alt

মতামত » চিঠিপত্র

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

: সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

কৃষি আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম শিল্প। গ্রাম-বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষির টানাপোড়েন নিয়ে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে। কৃষির চাষবাস যেন নীলচাষের মতো কৃষকদের দিনকে দিন অনাগ্রহী করে তুলছে। তাইতো কৃষকের গল্পে নেই কোনো রস আছে শুধু শোকগাথার স্তবক। কৃষিকাজে বিপুল সংখ্যক শ্রমমুখী মানুষের প্রয়োজন হয়। জনশক্তি ছাড়া কৃষিকাজ পুরোপুরিভাবে সমাধান করা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের দেশে এখন অবধি কৃষিকাজ আধুনিক যন্ত্রপাতি নির্ভরশীল হতে পারেনি। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার মতো আর্থিক শক্তি সামর্থ্য ও আমাদের বেশিরভাগ কৃষকেরই নেই। তবে গ্রামের মানুষ যেহেতু সরাসরি কৃষির সাথে সম্পৃক্ত তাতে কৃষকের উত্তরণের পথও একটি।

কৃষির বিকল্প হিসেবে অনেকেই এখন মাছ চাষ, চিংড়ি চাষ, পোলট্রি ফার্ম, গরু পালন ইত্যাদি শুরু করছেন। যুব উন্নয়নের উদ্যোক্তার প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই অনেকভাবে কৃষিকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কৃষিতে বিনিয়োগ করতে আর্থিকভাবে লস প্রজেক্টের সম্মুখীন করছে। এতে দিনমজুর সংকটে পড়ছে বড় বড় গৃহস্থ কৃষক। এক প্রকার বাধ্য হয়েই তাই সরে আসতে হচ্ছে কৃষি থেকে আর এতে ঝুঁকির মুখে পড়ছে দেশের কৃষি শিল্প। বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতির বৃহৎ পরিমাণ লাভের সম্ভাবনা তৈরি হয় এই প্রান্তিক কৃষকদের পরিশ্রমের নিমিত্তে।

কিন্তু বর্তমান সময়ে কৃষকদের দুর্দশা ও অবহেলার বিরুদ্ধে সরকারের কোনো জোরালো প্রচেষ্টা-পদক্ষেপ ও বাড়তি নজর না থাকায় কৃষি-কর্মের লাগাম টানতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক কৃষক। দেশের সবচেয়ে অবহেলিত ও নিপীড়িত সেক্টরের মধ্যে কৃষি এখন অন্যতম। দরিদ্র ও নিরক্ষর এসব মানুষের ঘাম ঝরা পারিশ্রমিকের মূল্য থেকে যায় অধরা। অপরদিকে সিন্ডিকেটের মধ্যমণিতে ফুলে ফেঁপে উঠে রাষ্ট্রীয় কোষাগার। বাংলাদেশের কৃষিখাতকে সচলভাবে বাঁচিয়ে রাখতে কৃষকদের পাশে দাঁড়ান প্রতিবাদ করুন।

ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়

নওগাঁ

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

ইন্দো-প্যাসিফিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের সমুদ্রকৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

হেমন্ত আসে হিম কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে

জীবনের অভিধানে প্রবীণদের স্থান কোথায়?

tab

মতামত » চিঠিপত্র

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কৃষি আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম শিল্প। গ্রাম-বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষির টানাপোড়েন নিয়ে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে। কৃষির চাষবাস যেন নীলচাষের মতো কৃষকদের দিনকে দিন অনাগ্রহী করে তুলছে। তাইতো কৃষকের গল্পে নেই কোনো রস আছে শুধু শোকগাথার স্তবক। কৃষিকাজে বিপুল সংখ্যক শ্রমমুখী মানুষের প্রয়োজন হয়। জনশক্তি ছাড়া কৃষিকাজ পুরোপুরিভাবে সমাধান করা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের দেশে এখন অবধি কৃষিকাজ আধুনিক যন্ত্রপাতি নির্ভরশীল হতে পারেনি। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার মতো আর্থিক শক্তি সামর্থ্য ও আমাদের বেশিরভাগ কৃষকেরই নেই। তবে গ্রামের মানুষ যেহেতু সরাসরি কৃষির সাথে সম্পৃক্ত তাতে কৃষকের উত্তরণের পথও একটি।

কৃষির বিকল্প হিসেবে অনেকেই এখন মাছ চাষ, চিংড়ি চাষ, পোলট্রি ফার্ম, গরু পালন ইত্যাদি শুরু করছেন। যুব উন্নয়নের উদ্যোক্তার প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই অনেকভাবে কৃষিকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কৃষিতে বিনিয়োগ করতে আর্থিকভাবে লস প্রজেক্টের সম্মুখীন করছে। এতে দিনমজুর সংকটে পড়ছে বড় বড় গৃহস্থ কৃষক। এক প্রকার বাধ্য হয়েই তাই সরে আসতে হচ্ছে কৃষি থেকে আর এতে ঝুঁকির মুখে পড়ছে দেশের কৃষি শিল্প। বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতির বৃহৎ পরিমাণ লাভের সম্ভাবনা তৈরি হয় এই প্রান্তিক কৃষকদের পরিশ্রমের নিমিত্তে।

কিন্তু বর্তমান সময়ে কৃষকদের দুর্দশা ও অবহেলার বিরুদ্ধে সরকারের কোনো জোরালো প্রচেষ্টা-পদক্ষেপ ও বাড়তি নজর না থাকায় কৃষি-কর্মের লাগাম টানতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক কৃষক। দেশের সবচেয়ে অবহেলিত ও নিপীড়িত সেক্টরের মধ্যে কৃষি এখন অন্যতম। দরিদ্র ও নিরক্ষর এসব মানুষের ঘাম ঝরা পারিশ্রমিকের মূল্য থেকে যায় অধরা। অপরদিকে সিন্ডিকেটের মধ্যমণিতে ফুলে ফেঁপে উঠে রাষ্ট্রীয় কোষাগার। বাংলাদেশের কৃষিখাতকে সচলভাবে বাঁচিয়ে রাখতে কৃষকদের পাশে দাঁড়ান প্রতিবাদ করুন।

ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়

নওগাঁ

back to top