এলিফ্যান্ট রোডের বেশ কয়েকটি হোটেলে দেদারসে খাওয়া দাওয়া করছে শ’ শ’ মানুষ। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। ক্রেতা-বিক্রেতা কারো মধ্যেই নেই কোনো সচেতনতা। কে কোর আগে খাবার নেবে, টেবিলে খেতে বসবে, তাই নিয়ে রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি লক্ষ্য করা গেছে।
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত এমনই চিত্র দেখা গেছে।
এই এলাকায় রয়েছে ইস্টার্ন মল্লিকা, গ্রিন স্বরনিকা শপিংমল, সুবাস্তুু অ্যারোমা সেন্টার, ইসমাইল ম্যানশন, নূর ম্যানশন, চিশতিয়া মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি মার্কেট।
এসব মার্কেটের দোকানে কাজ করা হাজার হাজার কর্মচারী সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও বিকেলের নাস্তার জন্য মুসলিম রেস্তোরাঁ, গাউছিয়া রেস্টুরেন্ট, আরিশা হোটেল, ক্যাফে শাহজালাল, নিউ পপুলার হোটেলসহ আশেপাশের আরও দুই একটি হোটেলের ওপর নির্ভরশীল।
গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণার কারণে উল্লেখিত সব মার্কেট বন্ধ ছিল। তবে জরুরি অনেক কিছুর সঙ্গে খোলা ছিল হোটেল রেস্টুরেন্ট। শর্ত ছিল, হোটেলে বসে খাওয়া যাবে না। খাবার প্যাকেট করে নিতে হবে। মার্কেট বন্ধ থাকার কারণে এসব হোটেলে গত ৪দিন তেমন বেচাকেনা হয়নি। এদের বিক্রি মূলত মার্কেটের লোকজনের ওপর নির্ভরশীল।
সরকারি নির্দেশনায়, শর্তসাপেক্ষে আজ (৯ এপ্রিল) থেকে আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মার্কেট খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, হোটেল রেস্তোরাঁর জন্য আগের নিয়মই বহাল আছে। দোকানে খাবার খাওয়া যাবে না, প্যাকেট করে নিয়ে যেতে হবে। অথচ সকালে সরেজমিন এসব হোটেলের সামনে কয়েক শত মানুষকে খাবার কেনার জন্য রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি করতে দেখা গেছে। এছাড়া প্রতিটি দোকানের ভেতরে গাদাগাদি করে বসে খাবার খেতেও দেখা গেছে।
আরিশা হোটেলের মালিক সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কী করবো বলেন? গত চারদিন ধরে কোনো বেচাকেনা নাই। লকডাউনের কারণে মার্কেট বন্ধ ছিল। আর আমাদের বিক্রি হয় এ মার্কেটগুলোর মানুষের কাছে। আজ মার্কেট খুলেছে, তাই বেচাকেনা শুরু হয়েছে। বললেও কেউ শোনে না। এত মানুষকে সামলাতে পারছি না।’
তার নিজের মুখেও মাস্ক নেই কেন? জানতে চাইলে সিদ্দিক বলেন, ‘আছে ভাই, পকেটে।’
এভাবে খাবার কেনা, হোটেলে বসে খাবার খাওয়া প্রসঙ্গে ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. মনজুর রহমান গালিব বলেন, ‘এটা খুব ভয়ঙ্কর। এমনিতে প্রতিদিন আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখা বাড়ছে। তার ওপর সবাই সচেতন না হলে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবারের করোনার আকৃতি-প্রকৃতি ভিন্ন। সবাইকে অনেক বেশি সতর্ক ও সচেতন হতে হবে।’
শুক্রবার, ০৯ এপ্রিল ২০২১
এলিফ্যান্ট রোডের বেশ কয়েকটি হোটেলে দেদারসে খাওয়া দাওয়া করছে শ’ শ’ মানুষ। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। ক্রেতা-বিক্রেতা কারো মধ্যেই নেই কোনো সচেতনতা। কে কোর আগে খাবার নেবে, টেবিলে খেতে বসবে, তাই নিয়ে রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি লক্ষ্য করা গেছে।
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত এমনই চিত্র দেখা গেছে।
এই এলাকায় রয়েছে ইস্টার্ন মল্লিকা, গ্রিন স্বরনিকা শপিংমল, সুবাস্তুু অ্যারোমা সেন্টার, ইসমাইল ম্যানশন, নূর ম্যানশন, চিশতিয়া মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি মার্কেট।
এসব মার্কেটের দোকানে কাজ করা হাজার হাজার কর্মচারী সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও বিকেলের নাস্তার জন্য মুসলিম রেস্তোরাঁ, গাউছিয়া রেস্টুরেন্ট, আরিশা হোটেল, ক্যাফে শাহজালাল, নিউ পপুলার হোটেলসহ আশেপাশের আরও দুই একটি হোটেলের ওপর নির্ভরশীল।
গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণার কারণে উল্লেখিত সব মার্কেট বন্ধ ছিল। তবে জরুরি অনেক কিছুর সঙ্গে খোলা ছিল হোটেল রেস্টুরেন্ট। শর্ত ছিল, হোটেলে বসে খাওয়া যাবে না। খাবার প্যাকেট করে নিতে হবে। মার্কেট বন্ধ থাকার কারণে এসব হোটেলে গত ৪দিন তেমন বেচাকেনা হয়নি। এদের বিক্রি মূলত মার্কেটের লোকজনের ওপর নির্ভরশীল।
সরকারি নির্দেশনায়, শর্তসাপেক্ষে আজ (৯ এপ্রিল) থেকে আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মার্কেট খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, হোটেল রেস্তোরাঁর জন্য আগের নিয়মই বহাল আছে। দোকানে খাবার খাওয়া যাবে না, প্যাকেট করে নিয়ে যেতে হবে। অথচ সকালে সরেজমিন এসব হোটেলের সামনে কয়েক শত মানুষকে খাবার কেনার জন্য রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি করতে দেখা গেছে। এছাড়া প্রতিটি দোকানের ভেতরে গাদাগাদি করে বসে খাবার খেতেও দেখা গেছে।
আরিশা হোটেলের মালিক সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কী করবো বলেন? গত চারদিন ধরে কোনো বেচাকেনা নাই। লকডাউনের কারণে মার্কেট বন্ধ ছিল। আর আমাদের বিক্রি হয় এ মার্কেটগুলোর মানুষের কাছে। আজ মার্কেট খুলেছে, তাই বেচাকেনা শুরু হয়েছে। বললেও কেউ শোনে না। এত মানুষকে সামলাতে পারছি না।’
তার নিজের মুখেও মাস্ক নেই কেন? জানতে চাইলে সিদ্দিক বলেন, ‘আছে ভাই, পকেটে।’
এভাবে খাবার কেনা, হোটেলে বসে খাবার খাওয়া প্রসঙ্গে ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. মনজুর রহমান গালিব বলেন, ‘এটা খুব ভয়ঙ্কর। এমনিতে প্রতিদিন আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখা বাড়ছে। তার ওপর সবাই সচেতন না হলে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবারের করোনার আকৃতি-প্রকৃতি ভিন্ন। সবাইকে অনেক বেশি সতর্ক ও সচেতন হতে হবে।’