alt

মতামত » চিঠিপত্র

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

২১ ফেব্রুয়ারি এলেই বাংলার আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানে শহীদ মিনারগুলোতে উপচে পড়ে ফুলের স্তুপ, আর ফেসবুক-টুইটার সেজে ওঠে ভাষা-আন্দোলনের গৌরবগাথায়। এই দিনটিতে সবাই ভাষার প্রতি তার ‘বিশেষ ভালোবাসা’ প্রকাশ করে, কিন্তু প্রশ্ন হলোÑ এই ভাষাপ্রেম কি শুধুই ফেব্রুয়ারির জন্য? বছরের বাকি দিনগুলোতে কি এটি স্রেফ এক ধরনের ভ-ামি, যেখানে আমরা ভাষাকে শুধুই আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করি এবং তার প্রতি প্রকৃত দায়বদ্ধতা থেকে দূরে থাকি? ভাষার প্রতি আমাদের এমন মৌসুমি দরদ কোনো বাস্তবিক অনুভূতি নয়, বরং তা কেবল একটি সামাজিক ধারাবাহিকতার অংশ।

ফেব্রুয়ারির ভাষাপ্রেম যদি আমাদের ‘একদিনের প্যাশন’ হয়, তবে আমরা সেই শহীদদের প্রতি গুরুতর অবমাননা করছি, যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন। ভাষার আন্দোলন ছিল কেবল একটি দিনের ঘটনা নয়Ñ এটি ছিল আমাদের অস্তিত্বের লড়াই, যা আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় প্রতিফলিত হওয়া উচিত। ভাষার প্রতি এই দায়বদ্ধতা, শ্রদ্ধা ও সচেতনতা আমাদের ৩৬৫ দিন পালন করতে হবে।

ফেব্রুয়ারি শুধু আমাদের ঘুম ভাঙানোর ঘণ্টা হতে পারে, কিন্তু ভাষার প্রতি দায়বদ্ধতা ৩৬৫ দিনই আমাদের বহন করতে হবে। যদি তা না করি, তবে ভাষা-প্রেম কেবল একটি সামাজিক প্রতারণা হয়ে থাকবে। ফেব্রুয়ারির এক দিনের জন্য আমরা ভাষার প্রতি যতটা ভালোবাসা দেখাই, তাতে যদি বাকি দিনগুলোতে ভাষা ব্যবহারের প্রতি উদাসীন থাকি, তবে সে ভালোবাসা একদিনেরই প্রতারণা হয়ে যাবে। ভাষার প্রতি বাস্তবিক দায়িত্ব পালনের জন্য আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ভাষার শুদ্ধতা, সততা এবং সম্মান অবশ্যই প্রতিফলিত হওয়া উচিত।

রোকেয়া সুলতানা

ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী কলেজ।

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

ইন্দো-প্যাসিফিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের সমুদ্রকৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

tab

মতামত » চিঠিপত্র

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

২১ ফেব্রুয়ারি এলেই বাংলার আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানে শহীদ মিনারগুলোতে উপচে পড়ে ফুলের স্তুপ, আর ফেসবুক-টুইটার সেজে ওঠে ভাষা-আন্দোলনের গৌরবগাথায়। এই দিনটিতে সবাই ভাষার প্রতি তার ‘বিশেষ ভালোবাসা’ প্রকাশ করে, কিন্তু প্রশ্ন হলোÑ এই ভাষাপ্রেম কি শুধুই ফেব্রুয়ারির জন্য? বছরের বাকি দিনগুলোতে কি এটি স্রেফ এক ধরনের ভ-ামি, যেখানে আমরা ভাষাকে শুধুই আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করি এবং তার প্রতি প্রকৃত দায়বদ্ধতা থেকে দূরে থাকি? ভাষার প্রতি আমাদের এমন মৌসুমি দরদ কোনো বাস্তবিক অনুভূতি নয়, বরং তা কেবল একটি সামাজিক ধারাবাহিকতার অংশ।

ফেব্রুয়ারির ভাষাপ্রেম যদি আমাদের ‘একদিনের প্যাশন’ হয়, তবে আমরা সেই শহীদদের প্রতি গুরুতর অবমাননা করছি, যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন। ভাষার আন্দোলন ছিল কেবল একটি দিনের ঘটনা নয়Ñ এটি ছিল আমাদের অস্তিত্বের লড়াই, যা আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় প্রতিফলিত হওয়া উচিত। ভাষার প্রতি এই দায়বদ্ধতা, শ্রদ্ধা ও সচেতনতা আমাদের ৩৬৫ দিন পালন করতে হবে।

ফেব্রুয়ারি শুধু আমাদের ঘুম ভাঙানোর ঘণ্টা হতে পারে, কিন্তু ভাষার প্রতি দায়বদ্ধতা ৩৬৫ দিনই আমাদের বহন করতে হবে। যদি তা না করি, তবে ভাষা-প্রেম কেবল একটি সামাজিক প্রতারণা হয়ে থাকবে। ফেব্রুয়ারির এক দিনের জন্য আমরা ভাষার প্রতি যতটা ভালোবাসা দেখাই, তাতে যদি বাকি দিনগুলোতে ভাষা ব্যবহারের প্রতি উদাসীন থাকি, তবে সে ভালোবাসা একদিনেরই প্রতারণা হয়ে যাবে। ভাষার প্রতি বাস্তবিক দায়িত্ব পালনের জন্য আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ভাষার শুদ্ধতা, সততা এবং সম্মান অবশ্যই প্রতিফলিত হওয়া উচিত।

রোকেয়া সুলতানা

ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী কলেজ।

back to top