alt

মতামত » চিঠিপত্র

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

: রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শিশু-কিশোরদের মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ হলো পানিতে ডুবে মৃত্যু, যা বর্তমানে একটি অবহেলিত জাতীয় সংকট। সচেতনতার অভাব, বয়স্কদের দ্বারা শিশু তত্ত্বাবধানের অভাব এবং অবহেলাকে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসাবে গণ্য করা হয়। দেশে প্রায় ৮-৯ বছরের শিশুদের সাঁতার না জানার কারণে পানিতে ডুবে মারা যেতে দেখা যায়। তাই একটি সুস্থ শিশুকে ৪-৫ বছর থেকেই সাঁতার শেখানো উচিত। পুকুর, ডোবা, খাল, বালতি ও বাকেট ইত্যাদি জায়গায় বিভিন্ন বয়সি শিশুরা মারা যায়। দেশে একাধিক শিশু, বিশেষ করে দুটি শিশুকে একই স্থানে একই সঙ্গে পানিতে ডুবে মারা যেতে দেখা যায়। সাধারণত একটি শিশু অন্য শিশুকে পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার সময় বাঁচাতে গিয়ে একসঙ্গে মারা যায়। এতে বুঝা যায় শিশুকে পানি থেকে রক্ষার নিরাপত্তা কৌশল, বিশেষত নিরাপদ উদ্ধার কৌশল সঠিকভাবে শেখানো হয় না।

সমাজের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসাবে আমরা সবাই শিশু মৃত্যু নিবারণে ভূমিকা রাখতে পারি। যেমন- ১। পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করা, ২। শিশু মৃত্যুর ভয়াবহতা নিয়ে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীর সঙ্গে আলোচনা করা, ৩। প্রতিবেশীর বাচ্চা নিরাপদ কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা, ৪। নিজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা এবং অন্যকে ও উৎসাহিত প্রদান করা, ৫। আর্থিক সক্ষমতা থাকলে দরিদ্র পরিবারকে বেষ্টনীযুক্ত খেলাঘর প্রদান, ৬। শিশুদের সাঁতার শেখানোর ব্যবস্থা করা, ৭। এলাকার যুবকদের সমন্বয়ে ক্যাম্পেইন দল গঠন, ৮। এলাকার কমিউনিটি ডে কেয়ারের সম্ভব্যতা যাচাই করা এবং সম্ভব হলে তা বাস্তবায়ন করা।

পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু নিবারণে সরকারি ছাড়া ও এনজিও কমিউনিটি অরগানাইজেশন এবং বেসরকারি খাতের কার্যক্রম এখনো সীমিত। পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু নিবারণ কৌশল বাস্তবায়নে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার পাশাপাশি সমাজের সবস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ ও অবদান রাখা জরুরি।

আব্বাসউদ্দিন আহমদ

ধোপাদিঘীর দক্ষিণপাড়

সিলেট

গ্রামীণ অর্থনীতিতে কৃষির অবদান

শহরের পাখিরা যখন মরার প্রহর গুনে

ধর্মের নামে বর্বরতা

টেকসই শহরের একান্ত প্রয়োজন

সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি

সুন্দরবনের বাঘ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

সমুদ্রগবেষণায় পশ্চাৎপদতা মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলছে

কিশোর গ্যাং–সংস্কৃতি: সমাজের জন্য বাড়তে থাকা অশনি সংকেত

ডিগ্রি হাতে, চাকরি স্বপ্নে: শিক্ষিত বেকারদের মানসিক ক্ষয়

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

tab

মতামত » চিঠিপত্র

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শিশু-কিশোরদের মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ হলো পানিতে ডুবে মৃত্যু, যা বর্তমানে একটি অবহেলিত জাতীয় সংকট। সচেতনতার অভাব, বয়স্কদের দ্বারা শিশু তত্ত্বাবধানের অভাব এবং অবহেলাকে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসাবে গণ্য করা হয়। দেশে প্রায় ৮-৯ বছরের শিশুদের সাঁতার না জানার কারণে পানিতে ডুবে মারা যেতে দেখা যায়। তাই একটি সুস্থ শিশুকে ৪-৫ বছর থেকেই সাঁতার শেখানো উচিত। পুকুর, ডোবা, খাল, বালতি ও বাকেট ইত্যাদি জায়গায় বিভিন্ন বয়সি শিশুরা মারা যায়। দেশে একাধিক শিশু, বিশেষ করে দুটি শিশুকে একই স্থানে একই সঙ্গে পানিতে ডুবে মারা যেতে দেখা যায়। সাধারণত একটি শিশু অন্য শিশুকে পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার সময় বাঁচাতে গিয়ে একসঙ্গে মারা যায়। এতে বুঝা যায় শিশুকে পানি থেকে রক্ষার নিরাপত্তা কৌশল, বিশেষত নিরাপদ উদ্ধার কৌশল সঠিকভাবে শেখানো হয় না।

সমাজের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসাবে আমরা সবাই শিশু মৃত্যু নিবারণে ভূমিকা রাখতে পারি। যেমন- ১। পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করা, ২। শিশু মৃত্যুর ভয়াবহতা নিয়ে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীর সঙ্গে আলোচনা করা, ৩। প্রতিবেশীর বাচ্চা নিরাপদ কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা, ৪। নিজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা এবং অন্যকে ও উৎসাহিত প্রদান করা, ৫। আর্থিক সক্ষমতা থাকলে দরিদ্র পরিবারকে বেষ্টনীযুক্ত খেলাঘর প্রদান, ৬। শিশুদের সাঁতার শেখানোর ব্যবস্থা করা, ৭। এলাকার যুবকদের সমন্বয়ে ক্যাম্পেইন দল গঠন, ৮। এলাকার কমিউনিটি ডে কেয়ারের সম্ভব্যতা যাচাই করা এবং সম্ভব হলে তা বাস্তবায়ন করা।

পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু নিবারণে সরকারি ছাড়া ও এনজিও কমিউনিটি অরগানাইজেশন এবং বেসরকারি খাতের কার্যক্রম এখনো সীমিত। পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু নিবারণ কৌশল বাস্তবায়নে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার পাশাপাশি সমাজের সবস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ ও অবদান রাখা জরুরি।

আব্বাসউদ্দিন আহমদ

ধোপাদিঘীর দক্ষিণপাড়

সিলেট

back to top