alt

মুক্ত আলোচনা

ইংলিশ মিডিয়াম মাধ্যমিক স্তরের সেরা যোগ্যতা আইজিসিএসই

মাহমুদুল হাছান

: সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

ইন্টারন্যাশনাল কারিকুলামে লেখাপড়া যেকোন দেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম থেকে ভিন্ন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম যা বোর্ড অব ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি, বোর্ড অব পিয়ারসন-এডেক্সেল এবং এসেসমেন্ট কোয়ালিফিকেশন এলায়েন্স (এ কিউ এ) দ্বারা পরিচালিত শিক্ষাধারা ও পরীক্ষা পদ্ধতি বিশ্বব্যাপি সমাদৃত। এ শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে আমাদের দেশের এস এস সি এবং এইচ এস সি সমমানের সার্টিফিকেট ও’লেভেল এবং এ’লেভেল প্রদান করা হয়ে থাকে। ইন্টারন্যাশনাল জেনারেল সার্টিফিকেট অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (IGCSE), জেনারেল সার্টিফিকেট অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (GCSE), ক্যামব্রিজ ও-লেভেল (Cambridge O’level) পরীক্ষা বা অন্যান্য সমমানের যোগ্যতার সকল সার্টিফিকেটই এ আন্তর্জাতিক মাধ্যমিক পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত। এগুলোর সবই আমাদের দেশের এস এস সি (SSC) সার্টিফিকেটের সমমানের। আইজিসিএসই (IGCSE) সবচেয়ে আধুনিক ও সর্বজন স্বিকৃত একটি যোগ্যতা। অভিভাবক তার সন্তানদের জন্য মাধ্যমিক সার্টিফিকেট অর্জন করাতে যে কোনটি পছন্দ করতে পারেন। বাংলা বা ইংলিশ ভার্সন থেকে পাশ করলে যেমন শিক্ষার্থীরা এস এস সি সার্টিফিকেট পেয়ে থাকে, ইংলিশ মিডিয়াম থেকে উপরের যে কোন একটি থেকে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলে শিক্ষার্থীরা ও’লেভেল সার্টিফিকেট পেয়ে থাকে। সুতরাং অভিভাবক তার সন্তানের জন্য যে কোন একটি এক্সাম বোর্ড বেছে নিতে পারেন। নিম্নে আই জি সি এস ই, জি সি এস ই, ও ক্যামব্রিজ ও’লেভেল স সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-

আইজিসিএসই (IGCSE) কি?
IGCSE হল ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের জন্য বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক যোগ্যতা, যেখানে ৩০টি ভাষাসহ শিক্ষার্থীদের জন্য ৭০টিরও বেশি বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ২ বছরের কোর্স শেষে বিশ্বের ১৪৫টিরও বেশি দেশের প্রায় ৫,০০০ স্কুলে শিক্ষার্থীরা IGCSE পরীক্ষাগুলি নিয়ে থাকে। এ পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক জ্ঞান এবং বিষয় আয়ত্তের মূল্যায়ন করে থাকে।

মূল IGCSE বিষয়গুলির মধ্যে ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং একটি আধুনিক ভাষা অন্তর্ভুক্ত। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, অর্থনীতি, ব্যবসায় অধ্যয়ন, শিল্প, ডিজাইন বা নকশা ও প্রযুক্তি, শারীরিক শিক্ষা, কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে। অফার করা IGCSE পরীক্ষার ধরণ এবং পরীক্ষার তারিখগুলি তিনটি পৃথক IGCSE পরীক্ষা বোর্ড - কেমব্রিজ, Edexcel এবং AQA দ্বারা সেট করা হয়।

বাংলাদেশের বেশিরভাগ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল নবম গ্রেডের শিক্ষার্থীদের জন্য IGCSE কোর্স শুরু করে এবং দশম গ্রেডের শেষে IGCSE পরীক্ষা দিতে সক্ষম করে। বর্তমানে IGCSE এর গ্রহনযোগ্যতা অনেক বেশি এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ কোর্সটিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। শিক্ষকরাও এ পরীক্ষা গ্রহনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

জিসিএসই (GCSE) কি?
GCSE হলো ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ১৪+ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শিক্ষাগত যোগ্যতা। শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১০ বছর থেকে GCSE-এর জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে এবং ১১ বছরের শেষে GCSE পরীক্ষা দেয়। GCSE-কে IGCSE-এর সমতুল্য বলে মনে করা হয় (‘I’ মানে হল IGCSE-এর আন্তর্জাতিক দিক) এবং এটি নিরীক্ষা করা হয় যে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কোর্স সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা জাতীয় পাঠ্যক্রমের স্টেজ-৪ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করতে প্রস্তুত।

GCSE পরীক্ষা ইংরেজি, সাহিত্য, গণিত এবং বিজ্ঞানের মতো নির্দিষ্ট মূল বিষয়গুলিতে নেওয়া হয়। অফার করা এমন অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে আধুনিক ভাষা, ইতিহাস, ভূগোল, ব্যবসায় অধ্যয়ন, শিল্প, সঙ্গীত, নকশা ও প্রযুক্তি, ধর্ম শিক্ষা এবং আরও অনেক বিষয়। GCSE পরীক্ষা শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যে নেওয়া হয়ে থাকে এবং পাঁচটি আঞ্চলিক পরীক্ষা বোর্ড দ্বারা সেট করা হয়। শিক্ষার্থীরা সাধারণত তাদের GCSE শেষ করার পর A/AS স্তর অধ্যয়নের দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ক্যামব্রিজ ও-লেভেল (Cambridge O’level) কি?
ক্যামব্রিজ ও-লেভেলগুলি IGCSE-এর মতই নির্দিষ্ট স্থানীয় পাঠ্যক্রমের চাহিদা মেটাতে কাস্টমাইজ করা হয়, যেমন সংখ্যালঘু ভাষা, বাংলাদেশের জন্য বাংলা ভাষা এবং অন্যান্য দেশের জন্য তাদের জাতীয় ভাষা। আমাদের দেশে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বা বাংলাদেশ এন্ড গ্লোবাল স্টাডিজ নামে একটি পাঠ্যপুস্তক রয়েছে, যেটি পাঠ্যক্রমের সাথে যুক্ত করার সরকারী নির্দেশনাও রয়েছে এবং অনেক ছাত্র-ছাত্রীই সেটি গ্রহন করে থাকে। বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং আরও কয়েকটি দেশ, যেখানে স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া কোন নির্দেশিকা রয়েছে, সেখানে এ সুযোগ দেয়া হয়।

IGCSE, GCSE এবং ক্যামব্রিজ ও-লেভেলের সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্যঃ যদিও তিনটি প্রোগ্রামই একাডেমিক যোগ্যতা নির্ধারণ করে এবং সমতুল্য যোগ্যতা হিসাবে বিবেচিত হয়, তবুও এদের মধ্যে তাদের কিছু সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য রয়েছে। যেমনঃ

১। কোর্সের বিষয়বস্তুভিত্তিক - GCSE কোর্সের বিষয়বস্তু মূলত যুক্তরাজ্যের শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে IGCSE একটি আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কার্যকরি করে প্রস্তুত করা হয়েছে। তাই GCSE-এর কোর্সের বিষয়বস্তু, বিশেষ করে ইংরেজি সাহিত্য, ইতিহাস, ভূগোল ইত্যাদি বিষয়গুলির ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের জন্য জাতীয়ভাবে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলির উপর জোর দেয়া হয়, যেখানে IGCSE কোর্সগুলির আরও আন্তর্জাতিকভাবে উপযোগী ভিত্তি রয়েছে। IGCSE সিলেবাসগুলিতে বিশ্বজুড়ে স্কুল এবং শিক্ষার্থীদের অর্থপূর্ণ পছন্দ (অপশন) দেওয়ার জন্য কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। GCSE পাঠ্যক্রমে যুক্তরাজ্যভিত্তিক নির্ধারিত পাঠ্যপুস্তক গ্রহনের উপর তাকিদ দেয়া হয়, কিন্তু IGCSE-তে স্ব স্ব দেশের জাতীয় পাঠ্যক্রমসহ আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রম থেকে বিষয় পছন্দের সুযোগ রয়েছে।

ক্যামব্রিজ ও-লেভেলের পাঠ্যক্রমটি নির্দিষ্ট স্থানীয় চাহিদা পূরণের জন্য তৈরি করা হয়েছিল এবং IGCSE এবং GCSE-এর তুলনায় ক্যামব্রিজ-ও’লেভেলে কম কোর্সওয়ার্ক বিকল্প অফার করা হয়। CAIE (কেমব্রিজ অ্যাসেসমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন) অনুসারে, কেমব্রিজ ও-লেভেল সায়েন্সে সীমিত ব্যবহারিক পরীক্ষার বিকল্পও রয়েছে। বাংলাদেশে, জিসিই ও-লেভেল পরীক্ষা বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় (MoE) দ্বারা ডিজাইন করা বাংলাদেশ স্কুল পাঠ্যক্রমের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার একটি পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা পুরাপুরি সম্ভব হয়নি।

২। আন্তর্জাতিক ফোকাস নির্ভরঃ সারা বিশ্বে প্রায় ৪৫০০টি স্কুল IGCSE অফার করে এবং IGCSE পাঠ্যক্রমটি আধুনিক পাঠ্যক্রম উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। পক্ষান্তরে GCSE শুধুমাত্র ইংল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েলসের শিক্ষাক্রমের উপর ফোকাস করে পাঠ্যক্রম সাজানো হয়। অন্যদিকে, মাত্র কয়েকটি দেশে ক্যামব্রিজ ও-লেভেল অফার করা হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক অংগনে বর্তমানে IGCSE এর ব্যাপ্তি অনেকভাবে প্রসারিত এবং এর শিক্ষাক্রম ফোকাস বেশ সমাদৃত। মোটকথা, আইজিসিএসই এখন সর্বাধুনিক বিষয় সম্মৃদ্ধ ও অবেকটা ইনোভেশন ফোকাস। পক্ষান্তরে, জিসিএসই ও ক্যামব্রিজ ও’লেভেল পুরাতন ও আনকাস্টমাজেবল শিক্ষাক্রম ফোকাস।

৩। কোর্সের মেয়াদ এবং অসামঞ্জস্যতাঃ IGCSE ২ বছরের একটি প্রোগ্রাম এবং সাধারণত GCSE-এর চেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন ও যুগোপযোগী বলে মনে করা হয়। GCSE-এর সাম্প্রতিক সংস্কারের কারণে এটি এখন কিছুটা গ্রহন যোগ্যতা পেলেও GCSE-এ আগের চেয়ে আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং বিষয়বস্তু এবং প্রশ্ন কাঠামো রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের কাছে কোন কোন ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হয়ে থাকে। তবে IGCSE এবং GCSE উভয় পাঠ্যক্রমই একজন শিক্ষার্থীর একটি বিষয়ের সামগ্রিক দক্ষতা এবং বোধগম্যতা অর্জনের পাশাপাশি উদ্যোগ গঠন, সমস্যা সমাধান, মৌখিক এবং ব্যবহারিক দক্ষতা পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন মূল্যায়ন কৌশল অফার করে থাকে। GCSE-এর প্রস্তুতিতে সাধারণত দুই বছর সময় লাগে, যদিও আমাদের দেশের কিছু স্কুল তাদের ছাত্রছাত্রীদের আগে থেকেই প্রস্তুত করা শুরু করে। IGCSE শিক্ষার্থীদেরকে একটি প্রাসঙ্গিক, মূল্যবান এবং সুসংহত শিক্ষার অ্যাক্সেস দেয় এবং শিশুদের আজীবন শিক্ষার্থী এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে সফল অবদানকারী হওয়ার জন্য প্রস্তুত করে।

মোটকথা, IGCSE আমাদের বহুসংস্কৃতি এবং বহুভাষিক ছাত্র সংগঠনের জন্য একটি মডেল। এর পাঠ্যক্রম সাংস্কৃতিক সচেতনতা সৃষ্টি করে, যা সকল স্কুলের একটি মূল উদ্দেশ্যও থেকে থাকে। উপরন্তু, এখানে একাধিক ধরনের মূল্যায়ন পদ্ধতি, যাদের প্রথম ভাষা ইংরেজি নয় এমন ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি আদর্শ। লিখিত মূল্যায়নের জন্য ইংরেজি ভাষায় ভালো উপলব্ধি প্রয়োজন, কিন্তু বিস্তৃত পাঠ্যক্রম, মৌখিক এবং ব্যবহারিক মূল্যায়নও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আইজিসিএসই অ-নেটিভ ইংরেজি ভাষাভাষীদের সফলভাবে শেখা এবং দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য অতিরিক্ত কৌশল শেখায়। দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে ইংরেজিতে পরীক্ষা দেওয়ার বিকল্পও রয়েছে এ আইজিসিএসই-তে।

শিক্ষার্থীরা যখন IGCSE নেয় তখন তারা ভবিষ্যতের জন্য আত্মবিশ্বাস অর্জন করে। বিশ্ববিখ্যাত এ যোগ্যতা শিক্ষার্থীদেরকে এ-লেভেল, ইন্টারন্যাশনাল ব্যাকালোরেট ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম (IBDP) বা অন্য কোনো সমতুল্য প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত করে। IGCSE এর সফল সমাপ্তি শিক্ষার্থীদের বিশ্বব্যাপী কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আত্মবিশ্বাসের সাথে আবেদন করার উপযোগী করে তোলে এবং তাদের ভবিষ্যত ক্যারিয়ার ও উন্নত জীবন গঠনের জন্য প্রস্তুত করে। অবশ্যই বলা বাহুল্য যে, IGCSE, GCSE ও Cambridge ও’লেভেল থেকে প্রাপ্ত সার্টিফিকেট উচ্চ শিক্ষা স্তরে প্রবেশের জন্য সমানভাবে কাজ করে। তবে, অত্যাধুনিক এবং যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম হওয়ায় আইজিসিএসই এর সার্টিফিকেট আন্তর্জাতিকভাবে একটু বেশি মূল্যায়িত হয়। সুতরাং, সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য যতটুকুই থাকুক না কেন শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমত যেকোন বোর্ড থেকে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে সার্টিফিকেট গ্রহন করতে পারে।

[লেখক : প্রিন্সিপাল, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ঢাকা ও প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ স্মার্ট এডুকেশন নেটওয়ার্ক]

রেসলিং

কোটা সমাচার

বাজেট ২০২৪-২৫: তথ্যপ্রযুক্তি খাতের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের যাত্রা শুরু হোক এবার

সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১: উন্নত ও সমৃদ্ধ আগামীর স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশের মহাকাশ জয়

ছবি

নাটোরের সম্ভাব্য জিআই পণ্য

রিলিফ

মুজিবনগরে স্বাধীনতার সূর্যোদয়

বঙ্গাব্দ প্রচলনের ইতিকথা

পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব

কেউতো অপেক্ষায় নেই

ফরগেট মি নট

ছবি

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বীমা শিল্পের গুরুত্ব

একুশে ফেব্রুয়ারি আত্মপরিচয়ের দিন

দিদি, আপা, “বু” খালা

হিজল-করচ-আড়াংবন

ছবি

শেখ হাসিনা, এক উৎসারিত আলোকধারা

মনমাঝি

সেই ইটনা

ছবি

আংকর ওয়াট : উন্নত সভ্যতার স্মৃতিচিহ্ন যেখানে

নিয়ত ও নিয়তি

হারিয়ে যাওয়া ট্রেন

টম সয়ার না রবিনহুড

ছবি

‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে’

বাংলাদেশ-জাপান সহযোগিতা স্মারক: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনন্য মাইলফলক

রাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনের পরিবর্তন আশু প্রয়োজন

কুয়েতের জীবনযাত্রার সাতকাহন: পর্ব-১-বিয়ে

বিবেকের লড়াই

ছবি

ছবি যেন শুধু ছবি নয়

বাত ব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

ছবি

স্বাধীন স্বদেশে মুক্ত বঙ্গবন্ধু

ছবি

মহান নেতার স্বভূমিতে ফিরে আসা

ছবি

মেট্রোরেল : প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার ফসল

ছবি

আমার মা

ডিজিটাল বাংলাদেশ: প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি

tab

মুক্ত আলোচনা

ইংলিশ মিডিয়াম মাধ্যমিক স্তরের সেরা যোগ্যতা আইজিসিএসই

মাহমুদুল হাছান

সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

ইন্টারন্যাশনাল কারিকুলামে লেখাপড়া যেকোন দেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম থেকে ভিন্ন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম যা বোর্ড অব ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি, বোর্ড অব পিয়ারসন-এডেক্সেল এবং এসেসমেন্ট কোয়ালিফিকেশন এলায়েন্স (এ কিউ এ) দ্বারা পরিচালিত শিক্ষাধারা ও পরীক্ষা পদ্ধতি বিশ্বব্যাপি সমাদৃত। এ শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে আমাদের দেশের এস এস সি এবং এইচ এস সি সমমানের সার্টিফিকেট ও’লেভেল এবং এ’লেভেল প্রদান করা হয়ে থাকে। ইন্টারন্যাশনাল জেনারেল সার্টিফিকেট অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (IGCSE), জেনারেল সার্টিফিকেট অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (GCSE), ক্যামব্রিজ ও-লেভেল (Cambridge O’level) পরীক্ষা বা অন্যান্য সমমানের যোগ্যতার সকল সার্টিফিকেটই এ আন্তর্জাতিক মাধ্যমিক পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত। এগুলোর সবই আমাদের দেশের এস এস সি (SSC) সার্টিফিকেটের সমমানের। আইজিসিএসই (IGCSE) সবচেয়ে আধুনিক ও সর্বজন স্বিকৃত একটি যোগ্যতা। অভিভাবক তার সন্তানদের জন্য মাধ্যমিক সার্টিফিকেট অর্জন করাতে যে কোনটি পছন্দ করতে পারেন। বাংলা বা ইংলিশ ভার্সন থেকে পাশ করলে যেমন শিক্ষার্থীরা এস এস সি সার্টিফিকেট পেয়ে থাকে, ইংলিশ মিডিয়াম থেকে উপরের যে কোন একটি থেকে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলে শিক্ষার্থীরা ও’লেভেল সার্টিফিকেট পেয়ে থাকে। সুতরাং অভিভাবক তার সন্তানের জন্য যে কোন একটি এক্সাম বোর্ড বেছে নিতে পারেন। নিম্নে আই জি সি এস ই, জি সি এস ই, ও ক্যামব্রিজ ও’লেভেল স সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-

আইজিসিএসই (IGCSE) কি?
IGCSE হল ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের জন্য বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক যোগ্যতা, যেখানে ৩০টি ভাষাসহ শিক্ষার্থীদের জন্য ৭০টিরও বেশি বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ২ বছরের কোর্স শেষে বিশ্বের ১৪৫টিরও বেশি দেশের প্রায় ৫,০০০ স্কুলে শিক্ষার্থীরা IGCSE পরীক্ষাগুলি নিয়ে থাকে। এ পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক জ্ঞান এবং বিষয় আয়ত্তের মূল্যায়ন করে থাকে।

মূল IGCSE বিষয়গুলির মধ্যে ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং একটি আধুনিক ভাষা অন্তর্ভুক্ত। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, অর্থনীতি, ব্যবসায় অধ্যয়ন, শিল্প, ডিজাইন বা নকশা ও প্রযুক্তি, শারীরিক শিক্ষা, কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে। অফার করা IGCSE পরীক্ষার ধরণ এবং পরীক্ষার তারিখগুলি তিনটি পৃথক IGCSE পরীক্ষা বোর্ড - কেমব্রিজ, Edexcel এবং AQA দ্বারা সেট করা হয়।

বাংলাদেশের বেশিরভাগ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল নবম গ্রেডের শিক্ষার্থীদের জন্য IGCSE কোর্স শুরু করে এবং দশম গ্রেডের শেষে IGCSE পরীক্ষা দিতে সক্ষম করে। বর্তমানে IGCSE এর গ্রহনযোগ্যতা অনেক বেশি এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ কোর্সটিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। শিক্ষকরাও এ পরীক্ষা গ্রহনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

জিসিএসই (GCSE) কি?
GCSE হলো ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ১৪+ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শিক্ষাগত যোগ্যতা। শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১০ বছর থেকে GCSE-এর জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে এবং ১১ বছরের শেষে GCSE পরীক্ষা দেয়। GCSE-কে IGCSE-এর সমতুল্য বলে মনে করা হয় (‘I’ মানে হল IGCSE-এর আন্তর্জাতিক দিক) এবং এটি নিরীক্ষা করা হয় যে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কোর্স সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা জাতীয় পাঠ্যক্রমের স্টেজ-৪ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করতে প্রস্তুত।

GCSE পরীক্ষা ইংরেজি, সাহিত্য, গণিত এবং বিজ্ঞানের মতো নির্দিষ্ট মূল বিষয়গুলিতে নেওয়া হয়। অফার করা এমন অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে আধুনিক ভাষা, ইতিহাস, ভূগোল, ব্যবসায় অধ্যয়ন, শিল্প, সঙ্গীত, নকশা ও প্রযুক্তি, ধর্ম শিক্ষা এবং আরও অনেক বিষয়। GCSE পরীক্ষা শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যে নেওয়া হয়ে থাকে এবং পাঁচটি আঞ্চলিক পরীক্ষা বোর্ড দ্বারা সেট করা হয়। শিক্ষার্থীরা সাধারণত তাদের GCSE শেষ করার পর A/AS স্তর অধ্যয়নের দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ক্যামব্রিজ ও-লেভেল (Cambridge O’level) কি?
ক্যামব্রিজ ও-লেভেলগুলি IGCSE-এর মতই নির্দিষ্ট স্থানীয় পাঠ্যক্রমের চাহিদা মেটাতে কাস্টমাইজ করা হয়, যেমন সংখ্যালঘু ভাষা, বাংলাদেশের জন্য বাংলা ভাষা এবং অন্যান্য দেশের জন্য তাদের জাতীয় ভাষা। আমাদের দেশে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বা বাংলাদেশ এন্ড গ্লোবাল স্টাডিজ নামে একটি পাঠ্যপুস্তক রয়েছে, যেটি পাঠ্যক্রমের সাথে যুক্ত করার সরকারী নির্দেশনাও রয়েছে এবং অনেক ছাত্র-ছাত্রীই সেটি গ্রহন করে থাকে। বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং আরও কয়েকটি দেশ, যেখানে স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া কোন নির্দেশিকা রয়েছে, সেখানে এ সুযোগ দেয়া হয়।

IGCSE, GCSE এবং ক্যামব্রিজ ও-লেভেলের সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্যঃ যদিও তিনটি প্রোগ্রামই একাডেমিক যোগ্যতা নির্ধারণ করে এবং সমতুল্য যোগ্যতা হিসাবে বিবেচিত হয়, তবুও এদের মধ্যে তাদের কিছু সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য রয়েছে। যেমনঃ

১। কোর্সের বিষয়বস্তুভিত্তিক - GCSE কোর্সের বিষয়বস্তু মূলত যুক্তরাজ্যের শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে IGCSE একটি আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কার্যকরি করে প্রস্তুত করা হয়েছে। তাই GCSE-এর কোর্সের বিষয়বস্তু, বিশেষ করে ইংরেজি সাহিত্য, ইতিহাস, ভূগোল ইত্যাদি বিষয়গুলির ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের জন্য জাতীয়ভাবে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলির উপর জোর দেয়া হয়, যেখানে IGCSE কোর্সগুলির আরও আন্তর্জাতিকভাবে উপযোগী ভিত্তি রয়েছে। IGCSE সিলেবাসগুলিতে বিশ্বজুড়ে স্কুল এবং শিক্ষার্থীদের অর্থপূর্ণ পছন্দ (অপশন) দেওয়ার জন্য কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। GCSE পাঠ্যক্রমে যুক্তরাজ্যভিত্তিক নির্ধারিত পাঠ্যপুস্তক গ্রহনের উপর তাকিদ দেয়া হয়, কিন্তু IGCSE-তে স্ব স্ব দেশের জাতীয় পাঠ্যক্রমসহ আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রম থেকে বিষয় পছন্দের সুযোগ রয়েছে।

ক্যামব্রিজ ও-লেভেলের পাঠ্যক্রমটি নির্দিষ্ট স্থানীয় চাহিদা পূরণের জন্য তৈরি করা হয়েছিল এবং IGCSE এবং GCSE-এর তুলনায় ক্যামব্রিজ-ও’লেভেলে কম কোর্সওয়ার্ক বিকল্প অফার করা হয়। CAIE (কেমব্রিজ অ্যাসেসমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন) অনুসারে, কেমব্রিজ ও-লেভেল সায়েন্সে সীমিত ব্যবহারিক পরীক্ষার বিকল্পও রয়েছে। বাংলাদেশে, জিসিই ও-লেভেল পরীক্ষা বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় (MoE) দ্বারা ডিজাইন করা বাংলাদেশ স্কুল পাঠ্যক্রমের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার একটি পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা পুরাপুরি সম্ভব হয়নি।

২। আন্তর্জাতিক ফোকাস নির্ভরঃ সারা বিশ্বে প্রায় ৪৫০০টি স্কুল IGCSE অফার করে এবং IGCSE পাঠ্যক্রমটি আধুনিক পাঠ্যক্রম উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। পক্ষান্তরে GCSE শুধুমাত্র ইংল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েলসের শিক্ষাক্রমের উপর ফোকাস করে পাঠ্যক্রম সাজানো হয়। অন্যদিকে, মাত্র কয়েকটি দেশে ক্যামব্রিজ ও-লেভেল অফার করা হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক অংগনে বর্তমানে IGCSE এর ব্যাপ্তি অনেকভাবে প্রসারিত এবং এর শিক্ষাক্রম ফোকাস বেশ সমাদৃত। মোটকথা, আইজিসিএসই এখন সর্বাধুনিক বিষয় সম্মৃদ্ধ ও অবেকটা ইনোভেশন ফোকাস। পক্ষান্তরে, জিসিএসই ও ক্যামব্রিজ ও’লেভেল পুরাতন ও আনকাস্টমাজেবল শিক্ষাক্রম ফোকাস।

৩। কোর্সের মেয়াদ এবং অসামঞ্জস্যতাঃ IGCSE ২ বছরের একটি প্রোগ্রাম এবং সাধারণত GCSE-এর চেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন ও যুগোপযোগী বলে মনে করা হয়। GCSE-এর সাম্প্রতিক সংস্কারের কারণে এটি এখন কিছুটা গ্রহন যোগ্যতা পেলেও GCSE-এ আগের চেয়ে আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং বিষয়বস্তু এবং প্রশ্ন কাঠামো রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের কাছে কোন কোন ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হয়ে থাকে। তবে IGCSE এবং GCSE উভয় পাঠ্যক্রমই একজন শিক্ষার্থীর একটি বিষয়ের সামগ্রিক দক্ষতা এবং বোধগম্যতা অর্জনের পাশাপাশি উদ্যোগ গঠন, সমস্যা সমাধান, মৌখিক এবং ব্যবহারিক দক্ষতা পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন মূল্যায়ন কৌশল অফার করে থাকে। GCSE-এর প্রস্তুতিতে সাধারণত দুই বছর সময় লাগে, যদিও আমাদের দেশের কিছু স্কুল তাদের ছাত্রছাত্রীদের আগে থেকেই প্রস্তুত করা শুরু করে। IGCSE শিক্ষার্থীদেরকে একটি প্রাসঙ্গিক, মূল্যবান এবং সুসংহত শিক্ষার অ্যাক্সেস দেয় এবং শিশুদের আজীবন শিক্ষার্থী এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে সফল অবদানকারী হওয়ার জন্য প্রস্তুত করে।

মোটকথা, IGCSE আমাদের বহুসংস্কৃতি এবং বহুভাষিক ছাত্র সংগঠনের জন্য একটি মডেল। এর পাঠ্যক্রম সাংস্কৃতিক সচেতনতা সৃষ্টি করে, যা সকল স্কুলের একটি মূল উদ্দেশ্যও থেকে থাকে। উপরন্তু, এখানে একাধিক ধরনের মূল্যায়ন পদ্ধতি, যাদের প্রথম ভাষা ইংরেজি নয় এমন ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি আদর্শ। লিখিত মূল্যায়নের জন্য ইংরেজি ভাষায় ভালো উপলব্ধি প্রয়োজন, কিন্তু বিস্তৃত পাঠ্যক্রম, মৌখিক এবং ব্যবহারিক মূল্যায়নও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আইজিসিএসই অ-নেটিভ ইংরেজি ভাষাভাষীদের সফলভাবে শেখা এবং দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য অতিরিক্ত কৌশল শেখায়। দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে ইংরেজিতে পরীক্ষা দেওয়ার বিকল্পও রয়েছে এ আইজিসিএসই-তে।

শিক্ষার্থীরা যখন IGCSE নেয় তখন তারা ভবিষ্যতের জন্য আত্মবিশ্বাস অর্জন করে। বিশ্ববিখ্যাত এ যোগ্যতা শিক্ষার্থীদেরকে এ-লেভেল, ইন্টারন্যাশনাল ব্যাকালোরেট ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম (IBDP) বা অন্য কোনো সমতুল্য প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত করে। IGCSE এর সফল সমাপ্তি শিক্ষার্থীদের বিশ্বব্যাপী কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আত্মবিশ্বাসের সাথে আবেদন করার উপযোগী করে তোলে এবং তাদের ভবিষ্যত ক্যারিয়ার ও উন্নত জীবন গঠনের জন্য প্রস্তুত করে। অবশ্যই বলা বাহুল্য যে, IGCSE, GCSE ও Cambridge ও’লেভেল থেকে প্রাপ্ত সার্টিফিকেট উচ্চ শিক্ষা স্তরে প্রবেশের জন্য সমানভাবে কাজ করে। তবে, অত্যাধুনিক এবং যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম হওয়ায় আইজিসিএসই এর সার্টিফিকেট আন্তর্জাতিকভাবে একটু বেশি মূল্যায়িত হয়। সুতরাং, সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য যতটুকুই থাকুক না কেন শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমত যেকোন বোর্ড থেকে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে সার্টিফিকেট গ্রহন করতে পারে।

[লেখক : প্রিন্সিপাল, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ঢাকা ও প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ স্মার্ট এডুকেশন নেটওয়ার্ক]

back to top