alt

চিঠিপত্র

বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন

: মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বঙ্গভঙ্গ রদের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সময়ে মুসলিম নেতাদের দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফলে নানা বাধা থাকা সত্ত্বেও ব্রিটিশরা এদেশে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করতে বাধ্য হয়েছিল। এটি ছিল দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। তারপর থেকে নানা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতার পূর্বে হাতে গোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হলেও শিক্ষার্থীদের তুলনায় এটি ছিল অপর্যাপ্ত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ গড়ে উঠেছে। তবে সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে এখনও শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও গবেষণা খাতে উন্নতি কিছুটা ধীরগতিতে হচ্ছে।

দেশের গবেষণা খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাবে তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা গবেষণার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে এবং তারা বিদেশে গিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগারে কাজ করে গবেষণাপত্র প্রস্তুত করলেও, আমাদের দেশ সেই গবেষণার সুফল থেকে অনেক ক্ষেত্রেই বঞ্চিত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে থেকে নানা অবদান রাখলেও তাদের মধ্যে কয় জন দেশে ফিরে আসে তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন রয়েছে। বর্তমানে অনেক সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও, বিগত কয়েক বছরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত চাকরির সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেখা যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকেরই শুধু মাস্টার্স ডিগ্রি রয়েছে এবং তাদের গবেষণাপত্রের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অনেকের মাস্টার্স ডিগ্রিও সম্পন্ন হয়েছে মাত্র কয়েক মাস বা এক-দুই বছর আগে। তাদের পাঠদান পদ্ধতি ও দক্ষতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিধা আছে। অন্যদিকে যারা বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসতে চেয়েছেন তারা চাকরি ও সম্মানজনক অবস্থান না পেয়ে আবার বিদেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তির অভ্যুদয় হচ্ছে এবং এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত পরিবর্তন আসছে। বাংলাদেশ সরকার যদি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ করে এবং বিদেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরিয়ে এনে সামরিক, শিক্ষা, চিকিৎসা, গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতে কাজে লাগাতে পারে, তাহলে দেশটি নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছাবে এবং একদিন বিশ্বমঞ্চে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।

দেশকে এগিয়ে নিতে হলে শক্তিশালী গবেষণা দরকার। বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যৌথ উদ্যোগে গবেষণাপত্র তৈরি হয়, যার মাধ্যমে তারা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করছে এবং নতুন প্রযুক্তি বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। যদি বিদেশে অবস্থানরত মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দেশের গবেষণা খাত ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়োগ নিশ্চিত করা যায়, তাহলে দেশীয় অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ সুগম হবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি পাবে।

একটি দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে এবং বিশ্বে নেতৃত্ব বিকাশ করতে সবার আগে দরকার শক্তিশালী শিক্ষা ও গবেষণা খাত। আর সেই খাতে প্রয়োজন বিপুল বিনিয়োগ। কিন্তু অতীতে দেশে গবেষণা খাতে অন্যান্য খাতের তুলনায় কম বিনিয়োগ হয়েছে। এজন্য বর্তমান সরকারের পাশাপাশি দেশি ও বিদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনগুলোর উচিত এই খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করা, দেশকে মজবুত করা এবং দেশপ্রেমের পরিচয় দেওয়া।

হেলাল মিয়া

শিক্ষার্থী, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

লক্ষ্মীপুরে হিমাগারের অভাবে কৃষকের মুখে হাসি নেই

দুর্ঘটনা রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ চাই

পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল চাই

গণতন্ত্রের যোগ্য হয়ে ওঠা জরুরি

ইলিশ বিচরণে বাধা দূর করতে হবে

কেন এই লোডশেডিং

সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়া

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

tab

চিঠিপত্র

বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪

বঙ্গভঙ্গ রদের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সময়ে মুসলিম নেতাদের দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফলে নানা বাধা থাকা সত্ত্বেও ব্রিটিশরা এদেশে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করতে বাধ্য হয়েছিল। এটি ছিল দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। তারপর থেকে নানা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতার পূর্বে হাতে গোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হলেও শিক্ষার্থীদের তুলনায় এটি ছিল অপর্যাপ্ত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ গড়ে উঠেছে। তবে সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে এখনও শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও গবেষণা খাতে উন্নতি কিছুটা ধীরগতিতে হচ্ছে।

দেশের গবেষণা খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাবে তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা গবেষণার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে এবং তারা বিদেশে গিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগারে কাজ করে গবেষণাপত্র প্রস্তুত করলেও, আমাদের দেশ সেই গবেষণার সুফল থেকে অনেক ক্ষেত্রেই বঞ্চিত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে থেকে নানা অবদান রাখলেও তাদের মধ্যে কয় জন দেশে ফিরে আসে তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন রয়েছে। বর্তমানে অনেক সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও, বিগত কয়েক বছরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত চাকরির সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেখা যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকেরই শুধু মাস্টার্স ডিগ্রি রয়েছে এবং তাদের গবেষণাপত্রের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অনেকের মাস্টার্স ডিগ্রিও সম্পন্ন হয়েছে মাত্র কয়েক মাস বা এক-দুই বছর আগে। তাদের পাঠদান পদ্ধতি ও দক্ষতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিধা আছে। অন্যদিকে যারা বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসতে চেয়েছেন তারা চাকরি ও সম্মানজনক অবস্থান না পেয়ে আবার বিদেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তির অভ্যুদয় হচ্ছে এবং এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত পরিবর্তন আসছে। বাংলাদেশ সরকার যদি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ করে এবং বিদেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরিয়ে এনে সামরিক, শিক্ষা, চিকিৎসা, গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতে কাজে লাগাতে পারে, তাহলে দেশটি নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছাবে এবং একদিন বিশ্বমঞ্চে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।

দেশকে এগিয়ে নিতে হলে শক্তিশালী গবেষণা দরকার। বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যৌথ উদ্যোগে গবেষণাপত্র তৈরি হয়, যার মাধ্যমে তারা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করছে এবং নতুন প্রযুক্তি বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। যদি বিদেশে অবস্থানরত মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দেশের গবেষণা খাত ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়োগ নিশ্চিত করা যায়, তাহলে দেশীয় অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ সুগম হবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি পাবে।

একটি দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে এবং বিশ্বে নেতৃত্ব বিকাশ করতে সবার আগে দরকার শক্তিশালী শিক্ষা ও গবেষণা খাত। আর সেই খাতে প্রয়োজন বিপুল বিনিয়োগ। কিন্তু অতীতে দেশে গবেষণা খাতে অন্যান্য খাতের তুলনায় কম বিনিয়োগ হয়েছে। এজন্য বর্তমান সরকারের পাশাপাশি দেশি ও বিদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনগুলোর উচিত এই খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করা, দেশকে মজবুত করা এবং দেশপ্রেমের পরিচয় দেওয়া।

হেলাল মিয়া

শিক্ষার্থী, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

back to top