মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
নেই কলেজ বাস, নেই ছাত্রদের আবাসিক হল, নেই কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে পড়ার পরিবেশ। বলছি ছোট যমুনার কোল ঘেঁষে শিক্ষার আলো জ্বালানোর এক দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নওগাঁ সরকারি কলেজের কথা। উত্তর বঙ্গের দিত্বীয় বৃহত্তম জেলা নওগাঁ। এগারোটি উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ জেলা। যার মধ্যে তুলনামূলক ভাবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ১৯৬১ সালে গঠিত হওয়া নওগাঁ সরকারি কলেজ। এখানে ইন্টারমিডিয়েট, অনার্স কোর্স, ডিগ্রি কোর্স, এবং প্রফেশনাল কোর্স চালু আছে।
নওগাঁর এগারোটি উপজেলা ছাড়া ও আশপাশের জেলা থেকে এখানে মোট বিশ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। দিনের আলো ফুটতে শুরু হলেই শিক্ষক, ছাত্র, কর্মচারীদের পদচারণায় মেতে থাকে সবুজে ঘেরা এগারো একর ক্যাম্পাস। উত্তর বঙ্গ বরাবরই কৃষি অঞ্চল। এখানে কৃষিজীবী মানুষের সংখ্যা সবথেকে বেশি। কাজেই এখানে দরিদ্র মানুষের হার ও বেশি। এই পরিবার থেকে পড়াশোনার খরচ টানা টা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। তার মধ্যে কলেজে দুটি ছাত্রীদের হল থাকলে ও বর্তমানে নেই কোনো ছাত্রদের আবাসিক হল। কাজেই কলেজের আশেপাশে মেসগুলোতে থাকার একমাত্র ভরসা হয়ে উঠে শিক্ষার্থীদের। এইসব মেস গুলো তে রীতিমতো ভাড়া বেশি এবং এখানে মেস মালিক’রা প্রতিবছরই ভাড়া বাড়িয়ে একরকম বানিজ্য করে থাকেন। এতে শিক্ষার্থীদের আরও খরচ বেড়ে যায়।
অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক সমস্যার কারণে পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে চলে যান ঢাকায় কাজের খোঁজে, কেউ আবার গ্রামে গিয়ে কৃষি চাষবাস করেন।
আর টিউশন খুব দুষ্প্রাপ্য এখানে। শিক্ষার্থীদের পার্ট টাইম আয়ের কোনো সুযোগ এখানে নেই।
এছাড়া কলেজ থেকে শহরে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্ভর করতে হয় ব্যাটারিচালিত অটো কিংবা ব্যাটারি চালিত রিকশার উপর। যাওয়া আসায় ব্যাপক অর্থ খরচ সেখানে ও হয়। কারণ নওগাঁ সরকারি কলেজে কলেজবাস নেই চৌষট্টি বছর ধরে। প্রশাসন এটা নিয়ে কি ভাবে আমরা জানি না। তবে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করে এটা নিয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত।
শুধু কি তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়ার বাহিরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে পড়ার পরিবেশ কে খুঁজে পায় না বহুদিন ধরে। কয়েকবছর আগে একটি রিডিং রুম সৎকার করা হলে কিছুদিন পর তা কখনো ইনডোর গেমের সরঞ্জাম, কখনো বা ভাঙা বেঞ্চ, টেবিল নিয়ে গিয়ে রেখে তা স্টোর রুমের শোভা পেয়েছে। তবে কলেজ প্রশাসনের একটু তৎপরতায় বিষয় গুলো স্বাভাবিক হতে পারে এ নিয়ে আমরা আশাবাদী। আমরা তাই নওগাঁ কলেজ প্রশাসনের নিকট শুধু বলতে চাই আমাদের এই সমস্যা গুলো নিরসনে আপনাদের পদক্ষেপ নিলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বরই উপকৃত হই এবং আমাদের শিক্ষা অর্জনের কতিপয় সুবিধা গুলো ফিরিয়ে দিলে আমাদের ফিউচার প্ল্যান আরো দৃঢ় হবে বলে আমরা প্রবল আশাবাদী। এতে আমরা এগিয়ে থাকব অনেকাংশে।
ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়
শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ, নওগাঁ।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নেই কলেজ বাস, নেই ছাত্রদের আবাসিক হল, নেই কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে পড়ার পরিবেশ। বলছি ছোট যমুনার কোল ঘেঁষে শিক্ষার আলো জ্বালানোর এক দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নওগাঁ সরকারি কলেজের কথা। উত্তর বঙ্গের দিত্বীয় বৃহত্তম জেলা নওগাঁ। এগারোটি উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ জেলা। যার মধ্যে তুলনামূলক ভাবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ১৯৬১ সালে গঠিত হওয়া নওগাঁ সরকারি কলেজ। এখানে ইন্টারমিডিয়েট, অনার্স কোর্স, ডিগ্রি কোর্স, এবং প্রফেশনাল কোর্স চালু আছে।
নওগাঁর এগারোটি উপজেলা ছাড়া ও আশপাশের জেলা থেকে এখানে মোট বিশ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। দিনের আলো ফুটতে শুরু হলেই শিক্ষক, ছাত্র, কর্মচারীদের পদচারণায় মেতে থাকে সবুজে ঘেরা এগারো একর ক্যাম্পাস। উত্তর বঙ্গ বরাবরই কৃষি অঞ্চল। এখানে কৃষিজীবী মানুষের সংখ্যা সবথেকে বেশি। কাজেই এখানে দরিদ্র মানুষের হার ও বেশি। এই পরিবার থেকে পড়াশোনার খরচ টানা টা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। তার মধ্যে কলেজে দুটি ছাত্রীদের হল থাকলে ও বর্তমানে নেই কোনো ছাত্রদের আবাসিক হল। কাজেই কলেজের আশেপাশে মেসগুলোতে থাকার একমাত্র ভরসা হয়ে উঠে শিক্ষার্থীদের। এইসব মেস গুলো তে রীতিমতো ভাড়া বেশি এবং এখানে মেস মালিক’রা প্রতিবছরই ভাড়া বাড়িয়ে একরকম বানিজ্য করে থাকেন। এতে শিক্ষার্থীদের আরও খরচ বেড়ে যায়।
অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক সমস্যার কারণে পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে চলে যান ঢাকায় কাজের খোঁজে, কেউ আবার গ্রামে গিয়ে কৃষি চাষবাস করেন।
আর টিউশন খুব দুষ্প্রাপ্য এখানে। শিক্ষার্থীদের পার্ট টাইম আয়ের কোনো সুযোগ এখানে নেই।
এছাড়া কলেজ থেকে শহরে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্ভর করতে হয় ব্যাটারিচালিত অটো কিংবা ব্যাটারি চালিত রিকশার উপর। যাওয়া আসায় ব্যাপক অর্থ খরচ সেখানে ও হয়। কারণ নওগাঁ সরকারি কলেজে কলেজবাস নেই চৌষট্টি বছর ধরে। প্রশাসন এটা নিয়ে কি ভাবে আমরা জানি না। তবে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করে এটা নিয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত।
শুধু কি তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়ার বাহিরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে পড়ার পরিবেশ কে খুঁজে পায় না বহুদিন ধরে। কয়েকবছর আগে একটি রিডিং রুম সৎকার করা হলে কিছুদিন পর তা কখনো ইনডোর গেমের সরঞ্জাম, কখনো বা ভাঙা বেঞ্চ, টেবিল নিয়ে গিয়ে রেখে তা স্টোর রুমের শোভা পেয়েছে। তবে কলেজ প্রশাসনের একটু তৎপরতায় বিষয় গুলো স্বাভাবিক হতে পারে এ নিয়ে আমরা আশাবাদী। আমরা তাই নওগাঁ কলেজ প্রশাসনের নিকট শুধু বলতে চাই আমাদের এই সমস্যা গুলো নিরসনে আপনাদের পদক্ষেপ নিলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বরই উপকৃত হই এবং আমাদের শিক্ষা অর্জনের কতিপয় সুবিধা গুলো ফিরিয়ে দিলে আমাদের ফিউচার প্ল্যান আরো দৃঢ় হবে বলে আমরা প্রবল আশাবাদী। এতে আমরা এগিয়ে থাকব অনেকাংশে।
ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়
শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ, নওগাঁ।