আমূল বদলে দাও আমার জীবন
মহাদেব সাহা
পরিপূর্ণ পাল্টে দাও আমার জীবন, আমি ফের
বর্ণমালা থেকে শুরু করি-
আবার মুখস্থ করি ডাক-নামতা, আবার সাঁতার শিখি
একহাঁটু জলে;
তুমি এই অপগ- বয়স্ক শিশুকে মেরেপিটে
কিছুটা মানুষ করো,
খেতে দাও আলুসিদ্ধ দুটি ফেনা ভাত।
আবার সবুজ মাঠে একা ছেড়ে দাও তাকে,
একটু করিয়ে দাও পরিচয় আকাশের সাথে
খুব যতœ করে সব বৃক্ষ ও ফুলের নাম শিখি।
আমূল বদলে দাও পুরনো জীবন, ভালোবেসে
আবার নদীর তীরে নরম মাটিতে শুরু করি চলা
বানাই একটি ছোটো বাংলো খড়ের কুঁড়েঘর;
পুরোপুরি পাল্টে দাও আমার জীবন, আমি ফের
গোড়া থেকে শুরু করি-
একেবারে পরিশুদ্ধ মানুষের মতো করি
আরম্ভ জীবন;
এভাবে কখনো আর করবো না ভুলভ্রান্তি-কিছু
এবার নদীর জলে ধুয়ে নেই এই পরাজিত মুখ,
ধুয়ে নেই সকলের অপমান-উপেক্ষার কালি।
একবার ভালোবেসে, মাতৃস্নেহে
আমূল বদলে দাও আমার জীবন
দেখো কীভাবে শুধরে নেই জীবনের ভুলচুকগুলি।
একটু না হয় বস আমার পাশেই
দিলারা হাফিজ
তুমি আসো- জানি না, কি মনে করে আসো-
একটু পরেই জানি, বাতাসের মতো নিঃশব্দেই চলে যাবা
মুখ ফুটে বলা তো যাবে না আর-
একটু না হয় বস আমার পাশেই...
মুহূর্তটি সোনালুর ফুল-বাগান হোক না আজ!
একদিন মানিকগঞ্জ যেতে পথের দুধারে যেমন
দুজনার রুহুকুঞ্জে ফুটেছিলো অদ্ভুত সময়...
অজানা কুসুম কত ছুঁয়ে গেছে মৌনতার বীণা!
ভেবেছিলাম সেরম ছুঁয়ে- থাকি আরো কিছুক্ষণ!
অবিচার
পীযূষ কান্তি বড়ুয়া
প্রাচীন প্রবাদ থেকে থেকে জ্বলে ওঠে চিন্তায়
ব্যস্ত রাজপথের জ্বলজ্বলে পথবাতির মতো
‘ম্যান ইজ আনজাস্ট, গড ইজ জাস্ট’
‘জাস্টিস’ কবিতার মূল সুরখানি এখনও
পাল্টায়নি মোটেও। চর্মচোখের মানুষ
মিথ্যাসাক্ষ্যে কিংবা সাক্ষীর অভাবে দৈনিক
অগণিত লোককে ভরছে কারায়। কখনো
রাজনীতি কখনো মানবীয় ভুল আর এতেই
পত্রিকাগুলো ভরে যায় খবরে পাতায় পাতায়
মায়ের সাথে কয়েদ খাটছে নয় মাসের শিশু
কিংবা দীর্ঘ পনের বছর কারাগারে থেকে
প্রমাণ হলো বৃদ্ধ সগীর আলী নির্দোষ!
কে ফিরিয়ে দিবে শিশুটির রূপালি শৈশব
বৃদ্ধ সগীর আলীর হারানো যৌবন কে দেবে?
অথর্ব কারাগারগুলো হাইপোথাইরয়েডগ্র¯’
গাধার মতো দাঁড়িয়ে থাকে মেধাহীন, বুদ্ধিহীন।
বেকসুর খালাস
তানজিনা ফেরদৌস
পিপীলিকার পাখা গজানোর অপেক্ষায় থেকে
সুযোগ্য সময় বুঝে কেউ ঐরাবতের বাসস্থান
নিশ্চিত করছে নিজ তাগিদে।
ঠিক তখনই কিছু মানুষ সরলতায়
তেলাপোকা দমনের কর্মসূচিতে মগ্ন।
বিপরীতে আলোচিত দিবসের তালিকায় সংযুক্ত নিদ্রাদিবস।
এই দিনে অনেকেই ইচ্ছে আর অনিচ্ছায়
নিদ্রাযাপনের প্রতিযোগিতা করছে।
কেউ নির্ঘুম আকাশছোঁয়া স্বপ্নে বিভোর বুর্জ খালিফায়-
হাওয়ায় কণ্ঠ কাঁপিয়ে ভীত করার বৃথা চেষ্টা করে চলেছেন
মলয় বাবুর প্রিয় বান্ধবী...
জাতকুল ভুলে যে এক কাপড়ে বুকভরা প্রেম নিয়ে ছুটে গেছে
একমাত্র শুভাকাক্সক্ষীর কাছে।
চৌকস পাবলিসিটি ঝোপ বুঝে কোপ মেরে বীরবল উপাধি
পেয়েছে নিয়ন আলোয়...
এখন সে বসার গদির রং পছন্দ করতে সন্ধিহান!
এতো রকমারি কারখানায় সবাই যখন দিশাহীন,
লাল আর কালো টুপি দু’জনেই পেয়ে যায় বেকসুর খালাস।
মানুষ মাত্রই ক্রেতা-বিক্রেতা
এনাম রাজু
যে তিনটে পাথর, আমার কথা বলেছিলো-
তারা মূলত সরল...
পাথরের বয়স জানার দরকার নেই
আমি যেমন মায়ের বয়স জানতে চাই না।
মা আমার কাছে সদ্য জন্মানো শিশু
অথবা আমি তার কাছে মায়ের মতো
আমরা ভালোবাসাবাসিতে এতোটাই সরল যে,
তোমরা সেটার নাম দিতে পারো- পাথর
যে তিনটে পাথর, আমার গুনগান গাইছে
তারা মূলত গাছের বিশালতা জানে না
অথবা সূর্যের উদারতা বুঝতে পারে না
তবু তাদের ক্ষমা করে দিও। যদিও তোমরা
কখনোই ক্ষমা করতে পারবে না,
হয় তো মন থেকে চাইলেও না।
পাথর জানে না, মানুষের শংসাপত্র মানুষ
মেনে নিতে পারে না, অথচ গোপনে
সবাই ক্রেতা ও বিক্রেতা।
সীমানার শর্ত
ঋজু রেজওয়ান
বিজয়ের সব মুহূর্তেই...
তার অধিকার!
কেন্দ্র হোক আর কেন্দ্রাতিগ বলের আসন;
কেউ কেউ আচ্ছাদনে রমণীয় সঙ্গানুষঙ্গের;
ওহমের কাছা ও কাছির অভিবাবকসুলভ
নিঃশব্দে বসে আছে... মিস না ম্যাডাম?
ক্লাসের সবাই উঠে দাঁড়াইল [ধরতে পারেন]
নত-ই হইল
কোন সমস্যা দেখি না- গড়হড়ঃড়হড়ঁংষু.
বেহালার স্টিলপ্লেটে যে স্ট্রিং, বাঁধায় বাজে।
সিল্কের মতই টানটান- উত্তেজিত গুনগুন
যেন, প্রান্তটি ধরেই নিয়ন্ত্রণও করছে কেউ!
তবুুও করছে দাবি, ভেতরের অদৃশ্য তরঙ্গ।
হাতের ভাঁজগুলিও খুলে গেল!
কেন জানি, শুকনো ঠোঁটেও বিজয় দেখছি...
অদৃশ্য বিষাদ
আবির হাসান
আমার বেদনার পাশ দিয়ে নেমে যাচ্ছে সন্ধ্যা!
নির্বাসিত পাখিরা ফুটিয়ে তুলছে
সুইসাইডের সাদাকালো দৃশ্য-
মাগরিবের আজান এড়িয়ে যাচ্ছে
বালিকার অবগুণ্ঠন!
হে রক্তিম দিগন্ত, তোমার বুকে
লিখে রেখেছি অজস্র না পাওয়ার
চিৎকার! মুছে যাওয়া লালিমার
মুখে এঁকে দিয়েছি যন্ত্রণাময় মৃত্যুর গ্রাফিত্তি!
অথচ এখন মমতার সুনির্মল হাওয়া যতই গায়ে মাখি,
তবুও এই বিমর্ষ হিয়ার পাশ দিয়ে নিমিষেই
মুছে যাচ্ছে সন্ধ্যা, ভিন্নরকম ঘৃণায়!
মেঘগাছ
জুবায়ের দুখু
মুহূর্তগুলো মুছে যাচ্ছে অবিকল তোমার ছায়ায়
একঝাঁক তরুণ বকের গানে
মাথার উপর ট্রেনিংপ্রাপ্ত মেঘগাছ পাতা জন্মাচ্ছে।
আর পথ শূন্যতার অভাবে অপূর্ণ রয়েছে অনাদিকাল।
আমার এ বুকে ঘোড়ার রেস থামে না
যতক্ষণ ঘেন্না করো, শিশু বালকটি আমি- বুঝি না
ঘুরে ঘুরে গর্ত করে চলি বিকল্প ভাবনা নেই।
আসন্ন মেঘগাছ পাতাগুলো ঝরালে আমার অনন্ত দুঃখ!
বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
আমূল বদলে দাও আমার জীবন
মহাদেব সাহা
পরিপূর্ণ পাল্টে দাও আমার জীবন, আমি ফের
বর্ণমালা থেকে শুরু করি-
আবার মুখস্থ করি ডাক-নামতা, আবার সাঁতার শিখি
একহাঁটু জলে;
তুমি এই অপগ- বয়স্ক শিশুকে মেরেপিটে
কিছুটা মানুষ করো,
খেতে দাও আলুসিদ্ধ দুটি ফেনা ভাত।
আবার সবুজ মাঠে একা ছেড়ে দাও তাকে,
একটু করিয়ে দাও পরিচয় আকাশের সাথে
খুব যতœ করে সব বৃক্ষ ও ফুলের নাম শিখি।
আমূল বদলে দাও পুরনো জীবন, ভালোবেসে
আবার নদীর তীরে নরম মাটিতে শুরু করি চলা
বানাই একটি ছোটো বাংলো খড়ের কুঁড়েঘর;
পুরোপুরি পাল্টে দাও আমার জীবন, আমি ফের
গোড়া থেকে শুরু করি-
একেবারে পরিশুদ্ধ মানুষের মতো করি
আরম্ভ জীবন;
এভাবে কখনো আর করবো না ভুলভ্রান্তি-কিছু
এবার নদীর জলে ধুয়ে নেই এই পরাজিত মুখ,
ধুয়ে নেই সকলের অপমান-উপেক্ষার কালি।
একবার ভালোবেসে, মাতৃস্নেহে
আমূল বদলে দাও আমার জীবন
দেখো কীভাবে শুধরে নেই জীবনের ভুলচুকগুলি।
একটু না হয় বস আমার পাশেই
দিলারা হাফিজ
তুমি আসো- জানি না, কি মনে করে আসো-
একটু পরেই জানি, বাতাসের মতো নিঃশব্দেই চলে যাবা
মুখ ফুটে বলা তো যাবে না আর-
একটু না হয় বস আমার পাশেই...
মুহূর্তটি সোনালুর ফুল-বাগান হোক না আজ!
একদিন মানিকগঞ্জ যেতে পথের দুধারে যেমন
দুজনার রুহুকুঞ্জে ফুটেছিলো অদ্ভুত সময়...
অজানা কুসুম কত ছুঁয়ে গেছে মৌনতার বীণা!
ভেবেছিলাম সেরম ছুঁয়ে- থাকি আরো কিছুক্ষণ!
অবিচার
পীযূষ কান্তি বড়ুয়া
প্রাচীন প্রবাদ থেকে থেকে জ্বলে ওঠে চিন্তায়
ব্যস্ত রাজপথের জ্বলজ্বলে পথবাতির মতো
‘ম্যান ইজ আনজাস্ট, গড ইজ জাস্ট’
‘জাস্টিস’ কবিতার মূল সুরখানি এখনও
পাল্টায়নি মোটেও। চর্মচোখের মানুষ
মিথ্যাসাক্ষ্যে কিংবা সাক্ষীর অভাবে দৈনিক
অগণিত লোককে ভরছে কারায়। কখনো
রাজনীতি কখনো মানবীয় ভুল আর এতেই
পত্রিকাগুলো ভরে যায় খবরে পাতায় পাতায়
মায়ের সাথে কয়েদ খাটছে নয় মাসের শিশু
কিংবা দীর্ঘ পনের বছর কারাগারে থেকে
প্রমাণ হলো বৃদ্ধ সগীর আলী নির্দোষ!
কে ফিরিয়ে দিবে শিশুটির রূপালি শৈশব
বৃদ্ধ সগীর আলীর হারানো যৌবন কে দেবে?
অথর্ব কারাগারগুলো হাইপোথাইরয়েডগ্র¯’
গাধার মতো দাঁড়িয়ে থাকে মেধাহীন, বুদ্ধিহীন।
বেকসুর খালাস
তানজিনা ফেরদৌস
পিপীলিকার পাখা গজানোর অপেক্ষায় থেকে
সুযোগ্য সময় বুঝে কেউ ঐরাবতের বাসস্থান
নিশ্চিত করছে নিজ তাগিদে।
ঠিক তখনই কিছু মানুষ সরলতায়
তেলাপোকা দমনের কর্মসূচিতে মগ্ন।
বিপরীতে আলোচিত দিবসের তালিকায় সংযুক্ত নিদ্রাদিবস।
এই দিনে অনেকেই ইচ্ছে আর অনিচ্ছায়
নিদ্রাযাপনের প্রতিযোগিতা করছে।
কেউ নির্ঘুম আকাশছোঁয়া স্বপ্নে বিভোর বুর্জ খালিফায়-
হাওয়ায় কণ্ঠ কাঁপিয়ে ভীত করার বৃথা চেষ্টা করে চলেছেন
মলয় বাবুর প্রিয় বান্ধবী...
জাতকুল ভুলে যে এক কাপড়ে বুকভরা প্রেম নিয়ে ছুটে গেছে
একমাত্র শুভাকাক্সক্ষীর কাছে।
চৌকস পাবলিসিটি ঝোপ বুঝে কোপ মেরে বীরবল উপাধি
পেয়েছে নিয়ন আলোয়...
এখন সে বসার গদির রং পছন্দ করতে সন্ধিহান!
এতো রকমারি কারখানায় সবাই যখন দিশাহীন,
লাল আর কালো টুপি দু’জনেই পেয়ে যায় বেকসুর খালাস।
মানুষ মাত্রই ক্রেতা-বিক্রেতা
এনাম রাজু
যে তিনটে পাথর, আমার কথা বলেছিলো-
তারা মূলত সরল...
পাথরের বয়স জানার দরকার নেই
আমি যেমন মায়ের বয়স জানতে চাই না।
মা আমার কাছে সদ্য জন্মানো শিশু
অথবা আমি তার কাছে মায়ের মতো
আমরা ভালোবাসাবাসিতে এতোটাই সরল যে,
তোমরা সেটার নাম দিতে পারো- পাথর
যে তিনটে পাথর, আমার গুনগান গাইছে
তারা মূলত গাছের বিশালতা জানে না
অথবা সূর্যের উদারতা বুঝতে পারে না
তবু তাদের ক্ষমা করে দিও। যদিও তোমরা
কখনোই ক্ষমা করতে পারবে না,
হয় তো মন থেকে চাইলেও না।
পাথর জানে না, মানুষের শংসাপত্র মানুষ
মেনে নিতে পারে না, অথচ গোপনে
সবাই ক্রেতা ও বিক্রেতা।
সীমানার শর্ত
ঋজু রেজওয়ান
বিজয়ের সব মুহূর্তেই...
তার অধিকার!
কেন্দ্র হোক আর কেন্দ্রাতিগ বলের আসন;
কেউ কেউ আচ্ছাদনে রমণীয় সঙ্গানুষঙ্গের;
ওহমের কাছা ও কাছির অভিবাবকসুলভ
নিঃশব্দে বসে আছে... মিস না ম্যাডাম?
ক্লাসের সবাই উঠে দাঁড়াইল [ধরতে পারেন]
নত-ই হইল
কোন সমস্যা দেখি না- গড়হড়ঃড়হড়ঁংষু.
বেহালার স্টিলপ্লেটে যে স্ট্রিং, বাঁধায় বাজে।
সিল্কের মতই টানটান- উত্তেজিত গুনগুন
যেন, প্রান্তটি ধরেই নিয়ন্ত্রণও করছে কেউ!
তবুুও করছে দাবি, ভেতরের অদৃশ্য তরঙ্গ।
হাতের ভাঁজগুলিও খুলে গেল!
কেন জানি, শুকনো ঠোঁটেও বিজয় দেখছি...
অদৃশ্য বিষাদ
আবির হাসান
আমার বেদনার পাশ দিয়ে নেমে যাচ্ছে সন্ধ্যা!
নির্বাসিত পাখিরা ফুটিয়ে তুলছে
সুইসাইডের সাদাকালো দৃশ্য-
মাগরিবের আজান এড়িয়ে যাচ্ছে
বালিকার অবগুণ্ঠন!
হে রক্তিম দিগন্ত, তোমার বুকে
লিখে রেখেছি অজস্র না পাওয়ার
চিৎকার! মুছে যাওয়া লালিমার
মুখে এঁকে দিয়েছি যন্ত্রণাময় মৃত্যুর গ্রাফিত্তি!
অথচ এখন মমতার সুনির্মল হাওয়া যতই গায়ে মাখি,
তবুও এই বিমর্ষ হিয়ার পাশ দিয়ে নিমিষেই
মুছে যাচ্ছে সন্ধ্যা, ভিন্নরকম ঘৃণায়!
মেঘগাছ
জুবায়ের দুখু
মুহূর্তগুলো মুছে যাচ্ছে অবিকল তোমার ছায়ায়
একঝাঁক তরুণ বকের গানে
মাথার উপর ট্রেনিংপ্রাপ্ত মেঘগাছ পাতা জন্মাচ্ছে।
আর পথ শূন্যতার অভাবে অপূর্ণ রয়েছে অনাদিকাল।
আমার এ বুকে ঘোড়ার রেস থামে না
যতক্ষণ ঘেন্না করো, শিশু বালকটি আমি- বুঝি না
ঘুরে ঘুরে গর্ত করে চলি বিকল্প ভাবনা নেই।
আসন্ন মেঘগাছ পাতাগুলো ঝরালে আমার অনন্ত দুঃখ!