্মার্ট ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সহায়তা করা।

মোতাছিম বিল্লাহ মুন্না

পথ কুকুর-বিড়ালের প্রতি মানবিক হোন

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের এমআরআই মেশিন মেরামত করুন

শিশু শ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্তি কোথায়

বাধা যেখানে পথ সেখানেই

নাগরিক অধিকার আদায়ে সচেতনতা প্রয়োজন

ঐতিহ্যবাহী ওরশ মেলা

অযথা হর্ন বাজানো বন্ধ করুন

অপরিকল্পিত নগরায়ণের কবলে ঢাকা

তথ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ড্রোন প্রযুক্তির ভূমিকা

রাবিতে ফরম ফিলাপে ভোগান্তি

সাহিত্য সংস্কৃতি ও আমাদের প্রজন্ম

শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভীতি দূর হোক

মোহাম্মদপুরে ছিনতাই আতঙ্ক

পলিথিনের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি

বিষণœতার নীরব ছোবল

র‌্যাগিং বন্ধ হোক

শিশু হত্যা ও আমাদের দায়বদ্ধতা

স্বাস্থ্যসেবার টুকরো চিত্র

নদী তীরবর্তী মানুষ

যুব শক্তি : উন্নয়ন ও পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু

খাগড়াছড়ির রামগড় পর্যটন পার্কটি এখন গো-চারণভূমি

সাত কলেজের পরীক্ষায় বিশৃঙ্খলা

অবহেলায় গৌরব হারিয়েছে বাহাদুর শাহ পার্ক

ফান পোস্টে বর্ণবৈষম্য

প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান

পরিবর্তনের শুরুটা হোক এই মুহূর্ত থেকেই

আলুর বীজ সংকট ও দাম বৃদ্ধিতে হতাশ কৃষক

চরাঞ্চলে বিদ্যুতের প্রয়োজন

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রকল্পে উপেক্ষিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

মৌসুমি ফসলে শামুকের উপদ্রব

সিন্ডিকেট কি সরকারের চেয়েও শক্তিশালী

কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর

চট্টগ্রাম কলেজের মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলুন

পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে না পারলেই কি জীবন বৃথা?

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে চিকিৎসা সংক্রান্ত চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ফার্মেসি, মেডিকেল টেকনোলজি, মেডিকেল ফ্যাকাল্টি কোর্সগুলো নিয়োগ, গ্রেড, উচ্চশিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ডিপ্লোমা কোর্সের সাথে ব্যাপক বৈষম্যের শিকার।

অথচ স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ডাক্তার-নার্সদের পাশাপাশি ফার্মাসিস্ট, মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ চিকিৎসকরা রোগ নির্ণয় করার জন্য মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে নির্দেশ করবে। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করে তা চিকিৎসককে পাঠায় এবং এটি অনুযায়ী তিনি ওষুধ লিখেন। এই ওষুধ সঠিকভাবে বণ্টন, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টান্স, ওষুধের অপব্যবহার ঠেকানোর কাজটি করেন ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টরা।

দেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মাঝে সঠিক চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন ডিএমএফ ডাক্তাররা; কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য এই জনগুরুত্বপূর্ণ ৩টি পেশার নিয়োগ নিয়মিত দেয়া হয় না, বিধায় সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজারো মানুষ। আবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সম ডিপ্লোমা করে উপসহকারী প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, নার্স ইত্যাদি পেশাজীবীরা চাকরি জীবনের শুরুতে ১০ম গ্রেডে প্রবেশ করলেও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ডিপ্লোমাধারীরা ১১তম গ্রেডে প্রবেশ করে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও আমরা অনেকটাই পিছিয়ে আছি। কার্যত মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা নামমাত্র উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলেও ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট, ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সরাসরি বঞ্চিত।

অপরদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডিপ্লোমাধারীদের জন্য স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

এ বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে স্বাস্থ্যসেবামূলক এসব ডিপ্লোমা কোর্স থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং সরকারি বিভিন্ন আইএইচটি, ম্যাটসে প্রতি বছর উল্লেখজনক আসন ফাঁকা থাকছে যা দেশের স্বাস্থ্য শিক্ষার উপর একটি অশনিসংকেত। সুতরাং এ অবস্থা থেকে উত্তোলনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট, ডিএমএফ নিয়োগ দেয়া। পাশাপাশি ১০ম গ্রেড উচ্চশিক্ষার পথ খুলে দিয়ে একটি স্মার্ট ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সহায়তা করা।

মোতাছিম বিল্লাহ মুন্না

back to top