alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

বুকের দুধই হোক নবজাতকের প্রথম খাবার

মারিয়া জান্নাত মিষ্টি

: মঙ্গলবার, ০৩ আগস্ট ২০২১

শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মায়ের বুকের দুধ খেয়েই ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। শিশুর সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে মায়ের দুধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা একে তরল সোনার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্টফিডিং অ্যাকশনের উদ্যোগে এবং ইউনিসেফের সহযোগিতায় ১৯৯২ সাল থেকে প্রতিবছর এক থেকে সাত আগস্ট পর্যন্ত পালিত হয় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ। বর্তমানে ১২০টিরও বেশি দেশে এ দিবসটি বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয়। বাংলাদেশেও প্রতি বছর এ দিবস বেশ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে।

বাচ্চা প্রসবের পর প্রথম তিন দিন মায়ের বুকের যে ঘন হলুদাভ আঠালো দুধ পাওয়া যায় তাকে সাধারণত শালদুধ বলে। এ দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, ডি এবং রোগপ্রতিরোধের অনেক উপকরণ থাকে; যা শিশুর অনেক রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এজন্য শালদুধকে শিশুর জীবনের প্রথম টিকা বলা হয়।

কিন্তু বড়ই অনুতাপের বিষয় হলো অনেকে এ ব্যাপারে উদাসীন। গ্রামাঞ্চলে প্রচলিত কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে নবজাতকে বঞ্চিত করা হয় শালদুধ পান করানো থেকে। এতে শিশু হৃষ্টপুষ্ট হওয়ার বদলে দিন দিন রোগা ও হারগিলে হয়ে যায়। তাই শিশুকে শালদুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে সব মায়ের সচেতন হওয়া জরুরি।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যেই নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে। তাহলে নবজাতকের মৃত্যুর হার ২২ শতাংশ কমানো সম্ভব। মায়ের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে বছরে ৩৭ হাজার নবজাতকের জীবন রক্ষা কার সম্ভব। শিশুর ছয় মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ ছাড়া পানি বা বাড়তি কোনো খাবার দেয়া যাবে না। কেননা মায়ের বুকের দুধেই আছে শতকরা ৯৫ ভাগ পানি। অন্যান্য পুষ্টিগুণ তো আছেই। এরপর দুই বছর বা তারও বেশি সময় পর্যন্ত বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার দেয়া যাবে।

আজকের শিশুরাই হলো আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের হাতেই গড়ে উঠবে বিশ্বসভ্যতা। সেজন্য শিশুর জন্মের পর এসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। অবহেলা বা খামখেয়ালি না করে যথাসময়ে নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।

[লেখক : শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলয়]

শীতকালীন জীবন: সংগ্রাম, সংস্কৃতি ও সহমর্মিতা

অ্যালগরিদমের রাজনীতি

চারদিকে আতঙ্ক আর শঙ্কা

অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই

দিপু দাস হত্যাকাণ্ড ও মব সন্ত্রাস

ভোগের দৃশ্যপট: ঢাকায় আধুনিকতা কেন কেবল অল্প কিছু মানুষের জন্য?

স্বর্ণের মোহ ও মানবিক দ্বন্দ্ব

ভালোবাসার দেহধারণ: বড়দিনের তাৎপর্য

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট

বিনা-ভাড়ার ট্রেনযাত্রা

ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে এশিয়া

ছবি

নামে ইসলামী, কাজে আবু জাহেল!

জলবায়ু পরিবর্তন: স্বাস্থ্যঝুঁকি

ছবি

অস্থির পেঁয়াজের বাজার: আমদানি কি সত্যিই সমাধান?

মূল্যবৃদ্ধির ঘেরাটোপ: সংকটাক্রান্ত পরিবার ও সামাজিক রূপান্তর

বায়দূষণে অকালমৃত্যু

লাশের বদলে লাশই যদি চুড়ান্ত হয়, তবে রাষ্ট্রের দরকার কী?

ভিক্ষাবৃত্তি যেখানে অন্যতম পেশা

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

আদিবাসীদের ভূমি অধিকার ও নিরাপত্তা সংকট

“মুনীর চৌধুরীর কবর...”

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

জলবায়ু সংকট ও খাদ্য নিরাপত্তা

স্বাধীন তদন্ত কমিশন দাবির নেপথ্যে কি দায়মুক্তি?

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

প্রহর গুনি কোন আশাতে!

বিজয়ের রক্তাক্ত সূর্য ও আমাদের ঋণের হিসাব

বিজয় দিবস: নতুন প্রজন্মের রাষ্ট্রচিন্তার দিকদর্শন

ছবি

আমাদের বিজয়ের অন্তর্নিহিত বার্তা

প্রাণিসম্পদ: দেশীয় জাত, আধুনিক প্রযুক্তি

জমির জরিপ: ন্যায়বিচার প্রসঙ্গ

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

উন্নয়নের আড়ালে রোগীর ভোগান্তি: আস্থা সংকটে স্বাস্থ্যসেবা

ছবি

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: অমিত শক্তির উৎস

ছবি

বেগম রোকেয়া এখনো জাগ্রত

পশ্চিমবঙ্গ: বামপন্থীদের ‘বাংলা বাঁচাও’-এর ডাক

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

বুকের দুধই হোক নবজাতকের প্রথম খাবার

মারিয়া জান্নাত মিষ্টি

মঙ্গলবার, ০৩ আগস্ট ২০২১

শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মায়ের বুকের দুধ খেয়েই ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। শিশুর সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে মায়ের দুধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা একে তরল সোনার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্টফিডিং অ্যাকশনের উদ্যোগে এবং ইউনিসেফের সহযোগিতায় ১৯৯২ সাল থেকে প্রতিবছর এক থেকে সাত আগস্ট পর্যন্ত পালিত হয় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ। বর্তমানে ১২০টিরও বেশি দেশে এ দিবসটি বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয়। বাংলাদেশেও প্রতি বছর এ দিবস বেশ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে।

বাচ্চা প্রসবের পর প্রথম তিন দিন মায়ের বুকের যে ঘন হলুদাভ আঠালো দুধ পাওয়া যায় তাকে সাধারণত শালদুধ বলে। এ দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, ডি এবং রোগপ্রতিরোধের অনেক উপকরণ থাকে; যা শিশুর অনেক রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এজন্য শালদুধকে শিশুর জীবনের প্রথম টিকা বলা হয়।

কিন্তু বড়ই অনুতাপের বিষয় হলো অনেকে এ ব্যাপারে উদাসীন। গ্রামাঞ্চলে প্রচলিত কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে নবজাতকে বঞ্চিত করা হয় শালদুধ পান করানো থেকে। এতে শিশু হৃষ্টপুষ্ট হওয়ার বদলে দিন দিন রোগা ও হারগিলে হয়ে যায়। তাই শিশুকে শালদুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে সব মায়ের সচেতন হওয়া জরুরি।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যেই নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে। তাহলে নবজাতকের মৃত্যুর হার ২২ শতাংশ কমানো সম্ভব। মায়ের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে বছরে ৩৭ হাজার নবজাতকের জীবন রক্ষা কার সম্ভব। শিশুর ছয় মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ ছাড়া পানি বা বাড়তি কোনো খাবার দেয়া যাবে না। কেননা মায়ের বুকের দুধেই আছে শতকরা ৯৫ ভাগ পানি। অন্যান্য পুষ্টিগুণ তো আছেই। এরপর দুই বছর বা তারও বেশি সময় পর্যন্ত বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার দেয়া যাবে।

আজকের শিশুরাই হলো আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের হাতেই গড়ে উঠবে বিশ্বসভ্যতা। সেজন্য শিশুর জন্মের পর এসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। অবহেলা বা খামখেয়ালি না করে যথাসময়ে নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।

[লেখক : শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলয়]

back to top