মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
কৃষি আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম শিল্প। গ্রাম-বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষির টানাপোড়েন নিয়ে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে। কৃষির চাষবাস যেন নীলচাষের মতো কৃষকদের দিনকে দিন অনাগ্রহী করে তুলছে। তাইতো কৃষকের গল্পে নেই কোনো রস আছে শুধু শোকগাথার স্তবক। কৃষিকাজে বিপুল সংখ্যক শ্রমমুখী মানুষের প্রয়োজন হয়। জনশক্তি ছাড়া কৃষিকাজ পুরোপুরিভাবে সমাধান করা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের দেশে এখন অবধি কৃষিকাজ আধুনিক যন্ত্রপাতি নির্ভরশীল হতে পারেনি। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার মতো আর্থিক শক্তি সামর্থ্য ও আমাদের বেশিরভাগ কৃষকেরই নেই। তবে গ্রামের মানুষ যেহেতু সরাসরি কৃষির সাথে সম্পৃক্ত তাতে কৃষকের উত্তরণের পথও একটি।
কৃষির বিকল্প হিসেবে অনেকেই এখন মাছ চাষ, চিংড়ি চাষ, পোলট্রি ফার্ম, গরু পালন ইত্যাদি শুরু করছেন। যুব উন্নয়নের উদ্যোক্তার প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই অনেকভাবে কৃষিকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কৃষিতে বিনিয়োগ করতে আর্থিকভাবে লস প্রজেক্টের সম্মুখীন করছে। এতে দিনমজুর সংকটে পড়ছে বড় বড় গৃহস্থ কৃষক। এক প্রকার বাধ্য হয়েই তাই সরে আসতে হচ্ছে কৃষি থেকে আর এতে ঝুঁকির মুখে পড়ছে দেশের কৃষি শিল্প। বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতির বৃহৎ পরিমাণ লাভের সম্ভাবনা তৈরি হয় এই প্রান্তিক কৃষকদের পরিশ্রমের নিমিত্তে।
কিন্তু বর্তমান সময়ে কৃষকদের দুর্দশা ও অবহেলার বিরুদ্ধে সরকারের কোনো জোরালো প্রচেষ্টা-পদক্ষেপ ও বাড়তি নজর না থাকায় কৃষি-কর্মের লাগাম টানতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক কৃষক। দেশের সবচেয়ে অবহেলিত ও নিপীড়িত সেক্টরের মধ্যে কৃষি এখন অন্যতম। দরিদ্র ও নিরক্ষর এসব মানুষের ঘাম ঝরা পারিশ্রমিকের মূল্য থেকে যায় অধরা। অপরদিকে সিন্ডিকেটের মধ্যমণিতে ফুলে ফেঁপে উঠে রাষ্ট্রীয় কোষাগার। বাংলাদেশের কৃষিখাতকে সচলভাবে বাঁচিয়ে রাখতে কৃষকদের পাশে দাঁড়ান প্রতিবাদ করুন।
ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়
নওগাঁ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
কৃষি আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম শিল্প। গ্রাম-বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষির টানাপোড়েন নিয়ে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে। কৃষির চাষবাস যেন নীলচাষের মতো কৃষকদের দিনকে দিন অনাগ্রহী করে তুলছে। তাইতো কৃষকের গল্পে নেই কোনো রস আছে শুধু শোকগাথার স্তবক। কৃষিকাজে বিপুল সংখ্যক শ্রমমুখী মানুষের প্রয়োজন হয়। জনশক্তি ছাড়া কৃষিকাজ পুরোপুরিভাবে সমাধান করা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের দেশে এখন অবধি কৃষিকাজ আধুনিক যন্ত্রপাতি নির্ভরশীল হতে পারেনি। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার মতো আর্থিক শক্তি সামর্থ্য ও আমাদের বেশিরভাগ কৃষকেরই নেই। তবে গ্রামের মানুষ যেহেতু সরাসরি কৃষির সাথে সম্পৃক্ত তাতে কৃষকের উত্তরণের পথও একটি।
কৃষির বিকল্প হিসেবে অনেকেই এখন মাছ চাষ, চিংড়ি চাষ, পোলট্রি ফার্ম, গরু পালন ইত্যাদি শুরু করছেন। যুব উন্নয়নের উদ্যোক্তার প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই অনেকভাবে কৃষিকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কৃষিতে বিনিয়োগ করতে আর্থিকভাবে লস প্রজেক্টের সম্মুখীন করছে। এতে দিনমজুর সংকটে পড়ছে বড় বড় গৃহস্থ কৃষক। এক প্রকার বাধ্য হয়েই তাই সরে আসতে হচ্ছে কৃষি থেকে আর এতে ঝুঁকির মুখে পড়ছে দেশের কৃষি শিল্প। বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতির বৃহৎ পরিমাণ লাভের সম্ভাবনা তৈরি হয় এই প্রান্তিক কৃষকদের পরিশ্রমের নিমিত্তে।
কিন্তু বর্তমান সময়ে কৃষকদের দুর্দশা ও অবহেলার বিরুদ্ধে সরকারের কোনো জোরালো প্রচেষ্টা-পদক্ষেপ ও বাড়তি নজর না থাকায় কৃষি-কর্মের লাগাম টানতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক কৃষক। দেশের সবচেয়ে অবহেলিত ও নিপীড়িত সেক্টরের মধ্যে কৃষি এখন অন্যতম। দরিদ্র ও নিরক্ষর এসব মানুষের ঘাম ঝরা পারিশ্রমিকের মূল্য থেকে যায় অধরা। অপরদিকে সিন্ডিকেটের মধ্যমণিতে ফুলে ফেঁপে উঠে রাষ্ট্রীয় কোষাগার। বাংলাদেশের কৃষিখাতকে সচলভাবে বাঁচিয়ে রাখতে কৃষকদের পাশে দাঁড়ান প্রতিবাদ করুন।
ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়
নওগাঁ