ছয় বছরেও শেষ হয়নি ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের ৭২ কিলোমিটার অংশের দুই লেনে উন্নীত করার কাজ। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প ২০১৪ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায়। প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে, যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের জুন মাসে।
নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফা বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ প্রকল্পের ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে; কিন্তু এরই মধ্যে সাতবার প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তন করা হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকল্পটি যথাসময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ হিসেবে মহামারি করোনা পরিস্থিতিকে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে উল্লেখ করছেন সংশ্লিষ্টরা। ছিল জমি অধিগ্রহণ ও লোকজনকে পুনর্বাসন নিয়েও জটিলতা। এছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় রেললাইন নির্মাণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। কসবা ও সালদা নদী এলাকায় সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে রেললাইন নির্মাণ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনর দূরত্ব ৩২০ কিলোমিটারেরও বেশি। আগে থেকেই ১১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত দুই লেনের ছিল। এরপর তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩১ কিলোমিটার দুই লেনে উন্নীত করা হয়। চলমান প্রকল্পের ৭২ কিলোমিটারের কাজ শেষ হলে পুরোটাই দুই লেন হয়ে যাবে। তখন ট্রেনে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াতে অন্তত পৌনে এক ঘণ্টা সময় কম লাগবে। যাত্রীসাধারণ স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন, পণ্য পরিবহনেও বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে। উভয় ক্ষেত্রেই সময় ও খরচ কমে যাবে। অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ বছরের পর বছর ধরে ঝুলে আছে।
দেশে কোন প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হওয়ার নজির খুব কমই রয়েছে। প্রকল্পের সময় যেমন বেড়ে যায়, তেমনি বেড়ে যায় ব্যয়ও। উক্ত প্রকল্পের পরিচালক সাতবার পরিবর্তন করতে হয়েছে কেন-সেটা একটা প্রশ্ন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বারবার প্রকল্প পরিচালকের পরিবর্তন হলে উন্নয়নকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিচালক প্রকল্প বাস্তবায়নে নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকেন। তাই নেতা পাল্টে গেলে পরবর্তী কাজে দিকনির্দেশনা কার্যকরে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
প্রকল্প বাস্তবায়নের যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর করতে হবে। যে কোনভাবেই হোক দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে। ঢাকা-চট্টগ্রামে বাধাহীনভাবে ট্রেন চলাচলে প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রোববার, ০২ অক্টোবর ২০২২
ছয় বছরেও শেষ হয়নি ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের ৭২ কিলোমিটার অংশের দুই লেনে উন্নীত করার কাজ। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প ২০১৪ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায়। প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে, যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের জুন মাসে।
নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফা বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ প্রকল্পের ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে; কিন্তু এরই মধ্যে সাতবার প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তন করা হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকল্পটি যথাসময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ হিসেবে মহামারি করোনা পরিস্থিতিকে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে উল্লেখ করছেন সংশ্লিষ্টরা। ছিল জমি অধিগ্রহণ ও লোকজনকে পুনর্বাসন নিয়েও জটিলতা। এছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় রেললাইন নির্মাণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। কসবা ও সালদা নদী এলাকায় সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে রেললাইন নির্মাণ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনর দূরত্ব ৩২০ কিলোমিটারেরও বেশি। আগে থেকেই ১১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত দুই লেনের ছিল। এরপর তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩১ কিলোমিটার দুই লেনে উন্নীত করা হয়। চলমান প্রকল্পের ৭২ কিলোমিটারের কাজ শেষ হলে পুরোটাই দুই লেন হয়ে যাবে। তখন ট্রেনে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াতে অন্তত পৌনে এক ঘণ্টা সময় কম লাগবে। যাত্রীসাধারণ স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন, পণ্য পরিবহনেও বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে। উভয় ক্ষেত্রেই সময় ও খরচ কমে যাবে। অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ বছরের পর বছর ধরে ঝুলে আছে।
দেশে কোন প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হওয়ার নজির খুব কমই রয়েছে। প্রকল্পের সময় যেমন বেড়ে যায়, তেমনি বেড়ে যায় ব্যয়ও। উক্ত প্রকল্পের পরিচালক সাতবার পরিবর্তন করতে হয়েছে কেন-সেটা একটা প্রশ্ন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বারবার প্রকল্প পরিচালকের পরিবর্তন হলে উন্নয়নকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিচালক প্রকল্প বাস্তবায়নে নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকেন। তাই নেতা পাল্টে গেলে পরবর্তী কাজে দিকনির্দেশনা কার্যকরে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
প্রকল্প বাস্তবায়নের যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর করতে হবে। যে কোনভাবেই হোক দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে। ঢাকা-চট্টগ্রামে বাধাহীনভাবে ট্রেন চলাচলে প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।