কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা কৃষি অফিসটি জনবল সংকটে ভুগছে। এ দ্বীপে আউশ, আমন, সব্জিসহ রবি মওসুমে চাষাবাদ বৃদ্ধি করার লক্ষে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়াবাসী।

জানাগেছে, কুতুবদিয়া উপজেলা কৃষি অফিসে ১৮ জন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তার মধ্যে আছেন মাত্র ৬ জন। প্রতি ইউনিয়নে ৩ জন করে মোট উপজেলার ৬ ইউনিয়নে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তার ১৮টি পদ রয়েছে। অজ্ঞাত কারণে বদলী হয়ে যেতে যেতে এখন আছেন মাত্র ৬ জন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সাথে সরাসরি নানা সহায়তা-পরামর্শ প্রদানের জন্য উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তার ১৮টি পদ আছে। তবে বর্তমানে কর্মরত আছে মাত্র ৬ জন। বাকী ১২টি পদই খালি।

এছাড়াও অফিসার পর্যায়ে একজন কৃষি কর্মকর্তা, একজন অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা ও একজন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার পদ রয়েছে। ৩ জনের মধ্যে শুধু কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আছেন। চ্যানেল পার হয়ে পেকুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখানে কৃষি কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

উপজেলা কৃষি অফিসে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো খালি থাকায় ১৭০০ হেক্টর জমিতে চলতি আউশ আবাদ মওসুমে ইউরিয়া সার বরাদ্দও ছিল সংকটের মুখে। গত বছর এ মওসুমে বরাদ্দ ছিল পৌনে ২শ মেট্রিক টন। আর এবার বরাদ্ধ হয়েছে মাত্র ৩৩ মেট্রিক টন। অবশ্য পূণ:চাহিদা পত্র পাঠিয়ে আরও ১১৭ মেট্রিক টন বরাদ্ধের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দ্বীপে আউশ, আমন, সব্জিসহ রবি মওসুমে চাষাবাদ বৃদ্ধি পাওয়ার কথা জানিয়ে উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. নাজেম উদ্দিন বলেন, অফিসে গুরুত্বপূর্ণ উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তার পদ খালি ১২টি। এতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। কোন কোন ইউনিয়নের পরিধি বড় হওয়ায় একার পক্ষে দায়িত্ব পালন সম্ভব হয় না। তবে জনবল সংকটের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।