alt

মতামত » চিঠিপত্র

রেলে দুর্নীতি

: শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বর্তমানে বাংলাদেশের রেলওয়েতে দুর্নীতি এক গুরুতর সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষত স্বল্প পাল্লার যাত্রীরা ট্রেনের অভ্যন্তরে টিকেট কাটার প্রবণতা দেখালেও এই ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে টিটিদের সহযোগীদের মাধ্যমে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। যেসব যাত্রী টিকিট ছাড়া ট্রেনে উঠেন, তাদের থেকে বৈধ টিকেট ইস্যু না করেই নগদ অর্থ আদায় করে তা টিটির সঙ্গে ভাগাভাগি করা হচ্ছে। এতে রেলের রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীদের অধিকারও ক্ষুণœ হচ্ছে।

এই দুর্নীতির ফলে রেলওয়ের সেবার মান কমে যাচ্ছে এবং মানুষের আস্থা নষ্ট হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতার অভাব ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতাই এ সমস্যার মূল কারণ। তদারকির অভাবে টিটিদের সহযোগীদের এমন অনৈতিক কর্মকা- চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতি প্রতিকারে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। প্রথমত, ট্রেনে ইলেকট্রনিক টিকিটিং ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা উচিত। এটি যাত্রীদের টিকিট কাটার প্রক্রিয়াকে সহজ করবে এবং দুর্নীতির সুযোগ কমাবে। দ্বিতীয়ত, টিটি ও তাদের সহযোগীদের কার্যক্রম মনিটরিং করতে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং গোপন পর্যবেক্ষণ দল গঠন করা জরুরি। তৃতীয়ত, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করে রেলের প্রশাসনিক শৃঙ্খলা পুনঃস্থাপন করা প্রয়োজন।

দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ রেলওয়ে ব্যবস্থাই দেশের পরিবহন খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। তাই এই সমস্যার সমাধানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

মিজানুর রহমান

ইংরেজি বিভাগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

ইন্দো-প্যাসিফিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের সমুদ্রকৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

হেমন্ত আসে হিম কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে

জীবনের অভিধানে প্রবীণদের স্থান কোথায়?

tab

মতামত » চিঠিপত্র

রেলে দুর্নীতি

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বর্তমানে বাংলাদেশের রেলওয়েতে দুর্নীতি এক গুরুতর সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষত স্বল্প পাল্লার যাত্রীরা ট্রেনের অভ্যন্তরে টিকেট কাটার প্রবণতা দেখালেও এই ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে টিটিদের সহযোগীদের মাধ্যমে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। যেসব যাত্রী টিকিট ছাড়া ট্রেনে উঠেন, তাদের থেকে বৈধ টিকেট ইস্যু না করেই নগদ অর্থ আদায় করে তা টিটির সঙ্গে ভাগাভাগি করা হচ্ছে। এতে রেলের রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীদের অধিকারও ক্ষুণœ হচ্ছে।

এই দুর্নীতির ফলে রেলওয়ের সেবার মান কমে যাচ্ছে এবং মানুষের আস্থা নষ্ট হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতার অভাব ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতাই এ সমস্যার মূল কারণ। তদারকির অভাবে টিটিদের সহযোগীদের এমন অনৈতিক কর্মকা- চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতি প্রতিকারে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। প্রথমত, ট্রেনে ইলেকট্রনিক টিকিটিং ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা উচিত। এটি যাত্রীদের টিকিট কাটার প্রক্রিয়াকে সহজ করবে এবং দুর্নীতির সুযোগ কমাবে। দ্বিতীয়ত, টিটি ও তাদের সহযোগীদের কার্যক্রম মনিটরিং করতে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং গোপন পর্যবেক্ষণ দল গঠন করা জরুরি। তৃতীয়ত, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করে রেলের প্রশাসনিক শৃঙ্খলা পুনঃস্থাপন করা প্রয়োজন।

দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ রেলওয়ে ব্যবস্থাই দেশের পরিবহন খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। তাই এই সমস্যার সমাধানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

মিজানুর রহমান

ইংরেজি বিভাগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

back to top