মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শিশু-কিশোরদের মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ হলো পানিতে ডুবে মৃত্যু, যা বর্তমানে একটি অবহেলিত জাতীয় সংকট। সচেতনতার অভাব, বয়স্কদের দ্বারা শিশু তত্ত্বাবধানের অভাব এবং অবহেলাকে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসাবে গণ্য করা হয়। দেশে প্রায় ৮-৯ বছরের শিশুদের সাঁতার না জানার কারণে পানিতে ডুবে মারা যেতে দেখা যায়। তাই একটি সুস্থ শিশুকে ৪-৫ বছর থেকেই সাঁতার শেখানো উচিত। পুকুর, ডোবা, খাল, বালতি ও বাকেট ইত্যাদি জায়গায় বিভিন্ন বয়সি শিশুরা মারা যায়। দেশে একাধিক শিশু, বিশেষ করে দুটি শিশুকে একই স্থানে একই সঙ্গে পানিতে ডুবে মারা যেতে দেখা যায়। সাধারণত একটি শিশু অন্য শিশুকে পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার সময় বাঁচাতে গিয়ে একসঙ্গে মারা যায়। এতে বুঝা যায় শিশুকে পানি থেকে রক্ষার নিরাপত্তা কৌশল, বিশেষত নিরাপদ উদ্ধার কৌশল সঠিকভাবে শেখানো হয় না।
সমাজের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসাবে আমরা সবাই শিশু মৃত্যু নিবারণে ভূমিকা রাখতে পারি। যেমন- ১। পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করা, ২। শিশু মৃত্যুর ভয়াবহতা নিয়ে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীর সঙ্গে আলোচনা করা, ৩। প্রতিবেশীর বাচ্চা নিরাপদ কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা, ৪। নিজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা এবং অন্যকে ও উৎসাহিত প্রদান করা, ৫। আর্থিক সক্ষমতা থাকলে দরিদ্র পরিবারকে বেষ্টনীযুক্ত খেলাঘর প্রদান, ৬। শিশুদের সাঁতার শেখানোর ব্যবস্থা করা, ৭। এলাকার যুবকদের সমন্বয়ে ক্যাম্পেইন দল গঠন, ৮। এলাকার কমিউনিটি ডে কেয়ারের সম্ভব্যতা যাচাই করা এবং সম্ভব হলে তা বাস্তবায়ন করা।
পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু নিবারণে সরকারি ছাড়া ও এনজিও কমিউনিটি অরগানাইজেশন এবং বেসরকারি খাতের কার্যক্রম এখনো সীমিত। পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু নিবারণ কৌশল বাস্তবায়নে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার পাশাপাশি সমাজের সবস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ ও অবদান রাখা জরুরি।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
ধোপাদিঘীর দক্ষিণপাড়
সিলেট
 ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিশু-কিশোরদের মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ হলো পানিতে ডুবে মৃত্যু, যা বর্তমানে একটি অবহেলিত জাতীয় সংকট। সচেতনতার অভাব, বয়স্কদের দ্বারা শিশু তত্ত্বাবধানের অভাব এবং অবহেলাকে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসাবে গণ্য করা হয়। দেশে প্রায় ৮-৯ বছরের শিশুদের সাঁতার না জানার কারণে পানিতে ডুবে মারা যেতে দেখা যায়। তাই একটি সুস্থ শিশুকে ৪-৫ বছর থেকেই সাঁতার শেখানো উচিত। পুকুর, ডোবা, খাল, বালতি ও বাকেট ইত্যাদি জায়গায় বিভিন্ন বয়সি শিশুরা মারা যায়। দেশে একাধিক শিশু, বিশেষ করে দুটি শিশুকে একই স্থানে একই সঙ্গে পানিতে ডুবে মারা যেতে দেখা যায়। সাধারণত একটি শিশু অন্য শিশুকে পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার সময় বাঁচাতে গিয়ে একসঙ্গে মারা যায়। এতে বুঝা যায় শিশুকে পানি থেকে রক্ষার নিরাপত্তা কৌশল, বিশেষত নিরাপদ উদ্ধার কৌশল সঠিকভাবে শেখানো হয় না।
সমাজের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসাবে আমরা সবাই শিশু মৃত্যু নিবারণে ভূমিকা রাখতে পারি। যেমন- ১। পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করা, ২। শিশু মৃত্যুর ভয়াবহতা নিয়ে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীর সঙ্গে আলোচনা করা, ৩। প্রতিবেশীর বাচ্চা নিরাপদ কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা, ৪। নিজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা এবং অন্যকে ও উৎসাহিত প্রদান করা, ৫। আর্থিক সক্ষমতা থাকলে দরিদ্র পরিবারকে বেষ্টনীযুক্ত খেলাঘর প্রদান, ৬। শিশুদের সাঁতার শেখানোর ব্যবস্থা করা, ৭। এলাকার যুবকদের সমন্বয়ে ক্যাম্পেইন দল গঠন, ৮। এলাকার কমিউনিটি ডে কেয়ারের সম্ভব্যতা যাচাই করা এবং সম্ভব হলে তা বাস্তবায়ন করা।
পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু নিবারণে সরকারি ছাড়া ও এনজিও কমিউনিটি অরগানাইজেশন এবং বেসরকারি খাতের কার্যক্রম এখনো সীমিত। পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু নিবারণ কৌশল বাস্তবায়নে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার পাশাপাশি সমাজের সবস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ ও অবদান রাখা জরুরি।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
ধোপাদিঘীর দক্ষিণপাড়
সিলেট
