alt

চিঠিপত্র

হেমন্তের দূষণ ও বিষণœতা

: রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

হেমন্ত বলতে বিষণœতা বোঝায়। হেমন্ত বলতে বোঝায় নিবিড় একাকীত্ব। হেমন্ত ক্ষণস্থায়ী হয়েও এত বেশি স্বতন্ত্র যে, হেমন্তের অস্তিত্ব সম্বন্ধে একবার সজাগ হয়ে গেলে, তাকে অবহেলা করা মুশকিল। ছিন্নপত্রের হেমন্ত সন্ধ্যার বর্ণনা রয়েছে। জীবনানন্দ দাশের কবিতায় তো অঝোর ব্যাপ্তিতে হেমন্ত ধরা দিয়েছে। সেসব বিবরণে প্রকৃতির শূন্যতা যতখানি ধরা পড়ে, তার বাইরে কিন্তু অন্য কোনও সূচক প্রবল হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এখন যদি কেউ হেমন্তের বিশ্বাস্য কথা-চিত্র ধরে রাখতে চায়, তাকে বিষণœতা বা নিঃসঙ্গতার পাশাপাশি দূষণের উল্লেখও করতে হবে। যে-দূষণ মূলত আচ্ছন্ন করে বাতাসকে। প্রতিবারই প্রাক-শীতে ঢাকার দূষণ দৃশ্য আমাদের চোখে কমবেশি ধরা পড়ে। তাই হেমন্তের সময়ে ঢাকা কেমন করে তিলে তিলে বাস-অযোগ্য হয়ে ওঠে কমবেশি। কথাটি কারও চোখে পড়ে, আবার কারও বা চোখে দেখা যায় না। ঢাকার সর্বত্রই ধুলোবালির ছড়াছড়ি- এ যেন এক ধরনের বিষে ভরা রাজপথ। ধুলোবালি আর ধুলোবালি, সমস্যাটি রয়ে গেছে। কতদিন আর? দূষণ, প্রকৃতির বিপর্যয়ের কথা বলে। বিশ্বজুড়েই প্রকৃতির স্বাস্থ্য খারাপতর হচ্ছে এই বিষয়ে সন্দেহ নেই।

দূষণ নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায়-সচেতনতা বৃদ্ধি। এটি সম্পর্কে সবাইই কমবেশি জানেন, বোঝেন, স্বীকারও করেন। কিন্তু ফলিত প্রয়োগে সচেতনতা কি প্রদর্শিত হয়, বা কোনও একজনের চূড়ান্ত সতর্কতাও কি গোষ্ঠীর জন্য সর্বোচ্চ উপকারী সাব্যস্ত হতে পারে? দূষণ নিয়ে প্রতিবছর কমবেশি উৎকণ্ঠা কমবেশি শোনা যায়, কিন্তু তারপরে? কোথায় কী-কী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে তা কি জনগণ জানতে পারে, না তা জানতে উৎসাহী হয়? মানতে হবে, কোথাও একটা মানিয়ে নেয়ার অপারগতা চলে এসেছে, জাঁকিয়ে বসেছে। সবাই ধরে নিয়েছে-কিছু কথা বলার জন্যই। তা বলে যে বিরাট ফল পাওয়া যাবে এমন নয়, কিন্তু না-বললে যেন বিবেকের কামড় একটু বেশি জোরে চামড়ায় ফুটে উঠবে। আর, একবার বলে ফেললে-দায়িত্ব পালনের একঘেয়ে শ্লাঘা মনকে দখল করে। এই হেমন্তের দূষণ যদি বছরের পর বছর ধরে দেখা যায়, বুঝতে হবে, পৃথিবী যে-নিয়মে ঘোরে, পৃথিবীর মানুষ তার ‘অ আ ক খ গ, এ বি সি ডি’ কিছুই জানে না, বুঝে না।

লিয়াকত হোসেন খোকন,

রূপনগর, ঢাকা, বাংলাদেশ।

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

হেমন্তের দূষণ ও বিষণœতা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

হেমন্ত বলতে বিষণœতা বোঝায়। হেমন্ত বলতে বোঝায় নিবিড় একাকীত্ব। হেমন্ত ক্ষণস্থায়ী হয়েও এত বেশি স্বতন্ত্র যে, হেমন্তের অস্তিত্ব সম্বন্ধে একবার সজাগ হয়ে গেলে, তাকে অবহেলা করা মুশকিল। ছিন্নপত্রের হেমন্ত সন্ধ্যার বর্ণনা রয়েছে। জীবনানন্দ দাশের কবিতায় তো অঝোর ব্যাপ্তিতে হেমন্ত ধরা দিয়েছে। সেসব বিবরণে প্রকৃতির শূন্যতা যতখানি ধরা পড়ে, তার বাইরে কিন্তু অন্য কোনও সূচক প্রবল হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এখন যদি কেউ হেমন্তের বিশ্বাস্য কথা-চিত্র ধরে রাখতে চায়, তাকে বিষণœতা বা নিঃসঙ্গতার পাশাপাশি দূষণের উল্লেখও করতে হবে। যে-দূষণ মূলত আচ্ছন্ন করে বাতাসকে। প্রতিবারই প্রাক-শীতে ঢাকার দূষণ দৃশ্য আমাদের চোখে কমবেশি ধরা পড়ে। তাই হেমন্তের সময়ে ঢাকা কেমন করে তিলে তিলে বাস-অযোগ্য হয়ে ওঠে কমবেশি। কথাটি কারও চোখে পড়ে, আবার কারও বা চোখে দেখা যায় না। ঢাকার সর্বত্রই ধুলোবালির ছড়াছড়ি- এ যেন এক ধরনের বিষে ভরা রাজপথ। ধুলোবালি আর ধুলোবালি, সমস্যাটি রয়ে গেছে। কতদিন আর? দূষণ, প্রকৃতির বিপর্যয়ের কথা বলে। বিশ্বজুড়েই প্রকৃতির স্বাস্থ্য খারাপতর হচ্ছে এই বিষয়ে সন্দেহ নেই।

দূষণ নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায়-সচেতনতা বৃদ্ধি। এটি সম্পর্কে সবাইই কমবেশি জানেন, বোঝেন, স্বীকারও করেন। কিন্তু ফলিত প্রয়োগে সচেতনতা কি প্রদর্শিত হয়, বা কোনও একজনের চূড়ান্ত সতর্কতাও কি গোষ্ঠীর জন্য সর্বোচ্চ উপকারী সাব্যস্ত হতে পারে? দূষণ নিয়ে প্রতিবছর কমবেশি উৎকণ্ঠা কমবেশি শোনা যায়, কিন্তু তারপরে? কোথায় কী-কী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে তা কি জনগণ জানতে পারে, না তা জানতে উৎসাহী হয়? মানতে হবে, কোথাও একটা মানিয়ে নেয়ার অপারগতা চলে এসেছে, জাঁকিয়ে বসেছে। সবাই ধরে নিয়েছে-কিছু কথা বলার জন্যই। তা বলে যে বিরাট ফল পাওয়া যাবে এমন নয়, কিন্তু না-বললে যেন বিবেকের কামড় একটু বেশি জোরে চামড়ায় ফুটে উঠবে। আর, একবার বলে ফেললে-দায়িত্ব পালনের একঘেয়ে শ্লাঘা মনকে দখল করে। এই হেমন্তের দূষণ যদি বছরের পর বছর ধরে দেখা যায়, বুঝতে হবে, পৃথিবী যে-নিয়মে ঘোরে, পৃথিবীর মানুষ তার ‘অ আ ক খ গ, এ বি সি ডি’ কিছুই জানে না, বুঝে না।

লিয়াকত হোসেন খোকন,

রূপনগর, ঢাকা, বাংলাদেশ।

back to top