alt

মতামত » চিঠিপত্র

জলাশয় রক্ষা করুন

: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র্য, কৃষি, পর্যটনসহ নানাক্ষেত্রে জলাশয় একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। পৃথিবীতে বিদ্যমান মাছের দুই তৃতীয়াংশ আসে এসব জলাশয় থেকে। জলাশয় বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি ধারণ করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করে। খাদ্য উৎপাদন, জলজ প্রাণীর বাসস্থান ও অতিথি পাখির আশ্রয়স্থল হিসেবেও জলাশয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তবে অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ, জলাশয় দখল করে অবৈধ স্থাপনাসহ বিভিন্ন কারণে এদেশের জলাশয়গুলো আজ বিপদের সম্মুখীন।

প্রাকৃতিক জলাভূমি সুরক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নদী, খাল ও প্রাকৃতিক জলাশয় দখল ও দূষণমুক্ত করে তা খনন করতে হবে। নদীর নাব্যতা বজায় রাখতে হলে নদীর সীমানা নির্ধারণ করে খননকাজ করতে হবে। জলাভূমি রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জলাশয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এগুলো পরিবেশকে শীতল রাখে।

জলাশয় দখল ও দূষণের খেসারত প্রতিনিয়তই দিতে হচ্ছে পরিবেশকে। অতীতে দেশে যেসব তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে তার পেছনে পর্যাপ্ত জলাশয় না থাকাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। গরমের সময় গরমের তীব্রতা বাড়ছে, শীতের সময় তাপমাত্রা কমছে। বর্ষায় পানি ধারণ করার মতো জলাশয়ের সংখ্যা কমছে ফলে প্লাবিত হচ্ছে বাসস্থান। শুষ্ক মৌসুমে দেখা দিচ্ছে সেচ কাজের জন্য তীব্র পানি সংকট। বন্যা মৌসুমে পানি ধারণ করা গেলে তা বর্ষা মৌসুমে পরিবেশের উপকারে আসে। তাই পরিবেশ অধিদপ্তরের উচিত দ্রুত এসব দখলকৃত খাল ও জলাশয়গুলো দখলমুক্ত করে সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করা।

নাফিজ-উর-রহমান

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

ইন্দো-প্যাসিফিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের সমুদ্রকৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

হেমন্ত আসে হিম কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে

জীবনের অভিধানে প্রবীণদের স্থান কোথায়?

tab

মতামত » চিঠিপত্র

জলাশয় রক্ষা করুন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র্য, কৃষি, পর্যটনসহ নানাক্ষেত্রে জলাশয় একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। পৃথিবীতে বিদ্যমান মাছের দুই তৃতীয়াংশ আসে এসব জলাশয় থেকে। জলাশয় বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি ধারণ করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করে। খাদ্য উৎপাদন, জলজ প্রাণীর বাসস্থান ও অতিথি পাখির আশ্রয়স্থল হিসেবেও জলাশয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তবে অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ, জলাশয় দখল করে অবৈধ স্থাপনাসহ বিভিন্ন কারণে এদেশের জলাশয়গুলো আজ বিপদের সম্মুখীন।

প্রাকৃতিক জলাভূমি সুরক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নদী, খাল ও প্রাকৃতিক জলাশয় দখল ও দূষণমুক্ত করে তা খনন করতে হবে। নদীর নাব্যতা বজায় রাখতে হলে নদীর সীমানা নির্ধারণ করে খননকাজ করতে হবে। জলাভূমি রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জলাশয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এগুলো পরিবেশকে শীতল রাখে।

জলাশয় দখল ও দূষণের খেসারত প্রতিনিয়তই দিতে হচ্ছে পরিবেশকে। অতীতে দেশে যেসব তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে তার পেছনে পর্যাপ্ত জলাশয় না থাকাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। গরমের সময় গরমের তীব্রতা বাড়ছে, শীতের সময় তাপমাত্রা কমছে। বর্ষায় পানি ধারণ করার মতো জলাশয়ের সংখ্যা কমছে ফলে প্লাবিত হচ্ছে বাসস্থান। শুষ্ক মৌসুমে দেখা দিচ্ছে সেচ কাজের জন্য তীব্র পানি সংকট। বন্যা মৌসুমে পানি ধারণ করা গেলে তা বর্ষা মৌসুমে পরিবেশের উপকারে আসে। তাই পরিবেশ অধিদপ্তরের উচিত দ্রুত এসব দখলকৃত খাল ও জলাশয়গুলো দখলমুক্ত করে সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করা।

নাফিজ-উর-রহমান

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।

back to top