নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক এবং কর্মচারীরা এখন পর্যন্ত গত বছরের ডিসেম্বর মাসের বেতন না পেয়ে নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। কবে পাবেন তারও নিশ্চয়তা না পেয়ে দুচিন্তায় পড়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। কোথায় গেলে সমাধান হবে সেটিও খুঁজে না পেয়ে কপালে ভাজ পড়েছে তাদের সবার। তারা বলছেন, ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) জটিলতার কারণে তাদের বেতন আসেনি। ফলে তারা বর্তমানে খুবই অর্থকষ্টের মধ্যে রয়েছেন। চলতি জানুয়ারি মাস থেকে ইএফটির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়ার উদ্যোগ নেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এই প্রক্রিয়া কার্যকর করতে গত ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে উপজেলায় কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় তথ্য ইএমআইএস সফটওয়্যারে আপলোড করে হার্ডকপি রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয় অফিসে জমা দিতে বলা হয়। পরে সার্ভার জটিলতায় অনেক প্রতিষ্ঠান ওই সময়ের মধ্যে তথ্য আপলোড করতে ব্যর্থ হলে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য সরবরাহ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় গত ১ জানুয়ারির মধ্যে ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারীদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে বেতনের টাকা চলে আসার কথা। তবে ১ তারিখেই প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত কয়েকজন করে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন আসে। কয়েক জনের আসে আর বাকিদের না আসায় দুঃচিন্তা বৃদ্ধি পায় বেতন না পাওয়াদের। নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে পরবর্তীতে গত ১৯ তারিখ আবারো প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কয়েকজনের নাম দেখা যায় টাকা ট্রান্সফারের লিস্টে। তবে ব্যাংকে গিয়ে অ্যাকাউন্টে দেখা যায় কোন টাকা জমা হয়নি। এবার বাধে আরেক বিপত্তি। অন্যদিকে বাকি যাদের এখনও নামও আসেনি তারা পড়েছেন আরও দুঃচিন্তায়। ভাবছেন তাদের কি হবে।
জানা যায়, এই উপজেলায় এমপিওভুক্ত ৩৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৯টি কলেজ রয়েছে। বাগাতিপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেখানে মোট ৬৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। তার মধ্যে গত ১ তারিখে ১৮ জন শিক্ষক কর্মচারীর বেতন আসে যা তারা উত্তোলন করতে পেরেছেন। পরে আবার ১৯ তারিখ ৩১ জনের টাকা ছাড়ের লিস্টে নাম আসলেও অ্যাকাউন্টে কোন টাকা জমা হয়নি। এছাড়া আরও ১৮ জনের কোন খবরই নাই। ওই প্রতিষ্ঠানের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা তো আগেই ভালো ছিলাম। ইএফটি করতে গিয়ে মহা বিপদে পড়েছি। আমাদের প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন বেতন পেয়ে টাকা উত্তোলন করতে পেরেছে। আর আমাদের কয়েকজনের টাকা ছাড়ের লিস্টে নাম আসলেও অ্যাকাউন্টে কোন টাকা জমা হয়নি। ব্যাংকে গিয়ে ফেরত আসতে হয়েছে। আর বাকিদের তো কোনো খবরই নাই। একই প্রতিষ্ঠানের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীম সরকার বলেন, আমরা শিক্ষক মানুষ এই বেতনের টাকা দিয়েই পরিবার পরিজন নিয়ে চলি। মাসের অর্ধেক দিন পার হয়ে গেলেও আমরা বেতন পাইনি। আমরা কীভাবে চলব বুঝতে পারছি না। প্রতিটি দিন বেতন পাবার আশায় কাটাচ্ছি তবে বেতনের দেখা মিলছে না। সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত বেতনের টাকা প্রদানের দাবি সব শিক্ষক এবং কর্মচারীদের।
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক এবং কর্মচারীরা এখন পর্যন্ত গত বছরের ডিসেম্বর মাসের বেতন না পেয়ে নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। কবে পাবেন তারও নিশ্চয়তা না পেয়ে দুচিন্তায় পড়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। কোথায় গেলে সমাধান হবে সেটিও খুঁজে না পেয়ে কপালে ভাজ পড়েছে তাদের সবার। তারা বলছেন, ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) জটিলতার কারণে তাদের বেতন আসেনি। ফলে তারা বর্তমানে খুবই অর্থকষ্টের মধ্যে রয়েছেন। চলতি জানুয়ারি মাস থেকে ইএফটির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়ার উদ্যোগ নেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এই প্রক্রিয়া কার্যকর করতে গত ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে উপজেলায় কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় তথ্য ইএমআইএস সফটওয়্যারে আপলোড করে হার্ডকপি রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয় অফিসে জমা দিতে বলা হয়। পরে সার্ভার জটিলতায় অনেক প্রতিষ্ঠান ওই সময়ের মধ্যে তথ্য আপলোড করতে ব্যর্থ হলে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য সরবরাহ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় গত ১ জানুয়ারির মধ্যে ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারীদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে বেতনের টাকা চলে আসার কথা। তবে ১ তারিখেই প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত কয়েকজন করে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন আসে। কয়েক জনের আসে আর বাকিদের না আসায় দুঃচিন্তা বৃদ্ধি পায় বেতন না পাওয়াদের। নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে পরবর্তীতে গত ১৯ তারিখ আবারো প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কয়েকজনের নাম দেখা যায় টাকা ট্রান্সফারের লিস্টে। তবে ব্যাংকে গিয়ে অ্যাকাউন্টে দেখা যায় কোন টাকা জমা হয়নি। এবার বাধে আরেক বিপত্তি। অন্যদিকে বাকি যাদের এখনও নামও আসেনি তারা পড়েছেন আরও দুঃচিন্তায়। ভাবছেন তাদের কি হবে।
জানা যায়, এই উপজেলায় এমপিওভুক্ত ৩৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৯টি কলেজ রয়েছে। বাগাতিপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেখানে মোট ৬৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। তার মধ্যে গত ১ তারিখে ১৮ জন শিক্ষক কর্মচারীর বেতন আসে যা তারা উত্তোলন করতে পেরেছেন। পরে আবার ১৯ তারিখ ৩১ জনের টাকা ছাড়ের লিস্টে নাম আসলেও অ্যাকাউন্টে কোন টাকা জমা হয়নি। এছাড়া আরও ১৮ জনের কোন খবরই নাই। ওই প্রতিষ্ঠানের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা তো আগেই ভালো ছিলাম। ইএফটি করতে গিয়ে মহা বিপদে পড়েছি। আমাদের প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন বেতন পেয়ে টাকা উত্তোলন করতে পেরেছে। আর আমাদের কয়েকজনের টাকা ছাড়ের লিস্টে নাম আসলেও অ্যাকাউন্টে কোন টাকা জমা হয়নি। ব্যাংকে গিয়ে ফেরত আসতে হয়েছে। আর বাকিদের তো কোনো খবরই নাই। একই প্রতিষ্ঠানের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীম সরকার বলেন, আমরা শিক্ষক মানুষ এই বেতনের টাকা দিয়েই পরিবার পরিজন নিয়ে চলি। মাসের অর্ধেক দিন পার হয়ে গেলেও আমরা বেতন পাইনি। আমরা কীভাবে চলব বুঝতে পারছি না। প্রতিটি দিন বেতন পাবার আশায় কাটাচ্ছি তবে বেতনের দেখা মিলছে না। সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত বেতনের টাকা প্রদানের দাবি সব শিক্ষক এবং কর্মচারীদের।