মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বর্তমানে বাংলাদেশের রেলওয়েতে দুর্নীতি এক গুরুতর সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষত স্বল্প পাল্লার যাত্রীরা ট্রেনের অভ্যন্তরে টিকেট কাটার প্রবণতা দেখালেও এই ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে টিটিদের সহযোগীদের মাধ্যমে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। যেসব যাত্রী টিকিট ছাড়া ট্রেনে উঠেন, তাদের থেকে বৈধ টিকেট ইস্যু না করেই নগদ অর্থ আদায় করে তা টিটির সঙ্গে ভাগাভাগি করা হচ্ছে। এতে রেলের রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীদের অধিকারও ক্ষুণœ হচ্ছে।
এই দুর্নীতির ফলে রেলওয়ের সেবার মান কমে যাচ্ছে এবং মানুষের আস্থা নষ্ট হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতার অভাব ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতাই এ সমস্যার মূল কারণ। তদারকির অভাবে টিটিদের সহযোগীদের এমন অনৈতিক কর্মকা- চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতি প্রতিকারে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। প্রথমত, ট্রেনে ইলেকট্রনিক টিকিটিং ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা উচিত। এটি যাত্রীদের টিকিট কাটার প্রক্রিয়াকে সহজ করবে এবং দুর্নীতির সুযোগ কমাবে। দ্বিতীয়ত, টিটি ও তাদের সহযোগীদের কার্যক্রম মনিটরিং করতে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং গোপন পর্যবেক্ষণ দল গঠন করা জরুরি। তৃতীয়ত, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করে রেলের প্রশাসনিক শৃঙ্খলা পুনঃস্থাপন করা প্রয়োজন।
দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ রেলওয়ে ব্যবস্থাই দেশের পরিবহন খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। তাই এই সমস্যার সমাধানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
মিজানুর রহমান
ইংরেজি বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বর্তমানে বাংলাদেশের রেলওয়েতে দুর্নীতি এক গুরুতর সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষত স্বল্প পাল্লার যাত্রীরা ট্রেনের অভ্যন্তরে টিকেট কাটার প্রবণতা দেখালেও এই ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে টিটিদের সহযোগীদের মাধ্যমে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। যেসব যাত্রী টিকিট ছাড়া ট্রেনে উঠেন, তাদের থেকে বৈধ টিকেট ইস্যু না করেই নগদ অর্থ আদায় করে তা টিটির সঙ্গে ভাগাভাগি করা হচ্ছে। এতে রেলের রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীদের অধিকারও ক্ষুণœ হচ্ছে।
এই দুর্নীতির ফলে রেলওয়ের সেবার মান কমে যাচ্ছে এবং মানুষের আস্থা নষ্ট হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতার অভাব ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতাই এ সমস্যার মূল কারণ। তদারকির অভাবে টিটিদের সহযোগীদের এমন অনৈতিক কর্মকা- চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতি প্রতিকারে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। প্রথমত, ট্রেনে ইলেকট্রনিক টিকিটিং ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা উচিত। এটি যাত্রীদের টিকিট কাটার প্রক্রিয়াকে সহজ করবে এবং দুর্নীতির সুযোগ কমাবে। দ্বিতীয়ত, টিটি ও তাদের সহযোগীদের কার্যক্রম মনিটরিং করতে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং গোপন পর্যবেক্ষণ দল গঠন করা জরুরি। তৃতীয়ত, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করে রেলের প্রশাসনিক শৃঙ্খলা পুনঃস্থাপন করা প্রয়োজন।
দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ রেলওয়ে ব্যবস্থাই দেশের পরিবহন খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। তাই এই সমস্যার সমাধানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
মিজানুর রহমান
ইংরেজি বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া