মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশে ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে জনবল নিয়োগের জন্য একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদন নেয়া শুরু হবে অক্টোবর মাসের ৫ তারিখ থেকে এবং আবেদন করা যাবে আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। এই পদে শারীরিক যোগ্যতার পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে চাওয়া হয়েছে অনুমোদিত যে কোন বিশ্বিবদ্যালয় থেকে নূন্যতম স্নাতক ডিগ্রি। তবে বয়সসীমা দেওয়া হয়েছে ন্যূনতম ১৯ বছর থেকে ২৭ বছর পর্যন্ত সাধারণ কোটা প্রার্থীদের জন্য এবং ১৯ বছর থেকে ৩২ বছর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের জন্য।
বিপরীতে যদি বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখা যায়, সেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি এবং বয়সসীমা ১৮ থেকে ২০ বছর দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাধারণত ইন্টারমেডিয়েট পাস করতেই প্রায় ১৮ বছর বা অনেক সময় তার-ও বেশি সময় চলে যায়। আর বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা অনুযায়ী দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে ১৯ বছরে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা সম্ভব নয়। স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে অন্তত ২২ থেকে ২৪ বছর পর্যন্ত চলে যায় এবং অনেকের সেশনজটসহ বিভিন্ন কারণে আরও বেশি সময় লেগে যায়। ফলে স্মাতক সম্পন্ন করার পর স্বাভাবিকভাবেই এসআই নিয়োগ পরিক্ষায় অনেকে একবার থেকে দু’বার এবং অনেকে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ২৭ বছর থাকায় আবেদন করার সুযোগই পায় না। ফলে বলা যায় সামগ্রিকভাবে এসআই চাকরি প্রত্যাশীদের বড় একটি অংশ এসআই পরীক্ষায় নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। যা মোটেই কাম্য ছিল না। যেহেতু স্নাতক শেষ করতেই অন্তত ২২ থেকে ২৪ বছর চলে তাই এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ন্যূনতম ১৯ থেকে বাড়িয়ে ২১ বা ২২ বছর করা উচিত।
পুলিশের এসআই সহ সরকারি অন্যান্য অফিসার পদমর্যাদার চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কৌটার প্রার্থীদের বয়সসীমা সর্বো”চ ৩২ বছর রাখা হয়েছে এবং সাধারণ কৌটার প্রার্থীদের অন্যান্য অফিসার পদমর্যাদার চাকরির ক্ষেত্রে সর্বো”চ বয়সসীমা ৩০বছর করা হলেও পুলিশের এসআই এর ক্ষেত্রে সাধারণ কৌটার প্রার্থীদের বয়সসীমা সর্বো”চ ২৭ বছর করা হয়েছে। এতে দেখা যায় মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীরা সাধারণ প্রার্থীদের তুলনায় ৫ বছর বেশি সময় পাচ্ছে বিপরীতে অন্যান্য চাকরির আবেদনের সময় তারা মাত্র ২ বছর সময় বেশি পেয়ে থাকে। যার ফলে সাধারণ প্রার্থীরা ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকে এবং এটি অমানবিক-ও বটে। একটি যৌক্তিক প্রশ্ন হলো, মুক্তিযোদ্ধা কৌটার প্রার্থীরা যদি ৩২ বয়সেও এসআই ট্রেনিং সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারে তবে সাধারণ কৌটার প্রার্থীদের ২৭ বছর বয়সেই আটকিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেন এবং বয়সসীমা ২৭ থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হচ্ছে না কেন?
বরকত আলী
শিক্ষার্থী
দিনাজপুর সরকারি কলেজ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশে ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে জনবল নিয়োগের জন্য একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদন নেয়া শুরু হবে অক্টোবর মাসের ৫ তারিখ থেকে এবং আবেদন করা যাবে আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। এই পদে শারীরিক যোগ্যতার পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে চাওয়া হয়েছে অনুমোদিত যে কোন বিশ্বিবদ্যালয় থেকে নূন্যতম স্নাতক ডিগ্রি। তবে বয়সসীমা দেওয়া হয়েছে ন্যূনতম ১৯ বছর থেকে ২৭ বছর পর্যন্ত সাধারণ কোটা প্রার্থীদের জন্য এবং ১৯ বছর থেকে ৩২ বছর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের জন্য।
বিপরীতে যদি বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখা যায়, সেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি এবং বয়সসীমা ১৮ থেকে ২০ বছর দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাধারণত ইন্টারমেডিয়েট পাস করতেই প্রায় ১৮ বছর বা অনেক সময় তার-ও বেশি সময় চলে যায়। আর বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা অনুযায়ী দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে ১৯ বছরে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা সম্ভব নয়। স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে অন্তত ২২ থেকে ২৪ বছর পর্যন্ত চলে যায় এবং অনেকের সেশনজটসহ বিভিন্ন কারণে আরও বেশি সময় লেগে যায়। ফলে স্মাতক সম্পন্ন করার পর স্বাভাবিকভাবেই এসআই নিয়োগ পরিক্ষায় অনেকে একবার থেকে দু’বার এবং অনেকে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ২৭ বছর থাকায় আবেদন করার সুযোগই পায় না। ফলে বলা যায় সামগ্রিকভাবে এসআই চাকরি প্রত্যাশীদের বড় একটি অংশ এসআই পরীক্ষায় নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। যা মোটেই কাম্য ছিল না। যেহেতু স্নাতক শেষ করতেই অন্তত ২২ থেকে ২৪ বছর চলে তাই এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ন্যূনতম ১৯ থেকে বাড়িয়ে ২১ বা ২২ বছর করা উচিত।
পুলিশের এসআই সহ সরকারি অন্যান্য অফিসার পদমর্যাদার চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কৌটার প্রার্থীদের বয়সসীমা সর্বো”চ ৩২ বছর রাখা হয়েছে এবং সাধারণ কৌটার প্রার্থীদের অন্যান্য অফিসার পদমর্যাদার চাকরির ক্ষেত্রে সর্বো”চ বয়সসীমা ৩০বছর করা হলেও পুলিশের এসআই এর ক্ষেত্রে সাধারণ কৌটার প্রার্থীদের বয়সসীমা সর্বো”চ ২৭ বছর করা হয়েছে। এতে দেখা যায় মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীরা সাধারণ প্রার্থীদের তুলনায় ৫ বছর বেশি সময় পাচ্ছে বিপরীতে অন্যান্য চাকরির আবেদনের সময় তারা মাত্র ২ বছর সময় বেশি পেয়ে থাকে। যার ফলে সাধারণ প্রার্থীরা ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকে এবং এটি অমানবিক-ও বটে। একটি যৌক্তিক প্রশ্ন হলো, মুক্তিযোদ্ধা কৌটার প্রার্থীরা যদি ৩২ বয়সেও এসআই ট্রেনিং সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারে তবে সাধারণ কৌটার প্রার্থীদের ২৭ বছর বয়সেই আটকিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেন এবং বয়সসীমা ২৭ থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হচ্ছে না কেন?
বরকত আলী
শিক্ষার্থী
দিনাজপুর সরকারি কলেজ