মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
২১ ফেব্রুয়ারি এলেই বাংলার আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানে শহীদ মিনারগুলোতে উপচে পড়ে ফুলের স্তুপ, আর ফেসবুক-টুইটার সেজে ওঠে ভাষা-আন্দোলনের গৌরবগাথায়। এই দিনটিতে সবাই ভাষার প্রতি তার ‘বিশেষ ভালোবাসা’ প্রকাশ করে, কিন্তু প্রশ্ন হলোÑ এই ভাষাপ্রেম কি শুধুই ফেব্রুয়ারির জন্য? বছরের বাকি দিনগুলোতে কি এটি স্রেফ এক ধরনের ভ-ামি, যেখানে আমরা ভাষাকে শুধুই আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করি এবং তার প্রতি প্রকৃত দায়বদ্ধতা থেকে দূরে থাকি? ভাষার প্রতি আমাদের এমন মৌসুমি দরদ কোনো বাস্তবিক অনুভূতি নয়, বরং তা কেবল একটি সামাজিক ধারাবাহিকতার অংশ।
ফেব্রুয়ারির ভাষাপ্রেম যদি আমাদের ‘একদিনের প্যাশন’ হয়, তবে আমরা সেই শহীদদের প্রতি গুরুতর অবমাননা করছি, যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন। ভাষার আন্দোলন ছিল কেবল একটি দিনের ঘটনা নয়Ñ এটি ছিল আমাদের অস্তিত্বের লড়াই, যা আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় প্রতিফলিত হওয়া উচিত। ভাষার প্রতি এই দায়বদ্ধতা, শ্রদ্ধা ও সচেতনতা আমাদের ৩৬৫ দিন পালন করতে হবে।
ফেব্রুয়ারি শুধু আমাদের ঘুম ভাঙানোর ঘণ্টা হতে পারে, কিন্তু ভাষার প্রতি দায়বদ্ধতা ৩৬৫ দিনই আমাদের বহন করতে হবে। যদি তা না করি, তবে ভাষা-প্রেম কেবল একটি সামাজিক প্রতারণা হয়ে থাকবে। ফেব্রুয়ারির এক দিনের জন্য আমরা ভাষার প্রতি যতটা ভালোবাসা দেখাই, তাতে যদি বাকি দিনগুলোতে ভাষা ব্যবহারের প্রতি উদাসীন থাকি, তবে সে ভালোবাসা একদিনেরই প্রতারণা হয়ে যাবে। ভাষার প্রতি বাস্তবিক দায়িত্ব পালনের জন্য আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ভাষার শুদ্ধতা, সততা এবং সম্মান অবশ্যই প্রতিফলিত হওয়া উচিত।
রোকেয়া সুলতানা
ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী কলেজ।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
২১ ফেব্রুয়ারি এলেই বাংলার আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানে শহীদ মিনারগুলোতে উপচে পড়ে ফুলের স্তুপ, আর ফেসবুক-টুইটার সেজে ওঠে ভাষা-আন্দোলনের গৌরবগাথায়। এই দিনটিতে সবাই ভাষার প্রতি তার ‘বিশেষ ভালোবাসা’ প্রকাশ করে, কিন্তু প্রশ্ন হলোÑ এই ভাষাপ্রেম কি শুধুই ফেব্রুয়ারির জন্য? বছরের বাকি দিনগুলোতে কি এটি স্রেফ এক ধরনের ভ-ামি, যেখানে আমরা ভাষাকে শুধুই আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করি এবং তার প্রতি প্রকৃত দায়বদ্ধতা থেকে দূরে থাকি? ভাষার প্রতি আমাদের এমন মৌসুমি দরদ কোনো বাস্তবিক অনুভূতি নয়, বরং তা কেবল একটি সামাজিক ধারাবাহিকতার অংশ।
ফেব্রুয়ারির ভাষাপ্রেম যদি আমাদের ‘একদিনের প্যাশন’ হয়, তবে আমরা সেই শহীদদের প্রতি গুরুতর অবমাননা করছি, যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন। ভাষার আন্দোলন ছিল কেবল একটি দিনের ঘটনা নয়Ñ এটি ছিল আমাদের অস্তিত্বের লড়াই, যা আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় প্রতিফলিত হওয়া উচিত। ভাষার প্রতি এই দায়বদ্ধতা, শ্রদ্ধা ও সচেতনতা আমাদের ৩৬৫ দিন পালন করতে হবে।
ফেব্রুয়ারি শুধু আমাদের ঘুম ভাঙানোর ঘণ্টা হতে পারে, কিন্তু ভাষার প্রতি দায়বদ্ধতা ৩৬৫ দিনই আমাদের বহন করতে হবে। যদি তা না করি, তবে ভাষা-প্রেম কেবল একটি সামাজিক প্রতারণা হয়ে থাকবে। ফেব্রুয়ারির এক দিনের জন্য আমরা ভাষার প্রতি যতটা ভালোবাসা দেখাই, তাতে যদি বাকি দিনগুলোতে ভাষা ব্যবহারের প্রতি উদাসীন থাকি, তবে সে ভালোবাসা একদিনেরই প্রতারণা হয়ে যাবে। ভাষার প্রতি বাস্তবিক দায়িত্ব পালনের জন্য আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ভাষার শুদ্ধতা, সততা এবং সম্মান অবশ্যই প্রতিফলিত হওয়া উচিত।
রোকেয়া সুলতানা
ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী কলেজ।