alt

opinion » post-editorial

নগরে আগুন লাগলে দেবালয় কি অক্ষত থাকে

শহীদুল্লাহ্ মজুমদার

: শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

ব্যাংক আমানতের পরিমাণ প্রায় ১৫ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এর ভেতর ব্যাংক জনগণের মাঝে বিনিয়োগ বা লোন প্রদান করেছে প্রায় ১৪ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে খেলাপি বিনিয়োগ বা মন্দ লোনের পরিমাণ ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ব্যাংকের মুনাফা থেকে ব্যাংকগুলো নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন সংরক্ষণ করে থাকে।

ফলশ্রুতিতে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। ব্যাংকে বর্তমানে তারল্যের পরিমাণ ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা, যার দ্বারা ব্যাংক গ্রাহকদের দৈনন্দিন নগদ চাহিদার জোগান দিয়ে থাকে। লক্ষ্যণীয় যে ব্যাংক চাহিবামাত্রই গ্রাহকের ডিপোজিট ফেরত প্রদানে বাধ্য থাকে, কিন্তু চাইলেই গ্রাহকদের প্রদত্ত বিনিয়োগ বা লোন আদায় করে ফেলতে পারে না। একটি স্থিতিশীল অর্থনীতিতে এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কেননা স্বাভাবিক অর্থব্যবস্থায় সব গ্রাহকের একসঙ্গে টাকা তোলার প্রয়োজন ঘটে না।

আবার লেনদেনের মাধ্যম হচ্ছে টাকা বা ছাপানো নোট। টাকা প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে, কোন দেশ কী পরিমাণ টাকা প্রিন্ট করবে তার পরিমাণগত কোন বাধ্যবাধকতা নেই। কোন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলেই নিজেদের ইচ্ছামতো টাকা প্রিন্ট করতে পারে।

কিন্তু বাস্তবে এমনটি করা হয় না। কারণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা প্রিন্ট করলে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিবে, দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাবে, অর্থনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। তাই কোন দেশে টাকা ছাপানো হয় সেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, সম্পদ, জনগণের উপার্জন ইত্যাদির সঙ্গে ভারসাম্য রেখে। সেপ্টেম্বর ২০২২ এর তথ্য অনুযায়ী দেশে ছাপানো নোটের পরিমাণ ২ লাখ ৬১ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা, যার ভেতর ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা ব্যাংকের বাইরে জনগণের হাতে ধরা আছে বা আবর্তন হচ্ছে। বাকি ২১ হাজার ৬৩৮ কোটি ছাপানো নোট দিয়ে চলছে ব্যাংকসমূহের ক্যাশ কাউন্টার আর বুথসমূহ।

একটা দেশের অর্থ ব্যবস্থায় এত অধিক পরিমাণে ছাপানো নোট থাকলে সেটা আর অর্থনীতি থাকবে না, হয়ে যাবে নীতিহীন অর্থনীতি

মানি সার্কুলেশন এবং ডিজিটাল লেনদেন চলমান থাকলে এই ছাপানো নোটেই অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্বাভাবিক গতিতেই চলবে বলেই অর্থনীতিবিদদের ধারণা। কেননা মাত্রাতিরিক্ত ছাপানো নোটে পণ্য দ্রব্যের দাম বা মূল্যবৃদ্ধি পায়। অর্থনীতিতে একে মুদ্রাস্ফীতি বলে। অতিরিক্ত মুদ্রাস্ফীতিতে টাকার মূল্য কমে এবং মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যায়।

ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে মিডিয়া, ইউটিউব, সুশীল সমাজের তথ্য বিভ্রাটের কারণে জনগণ যদি ব্যাংকে টাকা জমা না করে বা গ্রাহকরা যদি একযোগে ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তুলে নিতে লাইন ধরে তাহলে স্বাভাবিক নিয়মেই ব্যাংকসমূহ সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেই টাকা ধার চাইবে। আর জনগণ টাকা ঘরে বা হাতে ধরে রাখার কারণে মানি সার্কুলেশন হবে না। এতে করে ছাপানো নোটের ঘাটতি দেখা দিবে। আর তখন সরকারের নতুন টাকা না ছাপিয়ে উপায় কী!

সেপ্টেম্বরের পর গ্রাহকদের অস্বাভাবিক নগদ অর্থের প্রয়োজনে ইতোমধ্যেই সরকারকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা নতুন করে নোট ছাপাতে হয়েছে বলেই জনশ্রুতি রয়েছে। মিডিয়া, ইউটিউব আর সুশীল সমাজের সব কথাকে সত্য মেনে নিয়ে যদি আমরা সবাই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাসায় রাখি তাহলে ছাপানো নোটের প্রয়োজন পড়বে আরো ১৫ লাখ কোটি টাকা।

একটা দেশের অর্থ ব্যবস্থায় এত অধিক পরিমাণে ছাপানো নোট থাকলে সেটা আর অর্থনীতি থাকবে না, হয়ে যাবে নীতিহীন অর্থনীতি। এভাবে সবাই মিলে অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে দিয়ে শেষমেশ কর্মহীন আর পণ্যহীন এক সমাজ তৈরি করছি না তো। ছাপানো নোটগুলো নিজের জিম্মায় ধরে রেখে যারা সরকারকে নিত্যনতুন নোট ছাপিয়ে বাজারে ইনজেক্ট করতে বাধ্য করছেন তারা তাদের টাকার মূল্যমান ধরে রাখতে পারবেন তো কিংবা পারবেন তো আপনার আগামী প্রজন্মের জন্য একটি কর্মময় গতিশীল অর্থনীতি রেখে যেতে।

তাই আসুন ঘরে বা হাতে ধরে রাখা অলস টাকাগুলো ফেলে না রেখে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মাঝেই ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকে জমা করি। যে ব্যাংকগুলো আপনার টাকা চাহিবামাত্র আপনাকে শর্ট নোটিশে দিতে পেরেছে বিশ্বস্ততার মানদন্ডে তারাই অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য। আবার নেটে সার্চ দিয়েও আপনি জেনে নিতে পারেন এদেশের সেরা ব্যাংকগুলোর নাম, জেনে নিতে পারেন প্রবলেম ব্যাংক কোনগুলো, মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে কারা, কোন ব্যাংকের রেটিং কেমন, গ্রাহক ভিত্তি, মুনাফা অর্জনে সক্ষমতা রয়েছে কোন ব্যাংকগুলোর ইত্যাদি। ঘরে টাকা মজুদ করাই একমাত্র সমাধান নয়। মনে রাখা উচিত, ‘নগরে আগুন লাগলে দেবালয় কিন্তু রক্ষা পায় না।’

[লেখক: এক্সিকিউটিভ ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও কুমিল্লা জোনাল হেড, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি.]

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারী

অটোমেশন ও দেশের যুব কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ

দুর্যোগে ভয় নয়, প্রস্তুতিই শক্তি

বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন

ছবি

‘আল্লাহ তুই দেহিস’: এ কোন ঘৃণার আগুন, ছড়িয়ে গেল সবখানে!

চেকের মামলায় আসামী যেসব ডিফেন্স নিয়ে খালাস পেতে পারেন

খেলনাশিল্প: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

ছবি

প্রান্তিক মানুষের হৃদয়ে ফিরে আসা কালো মেঘ

গীর্জায় হামলার নেপথ্যে কী?

সংঘের শতবর্ষের রাজনৈতিক তাৎপর্য

দুর্নীতি আর চাঁদাবাজি রাজনৈতিক-সংস্কৃতির অংশ

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

বাংলার সংস্কৃতি : উৎস, বিবর্তন ও বর্তমান সমাজ-মনন

রম্যগদ্য: শিক্ষা সহজ, বিদ্যা কঠিন

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জনগণের ভূমিকা উপেক্ষিত

শ্রমজীবী মানুষের শোভন কর্মসংস্থান

মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের বাস্তবতা

প্রবারণার আলোয় আলোকিত হোক মানবজাতি

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে ওয়াশিংটনের শেষ সুযোগ?

পাহাড় থেকে সমতল: আদিবাসী নারীর নিরাপত্তা

সোশ্যাল মিডিয়ার ‘লাইক’ সংস্কৃতি: আসক্তি নাকি নতুন যোগাযোগ?

জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যু

মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক পরিবর্তন: আমরা কী শিক্ষা নিতে পারি

রম্যগদ্য: “কেশ ফ্যালায় ভাই, কেশ ফ্যালায়...”

লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীর অধিকার: বিসিএস ও শিক্ষা ক্যাডারের বৈষম্য

ন্যাশনাল গ্যালারি : রঙতুলির মহাসমুদ্রে একদিন

যুব শক্তি বনাম বেকারত্ব

প্রযুক্তি, আর্থিক পরিকল্পনা ও গণিতের ব্যবহার

ফরাসি বিপ্লব: বৈষম্য নিরসনে সামগ্রিক মুক্তির প্রেরণা

অন্তর্বর্তী সরকারের নিউইয়র্ক সফর

প্রবীণদের যত্ন: নৈতিক দায়িত্ব থেকে সামাজিক শক্তি নির্মাণ

জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের অপরিহার্যতা

জনমিতিক সুবিধা: স্বপ্নের দশক ও নীতিগত সংস্কারের অপরিহার্যতা

বিদ্যালয় ও মাঠ দখলের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের সংগ্রাম

শিক্ষাসংস্কারে চাই সুস্পষ্ট লক্ষ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা

ভারতে এসআইআর বিতর্ক

tab

opinion » post-editorial

নগরে আগুন লাগলে দেবালয় কি অক্ষত থাকে

শহীদুল্লাহ্ মজুমদার

শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

ব্যাংক আমানতের পরিমাণ প্রায় ১৫ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এর ভেতর ব্যাংক জনগণের মাঝে বিনিয়োগ বা লোন প্রদান করেছে প্রায় ১৪ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে খেলাপি বিনিয়োগ বা মন্দ লোনের পরিমাণ ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ব্যাংকের মুনাফা থেকে ব্যাংকগুলো নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন সংরক্ষণ করে থাকে।

ফলশ্রুতিতে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। ব্যাংকে বর্তমানে তারল্যের পরিমাণ ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা, যার দ্বারা ব্যাংক গ্রাহকদের দৈনন্দিন নগদ চাহিদার জোগান দিয়ে থাকে। লক্ষ্যণীয় যে ব্যাংক চাহিবামাত্রই গ্রাহকের ডিপোজিট ফেরত প্রদানে বাধ্য থাকে, কিন্তু চাইলেই গ্রাহকদের প্রদত্ত বিনিয়োগ বা লোন আদায় করে ফেলতে পারে না। একটি স্থিতিশীল অর্থনীতিতে এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কেননা স্বাভাবিক অর্থব্যবস্থায় সব গ্রাহকের একসঙ্গে টাকা তোলার প্রয়োজন ঘটে না।

আবার লেনদেনের মাধ্যম হচ্ছে টাকা বা ছাপানো নোট। টাকা প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে, কোন দেশ কী পরিমাণ টাকা প্রিন্ট করবে তার পরিমাণগত কোন বাধ্যবাধকতা নেই। কোন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলেই নিজেদের ইচ্ছামতো টাকা প্রিন্ট করতে পারে।

কিন্তু বাস্তবে এমনটি করা হয় না। কারণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা প্রিন্ট করলে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিবে, দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাবে, অর্থনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। তাই কোন দেশে টাকা ছাপানো হয় সেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, সম্পদ, জনগণের উপার্জন ইত্যাদির সঙ্গে ভারসাম্য রেখে। সেপ্টেম্বর ২০২২ এর তথ্য অনুযায়ী দেশে ছাপানো নোটের পরিমাণ ২ লাখ ৬১ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা, যার ভেতর ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা ব্যাংকের বাইরে জনগণের হাতে ধরা আছে বা আবর্তন হচ্ছে। বাকি ২১ হাজার ৬৩৮ কোটি ছাপানো নোট দিয়ে চলছে ব্যাংকসমূহের ক্যাশ কাউন্টার আর বুথসমূহ।

একটা দেশের অর্থ ব্যবস্থায় এত অধিক পরিমাণে ছাপানো নোট থাকলে সেটা আর অর্থনীতি থাকবে না, হয়ে যাবে নীতিহীন অর্থনীতি

মানি সার্কুলেশন এবং ডিজিটাল লেনদেন চলমান থাকলে এই ছাপানো নোটেই অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্বাভাবিক গতিতেই চলবে বলেই অর্থনীতিবিদদের ধারণা। কেননা মাত্রাতিরিক্ত ছাপানো নোটে পণ্য দ্রব্যের দাম বা মূল্যবৃদ্ধি পায়। অর্থনীতিতে একে মুদ্রাস্ফীতি বলে। অতিরিক্ত মুদ্রাস্ফীতিতে টাকার মূল্য কমে এবং মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যায়।

ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে মিডিয়া, ইউটিউব, সুশীল সমাজের তথ্য বিভ্রাটের কারণে জনগণ যদি ব্যাংকে টাকা জমা না করে বা গ্রাহকরা যদি একযোগে ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তুলে নিতে লাইন ধরে তাহলে স্বাভাবিক নিয়মেই ব্যাংকসমূহ সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেই টাকা ধার চাইবে। আর জনগণ টাকা ঘরে বা হাতে ধরে রাখার কারণে মানি সার্কুলেশন হবে না। এতে করে ছাপানো নোটের ঘাটতি দেখা দিবে। আর তখন সরকারের নতুন টাকা না ছাপিয়ে উপায় কী!

সেপ্টেম্বরের পর গ্রাহকদের অস্বাভাবিক নগদ অর্থের প্রয়োজনে ইতোমধ্যেই সরকারকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা নতুন করে নোট ছাপাতে হয়েছে বলেই জনশ্রুতি রয়েছে। মিডিয়া, ইউটিউব আর সুশীল সমাজের সব কথাকে সত্য মেনে নিয়ে যদি আমরা সবাই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাসায় রাখি তাহলে ছাপানো নোটের প্রয়োজন পড়বে আরো ১৫ লাখ কোটি টাকা।

একটা দেশের অর্থ ব্যবস্থায় এত অধিক পরিমাণে ছাপানো নোট থাকলে সেটা আর অর্থনীতি থাকবে না, হয়ে যাবে নীতিহীন অর্থনীতি। এভাবে সবাই মিলে অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে দিয়ে শেষমেশ কর্মহীন আর পণ্যহীন এক সমাজ তৈরি করছি না তো। ছাপানো নোটগুলো নিজের জিম্মায় ধরে রেখে যারা সরকারকে নিত্যনতুন নোট ছাপিয়ে বাজারে ইনজেক্ট করতে বাধ্য করছেন তারা তাদের টাকার মূল্যমান ধরে রাখতে পারবেন তো কিংবা পারবেন তো আপনার আগামী প্রজন্মের জন্য একটি কর্মময় গতিশীল অর্থনীতি রেখে যেতে।

তাই আসুন ঘরে বা হাতে ধরে রাখা অলস টাকাগুলো ফেলে না রেখে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মাঝেই ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকে জমা করি। যে ব্যাংকগুলো আপনার টাকা চাহিবামাত্র আপনাকে শর্ট নোটিশে দিতে পেরেছে বিশ্বস্ততার মানদন্ডে তারাই অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য। আবার নেটে সার্চ দিয়েও আপনি জেনে নিতে পারেন এদেশের সেরা ব্যাংকগুলোর নাম, জেনে নিতে পারেন প্রবলেম ব্যাংক কোনগুলো, মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে কারা, কোন ব্যাংকের রেটিং কেমন, গ্রাহক ভিত্তি, মুনাফা অর্জনে সক্ষমতা রয়েছে কোন ব্যাংকগুলোর ইত্যাদি। ঘরে টাকা মজুদ করাই একমাত্র সমাধান নয়। মনে রাখা উচিত, ‘নগরে আগুন লাগলে দেবালয় কিন্তু রক্ষা পায় না।’

[লেখক: এক্সিকিউটিভ ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও কুমিল্লা জোনাল হেড, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি.]

back to top