alt

চিঠিপত্র

শীতে শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যতেœর প্রয়োজন

: সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। হাড় হিম ঠান্ডা ও কুয়াশা জেঁকে বসেছে চারদিকে। শীতের এই সময়টাতে রোগবালাইয়ের প্রাদুর্ভাব অন্য সব মৌসুমের চেয়ে তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। হঠাৎ তাপমাত্রা এবং পরিবেশের আদ্রতার কমে যাওয়ার ফলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল হয়ে যায়। শীতে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের তুলনায় রোগাক্রান্তের সম্ভাবনা থাকে শিশু ও বয়স্ক মানুষদের।

বয়স্কদের রোধপ্রতিরোধ ক্ষমতা বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে দিন দিন কমে যায়, শরীর দুর্বল হয় এবং স্বাস্থ্য নষ্ট হয়। ফলে পরিবেশের তাপমাত্রা পরিবর্তনের সঙ্গে সহজেই খাপখাওয়াতে পারে না। শ্বাসকষ্টসহ ব্রঙ্কাইটিস প্রদাহ, পুরাতন বাত ব্যথা নতুন করে বেড়ে যাওয়া, জ্বর, সর্দিকাশি, এলার্জি সমস্যা, ত্বক শুষ্ক হওয়াসহ নানারকম সমস্যা এবং রোগ উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে বাচ্চাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সুগঠিত না হওয়ার শীতের ঠান্ডায় সহজেই জ্বর, সর্দি, কাশি বাঁধিয়ে ফেলে।

একটু সচেতন হলেই আমরা আমাদের পরিবারের বয়স্ক ও শিশুদের শীতের অসুখের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে পারি।

গাসল ও খাওয়ার জন্য গরম পানি ব্যবহার করা। গরম কাপড়চোপড় পড়া। রোদ উঠার পরে কিছু সময়ের জন্য শরীরে রোদ লাগানো, ঘর গরম রাখার ব্যবস্থা করা। পর্যাপ্ত পরিমান পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা। প্রয়োজন ব্যতীত বাইরের ঠান্ডায় শিশু ও বয়ষ্কদের নিয়ে বের না হওয়া এবং ঘরের মধ্যে অবস্থান করা। এ সময় ধুলাবালি বেশি থাকায় এলার্জি সমস্যা হতে পারে, তাই নিয়মিত বাসাবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। বর্তমানে ডেঙ্গু প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাসার টব এবং আশেপাশে পানি জমতে পারে এমন স্থান পরিষ্কার রাখা, মশা প্রতিরোধী

স্যান্ডেল ব্যবহার এবং রাতে এবং দিনে ঘুমানোর পূর্বে ভালোভাবে মশারী টানানো। তাছাড়া ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ঠান্ডা তাপমাত্রাও নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রাখতে পারে। এজন্য আরো বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করা।

পরিবারের সদস্য সুস্থ থাকলে আমরা মানসিক শান্তি পাই। চিন্তামুক্ত থাকতে পারি। শীতকে ঘিরে আমাদের ভালোবাসার স্পর্শই শিশু ও বয়স্কদের জন্য শীত উপভোগ্য হয়ে উঠবে নির্ভয়ে।

আহাম্মদ উল্লাহ

শিক্ষার্থী, গণিত বিভাগ, ঢাকা কলেজ।

চাঁদাবাজি : নতুন সরকারের পুরোনো চ্যালেঞ্জ

প্রাণী নির্যাতন বন্ধ করুন

ভর্তিতে লটারি, জীবনে অভিশাপ

গুজব একটি সামাজিক ব্যাধি

জলবায়ু পরিবর্তন : বাংলাদেশের বর্তমান সংকট ও অভিযোজনের চ্যালেঞ্জ।

গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল চাই

ফসলের জন্য বন্ধুপোকা

নকল প্রসাধনীতে স্বাস্থ্যঝুঁকি

ছাগলে চাটে বাঘের গাল

উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়তে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফার্মাসিস্ট

হল আবাসন আমার অধিকার

ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন

শব্দদূষণে অতিষ্ঠ শহরের জনজীবন

থার্টিফার্স্ট নাইট হোক স্বাভাবিক

বর্ষবরণে পরিবেশ দূষণ কাম্য নয়

লক্ষ্মীবাজার ও নারিন্দার রাস্তা শোচনীয়

প্রকৃতিকে বাঁচাতেই হবে

প্রাণীদের প্রতি সদয় হোন

সহকারী শিক্ষকরা কাদের সহকারী?

শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বাতিল করুন

স্বাস্থ্যসেবায় সংকট : রেফারেল ব্যবস্থার অভাব ও সমাধানের উপায়

রাস্তার পাশে বর্জ্য নিরসনে পদক্ষেপ চাই

স্বাস্থ্যসেবার সংকটে পার্বত্যবাসী

ফুটপাতের দখলদারিত্ব বন্ধ হোক

হেমন্তের দূষণ ও বিষণœতা

পথ কুকুর-বিড়ালের প্রতি মানবিক হোন

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের এমআরআই মেশিন মেরামত করুন

শিশু শ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্তি কোথায়

বাধা যেখানে পথ সেখানেই

নাগরিক অধিকার আদায়ে সচেতনতা প্রয়োজন

ঐতিহ্যবাহী ওরশ মেলা

অযথা হর্ন বাজানো বন্ধ করুন

অপরিকল্পিত নগরায়ণের কবলে ঢাকা

তথ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ড্রোন প্রযুক্তির ভূমিকা

রাবিতে ফরম ফিলাপে ভোগান্তি

সাহিত্য সংস্কৃতি ও আমাদের প্রজন্ম

tab

চিঠিপত্র

শীতে শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যতেœর প্রয়োজন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। হাড় হিম ঠান্ডা ও কুয়াশা জেঁকে বসেছে চারদিকে। শীতের এই সময়টাতে রোগবালাইয়ের প্রাদুর্ভাব অন্য সব মৌসুমের চেয়ে তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। হঠাৎ তাপমাত্রা এবং পরিবেশের আদ্রতার কমে যাওয়ার ফলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল হয়ে যায়। শীতে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের তুলনায় রোগাক্রান্তের সম্ভাবনা থাকে শিশু ও বয়স্ক মানুষদের।

বয়স্কদের রোধপ্রতিরোধ ক্ষমতা বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে দিন দিন কমে যায়, শরীর দুর্বল হয় এবং স্বাস্থ্য নষ্ট হয়। ফলে পরিবেশের তাপমাত্রা পরিবর্তনের সঙ্গে সহজেই খাপখাওয়াতে পারে না। শ্বাসকষ্টসহ ব্রঙ্কাইটিস প্রদাহ, পুরাতন বাত ব্যথা নতুন করে বেড়ে যাওয়া, জ্বর, সর্দিকাশি, এলার্জি সমস্যা, ত্বক শুষ্ক হওয়াসহ নানারকম সমস্যা এবং রোগ উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে বাচ্চাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সুগঠিত না হওয়ার শীতের ঠান্ডায় সহজেই জ্বর, সর্দি, কাশি বাঁধিয়ে ফেলে।

একটু সচেতন হলেই আমরা আমাদের পরিবারের বয়স্ক ও শিশুদের শীতের অসুখের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে পারি।

গাসল ও খাওয়ার জন্য গরম পানি ব্যবহার করা। গরম কাপড়চোপড় পড়া। রোদ উঠার পরে কিছু সময়ের জন্য শরীরে রোদ লাগানো, ঘর গরম রাখার ব্যবস্থা করা। পর্যাপ্ত পরিমান পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা। প্রয়োজন ব্যতীত বাইরের ঠান্ডায় শিশু ও বয়ষ্কদের নিয়ে বের না হওয়া এবং ঘরের মধ্যে অবস্থান করা। এ সময় ধুলাবালি বেশি থাকায় এলার্জি সমস্যা হতে পারে, তাই নিয়মিত বাসাবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। বর্তমানে ডেঙ্গু প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাসার টব এবং আশেপাশে পানি জমতে পারে এমন স্থান পরিষ্কার রাখা, মশা প্রতিরোধী

স্যান্ডেল ব্যবহার এবং রাতে এবং দিনে ঘুমানোর পূর্বে ভালোভাবে মশারী টানানো। তাছাড়া ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ঠান্ডা তাপমাত্রাও নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রাখতে পারে। এজন্য আরো বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করা।

পরিবারের সদস্য সুস্থ থাকলে আমরা মানসিক শান্তি পাই। চিন্তামুক্ত থাকতে পারি। শীতকে ঘিরে আমাদের ভালোবাসার স্পর্শই শিশু ও বয়স্কদের জন্য শীত উপভোগ্য হয়ে উঠবে নির্ভয়ে।

আহাম্মদ উল্লাহ

শিক্ষার্থী, গণিত বিভাগ, ঢাকা কলেজ।

back to top