মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল যা পঙ্গু হাসপাতাল নামেই সবার কাছে পরিচিত। ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই দেশ-বিদেশে সুনাম কুড়িয়ে আসছে। বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবায় শিষ্য হাসপাতাল গুলোর মধ্যে অন্যতম এই হাসপাতাল অথচ গত কয়েক মাস ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে এমআরআই পরীক্ষা ব্যবস্থা। ঠিক করার যেন কোন তাড়া নেই কর্তৃপক্ষের মাঝে। সারাদেশ থেকে ভালো চিকিৎসাসেবার আসার গরিব অসহায় মানুষগুলো ছুটে আসেন এই হাসপাতালে।
এমআরআই ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় রোগীর স্বজনরা পড়ে যাচ্ছেন দালালের খপ্পরে। যেই এমআরআই টেস্ট করতে ৪-৬ হাজার টাকা লাগার কথা সেখানে দালাল চক্র প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ১২-১৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গত ১৬ তারিখ এক রোগীকে ডাক্তার এমআরআই পরীক্ষা করতে দিলে তারা প্যাথলজি বিভাগে গিয়ে জানতে পারে এখানে এমআরআই পরীক্ষা হয় না। এতে রোগীর পরিবার পড়ে যায় বিপাকে। পরবর্তীতে তারা ১৪ হাজার টাকা ব্যয় করে প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে এমআরআই পরীক্ষা করিয়ে নেন। তাদের সঙ্গে কথা বললে আক্ষেপ নিয়ে বলেন, আমাদের কাছে টাকা থাকলে তো আমরা এই হাসপাতালে আসতাম না; তাহলে এখানে এসেও কেন আমরা আমাদের কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হব।
এমআরআই পরীক্ষা না থাকায় রোগী এবং তার পরিবার অনেক ভোগান্তির মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, রোগীদের দুঃখ লাগব করতে দ্রুতই এমআরআই পরীক্ষা সিস্টেম চালু করুন।
হাসনাইন রিজেন
আগারগাঁও, ঢাকা।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল যা পঙ্গু হাসপাতাল নামেই সবার কাছে পরিচিত। ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই দেশ-বিদেশে সুনাম কুড়িয়ে আসছে। বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবায় শিষ্য হাসপাতাল গুলোর মধ্যে অন্যতম এই হাসপাতাল অথচ গত কয়েক মাস ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে এমআরআই পরীক্ষা ব্যবস্থা। ঠিক করার যেন কোন তাড়া নেই কর্তৃপক্ষের মাঝে। সারাদেশ থেকে ভালো চিকিৎসাসেবার আসার গরিব অসহায় মানুষগুলো ছুটে আসেন এই হাসপাতালে।
এমআরআই ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় রোগীর স্বজনরা পড়ে যাচ্ছেন দালালের খপ্পরে। যেই এমআরআই টেস্ট করতে ৪-৬ হাজার টাকা লাগার কথা সেখানে দালাল চক্র প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ১২-১৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গত ১৬ তারিখ এক রোগীকে ডাক্তার এমআরআই পরীক্ষা করতে দিলে তারা প্যাথলজি বিভাগে গিয়ে জানতে পারে এখানে এমআরআই পরীক্ষা হয় না। এতে রোগীর পরিবার পড়ে যায় বিপাকে। পরবর্তীতে তারা ১৪ হাজার টাকা ব্যয় করে প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে এমআরআই পরীক্ষা করিয়ে নেন। তাদের সঙ্গে কথা বললে আক্ষেপ নিয়ে বলেন, আমাদের কাছে টাকা থাকলে তো আমরা এই হাসপাতালে আসতাম না; তাহলে এখানে এসেও কেন আমরা আমাদের কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হব।
এমআরআই পরীক্ষা না থাকায় রোগী এবং তার পরিবার অনেক ভোগান্তির মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, রোগীদের দুঃখ লাগব করতে দ্রুতই এমআরআই পরীক্ষা সিস্টেম চালু করুন।
হাসনাইন রিজেন
আগারগাঁও, ঢাকা।