alt

সারাদেশ

লিবিয়ায় মুক্তিপণ দেয়ার পরেও প্রবাসীকে হত্যা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, মাদারীপুর : শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

ইচ্ছা ছিল অবৈধভাবে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাবেন। সেখান থেকে আয় করে পরিবারে ফিরিয়ে আনবেন সচ্ছলতা। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। উল্টো দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রাণটাই গেল।

দফায় দফায় দালালদের ৪৫ লাখ টাকা দিয়েও বাঁচতে পারেননি মাদারীপুরের বাসিন্দা রাকিব মহাজন (২৩)। দীর্ঘ তিন বছর গেমঘরে বন্দি থেকে লিবিয়ায় দালালদের নির্যাতনে মারা যান বলে পরিবার থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত বুধবার রাতে রাকিব মহাজনের মৃত্যুর খবর পায় তার পরিবার। এরপর থেকে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের মাতম।

নিহত রাকিব মহাজন মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের পখিরা গ্রামের নাজিম উদ্দিন মহাজনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে উন্নত জীবনের আশায় মাদারীপুর সদর উপজেলার মৃত ফটিক মৃধার ছেলে দালাল জাহাঙ্গীর মৃধার প্রলোভনে পড়েন রাকিব মহাজন। জাহাঙ্গীর তার ভায়রা শরীয়তপুরের পালং থানার ধানুকা ইউনিয়নের ছোট বিনোদপুর গ্রামের সোহাগ মাতুব্বরের মাধ্যমে ২৭ লাখ টাকায় ইতালিতে পৌঁছে দেওয়ার চুক্তি করেন। পরে ২৭ লাখ টাকা দিয়ে তিন বছর আগে ইতালির উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বের হন রাকিব। লিবিয়ায় যাওয়ার পর গেমঘরে (বন্দিশালা) রেখে আরও টাকার জন্য নির্যাতন চালাতে থাকেন দালাল সোহাগ মাতুব্বর ও তার লোকজন। পরে কোনো উপায় না পেয়ে রাকিবের বাবা নাজিম উদ্দিন মহাজন ধার-দেনা করে পাঁচ লাখ টাকা দেন। তাতেও কাজ হয়নি। চলতে থাকে নির্যাতন।

দুই বছর ৪ মাস পর আরেক দালাল মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামের মাজেদ খলিফার কাছে যায় রাকিবের পরিবার। তাকেও দেওয়া হয় ১৫ লাখ। তবুও মুক্তি মেলেনি রাকিবের। নির্যাতনের এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাকিব গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে লিবিয়ার একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। পরদিন রাতে রাকিবের মৃত্যুর খবর তার পরিবারকে জানান দালাল মাজেদ খলিফা। তার মৃত্যুর সংবাদে পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মাতম থামছে না স্বজনদের।

নিহত রাকিবের বাবা নাজিম উদ্দিন মহাজন বলেন, ‘দফায় দফায় টাকা দিয়ে আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। এ পর্যন্ত সোহাগ আর মাজেদকে ৪৫ লাখ টাকা দিয়েছি। তারপরও আমার ছেলের মৃত্যুর খবর শুনতে হলো। আমার ছেলেকে না খাইয়ে ও নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে।’

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ব?লেন, ঘটনার কথা মৌখিকভাবে জেনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হ?বে।

এ বিষয়ে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, মাদারীপুরে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে বেশকিছু তথ্য পেয়েছি। শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লিবিয়া হয়ে ইতালিতে মানবপাচার করছে প্রতারক চক্র। তদন্ত করে এদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বেশকিছু তথ্য পেয়েছি মাদারীপুরে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে। আমরা জেলা পুলিশ এসব বিষয়ে জিরো টলারেন্সে আছি।’

ছবি

ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশাল মিছিল

ছবি

কাজিপুরের ফরমালিনমুক্ত কুল বরইয়ের চাহিদা দেশব্যাপী

ভৈরবে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৫০

ঝিনাইদহে উদ্ধার হওয়া গ্রেনেড ধ্বংস

বখাটেদের উত্ত্যক্তে শিক্ষার্থীর আত্মহনন

ছবি

মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে লাভবান প্রান্তিক কৃষকরা

ছবি

উলিপুরে টমেটো চাষে লাভবান কৃষক

২ জেলায় অগ্নিকাণ্ডে টেক্সটাইল গুদাম ও দোকান পুড়ে ছাই

৩ জেলায় সড়কে ঝরল ৪ প্রাণ

২ জেলায় শিশু ও বৃদ্ধাসহ ৩ মরদেহ উদ্ধার

ছবি

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়নে পদে পদে বাধা

সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনে তীব্র জনবল সংকট

সরকারি হাটের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ভাঙ্গুড়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ

পাহাড় থেকে পড়ে বন্যহাতির মৃত্যু

ছবি

রংপুর মহানগরীর প্রধান সড়ক সংস্কারের ৩ দিনের মধ্যেই পাথর ও পিচ উধাও

ডিমলা উপজেলা প্রেসক্লাব কমিটি গঠন

রাজশাহী রেঞ্জের নতুন ডিআইজি

খুলনায় শুনানিতে উপস্থিত থাকছেন না পিপিরা

গোদাগাড়ীতে ২ মাদক কারবারি আটক

সাবেক এমপির বিরুদ্ধে বাস পোড়ানো মামলা

খুলনায় একই মঞ্চে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের ভিডিও ভাইরাল

ছবি

সাতক্ষীরায় শুকনা মরিচের বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী

কসবা প্রেসক্লাব ভবন দখল করলেন যুবদল নেতা

ছবি

সরিষাবাড়ীতে দোকানসহ বসতবাড়ি ভস্মীভূত

ছবি

চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজালে মাছ শিকার, ধ্বংস হচ্ছে মাছ ও জলজ প্রাণী

ছবি

চলনবিলের ফসলি জমি কেটে বানানো হচ্ছে পুকুর, মাটি যাচ্ছে ভাটায়

ছবি

যুবদল নেতা তৌহিদুলের পরিবারের সঙ্গে সেনা কর্মকর্তার সাক্ষাৎ

ছবি

ইজতেমা: দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত বুধবার, যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে

ছবি

যশোরে নারীকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, চারজন গ্রেপ্তার

ছবি

সাবেক এমপিসহ ৫৬ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

ছবি

লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজ দই ব্যবসায়ীর লাশ মিলল ধানক্ষেতে

ছবি

শরীয়তপুরে সংবাদ প্রকাশের জেরে চার সাংবাদিকের ওপর হামলা

ছবি

রাজশাহীতে গুলি-ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দরপত্র লুট

ফরিদপুরে আ’লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, ১০ লাখ টাকার গরু-ছাগল লুট

ছবি

লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিকদের ওপর মুখোশধারীদের হামলা

tab

সারাদেশ

লিবিয়ায় মুক্তিপণ দেয়ার পরেও প্রবাসীকে হত্যা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, মাদারীপুর

শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

ইচ্ছা ছিল অবৈধভাবে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাবেন। সেখান থেকে আয় করে পরিবারে ফিরিয়ে আনবেন সচ্ছলতা। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। উল্টো দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রাণটাই গেল।

দফায় দফায় দালালদের ৪৫ লাখ টাকা দিয়েও বাঁচতে পারেননি মাদারীপুরের বাসিন্দা রাকিব মহাজন (২৩)। দীর্ঘ তিন বছর গেমঘরে বন্দি থেকে লিবিয়ায় দালালদের নির্যাতনে মারা যান বলে পরিবার থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত বুধবার রাতে রাকিব মহাজনের মৃত্যুর খবর পায় তার পরিবার। এরপর থেকে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের মাতম।

নিহত রাকিব মহাজন মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের পখিরা গ্রামের নাজিম উদ্দিন মহাজনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে উন্নত জীবনের আশায় মাদারীপুর সদর উপজেলার মৃত ফটিক মৃধার ছেলে দালাল জাহাঙ্গীর মৃধার প্রলোভনে পড়েন রাকিব মহাজন। জাহাঙ্গীর তার ভায়রা শরীয়তপুরের পালং থানার ধানুকা ইউনিয়নের ছোট বিনোদপুর গ্রামের সোহাগ মাতুব্বরের মাধ্যমে ২৭ লাখ টাকায় ইতালিতে পৌঁছে দেওয়ার চুক্তি করেন। পরে ২৭ লাখ টাকা দিয়ে তিন বছর আগে ইতালির উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বের হন রাকিব। লিবিয়ায় যাওয়ার পর গেমঘরে (বন্দিশালা) রেখে আরও টাকার জন্য নির্যাতন চালাতে থাকেন দালাল সোহাগ মাতুব্বর ও তার লোকজন। পরে কোনো উপায় না পেয়ে রাকিবের বাবা নাজিম উদ্দিন মহাজন ধার-দেনা করে পাঁচ লাখ টাকা দেন। তাতেও কাজ হয়নি। চলতে থাকে নির্যাতন।

দুই বছর ৪ মাস পর আরেক দালাল মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামের মাজেদ খলিফার কাছে যায় রাকিবের পরিবার। তাকেও দেওয়া হয় ১৫ লাখ। তবুও মুক্তি মেলেনি রাকিবের। নির্যাতনের এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাকিব গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে লিবিয়ার একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। পরদিন রাতে রাকিবের মৃত্যুর খবর তার পরিবারকে জানান দালাল মাজেদ খলিফা। তার মৃত্যুর সংবাদে পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মাতম থামছে না স্বজনদের।

নিহত রাকিবের বাবা নাজিম উদ্দিন মহাজন বলেন, ‘দফায় দফায় টাকা দিয়ে আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। এ পর্যন্ত সোহাগ আর মাজেদকে ৪৫ লাখ টাকা দিয়েছি। তারপরও আমার ছেলের মৃত্যুর খবর শুনতে হলো। আমার ছেলেকে না খাইয়ে ও নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে।’

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ব?লেন, ঘটনার কথা মৌখিকভাবে জেনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হ?বে।

এ বিষয়ে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, মাদারীপুরে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে বেশকিছু তথ্য পেয়েছি। শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লিবিয়া হয়ে ইতালিতে মানবপাচার করছে প্রতারক চক্র। তদন্ত করে এদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বেশকিছু তথ্য পেয়েছি মাদারীপুরে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে। আমরা জেলা পুলিশ এসব বিষয়ে জিরো টলারেন্সে আছি।’

back to top