alt

মুক্ত আলোচনা

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

মোহাম্মদ আতিকুর রহমান

: সোমবার, ১৬ মে ২০২২

দেশ-বিদেশের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারের হত্যার পর বাংলাদেশ উল্টো পথে চলতে থাকে। বাংলার স্বাধীনতার চেতনার সূর্যটা অস্তমিত হয়ে যায়। দেশ অন্ধকারের পতিত হয়। শুরু হয় ইতিহাস বিকৃতি। যে পাকিস্তানী ভাবধারা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন দান পাকিস্তানী সেই সাম্প্রদায়িক ভাবধারা দেশে পুনরায় জাগ্রত হয়। ধর্মান্ধ- মৌলবাদী গোষ্ঠী মাথাচারা দিয়ে উঠে। সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয় সমগ্র দেশ।

শোষক শ্রেণীর হাতে চলে যায় দেশের নিয়ন্ত্রণ। সঠিক নেতৃত্বহীন ও দিকহারা হয়ে যায় লাখ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ। অযোগ্য, অসৎ, মানবিক গুণহীন মানুষের কাছে চলে যায় দেশের নেতৃত্ব। শুরু হয় মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। তবে তখনও বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা নামক আশার আলো নিভু নিভু প্রদ্বীপের মতো জ্বলছিলো। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে থাকার কারণে ঘাতকদের হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যান।

বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ফিরে আসার পরেও তাঁকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়। তবে খুনিদের সে চেষ্টা বারবারই ব্যর্থ হয়েছে। এটা বাংলাদেশের জনগণের জন্য সব চাইতে বড় প্রাপ্তি। যার প্রমাণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়া আজকের বাংলাদেশ। প্রকৃতপক্ষে, বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশের সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর পুনরায় বাংলাদেশকে স্বাধীনতার চেতনার পথে এগিয়ে নিয়ে যান। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক এবং শোষণহীন সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশের মানুষ পুনরায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেকে শিহরিত করার সুযোগ পায়।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখন বিদেশে অবস্থান করছিলেন তখন তাঁকে আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা জননেতা জিল্লুর রহমান, আব্দুস সামাদ আজাদ, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, আইভি রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, বেগম জোহরা তাজউদ্দিন, আব্দুল মালেক উকিলসহ অনেকে। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাঁকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। বুকভরা অসীম শোককে ধারণ করে নানান চড়াই উতরাই পেরিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের পর প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা।

দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরিয়ে আনতে তার দুই শিশু সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ছোট বোন শেখ রেহানার কাছে রেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফেরেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে প্রায় ৬ বছর ভারতে অবস্থান করেন। সকল বাধা ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ঝড়-বৃষ্টির মাঝে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে ফিরে এসেছিলেন। মুষলধারার বৃষ্টি বাদল উপেক্ষা করে সেদিন বিমানবন্দরে লাখো জনতা অপেক্ষা করছিলো কখন আসবেন তাঁদের প্রাণের নেত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন বিমান বন্দরে মানুষ শ্লোগান তুলেছিল “ঝড় বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে”, “পিতৃ হত্যার বদলা নিতে, লক্ষ ভাই বেঁচে আছে”, “শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজ পথ ছাড়ি নাই ” ইত্যাদি।

দেশের মাটিতে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ জনতার সংবর্ধনায় আপ্লুত শেখ হাসিনা সেদিন বলোছিলেন, “সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির জনকের হত্যার প্রতিশোধ গ্রহনে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই’’। “আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই।” শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ^াসী কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।” তিনি আরো বলেন, “জীবনের ঝুঁকি নিতেই হয়, মৃত্যুকে ভয় করলে জীবন মহত্ত্ব থেকে বঞ্চিত হয়।”

দেশে ফেরার পর জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৮ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও ১১ বছরেরও বেশি সময় তিনি ছিলেন জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা মেট্রোরেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশে যা ছিলো এক সময় কল্পনাতীত। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তাঁর নেতৃত্বে কারণেই বাংলাদেশ আজ স্বল্পন্নোত দেশে থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি, অবকাঠামো, কৃষিসহ সকল ক্ষেত্রেই উন্নতি লাভ করেছে। সকল বাধা অতিক্রম করে মহান মুক্তি যুদ্ধের চেতনার যথার্থ বাস্তবায়ন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ অবশ্যই একদিন উন্নত দেশে পরিণত হবে।

[লেখক: অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ; কোষাধ্যক্ষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়।]

মুজিবনগরে স্বাধীনতার সূর্যোদয়

বঙ্গাব্দ প্রচলনের ইতিকথা

পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব

কেউতো অপেক্ষায় নেই

ফরগেট মি নট

ছবি

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বীমা শিল্পের গুরুত্ব

একুশে ফেব্রুয়ারি আত্মপরিচয়ের দিন

দিদি, আপা, “বু” খালা

হিজল-করচ-আড়াংবন

ছবি

শেখ হাসিনা, এক উৎসারিত আলোকধারা

মনমাঝি

সেই ইটনা

ছবি

আংকর ওয়াট : উন্নত সভ্যতার স্মৃতিচিহ্ন যেখানে

নিয়ত ও নিয়তি

হারিয়ে যাওয়া ট্রেন

টম সয়ার না রবিনহুড

ছবি

‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে’

বাংলাদেশ-জাপান সহযোগিতা স্মারক: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনন্য মাইলফলক

রাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনের পরিবর্তন আশু প্রয়োজন

কুয়েতের জীবনযাত্রার সাতকাহন: পর্ব-১-বিয়ে

বিবেকের লড়াই

ছবি

ছবি যেন শুধু ছবি নয়

বাত ব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

ছবি

স্বাধীন স্বদেশে মুক্ত বঙ্গবন্ধু

ছবি

মহান নেতার স্বভূমিতে ফিরে আসা

ছবি

মেট্রোরেল : প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার ফসল

ছবি

আমার মা

ডিজিটাল বাংলাদেশ: প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি

ছবি

৩ নভেম্বর: ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের ধারাবাহিকতা

দেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক দ্বিতীয় অধ্যায়

এইচ এস সি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের অনুশীলন

ছবি

ত্রিশ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

শিল্প কারখানার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় এনভায়রনমেন্টাল ইন্জিনিয়ারিং

অসুর: এক পরাজিত বিপ্লবী

অসুর জাতির ইতিহাস

tab

মুক্ত আলোচনা

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

মোহাম্মদ আতিকুর রহমান

সোমবার, ১৬ মে ২০২২

দেশ-বিদেশের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারের হত্যার পর বাংলাদেশ উল্টো পথে চলতে থাকে। বাংলার স্বাধীনতার চেতনার সূর্যটা অস্তমিত হয়ে যায়। দেশ অন্ধকারের পতিত হয়। শুরু হয় ইতিহাস বিকৃতি। যে পাকিস্তানী ভাবধারা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন দান পাকিস্তানী সেই সাম্প্রদায়িক ভাবধারা দেশে পুনরায় জাগ্রত হয়। ধর্মান্ধ- মৌলবাদী গোষ্ঠী মাথাচারা দিয়ে উঠে। সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয় সমগ্র দেশ।

শোষক শ্রেণীর হাতে চলে যায় দেশের নিয়ন্ত্রণ। সঠিক নেতৃত্বহীন ও দিকহারা হয়ে যায় লাখ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ। অযোগ্য, অসৎ, মানবিক গুণহীন মানুষের কাছে চলে যায় দেশের নেতৃত্ব। শুরু হয় মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। তবে তখনও বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা নামক আশার আলো নিভু নিভু প্রদ্বীপের মতো জ্বলছিলো। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে থাকার কারণে ঘাতকদের হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যান।

বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ফিরে আসার পরেও তাঁকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়। তবে খুনিদের সে চেষ্টা বারবারই ব্যর্থ হয়েছে। এটা বাংলাদেশের জনগণের জন্য সব চাইতে বড় প্রাপ্তি। যার প্রমাণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়া আজকের বাংলাদেশ। প্রকৃতপক্ষে, বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশের সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর পুনরায় বাংলাদেশকে স্বাধীনতার চেতনার পথে এগিয়ে নিয়ে যান। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক এবং শোষণহীন সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশের মানুষ পুনরায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেকে শিহরিত করার সুযোগ পায়।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখন বিদেশে অবস্থান করছিলেন তখন তাঁকে আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা জননেতা জিল্লুর রহমান, আব্দুস সামাদ আজাদ, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, আইভি রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, বেগম জোহরা তাজউদ্দিন, আব্দুল মালেক উকিলসহ অনেকে। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাঁকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। বুকভরা অসীম শোককে ধারণ করে নানান চড়াই উতরাই পেরিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের পর প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা।

দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরিয়ে আনতে তার দুই শিশু সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ছোট বোন শেখ রেহানার কাছে রেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফেরেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে প্রায় ৬ বছর ভারতে অবস্থান করেন। সকল বাধা ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ঝড়-বৃষ্টির মাঝে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে ফিরে এসেছিলেন। মুষলধারার বৃষ্টি বাদল উপেক্ষা করে সেদিন বিমানবন্দরে লাখো জনতা অপেক্ষা করছিলো কখন আসবেন তাঁদের প্রাণের নেত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন বিমান বন্দরে মানুষ শ্লোগান তুলেছিল “ঝড় বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে”, “পিতৃ হত্যার বদলা নিতে, লক্ষ ভাই বেঁচে আছে”, “শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজ পথ ছাড়ি নাই ” ইত্যাদি।

দেশের মাটিতে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ জনতার সংবর্ধনায় আপ্লুত শেখ হাসিনা সেদিন বলোছিলেন, “সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির জনকের হত্যার প্রতিশোধ গ্রহনে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই’’। “আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই।” শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ^াসী কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।” তিনি আরো বলেন, “জীবনের ঝুঁকি নিতেই হয়, মৃত্যুকে ভয় করলে জীবন মহত্ত্ব থেকে বঞ্চিত হয়।”

দেশে ফেরার পর জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৮ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও ১১ বছরেরও বেশি সময় তিনি ছিলেন জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা মেট্রোরেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশে যা ছিলো এক সময় কল্পনাতীত। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তাঁর নেতৃত্বে কারণেই বাংলাদেশ আজ স্বল্পন্নোত দেশে থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি, অবকাঠামো, কৃষিসহ সকল ক্ষেত্রেই উন্নতি লাভ করেছে। সকল বাধা অতিক্রম করে মহান মুক্তি যুদ্ধের চেতনার যথার্থ বাস্তবায়ন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ অবশ্যই একদিন উন্নত দেশে পরিণত হবে।

[লেখক: অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ; কোষাধ্যক্ষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়।]

back to top