মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
গবেষকরা বলছেন, নদীর মোহনা ভরাট হয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় নদ-নদীর পানির তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। বিচরণে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় গভীর সমুদ্রে থাকছে ইলিশ। পর্যাপ্ত ইলিশ আসছেনা নদীতে। এর আরেকটি কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। এতে ইলিশের বিচরণ ক্ষেত্রের পরিবর্তন হয়েছে। নদী ছেড়ে ইলিশ বিচরণ করছে গভীর সমুদ্রে। গত কয়েক বছর নদীতে ইলিশের আকাল চলছে। নদীর নাব্য সংকট ও ডুবোচরের কারণে সাগর থেকে ইলিশ আসতে বাঁধার মুখে পড়ছে। ইলিশের গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় ভরা মৌসুমেও নদীতে কাক্সিক্ষত ইলিশ নেই। বাজারে চাহিদার চেয়ে ইলিশ কম।
ডুবোচরের বাধা ছাড়াও আরও একাধিক কারণে ইলিশ হ্রাস পাচ্ছে, এর মধ্যে প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধ্বংস হওয়া। যাথাযথভাবে জাটকা সংরক্ষণ করতে না পারা ও অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহারেও ইলিশ হ্রাস পাচ্ছে। নির্বিঘেœ সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ আসতে না পারলে, দেশে ইলিশের উৎপাদন না বড়লে দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
নদীতে নাব্য সংকট, ডুবোচর। জলবায়ু পরিবর্তন। এসব কারণে যে ইলিশের গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এতে ইলিশ হ্রাস পাচ্ছে। কিন্তু সে ব্যাপারে কি কোনো পদক্ষেপ আছে? যদি না থাকে তবে ধীরে ধীরে আমরা ইলিশ সম্পদ হারাতে থাকবো।
ইলিশ সস্পদ বাঁচাতে জাটকা নিধন রোধ, মা ইলিশ রক্ষা ও অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহার বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন, নদীতে সৃষ্ট বহু চর, ডুবোচর ও নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ার কারণে সমুদ্র থেকে ইলিশ মিঠা পানিতে আসতে বাধা ও ইলিশের গতি পথ পরিবর্তন হচ্ছে। মেঘনা নদীতে অসংখ্য ডুবো চরের কারণে সাগার থেকে ইলিশ আসতে বাধার মুখে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইলিশ অন্যত্র চলে যাচ্ছে। বঙ্গপসাগরের মহনা রামগতির ভিবিন্ন পয়েন্টে, চর আলেকজান্ডার, বয়ারচর, চর গজারিয়ার মেঘনা নদীতে অনেক ডুবোচর রয়েছে। ইলিশের প্রবেশ পথে বাঁধা; যে কারণে লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় আগের মত ইলিশ ধরা পড়ছে না। এমন পরিস্থিতির শিকার দেশের ইলিশনির্ভর অনেক নদী।
ইলিশ সম্পদ রক্ষা করতে উপযোগী পদক্ষেপ জরুরী। নদীর বুকে জেগে উঠা ডুবোচর ড্রেজিং করে ইলিশ আসার গতিপথ নিশ্চিত করতে হবে। ডুবোচর অপসারণের মাধ্যম্যে সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁক ইলিশ আসবে।
ইলিশ সামুদ্রিক মাছ হলেও প্রজননকালীন ডিম ছাঙার জন্য স্বাদু পানিতে আসে। কিন্তু ডুবো চর ও সাগরের মহনা ভরাট হয়ে যাওয়ার নির্বিঘ্নে নদীতে আসতে পারছেনা মা ইলিশ। আবার নদীতে এসেই মা ইলিশ ধরা পড়ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রজনন মৌসুমে প্রায় দেড় কোটির বেশি মা মাছ ধরা হয়। আর প্রতি বছর দেশের নদীগুলো থেকে ৩৫ কোটির বেশি জাটকা মাছ ধরা হয়। ডুবোচর ড্রেজিং, বিচরণক্ষেত্রগুলোর আরও বেশি সুরক্ষা, জাটকার স্বাভাবিক বৃদ্ধির সুযোগ এবং মা ইলিশ রক্ষায় ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। দামও কমবে। তবে এখনই নিতে যথাযথ উদ্যোগ, কার্যকর পদক্ষেপ।
সাজ্জাদুর রহমান
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গবেষকরা বলছেন, নদীর মোহনা ভরাট হয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় নদ-নদীর পানির তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। বিচরণে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় গভীর সমুদ্রে থাকছে ইলিশ। পর্যাপ্ত ইলিশ আসছেনা নদীতে। এর আরেকটি কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। এতে ইলিশের বিচরণ ক্ষেত্রের পরিবর্তন হয়েছে। নদী ছেড়ে ইলিশ বিচরণ করছে গভীর সমুদ্রে। গত কয়েক বছর নদীতে ইলিশের আকাল চলছে। নদীর নাব্য সংকট ও ডুবোচরের কারণে সাগর থেকে ইলিশ আসতে বাঁধার মুখে পড়ছে। ইলিশের গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় ভরা মৌসুমেও নদীতে কাক্সিক্ষত ইলিশ নেই। বাজারে চাহিদার চেয়ে ইলিশ কম।
ডুবোচরের বাধা ছাড়াও আরও একাধিক কারণে ইলিশ হ্রাস পাচ্ছে, এর মধ্যে প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধ্বংস হওয়া। যাথাযথভাবে জাটকা সংরক্ষণ করতে না পারা ও অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহারেও ইলিশ হ্রাস পাচ্ছে। নির্বিঘেœ সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ আসতে না পারলে, দেশে ইলিশের উৎপাদন না বড়লে দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
নদীতে নাব্য সংকট, ডুবোচর। জলবায়ু পরিবর্তন। এসব কারণে যে ইলিশের গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এতে ইলিশ হ্রাস পাচ্ছে। কিন্তু সে ব্যাপারে কি কোনো পদক্ষেপ আছে? যদি না থাকে তবে ধীরে ধীরে আমরা ইলিশ সম্পদ হারাতে থাকবো।
ইলিশ সস্পদ বাঁচাতে জাটকা নিধন রোধ, মা ইলিশ রক্ষা ও অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহার বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন, নদীতে সৃষ্ট বহু চর, ডুবোচর ও নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ার কারণে সমুদ্র থেকে ইলিশ মিঠা পানিতে আসতে বাধা ও ইলিশের গতি পথ পরিবর্তন হচ্ছে। মেঘনা নদীতে অসংখ্য ডুবো চরের কারণে সাগার থেকে ইলিশ আসতে বাধার মুখে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইলিশ অন্যত্র চলে যাচ্ছে। বঙ্গপসাগরের মহনা রামগতির ভিবিন্ন পয়েন্টে, চর আলেকজান্ডার, বয়ারচর, চর গজারিয়ার মেঘনা নদীতে অনেক ডুবোচর রয়েছে। ইলিশের প্রবেশ পথে বাঁধা; যে কারণে লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় আগের মত ইলিশ ধরা পড়ছে না। এমন পরিস্থিতির শিকার দেশের ইলিশনির্ভর অনেক নদী।
ইলিশ সম্পদ রক্ষা করতে উপযোগী পদক্ষেপ জরুরী। নদীর বুকে জেগে উঠা ডুবোচর ড্রেজিং করে ইলিশ আসার গতিপথ নিশ্চিত করতে হবে। ডুবোচর অপসারণের মাধ্যম্যে সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁক ইলিশ আসবে।
ইলিশ সামুদ্রিক মাছ হলেও প্রজননকালীন ডিম ছাঙার জন্য স্বাদু পানিতে আসে। কিন্তু ডুবো চর ও সাগরের মহনা ভরাট হয়ে যাওয়ার নির্বিঘ্নে নদীতে আসতে পারছেনা মা ইলিশ। আবার নদীতে এসেই মা ইলিশ ধরা পড়ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রজনন মৌসুমে প্রায় দেড় কোটির বেশি মা মাছ ধরা হয়। আর প্রতি বছর দেশের নদীগুলো থেকে ৩৫ কোটির বেশি জাটকা মাছ ধরা হয়। ডুবোচর ড্রেজিং, বিচরণক্ষেত্রগুলোর আরও বেশি সুরক্ষা, জাটকার স্বাভাবিক বৃদ্ধির সুযোগ এবং মা ইলিশ রক্ষায় ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। দামও কমবে। তবে এখনই নিতে যথাযথ উদ্যোগ, কার্যকর পদক্ষেপ।
সাজ্জাদুর রহমান