পাউবোর দায়সারা কাজ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের নামে দায়সারা কাজ করে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ ও পিআইসি সংশ্লিষ্টরা। উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে খাসিয়ামারা নদীর ডান তীরে ১৩নং পিআইসির ফসলরক্ষা বাঁধ দিয়ে পানি বের হচ্ছে। এতে যে কোনো সময় বাঁধ ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। টেকসই বাঁধ নির্মাণে কাজের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় খাসিয়ামারা নদীর ডান তীরে নোয়াপাড়া এলাকার বাঁধে বড় ধরনের ভাঙন সৃষ্টি হয়। এতে ব্যাপক ফসলহানি ঘটে এবং তলিয়ে যায় শতাধিক ঘরবাড়ি। পুরোপুরি বাস্তুচ্যুত হয় প্রায় ৩০ টি পরিবার। পাউবোর মাধ্যমে এবার এই বাঁধের ৩৪০ মিটার ভাঙ্গা বন্ধকরণ ও পুনরাকৃতিকরণে বরাদ্দ ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ লাখ ১০ হাজার ৮১৫ টাকা। বাঁধের একপাশে খাসিয়ামারা নদী ও অপর পাশে নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের বসতবাড়ির অবস্থান। কিন্তু এত বিপুল পরিমাণ টাকা বরাদ্দ দিয়েও ফসল রক্ষা বাঁধের টেকসই কাজ হচ্ছেনা। বাঁধ নির্মাণের নামে দায়সারা কাজ করে স্থানীয় পাউবোর কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পিআইসির অন্তরালে থাকা প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছে।
বাঁধের পাশেই ১৩নং পিআইসির সভাপতি মো. আমির হোসেনের দেখা পাওয়া যায়। তিনি জানান, যদিও তিনি এই পিআইসির সভাপতি কিন্তু তার মাধ্যমে এই পিআইসির কাজ করাচ্ছেন বক্তারপুর গ্রামের হারুন নামের এক ব্যক্তি।
বাঁধ চুইয়ে পানি বের হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে পিআইসি সভাপতি আমির হোসেন বলেন, ‘নদীর পাড়ের সব বাঁধ দিয়েই এভাবে চুইয়ে পানি বের হয়।’ এভাবে চুইয়ে পানি বের হলে বাঁধ টেকসই হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাঁধের আরো কাজ বাকি আছে। মাটি কেটে ড্রেসিং করা হবে। দুর্মুজ মারার পরে মাটি আরও চাপবে। পরে কার্পেট বিছানো হবে।’
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, ‘বাঁধ দিয়ে এখনি পানি বের হচ্ছে তার মানে এখানে বাঁধের টেকসই কাজ হচ্ছে না। এখানে পাউবো কর্তৃপক্ষ ও পিআইসি সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি রয়েছে। কাজের মান টেকসই হচ্ছে কী না এটা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব। আমরা এখানে দুর্নীতির আলামত দেখতে পাচ্ছি না।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড দোয়ারাবাজারের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এখানের পিআইসির কাজ খারাপ হয়েছে। আমি ইউএনওর সঙ্গে আলাপ করেছি। এখানে পিআইসি বাতিল করা হবে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি নেহের নিগার তনু বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি এই পিআইসি পরিদর্শন করেছি। এখানে কাজের মান ভালো হয়নি। আমি তাদেরকে আবারও সতর্ক করব।’
পাউবোর দায়সারা কাজ
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের নামে দায়সারা কাজ করে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ ও পিআইসি সংশ্লিষ্টরা। উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে খাসিয়ামারা নদীর ডান তীরে ১৩নং পিআইসির ফসলরক্ষা বাঁধ দিয়ে পানি বের হচ্ছে। এতে যে কোনো সময় বাঁধ ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। টেকসই বাঁধ নির্মাণে কাজের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় খাসিয়ামারা নদীর ডান তীরে নোয়াপাড়া এলাকার বাঁধে বড় ধরনের ভাঙন সৃষ্টি হয়। এতে ব্যাপক ফসলহানি ঘটে এবং তলিয়ে যায় শতাধিক ঘরবাড়ি। পুরোপুরি বাস্তুচ্যুত হয় প্রায় ৩০ টি পরিবার। পাউবোর মাধ্যমে এবার এই বাঁধের ৩৪০ মিটার ভাঙ্গা বন্ধকরণ ও পুনরাকৃতিকরণে বরাদ্দ ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ লাখ ১০ হাজার ৮১৫ টাকা। বাঁধের একপাশে খাসিয়ামারা নদী ও অপর পাশে নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের বসতবাড়ির অবস্থান। কিন্তু এত বিপুল পরিমাণ টাকা বরাদ্দ দিয়েও ফসল রক্ষা বাঁধের টেকসই কাজ হচ্ছেনা। বাঁধ নির্মাণের নামে দায়সারা কাজ করে স্থানীয় পাউবোর কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পিআইসির অন্তরালে থাকা প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছে।
বাঁধের পাশেই ১৩নং পিআইসির সভাপতি মো. আমির হোসেনের দেখা পাওয়া যায়। তিনি জানান, যদিও তিনি এই পিআইসির সভাপতি কিন্তু তার মাধ্যমে এই পিআইসির কাজ করাচ্ছেন বক্তারপুর গ্রামের হারুন নামের এক ব্যক্তি।
বাঁধ চুইয়ে পানি বের হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে পিআইসি সভাপতি আমির হোসেন বলেন, ‘নদীর পাড়ের সব বাঁধ দিয়েই এভাবে চুইয়ে পানি বের হয়।’ এভাবে চুইয়ে পানি বের হলে বাঁধ টেকসই হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাঁধের আরো কাজ বাকি আছে। মাটি কেটে ড্রেসিং করা হবে। দুর্মুজ মারার পরে মাটি আরও চাপবে। পরে কার্পেট বিছানো হবে।’
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, ‘বাঁধ দিয়ে এখনি পানি বের হচ্ছে তার মানে এখানে বাঁধের টেকসই কাজ হচ্ছে না। এখানে পাউবো কর্তৃপক্ষ ও পিআইসি সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি রয়েছে। কাজের মান টেকসই হচ্ছে কী না এটা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব। আমরা এখানে দুর্নীতির আলামত দেখতে পাচ্ছি না।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড দোয়ারাবাজারের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এখানের পিআইসির কাজ খারাপ হয়েছে। আমি ইউএনওর সঙ্গে আলাপ করেছি। এখানে পিআইসি বাতিল করা হবে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি নেহের নিগার তনু বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি এই পিআইসি পরিদর্শন করেছি। এখানে কাজের মান ভালো হয়নি। আমি তাদেরকে আবারও সতর্ক করব।’