alt

মতামত » চিঠিপত্র

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

image

‘কুটি’ সবুজে ঘেরা রূপসী বাংলার গ্রাম অঞ্চলে বসবাসকারী সহজ সরল মানুষের ব্যবহৃত মুখের ভাষা। কুটি শব্দের অর্থ ছোট। কুটির শিল্প অর্থাৎ ছোট শিল্প। শিল্পে ছোট হলেও এই শিল্পের ইতিহাস ঐতিহ্য ছোট নয়। এর গুরুত্বও কোন অংশে কম নয়। এই কুটির শিল্পই বাংলাদেশের ঐতিহ্যে ও সংস্কৃতির ধারক।

সংস্কৃতি একটি জাতির অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখে। তবে এই সোনালি সংস্কৃতি আজ বিলুপ্তির পথে। ফলে আমরা আজ সম্মুখীন নানা সমস্যায়, যার মধ্যে অন্যতম বেকারত্ব সমস্যা।

কুটির শিল্প গ্রাম অঞ্চলে কর্মসংস্থান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেখানে কাজ করে গ্রামের পুরুষ এবং মহিলারা। বেকার সমস্যা নিরসনের পাশাপাশি তাদেরকে করে তোলে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী।এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে । শুধু বেকার সমস্যা নিরসন বা গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করা নয়, এই শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে যদি সরকার কুটির শিল্প উন্নয়নে ও প্রসারের উদ্যোগ গ্রহণ ও পৃষ্ঠপোষকতা করে। যেমন ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা, শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, উন্নত যন্ত্রপাতি সরবরাহ, শিল্পজাত পণ্যের বাজারজাত প্রশস্ত করা ইত্যাদি।

কুটির শিল্প রক্ষাকণেবপ এসব উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে বাংলার সব কুটির শিল্প আবদ্ধ হয়ে রবে কোনো এক বইয়ের কোণে। স্মৃতি হয়ে রবে ইতিহাসের পাতায়। কেবল সঠিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারলেই জাতি হবে সমৃদ্ধ, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আত্মনির্ভরশীল। দেশ হবে উন্নত। যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বেকার সমস্যা নিরসনে ও বাঙালি জাতির হারানো ঐতিহ্য ও গৌরব ফিরিয়ে আনতে যত দ্রুত সম্ভব কার্যকারী উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।

আশরাফুল অলি

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

ইন্দো-প্যাসিফিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের সমুদ্রকৌশল

tab

মতামত » চিঠিপত্র

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

image

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

‘কুটি’ সবুজে ঘেরা রূপসী বাংলার গ্রাম অঞ্চলে বসবাসকারী সহজ সরল মানুষের ব্যবহৃত মুখের ভাষা। কুটি শব্দের অর্থ ছোট। কুটির শিল্প অর্থাৎ ছোট শিল্প। শিল্পে ছোট হলেও এই শিল্পের ইতিহাস ঐতিহ্য ছোট নয়। এর গুরুত্বও কোন অংশে কম নয়। এই কুটির শিল্পই বাংলাদেশের ঐতিহ্যে ও সংস্কৃতির ধারক।

সংস্কৃতি একটি জাতির অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখে। তবে এই সোনালি সংস্কৃতি আজ বিলুপ্তির পথে। ফলে আমরা আজ সম্মুখীন নানা সমস্যায়, যার মধ্যে অন্যতম বেকারত্ব সমস্যা।

কুটির শিল্প গ্রাম অঞ্চলে কর্মসংস্থান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেখানে কাজ করে গ্রামের পুরুষ এবং মহিলারা। বেকার সমস্যা নিরসনের পাশাপাশি তাদেরকে করে তোলে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী।এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে । শুধু বেকার সমস্যা নিরসন বা গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করা নয়, এই শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে যদি সরকার কুটির শিল্প উন্নয়নে ও প্রসারের উদ্যোগ গ্রহণ ও পৃষ্ঠপোষকতা করে। যেমন ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা, শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, উন্নত যন্ত্রপাতি সরবরাহ, শিল্পজাত পণ্যের বাজারজাত প্রশস্ত করা ইত্যাদি।

কুটির শিল্প রক্ষাকণেবপ এসব উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে বাংলার সব কুটির শিল্প আবদ্ধ হয়ে রবে কোনো এক বইয়ের কোণে। স্মৃতি হয়ে রবে ইতিহাসের পাতায়। কেবল সঠিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারলেই জাতি হবে সমৃদ্ধ, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আত্মনির্ভরশীল। দেশ হবে উন্নত। যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বেকার সমস্যা নিরসনে ও বাঙালি জাতির হারানো ঐতিহ্য ও গৌরব ফিরিয়ে আনতে যত দ্রুত সম্ভব কার্যকারী উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।

আশরাফুল অলি

back to top