alt

চিঠিপত্র

চিঠি : মশার উৎপাতে দিশেহারা নগরবাসী

: শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মশা নিধনে ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশন প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও তাতে অশ্বডিম্ব প্রসবই শুধু নিশ্চিত হচ্ছে। মশা নিধনে যে ওষুধ ছিটানো হয় তাতে শুভাঙ্করের ফাঁকি থাকায় ট্যাক্সদাতাদের অর্থের শ্রাদ্ধ হলেও মশার হাত থেকে নগরবাসী রক্ষা পাচ্ছেন না। গত ২২ বছরে মশার পেছনে সিটি করপোরেশনের খরচ হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। এ বিশাল অর্থ ব্যয়ের দৃষ্টিগ্রাহ্য কোনো সুফল পাননি নগরবাসী।

আবহাওয়া ও জলবায়ুগত কারণে দূর অতীতেও ঢাকায় মশার উপদ্রব ছিল। সে সময়ও মশা নিয়ন্ত্রণে নগর কর্তৃপক্ষ কাজ করেছে। সেই কার্যক্রম এখন আরও জোরদার হয়েছে। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন মশা নিয়ন্ত্রণে বিপুল অর্থ খরচও হচ্ছে। কিন্তু তাতে কোনো সুফল মিলছে না। আবহাওয়া ও জলবায়ুগত কারণে বাংলাদেশে মশাজাতীয় কীটপতঙ্গের উপদ্রব বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এসব কীটপতঙ্গের উপদ্রব অনেকাংশে বেড়েছে। তা নিয়ন্ত্রণে যে ধরনের গবেষণা, কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান, প্রস্তুতি নেওয়া দরকার- তার অনুপস্থিতি সংকট বাড়াচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি-মার্চ সময়টা কিউলেক্স মশা প্রজননের সময়। মশা জন্মায় পুকুর, ডোবা, নর্দমায়। দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় অনেক ডোবা ও নর্দমার উপস্থিতি থাকায় মশার উপদ্রব অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। মার্চ মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত কিউলেক্স মশার উপদ্রব বাড়তেই থাকবে। মশা নিধনে যে ওষুধ ছিটানো হয় সেখানে থাকে শুভঙ্করের ফাঁকি। ডোবা, নালা, নর্দামাগুলো পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বাড়ছে। মশা নিধনের জন্য যে ওষুধ কেনা হয় সেখানে চলে নানা ভাগবাটোয়ারা। এ অবাধ হরিলুট মশার দৌরাত্ম্য বাড়াতে অবদান রাখছে। মশা নিধনে নিতে হবে সমন্বিত পদক্ষেপ। একদিকে মশা নিধনের ওষুধ ছিটাতে হবে অন্যদিকে ডোবা নালা জলাশয় পরিষ্কার রাখতে হবে। মশার হাত থেকে রেহাই পেতে হলে উভয় দায়িত্ব সমভাবে করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্তদের সততাও নিশ্চিত হওয়া জরুরি।

নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নাগরিকদেরও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মশা নিধনে শুধু বরাদ্দ বৃদ্ধি নয়, প্রয়োজন সব পক্ষের সচেতনতা। পরিচ্ছন্নতা, জনসচেতনতা বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ রূপ নেওয়ার আশঙ্কা- এটিকে সামনে রেখে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মশার উপদ্রব রোধে সংশ্লিষ্টদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক- এমনটিই কাম্য।

আর কে চৌধুরী

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : মশার উৎপাতে দিশেহারা নগরবাসী

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মশা নিধনে ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশন প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও তাতে অশ্বডিম্ব প্রসবই শুধু নিশ্চিত হচ্ছে। মশা নিধনে যে ওষুধ ছিটানো হয় তাতে শুভাঙ্করের ফাঁকি থাকায় ট্যাক্সদাতাদের অর্থের শ্রাদ্ধ হলেও মশার হাত থেকে নগরবাসী রক্ষা পাচ্ছেন না। গত ২২ বছরে মশার পেছনে সিটি করপোরেশনের খরচ হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। এ বিশাল অর্থ ব্যয়ের দৃষ্টিগ্রাহ্য কোনো সুফল পাননি নগরবাসী।

আবহাওয়া ও জলবায়ুগত কারণে দূর অতীতেও ঢাকায় মশার উপদ্রব ছিল। সে সময়ও মশা নিয়ন্ত্রণে নগর কর্তৃপক্ষ কাজ করেছে। সেই কার্যক্রম এখন আরও জোরদার হয়েছে। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন মশা নিয়ন্ত্রণে বিপুল অর্থ খরচও হচ্ছে। কিন্তু তাতে কোনো সুফল মিলছে না। আবহাওয়া ও জলবায়ুগত কারণে বাংলাদেশে মশাজাতীয় কীটপতঙ্গের উপদ্রব বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এসব কীটপতঙ্গের উপদ্রব অনেকাংশে বেড়েছে। তা নিয়ন্ত্রণে যে ধরনের গবেষণা, কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান, প্রস্তুতি নেওয়া দরকার- তার অনুপস্থিতি সংকট বাড়াচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি-মার্চ সময়টা কিউলেক্স মশা প্রজননের সময়। মশা জন্মায় পুকুর, ডোবা, নর্দমায়। দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় অনেক ডোবা ও নর্দমার উপস্থিতি থাকায় মশার উপদ্রব অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। মার্চ মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত কিউলেক্স মশার উপদ্রব বাড়তেই থাকবে। মশা নিধনে যে ওষুধ ছিটানো হয় সেখানে থাকে শুভঙ্করের ফাঁকি। ডোবা, নালা, নর্দামাগুলো পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বাড়ছে। মশা নিধনের জন্য যে ওষুধ কেনা হয় সেখানে চলে নানা ভাগবাটোয়ারা। এ অবাধ হরিলুট মশার দৌরাত্ম্য বাড়াতে অবদান রাখছে। মশা নিধনে নিতে হবে সমন্বিত পদক্ষেপ। একদিকে মশা নিধনের ওষুধ ছিটাতে হবে অন্যদিকে ডোবা নালা জলাশয় পরিষ্কার রাখতে হবে। মশার হাত থেকে রেহাই পেতে হলে উভয় দায়িত্ব সমভাবে করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্তদের সততাও নিশ্চিত হওয়া জরুরি।

নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নাগরিকদেরও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মশা নিধনে শুধু বরাদ্দ বৃদ্ধি নয়, প্রয়োজন সব পক্ষের সচেতনতা। পরিচ্ছন্নতা, জনসচেতনতা বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ রূপ নেওয়ার আশঙ্কা- এটিকে সামনে রেখে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মশার উপদ্রব রোধে সংশ্লিষ্টদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক- এমনটিই কাম্য।

আর কে চৌধুরী

back to top