alt

মতামত » চিঠিপত্র

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

নেই কলেজ বাস, নেই ছাত্রদের আবাসিক হল, নেই কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে পড়ার পরিবেশ। বলছি ছোট যমুনার কোল ঘেঁষে শিক্ষার আলো জ্বালানোর এক দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নওগাঁ সরকারি কলেজের কথা। উত্তর বঙ্গের দিত্বীয় বৃহত্তম জেলা নওগাঁ। এগারোটি উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ জেলা। যার মধ্যে তুলনামূলক ভাবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ১৯৬১ সালে গঠিত হওয়া নওগাঁ সরকারি কলেজ। এখানে ইন্টারমিডিয়েট, অনার্স কোর্স, ডিগ্রি কোর্স, এবং প্রফেশনাল কোর্স চালু আছে।

নওগাঁর এগারোটি উপজেলা ছাড়া ও আশপাশের জেলা থেকে এখানে মোট বিশ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। দিনের আলো ফুটতে শুরু হলেই শিক্ষক, ছাত্র, কর্মচারীদের পদচারণায় মেতে থাকে সবুজে ঘেরা এগারো একর ক্যাম্পাস। উত্তর বঙ্গ বরাবরই কৃষি অঞ্চল। এখানে কৃষিজীবী মানুষের সংখ্যা সবথেকে বেশি। কাজেই এখানে দরিদ্র মানুষের হার ও বেশি। এই পরিবার থেকে পড়াশোনার খরচ টানা টা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। তার মধ্যে কলেজে দুটি ছাত্রীদের হল থাকলে ও বর্তমানে নেই কোনো ছাত্রদের আবাসিক হল। কাজেই কলেজের আশেপাশে মেসগুলোতে থাকার একমাত্র ভরসা হয়ে উঠে শিক্ষার্থীদের। এইসব মেস গুলো তে রীতিমতো ভাড়া বেশি এবং এখানে মেস মালিক’রা প্রতিবছরই ভাড়া বাড়িয়ে একরকম বানিজ্য করে থাকেন। এতে শিক্ষার্থীদের আরও খরচ বেড়ে যায়।

অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক সমস্যার কারণে পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে চলে যান ঢাকায় কাজের খোঁজে, কেউ আবার গ্রামে গিয়ে কৃষি চাষবাস করেন।

আর টিউশন খুব দুষ্প্রাপ্য এখানে। শিক্ষার্থীদের পার্ট টাইম আয়ের কোনো সুযোগ এখানে নেই।

এছাড়া কলেজ থেকে শহরে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্ভর করতে হয় ব্যাটারিচালিত অটো কিংবা ব্যাটারি চালিত রিকশার উপর। যাওয়া আসায় ব্যাপক অর্থ খরচ সেখানে ও হয়। কারণ নওগাঁ সরকারি কলেজে কলেজবাস নেই চৌষট্টি বছর ধরে। প্রশাসন এটা নিয়ে কি ভাবে আমরা জানি না। তবে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করে এটা নিয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত।

শুধু কি তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়ার বাহিরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে পড়ার পরিবেশ কে খুঁজে পায় না বহুদিন ধরে। কয়েকবছর আগে একটি রিডিং রুম সৎকার করা হলে কিছুদিন পর তা কখনো ইনডোর গেমের সরঞ্জাম, কখনো বা ভাঙা বেঞ্চ, টেবিল নিয়ে গিয়ে রেখে তা স্টোর রুমের শোভা পেয়েছে। তবে কলেজ প্রশাসনের একটু তৎপরতায় বিষয় গুলো স্বাভাবিক হতে পারে এ নিয়ে আমরা আশাবাদী। আমরা তাই নওগাঁ কলেজ প্রশাসনের নিকট শুধু বলতে চাই আমাদের এই সমস্যা গুলো নিরসনে আপনাদের পদক্ষেপ নিলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বরই উপকৃত হই এবং আমাদের শিক্ষা অর্জনের কতিপয় সুবিধা গুলো ফিরিয়ে দিলে আমাদের ফিউচার প্ল্যান আরো দৃঢ় হবে বলে আমরা প্রবল আশাবাদী। এতে আমরা এগিয়ে থাকব অনেকাংশে।

ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়

শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ, নওগাঁ।

ধর্মের নামে বর্বরতা

টেকসই শহরের একান্ত প্রয়োজন

সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি

সুন্দরবনের বাঘ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

সমুদ্রগবেষণায় পশ্চাৎপদতা মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলছে

কিশোর গ্যাং–সংস্কৃতি: সমাজের জন্য বাড়তে থাকা অশনি সংকেত

ডিগ্রি হাতে, চাকরি স্বপ্নে: শিক্ষিত বেকারদের মানসিক ক্ষয়

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

tab

মতামত » চিঠিপত্র

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নেই কলেজ বাস, নেই ছাত্রদের আবাসিক হল, নেই কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে পড়ার পরিবেশ। বলছি ছোট যমুনার কোল ঘেঁষে শিক্ষার আলো জ্বালানোর এক দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নওগাঁ সরকারি কলেজের কথা। উত্তর বঙ্গের দিত্বীয় বৃহত্তম জেলা নওগাঁ। এগারোটি উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ জেলা। যার মধ্যে তুলনামূলক ভাবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ১৯৬১ সালে গঠিত হওয়া নওগাঁ সরকারি কলেজ। এখানে ইন্টারমিডিয়েট, অনার্স কোর্স, ডিগ্রি কোর্স, এবং প্রফেশনাল কোর্স চালু আছে।

নওগাঁর এগারোটি উপজেলা ছাড়া ও আশপাশের জেলা থেকে এখানে মোট বিশ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। দিনের আলো ফুটতে শুরু হলেই শিক্ষক, ছাত্র, কর্মচারীদের পদচারণায় মেতে থাকে সবুজে ঘেরা এগারো একর ক্যাম্পাস। উত্তর বঙ্গ বরাবরই কৃষি অঞ্চল। এখানে কৃষিজীবী মানুষের সংখ্যা সবথেকে বেশি। কাজেই এখানে দরিদ্র মানুষের হার ও বেশি। এই পরিবার থেকে পড়াশোনার খরচ টানা টা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। তার মধ্যে কলেজে দুটি ছাত্রীদের হল থাকলে ও বর্তমানে নেই কোনো ছাত্রদের আবাসিক হল। কাজেই কলেজের আশেপাশে মেসগুলোতে থাকার একমাত্র ভরসা হয়ে উঠে শিক্ষার্থীদের। এইসব মেস গুলো তে রীতিমতো ভাড়া বেশি এবং এখানে মেস মালিক’রা প্রতিবছরই ভাড়া বাড়িয়ে একরকম বানিজ্য করে থাকেন। এতে শিক্ষার্থীদের আরও খরচ বেড়ে যায়।

অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক সমস্যার কারণে পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে চলে যান ঢাকায় কাজের খোঁজে, কেউ আবার গ্রামে গিয়ে কৃষি চাষবাস করেন।

আর টিউশন খুব দুষ্প্রাপ্য এখানে। শিক্ষার্থীদের পার্ট টাইম আয়ের কোনো সুযোগ এখানে নেই।

এছাড়া কলেজ থেকে শহরে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্ভর করতে হয় ব্যাটারিচালিত অটো কিংবা ব্যাটারি চালিত রিকশার উপর। যাওয়া আসায় ব্যাপক অর্থ খরচ সেখানে ও হয়। কারণ নওগাঁ সরকারি কলেজে কলেজবাস নেই চৌষট্টি বছর ধরে। প্রশাসন এটা নিয়ে কি ভাবে আমরা জানি না। তবে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করে এটা নিয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত।

শুধু কি তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়ার বাহিরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে পড়ার পরিবেশ কে খুঁজে পায় না বহুদিন ধরে। কয়েকবছর আগে একটি রিডিং রুম সৎকার করা হলে কিছুদিন পর তা কখনো ইনডোর গেমের সরঞ্জাম, কখনো বা ভাঙা বেঞ্চ, টেবিল নিয়ে গিয়ে রেখে তা স্টোর রুমের শোভা পেয়েছে। তবে কলেজ প্রশাসনের একটু তৎপরতায় বিষয় গুলো স্বাভাবিক হতে পারে এ নিয়ে আমরা আশাবাদী। আমরা তাই নওগাঁ কলেজ প্রশাসনের নিকট শুধু বলতে চাই আমাদের এই সমস্যা গুলো নিরসনে আপনাদের পদক্ষেপ নিলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বরই উপকৃত হই এবং আমাদের শিক্ষা অর্জনের কতিপয় সুবিধা গুলো ফিরিয়ে দিলে আমাদের ফিউচার প্ল্যান আরো দৃঢ় হবে বলে আমরা প্রবল আশাবাদী। এতে আমরা এগিয়ে থাকব অনেকাংশে।

ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়

শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ, নওগাঁ।

back to top