ইচ্ছা ছিল অবৈধভাবে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাবেন। সেখান থেকে আয় করে পরিবারে ফিরিয়ে আনবেন সচ্ছলতা। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। উল্টো দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রাণটাই গেল।
দফায় দফায় দালালদের ৪৫ লাখ টাকা দিয়েও বাঁচতে পারেননি মাদারীপুরের বাসিন্দা রাকিব মহাজন (২৩)। দীর্ঘ তিন বছর গেমঘরে বন্দি থেকে লিবিয়ায় দালালদের নির্যাতনে মারা যান বলে পরিবার থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বুধবার রাতে রাকিব মহাজনের মৃত্যুর খবর পায় তার পরিবার। এরপর থেকে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের মাতম।
নিহত রাকিব মহাজন মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের পখিরা গ্রামের নাজিম উদ্দিন মহাজনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে উন্নত জীবনের আশায় মাদারীপুর সদর উপজেলার মৃত ফটিক মৃধার ছেলে দালাল জাহাঙ্গীর মৃধার প্রলোভনে পড়েন রাকিব মহাজন। জাহাঙ্গীর তার ভায়রা শরীয়তপুরের পালং থানার ধানুকা ইউনিয়নের ছোট বিনোদপুর গ্রামের সোহাগ মাতুব্বরের মাধ্যমে ২৭ লাখ টাকায় ইতালিতে পৌঁছে দেওয়ার চুক্তি করেন। পরে ২৭ লাখ টাকা দিয়ে তিন বছর আগে ইতালির উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বের হন রাকিব। লিবিয়ায় যাওয়ার পর গেমঘরে (বন্দিশালা) রেখে আরও টাকার জন্য নির্যাতন চালাতে থাকেন দালাল সোহাগ মাতুব্বর ও তার লোকজন। পরে কোনো উপায় না পেয়ে রাকিবের বাবা নাজিম উদ্দিন মহাজন ধার-দেনা করে পাঁচ লাখ টাকা দেন। তাতেও কাজ হয়নি। চলতে থাকে নির্যাতন।
দুই বছর ৪ মাস পর আরেক দালাল মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামের মাজেদ খলিফার কাছে যায় রাকিবের পরিবার। তাকেও দেওয়া হয় ১৫ লাখ। তবুও মুক্তি মেলেনি রাকিবের। নির্যাতনের এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাকিব গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে লিবিয়ার একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। পরদিন রাতে রাকিবের মৃত্যুর খবর তার পরিবারকে জানান দালাল মাজেদ খলিফা। তার মৃত্যুর সংবাদে পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মাতম থামছে না স্বজনদের।
নিহত রাকিবের বাবা নাজিম উদ্দিন মহাজন বলেন, ‘দফায় দফায় টাকা দিয়ে আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। এ পর্যন্ত সোহাগ আর মাজেদকে ৪৫ লাখ টাকা দিয়েছি। তারপরও আমার ছেলের মৃত্যুর খবর শুনতে হলো। আমার ছেলেকে না খাইয়ে ও নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে।’
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ব?লেন, ঘটনার কথা মৌখিকভাবে জেনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হ?বে।
এ বিষয়ে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, মাদারীপুরে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে বেশকিছু তথ্য পেয়েছি। শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লিবিয়া হয়ে ইতালিতে মানবপাচার করছে প্রতারক চক্র। তদন্ত করে এদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বেশকিছু তথ্য পেয়েছি মাদারীপুরে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে। আমরা জেলা পুলিশ এসব বিষয়ে জিরো টলারেন্সে আছি।’
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
ইচ্ছা ছিল অবৈধভাবে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাবেন। সেখান থেকে আয় করে পরিবারে ফিরিয়ে আনবেন সচ্ছলতা। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। উল্টো দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রাণটাই গেল।
দফায় দফায় দালালদের ৪৫ লাখ টাকা দিয়েও বাঁচতে পারেননি মাদারীপুরের বাসিন্দা রাকিব মহাজন (২৩)। দীর্ঘ তিন বছর গেমঘরে বন্দি থেকে লিবিয়ায় দালালদের নির্যাতনে মারা যান বলে পরিবার থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বুধবার রাতে রাকিব মহাজনের মৃত্যুর খবর পায় তার পরিবার। এরপর থেকে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের মাতম।
নিহত রাকিব মহাজন মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের পখিরা গ্রামের নাজিম উদ্দিন মহাজনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে উন্নত জীবনের আশায় মাদারীপুর সদর উপজেলার মৃত ফটিক মৃধার ছেলে দালাল জাহাঙ্গীর মৃধার প্রলোভনে পড়েন রাকিব মহাজন। জাহাঙ্গীর তার ভায়রা শরীয়তপুরের পালং থানার ধানুকা ইউনিয়নের ছোট বিনোদপুর গ্রামের সোহাগ মাতুব্বরের মাধ্যমে ২৭ লাখ টাকায় ইতালিতে পৌঁছে দেওয়ার চুক্তি করেন। পরে ২৭ লাখ টাকা দিয়ে তিন বছর আগে ইতালির উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বের হন রাকিব। লিবিয়ায় যাওয়ার পর গেমঘরে (বন্দিশালা) রেখে আরও টাকার জন্য নির্যাতন চালাতে থাকেন দালাল সোহাগ মাতুব্বর ও তার লোকজন। পরে কোনো উপায় না পেয়ে রাকিবের বাবা নাজিম উদ্দিন মহাজন ধার-দেনা করে পাঁচ লাখ টাকা দেন। তাতেও কাজ হয়নি। চলতে থাকে নির্যাতন।
দুই বছর ৪ মাস পর আরেক দালাল মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামের মাজেদ খলিফার কাছে যায় রাকিবের পরিবার। তাকেও দেওয়া হয় ১৫ লাখ। তবুও মুক্তি মেলেনি রাকিবের। নির্যাতনের এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাকিব গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে লিবিয়ার একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। পরদিন রাতে রাকিবের মৃত্যুর খবর তার পরিবারকে জানান দালাল মাজেদ খলিফা। তার মৃত্যুর সংবাদে পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মাতম থামছে না স্বজনদের।
নিহত রাকিবের বাবা নাজিম উদ্দিন মহাজন বলেন, ‘দফায় দফায় টাকা দিয়ে আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। এ পর্যন্ত সোহাগ আর মাজেদকে ৪৫ লাখ টাকা দিয়েছি। তারপরও আমার ছেলের মৃত্যুর খবর শুনতে হলো। আমার ছেলেকে না খাইয়ে ও নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে।’
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ব?লেন, ঘটনার কথা মৌখিকভাবে জেনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হ?বে।
এ বিষয়ে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, মাদারীপুরে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে বেশকিছু তথ্য পেয়েছি। শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লিবিয়া হয়ে ইতালিতে মানবপাচার করছে প্রতারক চক্র। তদন্ত করে এদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বেশকিছু তথ্য পেয়েছি মাদারীপুরে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে। আমরা জেলা পুলিশ এসব বিষয়ে জিরো টলারেন্সে আছি।’