alt

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটে জিম্মি ঢাকার ফুটপাত

: বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রাস্তা মানে যান চলাচলের পথ। ফুটপাত মানে হেঁটে চলার পথ। বর্তমানে ঢাকার চিত্র বলছে অন্য কিছু- ফুটপাত মানেই হাট-বাজার, ফুটপাত মানেই সারি-সারি হকার। রাজধানীর ফুটপাতগুলো চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের কাছে দীর্ঘ দিন যাবত জিম্মি হয়ে আছে।

ঢাকা শহরের মানুষ চায়- ফুটপাত দখলমুক্ত, যানজট নিরসন এবং জলাবদ্ধতা নিরসন; কিন্তু স্বাধীনতার পর কেউই রাজধানীবাসীর এই তিনটি সমস্যার সমাধান দিতে পারেনি। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের অন্যান্য শহর এবং গ্রামাঞ্চলের বাজার থেকে শুরু করে সবখানেই ফুটপাতে ব্যবসা করছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। ফলে জনগণের চলাচলের স্থানে অস্থায়ী দোকানপাট এমনভাবে স্থায়ী হয়ে যাচ্ছে যে তাদের উচ্ছেদ করতে গেলেও অনেক সময় প্রশাসনকে জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়।

ঢাকার প্রায় সব সড়ক ও ফুটপাতের একাংশ চলে গেছে হকার ও ভ্রাম্যমাণ দোকানদারদের দখলে। সড়কের জায়গা দখল করে প্রতিনিয়ত ভাড়া আদায় করছেন প্রভাবশালীরা। এছাড়া প্রতিদিন স্থানীয় রাজনীতিবিদ, এমনকি কোথাও কোথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করছেন ফুটপাত থেকে। ঢাকার প্রবেশপথগুলোর একটি যাত্রাবাড়ী। এখানে ফ্লাইওভারের নিচে সকাল থেকে প্রায় সারাদিনই বসে মাছের বাজার। দূরপাল্লার বাসগুলো ঢাকা থেকে বের হতে ও প্রবেশ করতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজি রুখতে ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ এক জোট হয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ মাধ্যমে অবশ্যই ফুটপাত দখল মুক্ত করা সম্ভব। ফুটপাথ ও সড়ক দখলমুক্ত করতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যে, সড়ক ও মহাসড়কগুলোর এক ইঞ্চি জায়গাও দখল হতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। যানজট কতটা ভয়াবহ হতে পারে ঢাকাবাসী তা দেখেছে। রাস্তা দখলের কারণে যেন যান চলাচল ব্যাহত না হয় সে ব্যাপারে সরকারকে সজাগ থাকতে হবে।

রাসেল হোসাইন

জীবনের অভিধানে প্রবীণদের স্থান কোথায়?

নীরবতা নয়, বলতে শেখ

সুন্দরবনে টেকসই পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ও করণীয়

প্রথার নামে প্রথাগত শোষণ: উচ্চ কাবিনের ফাঁদ

শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা

মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক জায়ান্টদের মাস্টার প্ল্যান

গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু কেন কেবলই সংখ্যা?

বাল্যবিয়ে: সমাজের এক নীরব অভিশাপ

মনোস্বাস্থ্যের সংকটে তরুণরা: নীরবতার আড়ালে এক ভয়াবহ বাস্তবতা

ধূমপানের প্রভাব

ইসলামী ব্যাংকগুলোতে সার্ভিস রুল অনুযায়ী নিয়োগ

শিশুর হাতে মোবাইল নয়, চাই জীবনের মাঠে ফেরার ডাক

মতিঝিল-গুলিস্তান রুটে চক্রাকার বাস সার্ভিস : শৃঙ্খল ও স্বস্তির সম্ভাবনা

ভাঙ্গা-খুলনা সড়ক দ্রুত চার লেনে উন্নীত করুন

ডিজিটাল উপনিবেশ : অদৃশ্য শৃঙ্খলের শাসন

বাউফল থেকে লোহালিয়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা

পরিবেশ বিপর্যয়ের অজানা মুখ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

tab

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটে জিম্মি ঢাকার ফুটপাত

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩

রাস্তা মানে যান চলাচলের পথ। ফুটপাত মানে হেঁটে চলার পথ। বর্তমানে ঢাকার চিত্র বলছে অন্য কিছু- ফুটপাত মানেই হাট-বাজার, ফুটপাত মানেই সারি-সারি হকার। রাজধানীর ফুটপাতগুলো চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের কাছে দীর্ঘ দিন যাবত জিম্মি হয়ে আছে।

ঢাকা শহরের মানুষ চায়- ফুটপাত দখলমুক্ত, যানজট নিরসন এবং জলাবদ্ধতা নিরসন; কিন্তু স্বাধীনতার পর কেউই রাজধানীবাসীর এই তিনটি সমস্যার সমাধান দিতে পারেনি। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের অন্যান্য শহর এবং গ্রামাঞ্চলের বাজার থেকে শুরু করে সবখানেই ফুটপাতে ব্যবসা করছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। ফলে জনগণের চলাচলের স্থানে অস্থায়ী দোকানপাট এমনভাবে স্থায়ী হয়ে যাচ্ছে যে তাদের উচ্ছেদ করতে গেলেও অনেক সময় প্রশাসনকে জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়।

ঢাকার প্রায় সব সড়ক ও ফুটপাতের একাংশ চলে গেছে হকার ও ভ্রাম্যমাণ দোকানদারদের দখলে। সড়কের জায়গা দখল করে প্রতিনিয়ত ভাড়া আদায় করছেন প্রভাবশালীরা। এছাড়া প্রতিদিন স্থানীয় রাজনীতিবিদ, এমনকি কোথাও কোথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করছেন ফুটপাত থেকে। ঢাকার প্রবেশপথগুলোর একটি যাত্রাবাড়ী। এখানে ফ্লাইওভারের নিচে সকাল থেকে প্রায় সারাদিনই বসে মাছের বাজার। দূরপাল্লার বাসগুলো ঢাকা থেকে বের হতে ও প্রবেশ করতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজি রুখতে ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ এক জোট হয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ মাধ্যমে অবশ্যই ফুটপাত দখল মুক্ত করা সম্ভব। ফুটপাথ ও সড়ক দখলমুক্ত করতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যে, সড়ক ও মহাসড়কগুলোর এক ইঞ্চি জায়গাও দখল হতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। যানজট কতটা ভয়াবহ হতে পারে ঢাকাবাসী তা দেখেছে। রাস্তা দখলের কারণে যেন যান চলাচল ব্যাহত না হয় সে ব্যাপারে সরকারকে সজাগ থাকতে হবে।

রাসেল হোসাইন

back to top