গাইবান্ধা জেলায় বাড়ছে ঘোড়ার গাড়ি সংখ্যা। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে যান্ত্রিক যানবাহন ছেড়ে এখন ঝুঁকেছেন ঘোড়ার গাড়িতে। এতে হাজারো পরিবারের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি কম খরচে নিত্যপণ্য আনা-নেয়ার সুবিধা পাচ্ছেন সেবাগ্রহণকারীরা। জেলার তিস্তা এবং ব্রহ্মপুত্রসহ মেইনল্যান্ডেও দেখা মিলছে অসংখ্য ঘোড়ার গাড়ি। চাষি ও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের মালামাল কিনে ঘোড়ার গাড়িতে করে নিয়ে যান। দূরত্বভেদে মণপ্রতি বিভিন্ন ধাপে ভাড়া নেন চালকরা। ধান-চাল, লাকড়ি, চিড়ানোর জন্য বিভিন্ন কাঠ, বাঁশ, ধানের আঁটি, কলা, বেগুন এবং খড়সহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করে থাকেন ঘোড়ার গাড়িতে।
গত ৮ থেকে ১০ বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন স্থানীয় কলিম উদ্দিন ব্যাপারী। তিনি জানান, ঘোড়ার গাড়ির চাকা চললে তাদের অনেকের চলে সংসারের চাকাও। এই আধুনিক যুগেও আদি পেশায় কাজ করে তারা টিকে রয়েছেন। জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার খাশিপুর গ্রামের বাহারাম বাদশা মালামাল ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে পরিবহন করে থাকেন। তিনি বলেন, গাইবান্ধা সদর, পীরগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ এবং পলাশবাড়ী উপজেলা ছাড়াও শহরেও মালামাল পৌঁছে দিয়ে আসি। আমার উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম এই ঘোড়ার গাড়ি। চাঁদপুর গ্রামের আলম বলেন, বাপ-দাদার পেশা ঘোড়ার গাড়ি চালানো বেছে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এই আধুনিকতার যুগেও সব মিলিয়ে তার উপার্জন ভালোই হচ্ছে। দৈনিক ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা রোজগার করা যায়। এতেই তার সংসার চলে বলে যোগ করেন তিনি। স্থানীয় ঘোড়ার গাড়ি চালক ইউনুস মিয়া বলেন, ঘোড়া গাড়ি দিয়ে কৃষক ও ব্যাপারী মালামাল পরিবহন করে থাকি। ঘোড়ার গাড়িতে মালামাল পরিবহন করেন এমন কয়েক স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, অনেকে দিনমজুরের কাজ ছেড়ে ঘোড়ার গাড়ি চালাচ্ছেন। এতে যেমন মানুষ পরিবহন সেবা পাচ্ছেন, অন্যদিকে গাড়ি চালকদের ভালো আয় হচ্ছে। বালাসীঘাটের বাসীন্দা আব্দুল আলিম জানান, চরের যান্ত্রিক যানবাহন না চলায়ঢ ঘোড়ার গাড়িই একমাত্র অবলম্বন। জেলার ১৬৫টি চরে কমপক্ষে ২ হাজার ঘোড়ার গাড়ি চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও জানান, ঘোড়ার লালন-পালন ব্যয় এবং মূল্যও বাড়ছে। তবে ঘোড়ার গাড়ির এখন চরের অনেক পরিবারের উপার্জনের পথ বলে জানান আব্দুল আলিম।
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
গাইবান্ধা জেলায় বাড়ছে ঘোড়ার গাড়ি সংখ্যা। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে যান্ত্রিক যানবাহন ছেড়ে এখন ঝুঁকেছেন ঘোড়ার গাড়িতে। এতে হাজারো পরিবারের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি কম খরচে নিত্যপণ্য আনা-নেয়ার সুবিধা পাচ্ছেন সেবাগ্রহণকারীরা। জেলার তিস্তা এবং ব্রহ্মপুত্রসহ মেইনল্যান্ডেও দেখা মিলছে অসংখ্য ঘোড়ার গাড়ি। চাষি ও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের মালামাল কিনে ঘোড়ার গাড়িতে করে নিয়ে যান। দূরত্বভেদে মণপ্রতি বিভিন্ন ধাপে ভাড়া নেন চালকরা। ধান-চাল, লাকড়ি, চিড়ানোর জন্য বিভিন্ন কাঠ, বাঁশ, ধানের আঁটি, কলা, বেগুন এবং খড়সহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করে থাকেন ঘোড়ার গাড়িতে।
গত ৮ থেকে ১০ বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন স্থানীয় কলিম উদ্দিন ব্যাপারী। তিনি জানান, ঘোড়ার গাড়ির চাকা চললে তাদের অনেকের চলে সংসারের চাকাও। এই আধুনিক যুগেও আদি পেশায় কাজ করে তারা টিকে রয়েছেন। জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার খাশিপুর গ্রামের বাহারাম বাদশা মালামাল ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে পরিবহন করে থাকেন। তিনি বলেন, গাইবান্ধা সদর, পীরগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ এবং পলাশবাড়ী উপজেলা ছাড়াও শহরেও মালামাল পৌঁছে দিয়ে আসি। আমার উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম এই ঘোড়ার গাড়ি। চাঁদপুর গ্রামের আলম বলেন, বাপ-দাদার পেশা ঘোড়ার গাড়ি চালানো বেছে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এই আধুনিকতার যুগেও সব মিলিয়ে তার উপার্জন ভালোই হচ্ছে। দৈনিক ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা রোজগার করা যায়। এতেই তার সংসার চলে বলে যোগ করেন তিনি। স্থানীয় ঘোড়ার গাড়ি চালক ইউনুস মিয়া বলেন, ঘোড়া গাড়ি দিয়ে কৃষক ও ব্যাপারী মালামাল পরিবহন করে থাকি। ঘোড়ার গাড়িতে মালামাল পরিবহন করেন এমন কয়েক স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, অনেকে দিনমজুরের কাজ ছেড়ে ঘোড়ার গাড়ি চালাচ্ছেন। এতে যেমন মানুষ পরিবহন সেবা পাচ্ছেন, অন্যদিকে গাড়ি চালকদের ভালো আয় হচ্ছে। বালাসীঘাটের বাসীন্দা আব্দুল আলিম জানান, চরের যান্ত্রিক যানবাহন না চলায়ঢ ঘোড়ার গাড়িই একমাত্র অবলম্বন। জেলার ১৬৫টি চরে কমপক্ষে ২ হাজার ঘোড়ার গাড়ি চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও জানান, ঘোড়ার লালন-পালন ব্যয় এবং মূল্যও বাড়ছে। তবে ঘোড়ার গাড়ির এখন চরের অনেক পরিবারের উপার্জনের পথ বলে জানান আব্দুল আলিম।