মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত মুঘল আমলের ঐতিহাসিক পানাম সেতু আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। পানাম সেতু শুধু একটি স্থাপত্যকীর্তি নয়, এটি আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জীবন্ত সাক্ষী। এই সেতু রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া না হলে আমরা আমাদের অতীতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হারাব। সোনারগাঁয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রতœসম্পদ সংরক্ষণ কমিটির আয়োজনে এক মানববন্ধনে সেতু রক্ষার দাবি তোলা হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
পানাম নগরী এবং এর পাশে অবস্থিত পঙ্খীরাজ খালের ওপর নির্মিত পানাম সেতু মুঘল স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন। কিন্তু অযতœ, অবহেলা এবং সংরক্ষণের অভাবে আজ এই সেতু জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। বিগত দিনে প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে পানামনগরীর প্রবেশমুখের একটি ঐতিহাসিক সেতু ইতোমধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে টিকে থাকা সেতুটিও একই পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মানববন্ধনে বক্তারা যথার্থই প্রশ্ন তুলেছেন, আমরা কেন আমাদের ঐতিহ্য রক্ষায় এত উদাসীন?
পানাম সেতু রক্ষা শুধু একটি স্থাপত্যকীর্তি সংরক্ষণের বিষয় নয়, এটি আমাদের জাতীয় পরিচয় ও গৌরবের প্রশ্ন। এই সেতু সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা আমাদের ইতিহাসকে জীবন্ত রাখতে পারব এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরতে পারব। এছাড়াও, পানাম সেতু ও সোনারগাঁয়ের ঐতিহাসিক স্থানগুলো পর্যটন শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এটি স্থানীয় অর্থনীতিরও একটি বড় উৎস হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত পানাম সেতু সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। একই সঙ্গে, সোনারগাঁয়ের অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রতœসম্পদ রক্ষায়ও সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। প্রতœতাত্ত্বিক স্থানগুলো সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত মুঘল আমলের ঐতিহাসিক পানাম সেতু আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। পানাম সেতু শুধু একটি স্থাপত্যকীর্তি নয়, এটি আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জীবন্ত সাক্ষী। এই সেতু রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া না হলে আমরা আমাদের অতীতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হারাব। সোনারগাঁয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রতœসম্পদ সংরক্ষণ কমিটির আয়োজনে এক মানববন্ধনে সেতু রক্ষার দাবি তোলা হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
পানাম নগরী এবং এর পাশে অবস্থিত পঙ্খীরাজ খালের ওপর নির্মিত পানাম সেতু মুঘল স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন। কিন্তু অযতœ, অবহেলা এবং সংরক্ষণের অভাবে আজ এই সেতু জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। বিগত দিনে প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে পানামনগরীর প্রবেশমুখের একটি ঐতিহাসিক সেতু ইতোমধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে টিকে থাকা সেতুটিও একই পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মানববন্ধনে বক্তারা যথার্থই প্রশ্ন তুলেছেন, আমরা কেন আমাদের ঐতিহ্য রক্ষায় এত উদাসীন?
পানাম সেতু রক্ষা শুধু একটি স্থাপত্যকীর্তি সংরক্ষণের বিষয় নয়, এটি আমাদের জাতীয় পরিচয় ও গৌরবের প্রশ্ন। এই সেতু সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা আমাদের ইতিহাসকে জীবন্ত রাখতে পারব এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরতে পারব। এছাড়াও, পানাম সেতু ও সোনারগাঁয়ের ঐতিহাসিক স্থানগুলো পর্যটন শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এটি স্থানীয় অর্থনীতিরও একটি বড় উৎস হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত পানাম সেতু সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। একই সঙ্গে, সোনারগাঁয়ের অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রতœসম্পদ রক্ষায়ও সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। প্রতœতাত্ত্বিক স্থানগুলো সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।