ঈদ কড়া নাড়ছে দ্বোর গোড়ায়। কিন্তু থেমে নেই শহর ছেড়ে গ্রামমুখী মানুষের ¯্রােত। মহামারি কোরনার ভয় কাউকেই থামাতে পারছেনা। যে যেভাবে পারছে আজ বুধবারও ছুটছে গ্রামের দিকে। আজ সকাল থেকে রাজধানী থেকে বের হওয়ার সব পথ মানুষের ভিড় আর নানা ধরনের গাড়ির লাইন। মানুষে আর গাড়িতে সয়লাব ঢাকার বর্হিমুখি সব সড়ক।
আজও মানুষ ভিড় করেছে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে । দক্ষিনাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষ এ ফেরিঘাট দিয়ে গ্রামের দিকে পাড়ি দিচ্ছে দীর্ঘ পথ। ফেরিতে গাদাগাদি করে চড়ে পদ্মা পার হয়ে দক্ষিণের জেলাগুলোতে ছুটেছে মানুষ।
বাংলাদেশে আজ বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঈদ হতে পারে। সাধারণত: সোদি আরবে যেদিন ঈদ হয় তার পরদিন বাংলাদেশে ঈদ হয়। এবার সৌদি আরবে ঈদ হবে বৃহস্পতিবার। ফলে ধরে নেয়া হচ্ছে বুধবার বাংলাদেশের আকাশে ঈদের ঈদের চাঁদ দেখা যাবেনা। অর্থাৎ ঈদ হবে শুক্রবার। তবে এজন্য অপেক্ষা করতে হবে চাঁদ দেখা পর্যন্ত।
আজ সকাল থেকে ঢাকা থেকে গ্রামমুখি মানুষের ভিড় বেশী দেখা গেছে একদিকে মাওয়া সড়কে, অন্যদিকে মানিকগঞ্জমুখি গাবতলীতে। এ দুই এলাকায় চোখে পড়ে মানুষের ¯্রােত। মাওয়া আরিচা Ñএ দুই সড়কেইও ধাবমান মানুষের গন্তব্য দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা।
তাদের মূল বাহন ট্রাক, মাউক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান ও মোটর সাইকেল। আবার অনেকে যাচ্ছেন ব্যক্তিগত পাইভেট কারে। এসব যানবাহনে তারা গাদাগাদি করে ছুটছেন গ্রামে নিজ বাড়ির দিকে। এভাবে ছুটতে ছুটতে তাদের কারোই মানা হচ্ছেনা করোনা মহামারিতে জারী করা স্বাস্থ্যবিধি।
এদিকে গ্রামমুখি মানুষের ভিড়ে শহরের প্রান্তিক পথগুলো মানুষ আর গাড়ির ভিড়ে বেসামাল হলেও ঢাকা থেকে বের হওয়ার পর সবাই পাচ্ছে ফাকা মহাসড়ক।
গাবতলীতে গিয়ে দেখা যায় আমিনবাজার পার হওয়ার পর রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা। তবে দীর্ঘ পথের বিভিন্ন স্থানে বাজার এলাকায় কিছুটা যানজটের দেখা মেলে। মীরপুর সড়ক ধরে ঢাকা ছাড়লে নবীনগর,সাভার, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, অপরদিকে আশুলিয়া এলাকায় কিছু গাড়ি জট দেখা যায়। এ এলাকা থেকে শ্রমিকদের নিয়ে গ্রামমুখি যানবাহনগুলো মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি করছে।
আশপাশের এলাকার পোশাককর্মীরাও ঈদে বাড়ি যাবেন। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় পোশাককর্মীদের অনেক গাড়ি রাস্তার পাশে দাড় করিয়ে রাখার কারনেও কিছু যানজট হচ্ছে। ফলে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
এসব এলাকায় গ্রামমুখো মানুষে সঙ্গে কথা বললে তারা এ অবস্থার জন্য সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। তাদেও কথা হচ্ছে শহরের ভিতরে সব মার্কেট, যানবাহন ছেড়ে দিয়ে শুধু আন্ত:জেলা পরিবহণ বন্ধ করে কি ফল পাওয়া যাচ্ছে আমরা বুঝতে পারছিনা। তবে, আমরা যারা গ্রামের বাড়ি গিয়ে স্ত্রী-সন্তানদেও সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে চাই তাদের জীবন ঝুকি ও বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।
সরকার সবাইকে অনুরোধ করেছে, করোনার মধ্যে গ্রামে না গিয়ে শহরে নিজ অবস্থানে থেকেই এবার ঈদ পালন করুণ- সে পরামর্শ কেন গ্রহন করছেননাÑ এমন প্রশ্নে অনেকেই বলেন, সরকার যে ঢাকায় সবকিছু খুলে দিয়েছে তাতে কি করোনা সংক্রমণ বন্ধ থাকবে? শহরে আমরা যদি বাসে উঠতে, বাজার-হাটে যেতে পারি তবে গ্রামে যেতে কেন বাধা?
বুধবার, ১২ মে ২০২১
ঈদ কড়া নাড়ছে দ্বোর গোড়ায়। কিন্তু থেমে নেই শহর ছেড়ে গ্রামমুখী মানুষের ¯্রােত। মহামারি কোরনার ভয় কাউকেই থামাতে পারছেনা। যে যেভাবে পারছে আজ বুধবারও ছুটছে গ্রামের দিকে। আজ সকাল থেকে রাজধানী থেকে বের হওয়ার সব পথ মানুষের ভিড় আর নানা ধরনের গাড়ির লাইন। মানুষে আর গাড়িতে সয়লাব ঢাকার বর্হিমুখি সব সড়ক।
আজও মানুষ ভিড় করেছে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে । দক্ষিনাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষ এ ফেরিঘাট দিয়ে গ্রামের দিকে পাড়ি দিচ্ছে দীর্ঘ পথ। ফেরিতে গাদাগাদি করে চড়ে পদ্মা পার হয়ে দক্ষিণের জেলাগুলোতে ছুটেছে মানুষ।
বাংলাদেশে আজ বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঈদ হতে পারে। সাধারণত: সোদি আরবে যেদিন ঈদ হয় তার পরদিন বাংলাদেশে ঈদ হয়। এবার সৌদি আরবে ঈদ হবে বৃহস্পতিবার। ফলে ধরে নেয়া হচ্ছে বুধবার বাংলাদেশের আকাশে ঈদের ঈদের চাঁদ দেখা যাবেনা। অর্থাৎ ঈদ হবে শুক্রবার। তবে এজন্য অপেক্ষা করতে হবে চাঁদ দেখা পর্যন্ত।
আজ সকাল থেকে ঢাকা থেকে গ্রামমুখি মানুষের ভিড় বেশী দেখা গেছে একদিকে মাওয়া সড়কে, অন্যদিকে মানিকগঞ্জমুখি গাবতলীতে। এ দুই এলাকায় চোখে পড়ে মানুষের ¯্রােত। মাওয়া আরিচা Ñএ দুই সড়কেইও ধাবমান মানুষের গন্তব্য দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা।
তাদের মূল বাহন ট্রাক, মাউক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান ও মোটর সাইকেল। আবার অনেকে যাচ্ছেন ব্যক্তিগত পাইভেট কারে। এসব যানবাহনে তারা গাদাগাদি করে ছুটছেন গ্রামে নিজ বাড়ির দিকে। এভাবে ছুটতে ছুটতে তাদের কারোই মানা হচ্ছেনা করোনা মহামারিতে জারী করা স্বাস্থ্যবিধি।
এদিকে গ্রামমুখি মানুষের ভিড়ে শহরের প্রান্তিক পথগুলো মানুষ আর গাড়ির ভিড়ে বেসামাল হলেও ঢাকা থেকে বের হওয়ার পর সবাই পাচ্ছে ফাকা মহাসড়ক।
গাবতলীতে গিয়ে দেখা যায় আমিনবাজার পার হওয়ার পর রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা। তবে দীর্ঘ পথের বিভিন্ন স্থানে বাজার এলাকায় কিছুটা যানজটের দেখা মেলে। মীরপুর সড়ক ধরে ঢাকা ছাড়লে নবীনগর,সাভার, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, অপরদিকে আশুলিয়া এলাকায় কিছু গাড়ি জট দেখা যায়। এ এলাকা থেকে শ্রমিকদের নিয়ে গ্রামমুখি যানবাহনগুলো মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি করছে।
আশপাশের এলাকার পোশাককর্মীরাও ঈদে বাড়ি যাবেন। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় পোশাককর্মীদের অনেক গাড়ি রাস্তার পাশে দাড় করিয়ে রাখার কারনেও কিছু যানজট হচ্ছে। ফলে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
এসব এলাকায় গ্রামমুখো মানুষে সঙ্গে কথা বললে তারা এ অবস্থার জন্য সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। তাদেও কথা হচ্ছে শহরের ভিতরে সব মার্কেট, যানবাহন ছেড়ে দিয়ে শুধু আন্ত:জেলা পরিবহণ বন্ধ করে কি ফল পাওয়া যাচ্ছে আমরা বুঝতে পারছিনা। তবে, আমরা যারা গ্রামের বাড়ি গিয়ে স্ত্রী-সন্তানদেও সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে চাই তাদের জীবন ঝুকি ও বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।
সরকার সবাইকে অনুরোধ করেছে, করোনার মধ্যে গ্রামে না গিয়ে শহরে নিজ অবস্থানে থেকেই এবার ঈদ পালন করুণ- সে পরামর্শ কেন গ্রহন করছেননাÑ এমন প্রশ্নে অনেকেই বলেন, সরকার যে ঢাকায় সবকিছু খুলে দিয়েছে তাতে কি করোনা সংক্রমণ বন্ধ থাকবে? শহরে আমরা যদি বাসে উঠতে, বাজার-হাটে যেতে পারি তবে গ্রামে যেতে কেন বাধা?