alt

মতামত » চিঠিপত্র

গণতন্ত্রের যোগ্য হয়ে ওঠা জরুরি

: রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

গণতন্ত্র বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় শাসনপদ্ধতি, যা রাষ্ট্রের জনগণ কর্তৃক চালিত হয়ে থাকে, যেখানে জনগণ থাকে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার কেন্দ্রীয় উৎস বা মূল শক্তি। জানা যায়, খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে গণতন্ত্রের উদ্ভব ও যাত্রা শুরু হয়।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি রাষ্ট্রের মানুষ ভোটাধিকারের মাধ্যমে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ কিংবা বর্জন করার ক্ষমতা রাখে। গণমানুষের ভোটাধিকারের বিষয়টা স্বস্তির হলেও গণমানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণের যোগ্যতা বিবেচনায় নেয়া উচিত সবার আগে। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের গণসিদ্ধান্তের ফল গোটা দেশের সর্ব শ্রেণীর মানুষ ভোগ করবে।

দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ প্রকাশ্যে শিরñেদের আইন চাইতে পারে, প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দ-ের বিধান চাইতে পারেÑ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই চাওয়াটা দোষের কিছু নয়; এই চাওয়াটা নাগরিক অধিকার, কিন্তু তাদের চাওয়া এই আইন সর্বজনীন প্রয়োগ করতে গেলে লাভের চাইতে লোকসানই হবে বেশি। কারণ, পৃথিবীর সভ্য দেশগুলো এই আইন বর্জন করেই সভ্য হয়েছে আর বর্বর রাষ্ট্রগুলো এই আইন ধারণ করেই দিন দিন বর্বর হচ্ছে।

সংখ্যার ভিত্তিতে এই আইন গড়তে গেলে অদূর ভবিষ্যতে গোটা রাষ্ট্রের চরম মূল্য দিতে হবে। রাষ্ট্র পাল্লা দিয়ে বর্বরতার মাত্রা ছাড়াতে থাকবে। সে হিসেবে গণতন্ত্রের আপাদমস্তক নিশ্চিত করতে গেলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দর্শন, আদর্শ, চিন্তা-চেতনার বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তাই মানুষকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের যোগ্য করে গড়ে তোলা জরুরি। এই দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র শিক্ষা-দীক্ষার মাধ্যমে তার দর্শনবীজ নাগরিকদের মাঝে প্রোতিথ করবে এবং নাগরিকরা সেই দর্শন ধারণ করে জীবনযাপন করবে, বিচার-বিবেচনা করবে।

যে দেশের রাস্তা দু মিনিট ট্রাফিক পুলিশ ছাড়া চলতে পারে না সে দেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক আদর্শের ওপর ছেড়ে দিলে কতটা ভয়াবহ হবে তা অকল্পনীয়।

শুধু সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত নয়, সিদ্ধান্ত হবে যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে।

আমেরিকার নাগরিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় তাদের পতাকায় আগুন দিয়েছে; পতাকায় আগুন লাগানোর বিরুদ্ধে মামলা হলে আদালত বলেছে, ক্ষুব্ধ ব্যক্তি নিজের অধীনে থাকা জাতীয় পতাকা ছিঁড়তে পারবে, আগুন লাগাতে পারবে, কিন্তু অন্যের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে পতাকার অমর্যাদা করতে পারবে না। অর্থাৎ আইনটা অনুভূতির নয়, আইনটা যুক্তির। তাই যে কোনো ইস্যুতে পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক হতে পারে। সংশ্লিষ্ট যোগ্যদের যুক্তিতর্কের মাধ্যমে বিচার বিশ্লেষণ করে যে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। গণমানুষের ওপর দায়িত্বের ভার ছেড়ে দিলে রাষ্ট্র অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

রিয়াজ নোমান

টেকসই শহরের একান্ত প্রয়োজন

সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি

সুন্দরবনের বাঘ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

সমুদ্রগবেষণায় পশ্চাৎপদতা মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলছে

কিশোর গ্যাং–সংস্কৃতি: সমাজের জন্য বাড়তে থাকা অশনি সংকেত

ডিগ্রি হাতে, চাকরি স্বপ্নে: শিক্ষিত বেকারদের মানসিক ক্ষয়

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

tab

মতামত » চিঠিপত্র

গণতন্ত্রের যোগ্য হয়ে ওঠা জরুরি

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গণতন্ত্র বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় শাসনপদ্ধতি, যা রাষ্ট্রের জনগণ কর্তৃক চালিত হয়ে থাকে, যেখানে জনগণ থাকে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার কেন্দ্রীয় উৎস বা মূল শক্তি। জানা যায়, খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে গণতন্ত্রের উদ্ভব ও যাত্রা শুরু হয়।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি রাষ্ট্রের মানুষ ভোটাধিকারের মাধ্যমে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ কিংবা বর্জন করার ক্ষমতা রাখে। গণমানুষের ভোটাধিকারের বিষয়টা স্বস্তির হলেও গণমানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণের যোগ্যতা বিবেচনায় নেয়া উচিত সবার আগে। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের গণসিদ্ধান্তের ফল গোটা দেশের সর্ব শ্রেণীর মানুষ ভোগ করবে।

দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ প্রকাশ্যে শিরñেদের আইন চাইতে পারে, প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দ-ের বিধান চাইতে পারেÑ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই চাওয়াটা দোষের কিছু নয়; এই চাওয়াটা নাগরিক অধিকার, কিন্তু তাদের চাওয়া এই আইন সর্বজনীন প্রয়োগ করতে গেলে লাভের চাইতে লোকসানই হবে বেশি। কারণ, পৃথিবীর সভ্য দেশগুলো এই আইন বর্জন করেই সভ্য হয়েছে আর বর্বর রাষ্ট্রগুলো এই আইন ধারণ করেই দিন দিন বর্বর হচ্ছে।

সংখ্যার ভিত্তিতে এই আইন গড়তে গেলে অদূর ভবিষ্যতে গোটা রাষ্ট্রের চরম মূল্য দিতে হবে। রাষ্ট্র পাল্লা দিয়ে বর্বরতার মাত্রা ছাড়াতে থাকবে। সে হিসেবে গণতন্ত্রের আপাদমস্তক নিশ্চিত করতে গেলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দর্শন, আদর্শ, চিন্তা-চেতনার বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তাই মানুষকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের যোগ্য করে গড়ে তোলা জরুরি। এই দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র শিক্ষা-দীক্ষার মাধ্যমে তার দর্শনবীজ নাগরিকদের মাঝে প্রোতিথ করবে এবং নাগরিকরা সেই দর্শন ধারণ করে জীবনযাপন করবে, বিচার-বিবেচনা করবে।

যে দেশের রাস্তা দু মিনিট ট্রাফিক পুলিশ ছাড়া চলতে পারে না সে দেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক আদর্শের ওপর ছেড়ে দিলে কতটা ভয়াবহ হবে তা অকল্পনীয়।

শুধু সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত নয়, সিদ্ধান্ত হবে যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে।

আমেরিকার নাগরিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় তাদের পতাকায় আগুন দিয়েছে; পতাকায় আগুন লাগানোর বিরুদ্ধে মামলা হলে আদালত বলেছে, ক্ষুব্ধ ব্যক্তি নিজের অধীনে থাকা জাতীয় পতাকা ছিঁড়তে পারবে, আগুন লাগাতে পারবে, কিন্তু অন্যের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে পতাকার অমর্যাদা করতে পারবে না। অর্থাৎ আইনটা অনুভূতির নয়, আইনটা যুক্তির। তাই যে কোনো ইস্যুতে পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক হতে পারে। সংশ্লিষ্ট যোগ্যদের যুক্তিতর্কের মাধ্যমে বিচার বিশ্লেষণ করে যে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। গণমানুষের ওপর দায়িত্বের ভার ছেড়ে দিলে রাষ্ট্র অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

রিয়াজ নোমান

back to top