alt

মতামত » চিঠিপত্র

ইলিশ বিচরণে বাধা দূর করতে হবে

: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

গবেষকরা বলছেন, নদীর মোহনা ভরাট হয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় নদ-নদীর পানির তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। বিচরণে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় গভীর সমুদ্রে থাকছে ইলিশ। পর্যাপ্ত ইলিশ আসছেনা নদীতে। এর আরেকটি কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। এতে ইলিশের বিচরণ ক্ষেত্রের পরিবর্তন হয়েছে। নদী ছেড়ে ইলিশ বিচরণ করছে গভীর সমুদ্রে। গত কয়েক বছর নদীতে ইলিশের আকাল চলছে। নদীর নাব্য সংকট ও ডুবোচরের কারণে সাগর থেকে ইলিশ আসতে বাঁধার মুখে পড়ছে। ইলিশের গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় ভরা মৌসুমেও নদীতে কাক্সিক্ষত ইলিশ নেই। বাজারে চাহিদার চেয়ে ইলিশ কম।

ডুবোচরের বাধা ছাড়াও আরও একাধিক কারণে ইলিশ হ্রাস পাচ্ছে, এর মধ্যে প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধ্বংস হওয়া। যাথাযথভাবে জাটকা সংরক্ষণ করতে না পারা ও অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহারেও ইলিশ হ্রাস পাচ্ছে। নির্বিঘেœ সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ আসতে না পারলে, দেশে ইলিশের উৎপাদন না বড়লে দাম কমার সম্ভাবনা নেই।

নদীতে নাব্য সংকট, ডুবোচর। জলবায়ু পরিবর্তন। এসব কারণে যে ইলিশের গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এতে ইলিশ হ্রাস পাচ্ছে। কিন্তু সে ব্যাপারে কি কোনো পদক্ষেপ আছে? যদি না থাকে তবে ধীরে ধীরে আমরা ইলিশ সম্পদ হারাতে থাকবো।

ইলিশ সস্পদ বাঁচাতে জাটকা নিধন রোধ, মা ইলিশ রক্ষা ও অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহার বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন, নদীতে সৃষ্ট বহু চর, ডুবোচর ও নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ার কারণে সমুদ্র থেকে ইলিশ মিঠা পানিতে আসতে বাধা ও ইলিশের গতি পথ পরিবর্তন হচ্ছে। মেঘনা নদীতে অসংখ্য ডুবো চরের কারণে সাগার থেকে ইলিশ আসতে বাধার মুখে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইলিশ অন্যত্র চলে যাচ্ছে। বঙ্গপসাগরের মহনা রামগতির ভিবিন্ন পয়েন্টে, চর আলেকজান্ডার, বয়ারচর, চর গজারিয়ার মেঘনা নদীতে অনেক ডুবোচর রয়েছে। ইলিশের প্রবেশ পথে বাঁধা; যে কারণে লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় আগের মত ইলিশ ধরা পড়ছে না। এমন পরিস্থিতির শিকার দেশের ইলিশনির্ভর অনেক নদী।

ইলিশ সম্পদ রক্ষা করতে উপযোগী পদক্ষেপ জরুরী। নদীর বুকে জেগে উঠা ডুবোচর ড্রেজিং করে ইলিশ আসার গতিপথ নিশ্চিত করতে হবে। ডুবোচর অপসারণের মাধ্যম্যে সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁক ইলিশ আসবে।

ইলিশ সামুদ্রিক মাছ হলেও প্রজননকালীন ডিম ছাঙার জন্য স্বাদু পানিতে আসে। কিন্তু ডুবো চর ও সাগরের মহনা ভরাট হয়ে যাওয়ার নির্বিঘ্নে নদীতে আসতে পারছেনা মা ইলিশ। আবার নদীতে এসেই মা ইলিশ ধরা পড়ছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রজনন মৌসুমে প্রায় দেড় কোটির বেশি মা মাছ ধরা হয়। আর প্রতি বছর দেশের নদীগুলো থেকে ৩৫ কোটির বেশি জাটকা মাছ ধরা হয়। ডুবোচর ড্রেজিং, বিচরণক্ষেত্রগুলোর আরও বেশি সুরক্ষা, জাটকার স্বাভাবিক বৃদ্ধির সুযোগ এবং মা ইলিশ রক্ষায় ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। দামও কমবে। তবে এখনই নিতে যথাযথ উদ্যোগ, কার্যকর পদক্ষেপ।

সাজ্জাদুর রহমান

গ্রামীণ অর্থনীতিতে কৃষির অবদান

শহরের পাখিরা যখন মরার প্রহর গুনে

ধর্মের নামে বর্বরতা

টেকসই শহরের একান্ত প্রয়োজন

সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি

সুন্দরবনের বাঘ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

সমুদ্রগবেষণায় পশ্চাৎপদতা মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলছে

কিশোর গ্যাং–সংস্কৃতি: সমাজের জন্য বাড়তে থাকা অশনি সংকেত

ডিগ্রি হাতে, চাকরি স্বপ্নে: শিক্ষিত বেকারদের মানসিক ক্ষয়

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

tab

মতামত » চিঠিপত্র

ইলিশ বিচরণে বাধা দূর করতে হবে

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গবেষকরা বলছেন, নদীর মোহনা ভরাট হয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় নদ-নদীর পানির তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। বিচরণে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় গভীর সমুদ্রে থাকছে ইলিশ। পর্যাপ্ত ইলিশ আসছেনা নদীতে। এর আরেকটি কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। এতে ইলিশের বিচরণ ক্ষেত্রের পরিবর্তন হয়েছে। নদী ছেড়ে ইলিশ বিচরণ করছে গভীর সমুদ্রে। গত কয়েক বছর নদীতে ইলিশের আকাল চলছে। নদীর নাব্য সংকট ও ডুবোচরের কারণে সাগর থেকে ইলিশ আসতে বাঁধার মুখে পড়ছে। ইলিশের গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় ভরা মৌসুমেও নদীতে কাক্সিক্ষত ইলিশ নেই। বাজারে চাহিদার চেয়ে ইলিশ কম।

ডুবোচরের বাধা ছাড়াও আরও একাধিক কারণে ইলিশ হ্রাস পাচ্ছে, এর মধ্যে প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধ্বংস হওয়া। যাথাযথভাবে জাটকা সংরক্ষণ করতে না পারা ও অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহারেও ইলিশ হ্রাস পাচ্ছে। নির্বিঘেœ সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ আসতে না পারলে, দেশে ইলিশের উৎপাদন না বড়লে দাম কমার সম্ভাবনা নেই।

নদীতে নাব্য সংকট, ডুবোচর। জলবায়ু পরিবর্তন। এসব কারণে যে ইলিশের গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এতে ইলিশ হ্রাস পাচ্ছে। কিন্তু সে ব্যাপারে কি কোনো পদক্ষেপ আছে? যদি না থাকে তবে ধীরে ধীরে আমরা ইলিশ সম্পদ হারাতে থাকবো।

ইলিশ সস্পদ বাঁচাতে জাটকা নিধন রোধ, মা ইলিশ রক্ষা ও অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহার বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন, নদীতে সৃষ্ট বহু চর, ডুবোচর ও নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ার কারণে সমুদ্র থেকে ইলিশ মিঠা পানিতে আসতে বাধা ও ইলিশের গতি পথ পরিবর্তন হচ্ছে। মেঘনা নদীতে অসংখ্য ডুবো চরের কারণে সাগার থেকে ইলিশ আসতে বাধার মুখে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইলিশ অন্যত্র চলে যাচ্ছে। বঙ্গপসাগরের মহনা রামগতির ভিবিন্ন পয়েন্টে, চর আলেকজান্ডার, বয়ারচর, চর গজারিয়ার মেঘনা নদীতে অনেক ডুবোচর রয়েছে। ইলিশের প্রবেশ পথে বাঁধা; যে কারণে লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় আগের মত ইলিশ ধরা পড়ছে না। এমন পরিস্থিতির শিকার দেশের ইলিশনির্ভর অনেক নদী।

ইলিশ সম্পদ রক্ষা করতে উপযোগী পদক্ষেপ জরুরী। নদীর বুকে জেগে উঠা ডুবোচর ড্রেজিং করে ইলিশ আসার গতিপথ নিশ্চিত করতে হবে। ডুবোচর অপসারণের মাধ্যম্যে সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁক ইলিশ আসবে।

ইলিশ সামুদ্রিক মাছ হলেও প্রজননকালীন ডিম ছাঙার জন্য স্বাদু পানিতে আসে। কিন্তু ডুবো চর ও সাগরের মহনা ভরাট হয়ে যাওয়ার নির্বিঘ্নে নদীতে আসতে পারছেনা মা ইলিশ। আবার নদীতে এসেই মা ইলিশ ধরা পড়ছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রজনন মৌসুমে প্রায় দেড় কোটির বেশি মা মাছ ধরা হয়। আর প্রতি বছর দেশের নদীগুলো থেকে ৩৫ কোটির বেশি জাটকা মাছ ধরা হয়। ডুবোচর ড্রেজিং, বিচরণক্ষেত্রগুলোর আরও বেশি সুরক্ষা, জাটকার স্বাভাবিক বৃদ্ধির সুযোগ এবং মা ইলিশ রক্ষায় ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। দামও কমবে। তবে এখনই নিতে যথাযথ উদ্যোগ, কার্যকর পদক্ষেপ।

সাজ্জাদুর রহমান

back to top