alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

রম্যগদ্য : ‘চোর চাই, চোর...’

জাঁ-নেসার ওসমান

: শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

‘ওম্মা কয় কী, চুর নি চান? উয়া কি ঠাকুরের, শ্যামা নৃত্য নাট্য নি, ‘চুরি হয়ে গ্যেছে রাজকোষে/ চোর চাই, যে কোরেই হোক/ হোক না সে, অন্য কোনো লোক...’

‘আরে না, এ-চোর সে চোর নয়।’ ‘কিন্তু ভাইডি দ্যেশে তো কুনো চুর নাই, সবতো ডাকাইত মানে দস্যু...’। ‘ও কিরে তুই বলিস কি, দেশে চোর নেই!’ ‘হ মিয়া ভাই হ¹লটি দস্যু, যেমন ভূমি দস্যু, বালু খেগো দস্যু, পাঁচ হাজার টাকার বালিশ খাওইন্না দস্যু, বত্রিশ হাজার টাকার পর্দা টাঙানো দস্যু...’।

‘থাক থাক ভাই, আমার অতো দস্যু বাহারামের আত্মীয়দের ফিরিস্তির দরকার নেই, আমি চাচ্ছিলাম কিছু নতুন চোরের মুখ দেখতে।’

‘হ, চোর আপনেরে তার মুখ দ্যেখাইবো আর আপনে পুলিশরে চুরের স্ক্রিন শট দিবেন। চুর কখোনোই মুখ দ্যেখাইবো না! পারলে মুখ ঢাইক্কা রাখপে।’

‘আরে সোনা এখানেই তুই ভুল করছিস, আমাদের চোররা সবের সামনে দাঁত কেলিয়ে হাসতে হাসতে ঘুরে বেড়ায়, পুলিশ আমাদের চোরদের স্যার স্যার বলে স্যালুট দেয়!’ ‘হাগোল নি কোনো। চুরেরে প্রহরী দিবো, স্যালুট! কন চাইন দেহি, এ্যমুন চুর আন্নে কোন দেশে পাইবেন?’

‘সাধারণত কি হয় দ্যেখ, চোর ঠিক করে কার বাড়ি বা গাড়ি সে চুরি করবে। কিন্তু এখানে আমরা ঠিক করি কোন চোর আমাদের জায়গা জমি, টাকা-পয়সা লুট করবে!’

‘কন কী, আম জনতা নিজেরাই নিজেগো গোমর নিজেরাই কাঁচি দিয়া ফাড়বো!! ধাৎ এইডা হয়নি? গাঞ্জা খায়াভী এমুন কতা কোনো ব্যাডা চিন্তা করবো না। নিজেগো গোমর নিজেরাই কাঁচি দিয়া ফাড়বো!’। ‘গাঞ্জা সেবনে চিন্তা না করলেও বাস্তবে তো তাই ঘটছে!’ ‘মাইনে কন কি, আপনে!!’ ‘ক্যেনো ভাই, বিগত প্রায় চুয়ান্ন বছর তোমরা নির্বাচনের নামে কতোগুলো হাজার হাজার কোটি টাকা চোর, স্যাটালাইট উপগ্রহ স্থাপনের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা চোর, ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা চোরদের নির্বাচিত করনি? হলমার্ক, ল্যান্ডমার্ক, বেঞ্চমার্ক, ডেনমার্ক, বিসমার্ক কতো টাকা যে সরিয়েছে তার অনেক হদিসই নেই।’

‘ও রে মোর ভগবান আননে নি, মন্ত্রী-মিনিস্টার, পোরশাষণের ছত্রছায়ায় যারা বস্তা বস্তা ট্যাকা খাটের নিচে থুয়া দ্যেয়!! ট্যাকা খরচ কোরতে পারোস না তো ট্যাকা চুরি করোস ক্যান?’

‘জি মাননীয় মন্ত্রী-মিনিস্টারদের কথা বলছিলাম। আপনারাই যাহাদিগকে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত করিয়া আপনার দেশের সম্পদ লুঠ করিয়া সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত রাখার সুযোগ দেন!! এই সকল নিশিকুটুম্বদের আপনারাই নির্বাচিত করেন ঠিক কি না। ও মা কথা কয়না ক্যেরে? বলেন ঠিক কি না?’ ‘ঠিক ঠিক, তয় কথা আছে, এই যে, মিনিস্টার স্যারেরা ভ্যান ওয়ালার পোলা থ্যেইক্কা, পানি ওয়ালীর পোলা থ্যেইক্কা, মাতারীর বেডি, মন্ত্রী-মিনিস্টার হোইলো, আলিশান ঘর বাড়ী বানাইলো, এইডা দেশের উন্নতি না?’ ‘ভালো কথা ফকিরনির পোলার উন্নতির সাথে সাথে দেশেরও উন্নতি হলো! কিন্তু ভাইডি তুমি যে বুলডোজার দিয়া তিনশ ভ্যানওয়ালার পোলা, পানি ওয়ালীর পোলার ঘর-বাড়ী মাটিতে মিশিয়ে দিলে, তাহলে তোমার উন্নতি থাকলো কোথায়?? উন্নতিতো ধুলোয় মিশে গেলো।’

‘কিন্তু স্যার আমাদের ডক্টর ইউনূস স্যার আসার পর থ্যেইক্কা কোইলাম রাষ্ট্রীয়ভাবে কুনো চুরি চামারি হোইতাছে না। যেমন পাঁচ হাজার টাকার বালিশ, হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু, শত কোটির মেট্রোরেল, এইগুলা কোইলাম বন্ধ আছে।’

‘মানে কি, ড. ইউনূস আসার পর তোমার সকল জনগোষ্ঠীর ডিএনএ, বদলে গ্যেছে! চুরি চামারি থেমেছে!’

‘দুই-একটা রাস্তাঘাটের টোকাইগো পোলাপানের ডান্ডি খাওয়ার পয়সার লাগী ছিঁচকা চান্দাবাজী চলতাছে কিন্তু ওই উন্নয়নের নামে বস্তা বস্তা ট্যাকা, আইসটির. লক্ষ লক্ষ ট্যাকা কেউ খাইতাছে না।’ ‘কিন্তু শাক দিয়ে মাছ ঢাকলে তো হবে না। বলেছেন বন্যার রিলিফের টাকা এখনো ব্যাংকে, জানি না কার অ্যাকাউন্টে। নারায়ণগঞ্জের মহিলা সম্বনায়িকা, টাকা তছরুপের দায়ে পুলিশ হেফাজতে! ভাই সবাই যদি, টাকা দেখলেই দেশের দশের নিজ আত্মসন্মানের কথা ভুলে খালি চুরির ধান্দা করো তাহলে এই সব বিপ্লব টিপ্লবে কী লাভ, তার চেয়ে ভালো নির্বাচন দাও আমরা দলকানারা নিজেরাই কিছু চোরদের মন্ত্রী মিনিস্টার বানিয়ে আবার বড় বড় প্রজেক্ট শুরু করি আর মাল কামাই। বিগত প্রায় চুয়ান্ন বছরেও যখন জনগনের চোখ খুললনা, তখন আশাকরি আগামী একশ বছরেও স্যারেদের ঘুম ভাঙ্গবে না চুরি যেমন চলছে তেমন চলবেই চলবে।’

‘তয়লে স্যার আমি কোই কী, নির্বাচন দিলেই যদি চুরের হাতে দেশ চইল্লা যায় তাহলে ড.ইউনুসই দ্যেশ চালাক, আমরা পীরথীবির বাইরের ‘চুঙ্গল গ্রহের’ মতুন বিশ্ব ভূমন্ডলে ঘুইরা ব্যেড়ামু।’

‘চুঙ্গল গ্রহ, মানে কী? কিছুই তো বুঝলাম না??’ ‘হ্যেয় মিয়া রসিকতা কোইরেন না। ‘চুঙ্গল গ্রহ’ মানে বুঝেন নাই?’ ‘সত্যি বলছি, তোর এই সিনোনিম ‘চুঙ্গল গ্রহ’ মানে বুঝি নাই?’

‘ভেরি ছিম্পল, ‘চুঙ্গল গ্রহ’ মানে চুরেগো গৃহ, সংক্ষেপে ‘চুঙ্গল গ্রহ’।’

‘ সাধু সাধু, দারুণ বলেছিস ‘চুঙ্গল গ্রহ’। আর শোন তোরা নাকি বাংলাদেশের নাম পাল্টাবি, তাহলে আমি বলি অন্য কোনো নাম চিন্তা না কোরে দেশের নাম ‘চুঙ্গল গ্রহ’ রেখে দে সব ল্যাঠা শেষ, আমরাও নির্বাচনে তোর ভাষায় ‘চুরদের নির্বাচিত করিয়া আরো চুরির সুযোগ করিয়া দেই।’ ‘ওই চুরেদের সাথে আমরাও, জনগণ ‘চুঙ্গল গ্রহে’ নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করি।’

‘সাধু সাধু মাভৈঃ ‘চুঙ্গল গ্রহ।’

[লেখক : চলচ্চিত্রকার]

বিজয়ের রক্তাক্ত সূর্য ও আমাদের ঋণের হিসাব

বিজয় দিবস: নতুন প্রজন্মের রাষ্ট্রচিন্তার দিকদর্শন

ছবি

আমাদের বিজয়ের অন্তর্নিহিত বার্তা

প্রাণিসম্পদ: দেশীয় জাত, আধুনিক প্রযুক্তি

জমির জরিপ: ন্যায়বিচার প্রসঙ্গ

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

উন্নয়নের আড়ালে রোগীর ভোগান্তি: আস্থা সংকটে স্বাস্থ্যসেবা

ছবি

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: অমিত শক্তির উৎস

ছবি

বেগম রোকেয়া এখনো জাগ্রত

পশ্চিমবঙ্গ: বামপন্থীদের ‘বাংলা বাঁচাও’-এর ডাক

সবার বাংলাদেশ কবে প্রতিষ্ঠিত হবে?

বিদেশি বিনিয়োগ : প্রয়োজন আইনের শাসন ও সামাজিক স্থিতি

চিকিৎসা যখন অসহনীয় ব্যয়, তখন প্রতিবাদই ন্যায়

মস্কোর কৌশলগত পুনর্গঠন

“সব শিয়ালের এক রা’ মারা গেল কুমিরের ছা”

ছবি

বিচূর্ণ দর্পণের মুখ

নিজের চেতনায় নিজেরই ঘা দেয়া জরুরি

ঋণ অবলোপনের প্রভাব

ভেজাল গুড়ের মরণফাঁদ: বাঙালির ঐতিহ্য, জনস্বাস্থ্য ও আস্থার নীরব বিপর্যয়

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস

জোটের ভোট নাকি ভোটের জোট, কৌশলটা কী?

প্রমাণ তো করতে হবে আমরা হাসিনার চেয়ে ভালো

ছবি

কৃষি ডেটা ব্যবস্থাপনা

যুক্তরাজ্যে ভর্তি স্থগিতের কুয়াশা: তালা লাগলেও চাবি আমাদের হাতে

শিক্ষকদের কর্মবিরতি: পেশাগত নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ

জাতীয় রক্তগ্রুপ নির্ণয় দিবস

জাল সনদপত্রে শিক্ষকতা

সাধারণ চুক্তিগুলোও গোপনীয় কেন

ছবি

শিশুখাদ্যের নিরাপত্তা: জাতির ভবিষ্যৎ সুরক্ষার প্রথম শর্ত

ছবি

ফিনল্যান্ড কেন সুখী দেশ

ছবি

কৃষকের সংকট ও অর্থনীতির ভবিষ্যৎ

আলু চাষের আধুনিক প্রযুক্তি

ই-বর্জ্য: নীরব বিষে দগ্ধ আমাদের ভবিষ্যৎ

ঢাকার জনপরিসর: আর্ভিং গফম্যানের সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

আলু চাষের আধুনিক প্রযুক্তি

কলি ফুটিতে চাহে ফোটে না!

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

রম্যগদ্য : ‘চোর চাই, চোর...’

জাঁ-নেসার ওসমান

শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

‘ওম্মা কয় কী, চুর নি চান? উয়া কি ঠাকুরের, শ্যামা নৃত্য নাট্য নি, ‘চুরি হয়ে গ্যেছে রাজকোষে/ চোর চাই, যে কোরেই হোক/ হোক না সে, অন্য কোনো লোক...’

‘আরে না, এ-চোর সে চোর নয়।’ ‘কিন্তু ভাইডি দ্যেশে তো কুনো চুর নাই, সবতো ডাকাইত মানে দস্যু...’। ‘ও কিরে তুই বলিস কি, দেশে চোর নেই!’ ‘হ মিয়া ভাই হ¹লটি দস্যু, যেমন ভূমি দস্যু, বালু খেগো দস্যু, পাঁচ হাজার টাকার বালিশ খাওইন্না দস্যু, বত্রিশ হাজার টাকার পর্দা টাঙানো দস্যু...’।

‘থাক থাক ভাই, আমার অতো দস্যু বাহারামের আত্মীয়দের ফিরিস্তির দরকার নেই, আমি চাচ্ছিলাম কিছু নতুন চোরের মুখ দেখতে।’

‘হ, চোর আপনেরে তার মুখ দ্যেখাইবো আর আপনে পুলিশরে চুরের স্ক্রিন শট দিবেন। চুর কখোনোই মুখ দ্যেখাইবো না! পারলে মুখ ঢাইক্কা রাখপে।’

‘আরে সোনা এখানেই তুই ভুল করছিস, আমাদের চোররা সবের সামনে দাঁত কেলিয়ে হাসতে হাসতে ঘুরে বেড়ায়, পুলিশ আমাদের চোরদের স্যার স্যার বলে স্যালুট দেয়!’ ‘হাগোল নি কোনো। চুরেরে প্রহরী দিবো, স্যালুট! কন চাইন দেহি, এ্যমুন চুর আন্নে কোন দেশে পাইবেন?’

‘সাধারণত কি হয় দ্যেখ, চোর ঠিক করে কার বাড়ি বা গাড়ি সে চুরি করবে। কিন্তু এখানে আমরা ঠিক করি কোন চোর আমাদের জায়গা জমি, টাকা-পয়সা লুট করবে!’

‘কন কী, আম জনতা নিজেরাই নিজেগো গোমর নিজেরাই কাঁচি দিয়া ফাড়বো!! ধাৎ এইডা হয়নি? গাঞ্জা খায়াভী এমুন কতা কোনো ব্যাডা চিন্তা করবো না। নিজেগো গোমর নিজেরাই কাঁচি দিয়া ফাড়বো!’। ‘গাঞ্জা সেবনে চিন্তা না করলেও বাস্তবে তো তাই ঘটছে!’ ‘মাইনে কন কি, আপনে!!’ ‘ক্যেনো ভাই, বিগত প্রায় চুয়ান্ন বছর তোমরা নির্বাচনের নামে কতোগুলো হাজার হাজার কোটি টাকা চোর, স্যাটালাইট উপগ্রহ স্থাপনের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা চোর, ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা চোরদের নির্বাচিত করনি? হলমার্ক, ল্যান্ডমার্ক, বেঞ্চমার্ক, ডেনমার্ক, বিসমার্ক কতো টাকা যে সরিয়েছে তার অনেক হদিসই নেই।’

‘ও রে মোর ভগবান আননে নি, মন্ত্রী-মিনিস্টার, পোরশাষণের ছত্রছায়ায় যারা বস্তা বস্তা ট্যাকা খাটের নিচে থুয়া দ্যেয়!! ট্যাকা খরচ কোরতে পারোস না তো ট্যাকা চুরি করোস ক্যান?’

‘জি মাননীয় মন্ত্রী-মিনিস্টারদের কথা বলছিলাম। আপনারাই যাহাদিগকে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত করিয়া আপনার দেশের সম্পদ লুঠ করিয়া সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত রাখার সুযোগ দেন!! এই সকল নিশিকুটুম্বদের আপনারাই নির্বাচিত করেন ঠিক কি না। ও মা কথা কয়না ক্যেরে? বলেন ঠিক কি না?’ ‘ঠিক ঠিক, তয় কথা আছে, এই যে, মিনিস্টার স্যারেরা ভ্যান ওয়ালার পোলা থ্যেইক্কা, পানি ওয়ালীর পোলা থ্যেইক্কা, মাতারীর বেডি, মন্ত্রী-মিনিস্টার হোইলো, আলিশান ঘর বাড়ী বানাইলো, এইডা দেশের উন্নতি না?’ ‘ভালো কথা ফকিরনির পোলার উন্নতির সাথে সাথে দেশেরও উন্নতি হলো! কিন্তু ভাইডি তুমি যে বুলডোজার দিয়া তিনশ ভ্যানওয়ালার পোলা, পানি ওয়ালীর পোলার ঘর-বাড়ী মাটিতে মিশিয়ে দিলে, তাহলে তোমার উন্নতি থাকলো কোথায়?? উন্নতিতো ধুলোয় মিশে গেলো।’

‘কিন্তু স্যার আমাদের ডক্টর ইউনূস স্যার আসার পর থ্যেইক্কা কোইলাম রাষ্ট্রীয়ভাবে কুনো চুরি চামারি হোইতাছে না। যেমন পাঁচ হাজার টাকার বালিশ, হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু, শত কোটির মেট্রোরেল, এইগুলা কোইলাম বন্ধ আছে।’

‘মানে কি, ড. ইউনূস আসার পর তোমার সকল জনগোষ্ঠীর ডিএনএ, বদলে গ্যেছে! চুরি চামারি থেমেছে!’

‘দুই-একটা রাস্তাঘাটের টোকাইগো পোলাপানের ডান্ডি খাওয়ার পয়সার লাগী ছিঁচকা চান্দাবাজী চলতাছে কিন্তু ওই উন্নয়নের নামে বস্তা বস্তা ট্যাকা, আইসটির. লক্ষ লক্ষ ট্যাকা কেউ খাইতাছে না।’ ‘কিন্তু শাক দিয়ে মাছ ঢাকলে তো হবে না। বলেছেন বন্যার রিলিফের টাকা এখনো ব্যাংকে, জানি না কার অ্যাকাউন্টে। নারায়ণগঞ্জের মহিলা সম্বনায়িকা, টাকা তছরুপের দায়ে পুলিশ হেফাজতে! ভাই সবাই যদি, টাকা দেখলেই দেশের দশের নিজ আত্মসন্মানের কথা ভুলে খালি চুরির ধান্দা করো তাহলে এই সব বিপ্লব টিপ্লবে কী লাভ, তার চেয়ে ভালো নির্বাচন দাও আমরা দলকানারা নিজেরাই কিছু চোরদের মন্ত্রী মিনিস্টার বানিয়ে আবার বড় বড় প্রজেক্ট শুরু করি আর মাল কামাই। বিগত প্রায় চুয়ান্ন বছরেও যখন জনগনের চোখ খুললনা, তখন আশাকরি আগামী একশ বছরেও স্যারেদের ঘুম ভাঙ্গবে না চুরি যেমন চলছে তেমন চলবেই চলবে।’

‘তয়লে স্যার আমি কোই কী, নির্বাচন দিলেই যদি চুরের হাতে দেশ চইল্লা যায় তাহলে ড.ইউনুসই দ্যেশ চালাক, আমরা পীরথীবির বাইরের ‘চুঙ্গল গ্রহের’ মতুন বিশ্ব ভূমন্ডলে ঘুইরা ব্যেড়ামু।’

‘চুঙ্গল গ্রহ, মানে কী? কিছুই তো বুঝলাম না??’ ‘হ্যেয় মিয়া রসিকতা কোইরেন না। ‘চুঙ্গল গ্রহ’ মানে বুঝেন নাই?’ ‘সত্যি বলছি, তোর এই সিনোনিম ‘চুঙ্গল গ্রহ’ মানে বুঝি নাই?’

‘ভেরি ছিম্পল, ‘চুঙ্গল গ্রহ’ মানে চুরেগো গৃহ, সংক্ষেপে ‘চুঙ্গল গ্রহ’।’

‘ সাধু সাধু, দারুণ বলেছিস ‘চুঙ্গল গ্রহ’। আর শোন তোরা নাকি বাংলাদেশের নাম পাল্টাবি, তাহলে আমি বলি অন্য কোনো নাম চিন্তা না কোরে দেশের নাম ‘চুঙ্গল গ্রহ’ রেখে দে সব ল্যাঠা শেষ, আমরাও নির্বাচনে তোর ভাষায় ‘চুরদের নির্বাচিত করিয়া আরো চুরির সুযোগ করিয়া দেই।’ ‘ওই চুরেদের সাথে আমরাও, জনগণ ‘চুঙ্গল গ্রহে’ নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করি।’

‘সাধু সাধু মাভৈঃ ‘চুঙ্গল গ্রহ।’

[লেখক : চলচ্চিত্রকার]

back to top