মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র্য, কৃষি, পর্যটনসহ নানাক্ষেত্রে জলাশয় একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। পৃথিবীতে বিদ্যমান মাছের দুই তৃতীয়াংশ আসে এসব জলাশয় থেকে। জলাশয় বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি ধারণ করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করে। খাদ্য উৎপাদন, জলজ প্রাণীর বাসস্থান ও অতিথি পাখির আশ্রয়স্থল হিসেবেও জলাশয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তবে অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ, জলাশয় দখল করে অবৈধ স্থাপনাসহ বিভিন্ন কারণে এদেশের জলাশয়গুলো আজ বিপদের সম্মুখীন।
প্রাকৃতিক জলাভূমি সুরক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নদী, খাল ও প্রাকৃতিক জলাশয় দখল ও দূষণমুক্ত করে তা খনন করতে হবে। নদীর নাব্যতা বজায় রাখতে হলে নদীর সীমানা নির্ধারণ করে খননকাজ করতে হবে। জলাভূমি রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জলাশয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এগুলো পরিবেশকে শীতল রাখে।
জলাশয় দখল ও দূষণের খেসারত প্রতিনিয়তই দিতে হচ্ছে পরিবেশকে। অতীতে দেশে যেসব তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে তার পেছনে পর্যাপ্ত জলাশয় না থাকাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। গরমের সময় গরমের তীব্রতা বাড়ছে, শীতের সময় তাপমাত্রা কমছে। বর্ষায় পানি ধারণ করার মতো জলাশয়ের সংখ্যা কমছে ফলে প্লাবিত হচ্ছে বাসস্থান। শুষ্ক মৌসুমে দেখা দিচ্ছে সেচ কাজের জন্য তীব্র পানি সংকট। বন্যা মৌসুমে পানি ধারণ করা গেলে তা বর্ষা মৌসুমে পরিবেশের উপকারে আসে। তাই পরিবেশ অধিদপ্তরের উচিত দ্রুত এসব দখলকৃত খাল ও জলাশয়গুলো দখলমুক্ত করে সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করা।
নাফিজ-উর-রহমান
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র্য, কৃষি, পর্যটনসহ নানাক্ষেত্রে জলাশয় একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। পৃথিবীতে বিদ্যমান মাছের দুই তৃতীয়াংশ আসে এসব জলাশয় থেকে। জলাশয় বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি ধারণ করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করে। খাদ্য উৎপাদন, জলজ প্রাণীর বাসস্থান ও অতিথি পাখির আশ্রয়স্থল হিসেবেও জলাশয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তবে অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ, জলাশয় দখল করে অবৈধ স্থাপনাসহ বিভিন্ন কারণে এদেশের জলাশয়গুলো আজ বিপদের সম্মুখীন।
প্রাকৃতিক জলাভূমি সুরক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নদী, খাল ও প্রাকৃতিক জলাশয় দখল ও দূষণমুক্ত করে তা খনন করতে হবে। নদীর নাব্যতা বজায় রাখতে হলে নদীর সীমানা নির্ধারণ করে খননকাজ করতে হবে। জলাভূমি রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জলাশয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এগুলো পরিবেশকে শীতল রাখে।
জলাশয় দখল ও দূষণের খেসারত প্রতিনিয়তই দিতে হচ্ছে পরিবেশকে। অতীতে দেশে যেসব তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে তার পেছনে পর্যাপ্ত জলাশয় না থাকাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। গরমের সময় গরমের তীব্রতা বাড়ছে, শীতের সময় তাপমাত্রা কমছে। বর্ষায় পানি ধারণ করার মতো জলাশয়ের সংখ্যা কমছে ফলে প্লাবিত হচ্ছে বাসস্থান। শুষ্ক মৌসুমে দেখা দিচ্ছে সেচ কাজের জন্য তীব্র পানি সংকট। বন্যা মৌসুমে পানি ধারণ করা গেলে তা বর্ষা মৌসুমে পরিবেশের উপকারে আসে। তাই পরিবেশ অধিদপ্তরের উচিত দ্রুত এসব দখলকৃত খাল ও জলাশয়গুলো দখলমুক্ত করে সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করা।
নাফিজ-উর-রহমান
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।