মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি হিসেবে অবদান রাখা এক সময়ের চামড়া শিল্প বর্তমানে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। চামড়া ব্যবসায় সিন্ডিকেট, চামড়া সংরক্ষণের অব্যবস্থাপনা, চামড়াজাত পণ্যের প্রক্রিয়া জাতের অভাব বর্তমান চামড়া শিল্পের বেহাল দশার জন্য দায়ী।
দেশের বাজারে চামড়াজাত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের চামড়ার গুণগতমানের খ্যাতি বিদেশেও ছড়িয়ে আছে। বলা হয়ে থাকে চামড়া খাতের প্রসার ঘটলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তৈরি পোশাক শিল্পের চেয়েও সম্ভাবনাময় একটি খাতে পরিণত হবে চামড়া শিল্প।
বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির ফলে কয়েকবছর ধরে বিরাজ করতে থাকা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে সকল পণ্যের দাম পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল পণ্যের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে গৃহপালিত পশু ও মাংসের দাম। বর্তমান দেশের বাজারে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে অতীতের কয়েক বছরের তুলনায় রেকর্ড মূল্যে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও চামড়া খাত এখনো সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে বের হতে পারেনি। ফলে চামড়ার ন্যায্যমূল্য না থাকাই সাধারণ মানুষ ও ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়া খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। যার একটা বড় প্রভাব পড়ছে সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষদের ওপর।
চামড়া জাত পণ্যের চাহিদা দেশের পাশাপাশি বিদেশও রয়েছে। চামড়া খাতকে নতুন ভাবে সংস্কার করে কাঁচা চামড়াকে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে চামড়া জাত পণ্যের উৎপাদনের দিকে বিশেষ নজর দিলে চামড়া শিল্পে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উদিত হবে। ফলে দেশের বাজারে চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
বর্তমান সময়ে চামড়া খাতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সিন্ডিকেট, অব্যবস্থাপনাসহ সকল অনিয়মের সমস্যা সমাধান ও যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে চামড়া শিল্পকে দাঁড় করানো সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মুজাহিদুল ইসলাম
ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী কলেজ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি হিসেবে অবদান রাখা এক সময়ের চামড়া শিল্প বর্তমানে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। চামড়া ব্যবসায় সিন্ডিকেট, চামড়া সংরক্ষণের অব্যবস্থাপনা, চামড়াজাত পণ্যের প্রক্রিয়া জাতের অভাব বর্তমান চামড়া শিল্পের বেহাল দশার জন্য দায়ী।
দেশের বাজারে চামড়াজাত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের চামড়ার গুণগতমানের খ্যাতি বিদেশেও ছড়িয়ে আছে। বলা হয়ে থাকে চামড়া খাতের প্রসার ঘটলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তৈরি পোশাক শিল্পের চেয়েও সম্ভাবনাময় একটি খাতে পরিণত হবে চামড়া শিল্প।
বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির ফলে কয়েকবছর ধরে বিরাজ করতে থাকা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে সকল পণ্যের দাম পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল পণ্যের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে গৃহপালিত পশু ও মাংসের দাম। বর্তমান দেশের বাজারে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে অতীতের কয়েক বছরের তুলনায় রেকর্ড মূল্যে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও চামড়া খাত এখনো সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে বের হতে পারেনি। ফলে চামড়ার ন্যায্যমূল্য না থাকাই সাধারণ মানুষ ও ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়া খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। যার একটা বড় প্রভাব পড়ছে সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষদের ওপর।
চামড়া জাত পণ্যের চাহিদা দেশের পাশাপাশি বিদেশও রয়েছে। চামড়া খাতকে নতুন ভাবে সংস্কার করে কাঁচা চামড়াকে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে চামড়া জাত পণ্যের উৎপাদনের দিকে বিশেষ নজর দিলে চামড়া শিল্পে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উদিত হবে। ফলে দেশের বাজারে চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
বর্তমান সময়ে চামড়া খাতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সিন্ডিকেট, অব্যবস্থাপনাসহ সকল অনিয়মের সমস্যা সমাধান ও যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে চামড়া শিল্পকে দাঁড় করানো সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মুজাহিদুল ইসলাম
ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী কলেজ