alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

ইটিং ডিজঅর্ডার সম্পর্কে জানা জরুরি

ইসরাত নাজনীন জেসমিন

: মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

ইদানীং দৈহিক আকার-আকৃতি নিয়ে ছোট ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরাও বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে। যার ফলে ব্যক্তি তার দৈহিক অবস্থা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তায় পরে যায়, নিজেকে সঠিক একটা মাত্রায় নিয়ে আসতে ডিপ্রেশনে ভোগে এবং তার খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ঘটাতে শুরু করে। আমাদের সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকার জন্য সঠিকমাত্রায় খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু এ খাদ্য গ্রহণে যখন ভয় কাজ করে তখন সেটা ডিজঅর্ডারে পরিণত হয়। খাবার গ্রহণের ফলে ব্যক্তি আরও মোটা হয়ে যাবে এটা নিয়ে যে ভয় এটাই ইটিং ডিজঅর্ডার। ইটিং ডিজঅর্ডার ব্যক্তির মানসিক চিন্তাভাবনা, ইমোশনের সঙ্গে জড়িত থাকে। কোন ব্যক্তি যখন তার বডি শেমিংয়ের জন্য বুলিংয়ের শিকার হয় তখন সে তার খাদ্যাভাসে পরিবর্তন নিয়ে আসতে চায়। এ পরিবর্তন আনতে গিয়ে সে ইটিং ডিজঅর্ডারে জড়িয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের ইটিং ডিজঅর্ডার রয়েছে। তার মধ্যে অ্যানোরেক্সিয়া নারভোসা, বুলিমিয়া নারভোসা এবং বিনজ ইটিং ডিজঅর্ডারে ভুগছে অনেকেই। মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে খাবার না খাওয়া বা খেয়ে ফেললেও অস্বাস্থ্যকর উপায়ে তা দেহ থেকে বের করে ফেলার পেছনে আমাদের সমাজের বুলিং দায়ী অনেকাংশেই। এই যে কিছুদিন আগে আমরা দেখতে পেলাম দশম শ্রেণীর একজন ছেলে তার অতিরিক্ত মোটা হওয়া নিয়ে তার সহপাঠী থেকে শুরু করে ক্লাস টিচার এর দ্বারা ও বুলিংয়ের শিকার হলো। যার ফলে একপর্যায়ে সে ডায়েটিং করতে গিয়ে অ্যানোরেক্সিয়া নারভোসাতে ভুগতে শুরু করে লাস্ট পর্যন্ত পৃথিবী থেকে বিদায় নিল। আমাদের উচিত কাউকে নিয়ে সমালোচনা না করে বরং সে যে অবস্থায় আছে তাকে তার অবস্থানে ভালো অনুভব করানো। কারো দৈহিক আকৃতি নিয়ে বুলিং করতে গিয়ে তাকে এমন অবস্থানে নিয়ে না আসা যাতে সে খাবার গ্রহণেই ভয় পায়। আমরা কখন বুঝতে পারব যে একজন ব্যক্তি ইটিং ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত? আমরা যদি কাউকে দেখি যে সে আগে যেরকম খেত এখন পরিমাণে অনেক কম খাচ্ছে, গ্রুপের সবাই খাবার খেতে ব্যস্ত কিন্তু সে খাবার গ্রহণে অনীহা দেখাচ্ছে বা সব কিছু অনেক বেশি ডায়েটিং মাফিক করছে তবে তার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে অন্যথায় ইটিং ডিজঅর্ডার ভুগতে পারে। তবে কেউ যদি এসব সমস্যায় জড়িয়েই যায় তবে তার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে জোড় দেয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনে কাউন্সিলিং বা থেরাপি নেয়া যেতে পারে।

[ লেখক : শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ]

জাতীয় রক্তগ্রুপ নির্ণয় দিবস

জাল সনদপত্রে শিক্ষকতা

সাধারণ চুক্তিগুলোও গোপনীয় কেন

ছবি

শিশুখাদ্যের নিরাপত্তা: জাতির ভবিষ্যৎ সুরক্ষার প্রথম শর্ত

ছবি

ফিনল্যান্ড কেন সুখী দেশ

ছবি

কৃষকের সংকট ও অর্থনীতির ভবিষ্যৎ

আলু চাষের আধুনিক প্রযুক্তি

ই-বর্জ্য: নীরব বিষে দগ্ধ আমাদের ভবিষ্যৎ

ঢাকার জনপরিসর: আর্ভিং গফম্যানের সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

আলু চাষের আধুনিক প্রযুক্তি

কলি ফুটিতে চাহে ফোটে না!

কৃষিতে স্মার্ট প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে লোকালাইজেশন অপরিহার্য

আইসিইউ থেকে বাড়ি ফেরা ও খাদের কিনারায় থাকা দেশ

বিচারবহির্ভূত হত্যার দায় কার?

ছবি

ট্রাম্পের ভেনেজুয়েলা কৌশল

অযৌক্তিক দাবি: পেশাগত নৈতিকতার সংকট ও জনপ্রশাসন

সড়ক দুর্ঘটনা এখন জাতীয় সংকট

কেন বাড়ছে দারিদ্র্য?

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনর্জন্ম

লবণাক্ততায় ডুবছে উপকূল

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন ও বাস্তবতা

সড়ক দুর্ঘটনার সমাজতত্ত্ব: আইন প্রয়োগের ব্যর্থতা ও কাঠামোর চক্রাকার পুনরুৎপাদন

ছবি

অস্থির সময় ও অস্থির সমাজের পাঁচালি

ভারতে বামপন্থার পুনর্জাগরণ: ব্যাধি ও প্রতিকার

চিপনির্ভরতা কাটিয়ে চীনের উত্থান

একতার বাতাসে উড়ুক দক্ষিণ এশিয়ার পতাকা

ছবি

স্মরণ: শহীদ ডা. মিলন ও বৈষম্যহীন ব্যবস্থার সংগ্রাম

মনে পুরানো দিনের কথা আসে, মনে আসে, ফিরে আসে...

রাসায়নিক দূষণ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি

আছদগঞ্জের শুটকি : অতীতের গৌরব, বর্তমানের দুঃসময়

নবান্নের আনন্দ ও আমনের ফলন

‘প্রশ্ন কোরো না, প্রশ্ন সর্বনাশী’

ভূমিকম্প, অর্থনৈতিক চাপ এবং অনিশ্চয়তা: মানসিকতার নতুন অর্থনীতি

নবম পে স্কেল ও এর আর্থসামাজিক প্রভাব

মৃত্যুদণ্ড, তারপর...

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

ইটিং ডিজঅর্ডার সম্পর্কে জানা জরুরি

ইসরাত নাজনীন জেসমিন

মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

ইদানীং দৈহিক আকার-আকৃতি নিয়ে ছোট ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরাও বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে। যার ফলে ব্যক্তি তার দৈহিক অবস্থা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তায় পরে যায়, নিজেকে সঠিক একটা মাত্রায় নিয়ে আসতে ডিপ্রেশনে ভোগে এবং তার খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ঘটাতে শুরু করে। আমাদের সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকার জন্য সঠিকমাত্রায় খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু এ খাদ্য গ্রহণে যখন ভয় কাজ করে তখন সেটা ডিজঅর্ডারে পরিণত হয়। খাবার গ্রহণের ফলে ব্যক্তি আরও মোটা হয়ে যাবে এটা নিয়ে যে ভয় এটাই ইটিং ডিজঅর্ডার। ইটিং ডিজঅর্ডার ব্যক্তির মানসিক চিন্তাভাবনা, ইমোশনের সঙ্গে জড়িত থাকে। কোন ব্যক্তি যখন তার বডি শেমিংয়ের জন্য বুলিংয়ের শিকার হয় তখন সে তার খাদ্যাভাসে পরিবর্তন নিয়ে আসতে চায়। এ পরিবর্তন আনতে গিয়ে সে ইটিং ডিজঅর্ডারে জড়িয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের ইটিং ডিজঅর্ডার রয়েছে। তার মধ্যে অ্যানোরেক্সিয়া নারভোসা, বুলিমিয়া নারভোসা এবং বিনজ ইটিং ডিজঅর্ডারে ভুগছে অনেকেই। মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে খাবার না খাওয়া বা খেয়ে ফেললেও অস্বাস্থ্যকর উপায়ে তা দেহ থেকে বের করে ফেলার পেছনে আমাদের সমাজের বুলিং দায়ী অনেকাংশেই। এই যে কিছুদিন আগে আমরা দেখতে পেলাম দশম শ্রেণীর একজন ছেলে তার অতিরিক্ত মোটা হওয়া নিয়ে তার সহপাঠী থেকে শুরু করে ক্লাস টিচার এর দ্বারা ও বুলিংয়ের শিকার হলো। যার ফলে একপর্যায়ে সে ডায়েটিং করতে গিয়ে অ্যানোরেক্সিয়া নারভোসাতে ভুগতে শুরু করে লাস্ট পর্যন্ত পৃথিবী থেকে বিদায় নিল। আমাদের উচিত কাউকে নিয়ে সমালোচনা না করে বরং সে যে অবস্থায় আছে তাকে তার অবস্থানে ভালো অনুভব করানো। কারো দৈহিক আকৃতি নিয়ে বুলিং করতে গিয়ে তাকে এমন অবস্থানে নিয়ে না আসা যাতে সে খাবার গ্রহণেই ভয় পায়। আমরা কখন বুঝতে পারব যে একজন ব্যক্তি ইটিং ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত? আমরা যদি কাউকে দেখি যে সে আগে যেরকম খেত এখন পরিমাণে অনেক কম খাচ্ছে, গ্রুপের সবাই খাবার খেতে ব্যস্ত কিন্তু সে খাবার গ্রহণে অনীহা দেখাচ্ছে বা সব কিছু অনেক বেশি ডায়েটিং মাফিক করছে তবে তার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে অন্যথায় ইটিং ডিজঅর্ডার ভুগতে পারে। তবে কেউ যদি এসব সমস্যায় জড়িয়েই যায় তবে তার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে জোড় দেয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনে কাউন্সিলিং বা থেরাপি নেয়া যেতে পারে।

[ লেখক : শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ]

back to top