বন্য প্রাণী আইনে মামলা, আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বন্য শূকর শিকার করে মাংস ভাগাভাগির সময় চার শিকারিকে গ্রেপ্তার করেছে বন বিভাগ। শনিবার বিকেলে তাঁদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা–বাগানের মহাজিল গ্রামের মন্টু বাকতি, বিপন হাজদা, রতন মৃধা ও শুকরাম সাঁওতাল। বন বিভাগ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ফাঁদ পেতে বন্য প্রাণী শিকার করে আসছিল। তাঁদের প্রধান লক্ষ্য ছিল মায়া হরিণ, ভালুক এবং বন্য শূকর। শিকার করা প্রাণীর মাংস স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হতো।
শনিবার দুপুরে শিকারিরা বন্য শূকর শিকার করে মাংস ভাগাভাগি করছিলেন। এই খবর পেয়ে বন বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে শিকারিরা পালানোর চেষ্টা করলেও চারজনকে আটক করা হয়।
বন বিভাগের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, “এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ভালুকের ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল এবং মায়া হরিণসহ অন্যান্য বন্য প্রাণী শিকার করে আসছিল। এভাবে বন্য প্রাণী শিকার করে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে ক্ষতি সাধন করছে তারা।”
আটক চারজনের বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। পরে আদালতে তাঁদের সোপর্দ করা হলে বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বন কর্মকর্তা আরও জানান, এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, “বন্য প্রাণী শিকার একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের পরিবেশ রক্ষায় আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।”
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাকৃতিক এলাকা। এই উদ্যানে মায়া হরিণ, ভালুকসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী বাস করে। তবে বন্য প্রাণী শিকার ও পাচারের কারণে উদ্যানের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে।
বন্য প্রাণী আইনে মামলা, আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বন্য শূকর শিকার করে মাংস ভাগাভাগির সময় চার শিকারিকে গ্রেপ্তার করেছে বন বিভাগ। শনিবার বিকেলে তাঁদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা–বাগানের মহাজিল গ্রামের মন্টু বাকতি, বিপন হাজদা, রতন মৃধা ও শুকরাম সাঁওতাল। বন বিভাগ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ফাঁদ পেতে বন্য প্রাণী শিকার করে আসছিল। তাঁদের প্রধান লক্ষ্য ছিল মায়া হরিণ, ভালুক এবং বন্য শূকর। শিকার করা প্রাণীর মাংস স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হতো।
শনিবার দুপুরে শিকারিরা বন্য শূকর শিকার করে মাংস ভাগাভাগি করছিলেন। এই খবর পেয়ে বন বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে শিকারিরা পালানোর চেষ্টা করলেও চারজনকে আটক করা হয়।
বন বিভাগের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, “এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ভালুকের ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল এবং মায়া হরিণসহ অন্যান্য বন্য প্রাণী শিকার করে আসছিল। এভাবে বন্য প্রাণী শিকার করে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে ক্ষতি সাধন করছে তারা।”
আটক চারজনের বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। পরে আদালতে তাঁদের সোপর্দ করা হলে বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বন কর্মকর্তা আরও জানান, এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, “বন্য প্রাণী শিকার একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের পরিবেশ রক্ষায় আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।”
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাকৃতিক এলাকা। এই উদ্যানে মায়া হরিণ, ভালুকসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী বাস করে। তবে বন্য প্রাণী শিকার ও পাচারের কারণে উদ্যানের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে।