মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

‘কুটি’ সবুজে ঘেরা রূপসী বাংলার গ্রাম অঞ্চলে বসবাসকারী সহজ সরল মানুষের ব্যবহৃত মুখের ভাষা। কুটি শব্দের অর্থ ছোট। কুটির শিল্প অর্থাৎ ছোট শিল্প। শিল্পে ছোট হলেও এই শিল্পের ইতিহাস ঐতিহ্য ছোট নয়। এর গুরুত্বও কোন অংশে কম নয়। এই কুটির শিল্পই বাংলাদেশের ঐতিহ্যে ও সংস্কৃতির ধারক।
সংস্কৃতি একটি জাতির অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখে। তবে এই সোনালি সংস্কৃতি আজ বিলুপ্তির পথে। ফলে আমরা আজ সম্মুখীন নানা সমস্যায়, যার মধ্যে অন্যতম বেকারত্ব সমস্যা।
কুটির শিল্প গ্রাম অঞ্চলে কর্মসংস্থান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেখানে কাজ করে গ্রামের পুরুষ এবং মহিলারা। বেকার সমস্যা নিরসনের পাশাপাশি তাদেরকে করে তোলে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী।এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে । শুধু বেকার সমস্যা নিরসন বা গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করা নয়, এই শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে যদি সরকার কুটির শিল্প উন্নয়নে ও প্রসারের উদ্যোগ গ্রহণ ও পৃষ্ঠপোষকতা করে। যেমন ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা, শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, উন্নত যন্ত্রপাতি সরবরাহ, শিল্পজাত পণ্যের বাজারজাত প্রশস্ত করা ইত্যাদি।
কুটির শিল্প রক্ষাকণেবপ এসব উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে বাংলার সব কুটির শিল্প আবদ্ধ হয়ে রবে কোনো এক বইয়ের কোণে। স্মৃতি হয়ে রবে ইতিহাসের পাতায়। কেবল সঠিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারলেই জাতি হবে সমৃদ্ধ, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আত্মনির্ভরশীল। দেশ হবে উন্নত। যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বেকার সমস্যা নিরসনে ও বাঙালি জাতির হারানো ঐতিহ্য ও গৌরব ফিরিয়ে আনতে যত দ্রুত সম্ভব কার্যকারী উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।
আশরাফুল অলি
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
‘কুটি’ সবুজে ঘেরা রূপসী বাংলার গ্রাম অঞ্চলে বসবাসকারী সহজ সরল মানুষের ব্যবহৃত মুখের ভাষা। কুটি শব্দের অর্থ ছোট। কুটির শিল্প অর্থাৎ ছোট শিল্প। শিল্পে ছোট হলেও এই শিল্পের ইতিহাস ঐতিহ্য ছোট নয়। এর গুরুত্বও কোন অংশে কম নয়। এই কুটির শিল্পই বাংলাদেশের ঐতিহ্যে ও সংস্কৃতির ধারক।
সংস্কৃতি একটি জাতির অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখে। তবে এই সোনালি সংস্কৃতি আজ বিলুপ্তির পথে। ফলে আমরা আজ সম্মুখীন নানা সমস্যায়, যার মধ্যে অন্যতম বেকারত্ব সমস্যা।
কুটির শিল্প গ্রাম অঞ্চলে কর্মসংস্থান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেখানে কাজ করে গ্রামের পুরুষ এবং মহিলারা। বেকার সমস্যা নিরসনের পাশাপাশি তাদেরকে করে তোলে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী।এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে । শুধু বেকার সমস্যা নিরসন বা গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করা নয়, এই শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে যদি সরকার কুটির শিল্প উন্নয়নে ও প্রসারের উদ্যোগ গ্রহণ ও পৃষ্ঠপোষকতা করে। যেমন ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা, শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, উন্নত যন্ত্রপাতি সরবরাহ, শিল্পজাত পণ্যের বাজারজাত প্রশস্ত করা ইত্যাদি।
কুটির শিল্প রক্ষাকণেবপ এসব উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে বাংলার সব কুটির শিল্প আবদ্ধ হয়ে রবে কোনো এক বইয়ের কোণে। স্মৃতি হয়ে রবে ইতিহাসের পাতায়। কেবল সঠিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারলেই জাতি হবে সমৃদ্ধ, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আত্মনির্ভরশীল। দেশ হবে উন্নত। যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বেকার সমস্যা নিরসনে ও বাঙালি জাতির হারানো ঐতিহ্য ও গৌরব ফিরিয়ে আনতে যত দ্রুত সম্ভব কার্যকারী উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।
আশরাফুল অলি