alt

চিঠিপত্র

চাঁদাবাজি : নতুন সরকারের পুরোনো চ্যালেঞ্জ

: শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

২০২৪ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হয়। জনগণের দুর্বার আন্দোলনের ফলে ক্ষমতাসীন সরকারকে পদত্যাগ করতে হয়, যা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে এক বিশাল অর্জন হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানকে দেশব্যাপী উৎসাহ এবং আশার বাতিঘর হিসেবে দেখা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, যে চাঁদাবাজি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ রাস্তায় নেমেছিল তা এখনও দেশটিকে তার কালো ছায়ায় ঢেকে রেখেছে। চাঁদাবাজি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক জীবনে এক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। স্বাধীনতার পর থেকেই এ সমস্যা বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, এবং স্থানীয় গুন্ডারা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করে আসছে। এই চাঁদাবাজির ফলে ব্যবসায়ী এবং সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রা ক্রমাগত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। গণঅভ্যুত্থানের পর সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল যে, নতুন সরকার চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে এবং একটি স্বচ্ছ ও সুশাসিত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।

চাঁদাবাজির চক্র এখনও সক্রিয় রয়েছে এবং নানা অজুহাতে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে যাচ্ছে। এটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক ক্ষতি করে না, বরং সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা ব্যাহত করে। চাঁদাবাজির মূল কারণগুলির মধ্যে একটি হলো দুর্বল আইন প্রয়োগ এবং বিচার বিভাগের অকার্যকরতা। দেশে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আইন থাকলেও তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে দেখা যায় বিশাল ফাঁকফোকর। অনেক সময় চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ধরা হলেও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে অপরাধীদের রক্ষা করতে সক্ষম হয়। এছাড়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে কিছু অসাধু কর্মকর্তা চাঁদাবাজদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করে যা এই সমস্যা আরও জটিল করে তুলেছে।

চাঁদাবাজি একটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা, যা এক দিনে সমাধান সম্ভব নয়। কিন্তু সঠিক পদক্ষেপ এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। গণঅভ্যুত্থানের যে আশা এবং উদ্দীপনা জাতির মধ্যে জাগ্রত হয়েছিল, তা কাজে লাগিয়ে একটি স্বচ্ছ, সুশাসিত এবং চাঁদাবাজিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব এ কালো ছায়া থেকে দেশকে মুক্ত করা এবং একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হওয়া।

মোহাম্মদ আব্দুর রহমান

শিক্ষার্থী,

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রাণী নির্যাতন বন্ধ করুন

ভর্তিতে লটারি, জীবনে অভিশাপ

গুজব একটি সামাজিক ব্যাধি

জলবায়ু পরিবর্তন : বাংলাদেশের বর্তমান সংকট ও অভিযোজনের চ্যালেঞ্জ।

গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল চাই

ফসলের জন্য বন্ধুপোকা

নকল প্রসাধনীতে স্বাস্থ্যঝুঁকি

ছাগলে চাটে বাঘের গাল

উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়তে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফার্মাসিস্ট

হল আবাসন আমার অধিকার

ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন

শব্দদূষণে অতিষ্ঠ শহরের জনজীবন

থার্টিফার্স্ট নাইট হোক স্বাভাবিক

বর্ষবরণে পরিবেশ দূষণ কাম্য নয়

লক্ষ্মীবাজার ও নারিন্দার রাস্তা শোচনীয়

প্রকৃতিকে বাঁচাতেই হবে

প্রাণীদের প্রতি সদয় হোন

সহকারী শিক্ষকরা কাদের সহকারী?

শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বাতিল করুন

স্বাস্থ্যসেবায় সংকট : রেফারেল ব্যবস্থার অভাব ও সমাধানের উপায়

রাস্তার পাশে বর্জ্য নিরসনে পদক্ষেপ চাই

স্বাস্থ্যসেবার সংকটে পার্বত্যবাসী

ফুটপাতের দখলদারিত্ব বন্ধ হোক

হেমন্তের দূষণ ও বিষণœতা

পথ কুকুর-বিড়ালের প্রতি মানবিক হোন

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের এমআরআই মেশিন মেরামত করুন

শিশু শ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্তি কোথায়

বাধা যেখানে পথ সেখানেই

নাগরিক অধিকার আদায়ে সচেতনতা প্রয়োজন

ঐতিহ্যবাহী ওরশ মেলা

অযথা হর্ন বাজানো বন্ধ করুন

অপরিকল্পিত নগরায়ণের কবলে ঢাকা

তথ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ড্রোন প্রযুক্তির ভূমিকা

রাবিতে ফরম ফিলাপে ভোগান্তি

সাহিত্য সংস্কৃতি ও আমাদের প্রজন্ম

শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভীতি দূর হোক

tab

চিঠিপত্র

চাঁদাবাজি : নতুন সরকারের পুরোনো চ্যালেঞ্জ

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

২০২৪ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হয়। জনগণের দুর্বার আন্দোলনের ফলে ক্ষমতাসীন সরকারকে পদত্যাগ করতে হয়, যা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে এক বিশাল অর্জন হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানকে দেশব্যাপী উৎসাহ এবং আশার বাতিঘর হিসেবে দেখা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, যে চাঁদাবাজি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ রাস্তায় নেমেছিল তা এখনও দেশটিকে তার কালো ছায়ায় ঢেকে রেখেছে। চাঁদাবাজি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক জীবনে এক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। স্বাধীনতার পর থেকেই এ সমস্যা বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, এবং স্থানীয় গুন্ডারা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করে আসছে। এই চাঁদাবাজির ফলে ব্যবসায়ী এবং সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রা ক্রমাগত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। গণঅভ্যুত্থানের পর সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল যে, নতুন সরকার চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে এবং একটি স্বচ্ছ ও সুশাসিত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।

চাঁদাবাজির চক্র এখনও সক্রিয় রয়েছে এবং নানা অজুহাতে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে যাচ্ছে। এটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক ক্ষতি করে না, বরং সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা ব্যাহত করে। চাঁদাবাজির মূল কারণগুলির মধ্যে একটি হলো দুর্বল আইন প্রয়োগ এবং বিচার বিভাগের অকার্যকরতা। দেশে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আইন থাকলেও তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে দেখা যায় বিশাল ফাঁকফোকর। অনেক সময় চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ধরা হলেও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে অপরাধীদের রক্ষা করতে সক্ষম হয়। এছাড়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে কিছু অসাধু কর্মকর্তা চাঁদাবাজদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করে যা এই সমস্যা আরও জটিল করে তুলেছে।

চাঁদাবাজি একটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা, যা এক দিনে সমাধান সম্ভব নয়। কিন্তু সঠিক পদক্ষেপ এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। গণঅভ্যুত্থানের যে আশা এবং উদ্দীপনা জাতির মধ্যে জাগ্রত হয়েছিল, তা কাজে লাগিয়ে একটি স্বচ্ছ, সুশাসিত এবং চাঁদাবাজিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব এ কালো ছায়া থেকে দেশকে মুক্ত করা এবং একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হওয়া।

মোহাম্মদ আব্দুর রহমান

শিক্ষার্থী,

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

back to top